ভ্রমণ পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ (শেষ পর্ব)

in hive-129948 •  2 days ago 

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।


অষ্টাদশ পর্ব


প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে কক্সবাজার ভ্রমণের অষ্টাদশ পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে ঊনবিংশ পর্ব অর্থাৎ শেষ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম, আমি নিরিবিলি রেস্তোরাঁ থেকে নাস্তা করে, আমার ওয়াইফ এর জন্য নাস্তা পার্সেল করে হোটেলে নিয়ে গিয়েছিলাম। তারপর হোটেলে ঢুকে আমার ওয়াইফকে ঘুম থেকে তুললাম এবং ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে বললাম। যাইহোক তারপর সে ফ্রেশ হয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই নাস্তা করে নিলো। এরপর আমরা অল্প কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে, তারপর লাগেজ গোছানোর প্ল্যান করলাম। কারণ বেলা ১১ টার সময় ডলফিন মোড় থেকে গাড়িতে উঠতে হবে।


Notes_240928_194856_8c6.jpg

Notes_240928_194853_448.jpg


যাইহোক বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আমি বাথরুমে ঢুকে গোসল করে নিলাম। কারণ লং জার্নি করার আগে গোসল করে নিলে আমার খুব ভালো লাগে। যাইহোক গোসল করে একটু বারান্দায় গেলাম। বারান্দায় গিয়ে আসলেই খুব ভালো লেগেছিল। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে ৩/৪ দিন যে হোটেলে ছিলাম, একদিনও বারান্দায় গিয়ে সময় কাটানো হয়নি। তাই বারান্দায় দাঁড়িয়ে তখন আশেপাশের দৃশ্য দারুণভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করলাম। এরপর রুমে ঢুকে লাগেজ গোছানোর ট্রাই করলাম। কিন্তু অনেক কিছু কিনেছি বলে লাগেজে সবকিছু জায়গা হচ্ছিলো না। অনেক কষ্ট করে সবকিছু লাগেজের মধ্যে নিয়ে নিলাম এবং শামুক ঝিনুক গুলো আলাদা একটি ব্যাগে নিলাম,যাতে করে গাড়িতে সেগুলো নিয়ে উঠতে পারি। কারণ এসব জিনিসপত্র লাগেজে নিলে সব ভেঙে যাবে। যাইহোক লাগেজ গুছিয়ে রুমের মধ্যে দেখলাম আর কিছু রয়েছে কিনা।


Notes_240928_194852_d55.jpg

Notes_240928_194904_b22.jpg


তারপর আমরা দু'জন রেডি হয়ে নিচে চলে গেলাম। তারপর হোটেলের রিসিপশনে গিয়ে চেক আউট করলাম। এরপর হোটেলের সামনে থেকেই একটি অটো নিয়ে ডলফিন মোড়ে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম বাস অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। যাইহোক লাগেজ দুটি বাসের লকারে রেখে, আমরা দু'জন আমাদের সিটে চলে গেলাম। আমরা লোয়ার ডেকে সামনে থেকে দুই নম্বর সিট অর্থাৎ বি-২ এবং বি-৩ সিট নিয়েছিলাম। যাইহোক সব যাত্রী উঠার পর বাস ছাড়তে ছাড়তে বেলা ১১.৩০ টা বেজে গিয়েছিল। যেহেতু ভোরবেলা আমি ঘুম থেকে উঠে সূর্যোদয় দেখতে বীচে চলে গিয়েছিলাম,তাই কিছুক্ষণ ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। আর স্লিপার কোচে শুয়ে শুয়ে জার্নি করার মজাই আলাদা। মনে হয় যে বাসার বেডে শুয়ে শুয়ে জার্নি করছি। যাইহোক দুপুর ২.৩০ টার পর আমরা চট্টগ্রামের কেরানীহাটে অবস্থিত রোড ভিউ রেস্টুরেন্টে পৌঁছে গেলাম।


Notes_240928_194906_e57.jpg

Notes_240928_194902_3c5.jpg


তারপর রেস্টুরেন্টে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে বিরিয়ানি অর্ডার করলাম দুজনের জন্য। কিন্তু বিরিয়ানির স্বাদ একেবারেই বাজে ছিলো। এমন বিরিয়ানি খাওয়ার চেয়ে না খাওয়া ই ভালো। শুধুমাত্র পেটে ক্ষুধা ছিলো বলে খেতে বাধ্য হয়েছি। দাম কিন্তু কম নেয়নি প্রতি প্লেট ২০০ টাকা। আসলে যাত্রা বিরতির সময় যে রেস্টুরেন্ট গুলোতে বাস থামায়,প্রায় প্রতিটি রেস্টুরেন্টের খাবারের মান একেবারে বাজে। যাইহোক লাঞ্চ করে বিল মিটিয়ে বাসে উঠে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিলাম। তারপর দেখলাম যে ভালোই জ্যাম লেগেছে। মানে চট্টগ্রাম ক্রস করে যেতে যেতেই প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেলো। আসলে দিনের বেলায় জ্যাম থাকেই। তাই রাতের বেলা লং জার্নি করাটাই উত্তম। যাইহোক শেষ পর্যন্ত রাত ১১ টার দিকে আমরা বাস থেকে মদনপুর নামলাম। তারপর বাসায় চলে আসলাম। সবমিলিয়ে এবারের কক্সবাজার ট্যুর দারুণ ছিলো। আর এতো চমৎকার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।


Notes_240928_194858_0d0.jpg

Notes_240928_194900_861.jpg



2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিভ্রমণ
ফটোগ্রাফার@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
তারিখ২৮.৯.২০২৪
লোকেশনw3w

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG-20240212-WA0036.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

puss_mini_banner2.png

PUSS COIN: BUY/SELL

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে হোটেলে থাকার সময় বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে খুব ভালই লাগে। আমি যদিও এখনো কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে পারেনি তবে আমার ইচ্ছে রয়েছে একদিন কক্সবাজারে গিয়ে অক্টোপাস এবং চিংড়ি খাব। যাই হোক আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপনার এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

এবার কক্সবাজার ট্যুরে গিয়ে অক্টোপাস এবং চিংড়ি মাছের ফ্রাই খেয়েছিলাম। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

এতো ঘুরাঘুরি করলে কি আর বারান্দায় দাঁড়িয়ে আশেপাশের দৃশ্য দেখার সময় থাকে। তবে এবারের কক্সবাজার ট্যুর টি বেশ ভালই এনজয় করেছেন। তবে জার্নিটা একটু বেশি। আমিতো কাহিল হয়ে যেতাম।কক্সবাজার ট্যুরের সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

জার্নিটা মোটামুটি ভালোই লেগেছিল আপু। কারণ স্লিপার কোচে শুয়ে শুয়ে জার্নি করা যায়। যাইহোক এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।