ক্রিয়েটিভ রাইটিং || একজন কৃপণ ব্যক্তির গল্প (২য় পর্ব)

in hive-129948 •  last year 

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।


প্রথম পর্বের লিংক


প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একজন কৃপণ মানুষের গল্প (২য় পর্ব) আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। তবে গল্পটি কোনো কাল্পনিক ঘটনা নিয়ে লেখা নয়,বরং একেবারে বাস্তব। যাইহোক গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন, সুজন ভাই তার ওয়াইফ এর কথা অনুযায়ী টাকা পাঠাতে থাকলো সুজন ভাইয়ের ওয়াইফ এর একাউন্টে। সুজন ভাইয়ের ওয়াইফ তো মহাখুশি। কারণ সুজন ভাইয়ের ওয়াইফ যা বলে, সুজন ভাই সেটাই শুনে। সুজন ভাইয়ের বয়স একটু বেশি ছিলো। কারণ তিনি দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে ছিলেন। তাই বিয়ে করতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। এদিকে সুজন ভাইয়ের ওয়াইফ তো অনার্সে পড়তো। যাইহোক এভাবেই চলছিল তাদের সংসার। ২০১৮ সালে সুজন ভাই সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে আসে ২ মাসের ছুটিতে।


people-2568886_1280.jpg

Source


কারণ সুজন ভাইয়ের প্ল্যান হচ্ছে একটা সন্তান নেওয়া। যাইহোক ছুটিতে আসার পর সুজন ভাইয়ের ওয়াইফকে সন্তান নেওয়ার কথা বললে,সে কিছুতেই রাজি হয় না। সে সুজন ভাইকে বলে অনার্স শেষ করে এলএলবি করবে। কারণ সুজন ভাইয়ের ওয়াইফের নাকি উকিল হওয়ার অনেক শখ। তাই সে আরো পরে বাচ্চা নিতে চায়। যাইহোক সুজন ভাই ব্যাপারটা মেনে নিলেও, তার কাছে ব্যাপারটা মোটেও ভালো লাগেনি। ইতিমধ্যে সুজন ভাইয়ের ওয়াইফ এর একাউন্টে বেশ ভালো টাকা জমে গিয়েছে। তবুও সুজন ভাইকে বলছিল যে, বিয়ের আগে সুজন ভাই যতো টাকা জমিয়েছে, সুজন ভাই যেন সব টাকা তার ওয়াইফ এর নামে দিয়ে দেয়। তাহলে তার ওয়াইফ সব টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে রেখে দিবে ব্যাংকে। এটা ঠিক ব্যাংকে না,তবে জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো অফিসে।


পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনলে মুনাফা বেশি পাওয়া যায়, আর পরিবার সঞ্চয়পত্র শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের নামেই ক্রয় করা যায়। যাইহোক সুজন ভাই বাড়তি মুনাফার আশায় রাজি হয়ে যায়। সুজন ভাই তার ওয়াইফকে এমনিতেও অনেক বিশ্বাস করতো। সুজন ভাই ৩০ লক্ষ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনে তার ওয়াইফ এর নামে। সুজন ভাইয়ের কাছে আর তেমন কোনো টাকা পয়সা ছিলো না বললেই চলে। যাইহোক সুজন ভাই ২ মাসের ছুটি শেষ করে, সিঙ্গাপুর চলে যায়। কয়েক মাস পরেই সুজন ভাইয়ের ওয়াইফ এলএলবি তে ভর্তি হয়। সুজন ভাই নিয়মিত টাকা পাঠাতো তার ওয়াইফ এর একাউন্টে। তার ওয়াইফ বেশ ভালো টাকার মালিক হয়ে যায়। সুজন ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ির আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো ছিলো না। তাই তার ওয়াইফ বিভিন্ন সময় টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করতো সুজন ভাইয়ের অগোচরে।


সুজন ভাইও মাঝেমধ্যে তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করতো। যাইহোক এলএলবি তে ভর্তি হওয়ার পর সুজন ভাই লক্ষ্য করলো, তার ওয়াইফ অনেকটা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আগের মতো ফোন করে সুজন ভাইয়ের খোঁজ খবর রাখে না। সুজন ভাই ফোন করলেও বেশিক্ষণ কথা বলতে চায় না। মোটকথা সুজন ভাইয়ের সাথে দরকার ছাড়া কোনো কথাই বলতে চায় না। সুজন ভাইকে এড়িয়ে চলে অনেকটা। নিজের ওয়াইফ এর এমন পরিবর্তন দেখে সুজন ভাই চিন্তায় পড়ে যায়। সুজন ভাই বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে,তার ওয়াইফ একটি ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে। এটা শুনে সুজন ভাইয়ের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। এরপর কি কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। (চলবে)

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিক্রিয়েটিভ রাইটিং
রাইটার@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
তারিখ২৪.৯.২০২৩
লোকেশননারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG_20220605_234413_388.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

বেশ সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই। আপনার একজন কৃপণ ব্যক্তির গল্পের দ্বিতীয় পর্ব পড়ে ভালো লাগলো। গল্পের সুজন ভাইয়ের চরিত্র পড়ে খারাপ লাগলো। তার স্ত্রী এলএলবি তে ভর্তি হওয়ার পর তার থেকে এড়িয়ে চলতো। এইটা সত্যি খুব দুঃখজনক । আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ভাই ধন্যবাদ।

হ্যাঁ ভাই এমন ঘটনা আসলেই খুব দুঃখজনক। যাইহোক পোস্টটি পড়ে আপনার খুব ভালো লেগেছে, জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। পোস্ট পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।