লাইফস্টাইল পোস্ট || খুব সকালে হাঁটাহাঁটি এবং খাওয়া দাওয়া করার অনুভূতি

in hive-129948 •  last year 

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।



প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। বেশ কিছুদিন ধরে আমি চেষ্টা করছি ফজর নামাজ পড়ে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করতে। কিন্তু ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারছি না, কারণ একদিন হাঁটাহাঁটি করলে ২/৩ দিন আর যাওয়া হয় না হাঁটতে। মোবাইলে এলার্ম সেট করে রাখলেও, সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারি না। কারণ রাতে ঘুমাতে ঘুমাতে ২ টা বেজে যায়। যাইহোক আপনারা সবাই জানেন যে, শীতকালীন ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা চলছে। যদিও আমাদের এখানে শীতের ছিটেফোঁটাও নেই। তাই মোটামুটি ৪০/৫০ মিনিটের দূরত্বে গিয়ে ফটোগ্রাফি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তাহলে হাঁটাহাঁটি এবং ফটোগ্রাফি দুটোই করা হয়ে যাবে। মোটকথা এক ঢিলে দুই পাখি মারা হবে। সেজন্য আমি কালকে রাতে এলার্ম সেট করে রেখেছিলাম। যাইহোক সকাল ৬ টার সময় ঘুম থেকে উঠলাম। তারপর ফজর নামাজ আদায় করে বাসা থেকে বের হয়ে, প্রথমে চলে গেলাম লাঙ্গলবন্দ বাজারে


Notes_231118_180623_58d.jpg

Notes_231118_180108_0ef.jpg

Notes_231118_180622_c35.jpg

Notes_231118_180112_5cf.jpg


কারণ লাঙ্গলবন্দ বাজারের পাশেই ব্রহ্মপুত্র নদী অবস্থিত। যাইহোক সেখানে গিয়েও দেখলাম কোনো কুয়াশা নেই এবং শীতও নেই। তবে নীল আকাশ এবং নদীর ভিউ এককথায় দুর্দান্ত লেগেছিল। হালকা বাতাস বয়ে যাচ্ছিলো, যা শরীরটাকে কিছুটা শীতল করে দিয়েছিল। অনেকগুলো বালুর ট্রলার থামানো থাকে সেখানে সবসময়। সেখানকার গদি থেকে আমি বালু কিনেছিলাম কয়েকমাস আগে আমার বাড়ি নির্মাণের জন্য। যাইহোক সেখানে বেশ কিছুক্ষণ থাকার পর, একটি অটো নিয়ে রওনা দিলাম কাইকারটেক ব্রিজের উদ্দেশ্যে। লাঙ্গলবন্দ বাজার থেকে কাইকারটেক যেতে ৪০ টাকা অটো ভাড়া। তাই মোটামুটি কাছেই বলা যায়। যাইহোক যাওয়ার সময় খুবই ভালো লাগছিল, কারণ এতো সকালে এদিকে আসা হয়নি কখনো। যাইহোক কাইকারটেক ব্রিজে নামার পর দেখি পুরো ব্রিজ ফাঁকা।


Notes_231118_180106_9f8.jpg

Notes_231118_180105_dd1.jpg

Notes_231118_180118_1a7.jpg

Notes_231118_180116_df3.jpg


কারণ কাইকারটেক ব্রিজে বিকেলে প্রচুর মানুষের আনাগোনা দেখা যায়, বিশেষ করে শুক্রবার বিকেলে। আমরা সবসময় বিকেলেই যেতাম কাইকারটেক ব্রিজে। কিন্তু আজকে সকালে ব্রিজের এমন চিত্র দেখে আসলেই খুব ভালো লেগেছে। ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। তারপর ব্রিজের নিচে গিয়ে ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করলাম। এরপর কাইকারটেক হাটে গেলাম একটু হাঁটাহাঁটি করতে। যদিও আগামীকালকে অর্থাৎ প্রতি রবিবার কাইকারটেক হাট বসে। বেশ ভালোই রোদ উঠেছিল তখন। হাঁটাহাঁটি করতে ভীষণ ভালো লাগছিল। যাইহোক প্রায় ৮.৩০ টা বেজে গিয়েছিল, তাই আমার ক্ষুধা লেগেছিল প্রচুর। সেজন্য একটি রিকশা নিয়ে লাঙ্গলবন্দ বাজারের দিকে রওনা দিলাম আবারো। কারণ লাঙ্গলবন্দ বাজারে খুবই মজাদার একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে।


Notes_231118_180100_4fe.jpg

Notes_231118_180102_c98.jpg

Notes_231118_180058_016.jpg

Notes_231118_180056_6b4.jpg


সেই দোকান থেকে আমি প্রায়ই মালাই চপ এবং রসগোল্লা কিনে থাকি। যাইহোক সেই দোকানে নাস্তা করে মিষ্টি নিয়ে বাসায় ফেরার প্ল্যান করলাম। কিন্তু নাস্তা করার আগেই প্রেমতলা নামলাম এবং আশ্রম ও স্নানঘাট এর কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম। তারপর মিষ্টির দোকানে নাস্তা করে, গরম গরম এক কাপ চা খেয়ে মিষ্টি নিয়ে বিল মিটিয়ে শ্বশুর বাড়িতে গেলাম। সেই মিষ্টির দোকানের নাস্তা খেতেও দারুণ লেগেছিল। যাইহোক শ্বশুর বাড়ি থেকে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বিকেল চারটার দিকে বাসায় ফিরলাম। আসলেই সকালবেলা ঘুরাঘুরি করার মজাই আলাদা। এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি আমি। তাই ভাবলাম এতো চমৎকার অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার না করলেই নয়। কারণ আপনাদের সাথে শেয়ার করলে সেই ভালো লাগা দ্বিগুণ হয়ে যায়।


Notes_231118_180054_9f6.jpg

Notes_231118_180053_215.jpg

Notes_231118_180051_23a.jpg

Notes_231118_180049_d48.jpg


2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিলাইফস্টাইল
ফটোগ্রাফার@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
তারিখ১৮.১১.২০২৩
লোকেশনw3w

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG_20220605_234413_388.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে এবং প্রকৃতি উপভোগ করতে সব সময় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। সকালবেলা হাটলে শরীরের জন্য অনেক উপকার। আপনি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে নদীর পাড়ে গিয়ে যে ফটোগ্রাফি করেছেন যা অসাধারণ ছিল। সকাল বেলার প্রকৃতিটা অন্যরকম থাকে যা মনকে ছুঁয়ে দেয়।

Posted using SteemPro Mobile

হ্যাঁ ভাই সকালে হাঁটাহাঁটি করা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

প্রতিদিন নিয়মিত হাটাহাটি করলে ভাইয়া। ভীষণ ভালো থাকে শরীর। হঠাৎ একদিন বাদ দিলে হাত পা ব্যথা করে। খুব ভালো লাগলো যে আপনি ফজরের নামাজ পড়ে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করতেন। ঠিক বলেছেন হাঁটাহাঁটি করলে একসাথে ফটোগ্রাফি ও হাঁটাহাঁটি দুটি করা যাবে। এক ঢিলে দুই পাখি মারা দুর্দান্ত। প্রথম ফটোগ্রাফি টা কিন্তু অনেক ভালো ছিল। যা আমাকে মুগ্ধ করল। কোন কুয়াশা ও শীত নেই কিন্তু নীল আকাশে নদীর ঢেউ আমাকে মনোমুগ্ধকর ভাবে মুগ্ধ করলো। ঢাকা শহরে থাকলে এটাই সব থেকে মজা অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। আমি যদি ঢাকায় থাকতে পারতাম কত সুন্দর দৃশ্য দেখতে পারতাম। মালাই চপ ও রসগুল্লা গুলি দেখি তো খেতে ইচ্ছা করতেছে।সেই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি নাস্তা করার আগেই প্রেমতোলা নামলাম এবং আশ্রম ও স্নান ঘাটের কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। সবমিলিয়ে দারুন একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন ভাইয়া। ভীষণ ভালো লাগলো।

প্রথম ফটোগ্রাফিটা দেখে আপনি মুগ্ধ হয়েছেন,জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। এই দোকানের মালাই চপ আমার ভীষণ পছন্দ। যাইহোক পোস্টটি দেখে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মত আমার এক অবস্থা ভাইয়া । কয়েকদিন আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ার কারণে সকালে ঘুম থেকে উঠা হয় না । বৃষ্টির কারণে সবকিছুই এলোমেলো হয়ে গেছে । তবে আজকে থেকে আবার হাটাহাটি শুরু করছি ।আজকের সকালের পরিবেশটা অন্যরকম ছিল । যদিও কুয়াশা আমাদের দিকেও ছিল না ।

বাহ্! আপনিও আজকে থেকে সকালে হাঁটাহাঁটি শুরু করেছেন,এটা জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

চমৎকার কিছু লিখলেন আপনি। আসলে সকাল বেলায় হাঁটলে স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ভালো হয় তেমনি মনটা খুবই ফুরফুরে থাকে। যেহেতু আপনি দুইটা উদ্দেশ্য নিয়ে বের হলেন। আশা করি আপনার দুইটা উদ্দেশ্যই সফল হয়েছে? সকাল বেলায় আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। তাছাড়া খাওয়া-দাওয়া তো খুব চমৎকার করলেন। জামাই শশুর বাড়িতে যাবে বলে কথা। সেই সাথে মিষ্টিও নিয়ে গেলেন চমৎকার একটি কাজ হয়ে গেল। যাক অবশেষে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

হ্যাঁ আপু দুটি উদ্দেশ্যই মোটামুটি সফল হয়েছে। সকালে হাঁটাহাঁটি করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। যাইহোক গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

সকাল বেলায় হাঁটাহাঁটি করতে ভীষণ ভালো লাগে। জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন কোথায় যেনো এখন কুয়াশা নেই। আমিও দুইদিন থেকে চেষ্টা করতেছি ফটোগ্রাফি করার জন্য তবে পাচ্ছি না। অনেক দূরে গিয়ে ও আপনার মন মতো হলো না। নাস্তা করে মিষ্টি নিয়ে শশুড় বাড়িতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। চমৎকার একটি সময় উপভোগ করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।

হ্যাঁ ভাই একটু কুয়াশা থাকলেই মনের মতো ফটোগ্রাফি করতে পারতাম। তবুও মোটামুটি বেশ ভালোই ফটোগ্রাফি করেছি। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

সাধারণত সকলের সঙ্গেই হয়তো বা এমন কিছু ঘটনা ঘটেই থাকে রাত্রেবেলা এলার্ম সেট করে ঘুমালেও সকালবেলা উঠতে মন চায় না। এরপরেও আপনি শান্ত হননি অবশেষে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ে হাঁটাহাঁটি করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। সকালবেলা হাঁটাহাঁটি করা সত্যিই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো এতে শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকে। সেদিনই তো দেখছি অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন বেশ ভালই। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের সকলের মাঝে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

হাঁটাহাঁটি, খাওয়া দাওয়া এবং ফটোগ্রাফি করে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি। যাইহোক পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।