আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে কক্সবাজার ভ্রমণের ত্রয়োদশ পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে চতুর্দশ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন কেন্দ্রের ভিতরে থাকা ঝুলন্ত ব্রিজে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে, লেমন জুস খেতে খেতে সিদ্ধান্ত নিলাম প্যাডেল বোটে চড়বো। কারণ লেকটা এতটাই সুন্দর যে,বোটে চড়ে এই লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে না পারলে আফসোস থেকে যাবে। যাইহোক আমরা যখন নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করার জন্য টিকেট কিনেছিলাম, তখন টিকেট কাউন্টার থেকে প্যাডেল বোটে চড়ার টিকেট নেইনি।
কারণ আমরা দু'জন যেহেতু সাঁতার কাটতে পারি না,তাই প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম বোটে চড়বো না। কিন্তু পরবর্তীতে সুন্দর সুন্দর বোট গুলো দেখে এবং লেকের সৌন্দর্য দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বোটে চড়বো। তো পরবর্তীতে বোটে চড়ার জন্য দুটি টিকেট কিনলাম। তারপর সেখানকার একজন লোক ঠিক করলাম প্যাডেল বোট চালানোর জন্য। কারণ প্রথমত আমি যদি প্যাডেল বোট চালাই,তাহলে লেকের সৌন্দর্য সেভাবে উপভোগ করতে পারবো না। দ্বিতীয়ত আমরা দু'জন যেহেতু সাঁতার জানি না,সেটা ভেবেও প্যাডেল বোট চালানোর জন্য একজন লোক নিলাম। তাছাড়া নিজে প্যাডেল বোট চালালে লেকের ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি সেভাবে করতে পারবো না। সবমিলিয়ে একজন লোক নেওয়াতে খুব ভালো হয়েছিল। যাইহোক সেই বয়স্ক চাচা বললেন, অনেক মানুষ উনাকে দিয়ে বোট চালানোর পর নাকি সেভাবে টাকা দেয় না।
মানে ১০/২০ টাকা দিয়ে চলে যায়। তারপর আমি সেই বয়স্ক চাচাকে বললাম, আপনি ভালোভাবে বোট চালিয়ে আমাদেরকে লেকটা ঘুরিয়ে দেখাবেন, তাহলে আমি আপনাকে পঞ্চাশ টাকা দিবো। তো চাচা বললো তাহলে ঠিক আছে। যাইহোক বোটে চড়ার আগে আমি আশেপাশের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। তারপর বোটে চড়ে আমরা দু'জন লেকের সৌন্দর্য দারুণভাবে উপভোগ করতে লাগলাম। আর সেই বয়স্ক চাচা খুব ভালোভাবে প্যাডেল বোট চালাচ্ছিলেন। সত্যি বলতে লেকটা অসম্ভব সুন্দর। তাছাড়া আমরা যে বোটে চড়েছিলাম,সেই বোটটা দেখতে খুব সুন্দর ছিলো। আমরা বেশ আরাম করে বোটে বসে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখছিলাম। ইচ্ছে করছিলো বোট থেকে নেমে লেকের পাড়ের কিছু জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকি বেশ কিছুক্ষণ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর সম্ভব হয়নি।
আমরা ২০-২৫ মিনিটের মতো প্যাডেল বোটে চড়ে লেকের সৌন্দর্য দেখেছিলাম। পাশাপাশি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। তারপর আমরা বোট থেকে নেমে সেই বয়স্ক চাচাকে ৫০ টাকা দিয়ে উপরে উঠে পরলাম। তারপর আরও কিছুক্ষণ নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরাঘুরি করে, সিদ্ধান্ত নিলাম হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিবো। কারণ সেদিন ১৪ ই ফেব্রুয়ারী ছিলো। শুনেছিলাম সেদিন সন্ধ্যার পর নাকি সুগন্ধা বীচে ফায়ারওয়ার্কস হতে পারে। তাই আমরা ভাবলাম নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন কেন্দ্র থেকে সিএনজি তে চড়ে কলাতলী মেইন রোড অর্থাৎ হোটেলে পৌঁছাতে ঘন্টা খানেক সময় লাগবে যেহেতু, তাই আমরা রওনা দিয়ে দিবো। যাইহোক এরপর আমরা কক্সবাজার ট্যুরে আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৪.৭.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি আপনার পরিবারকে সাথে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন কক্সবাজারে। আর সেখান থেকে বেশ সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন এবং ফটো ধারণ করেছেন। আর সেই সমস্ত বিষয়ের ফটোগুলো একের পর এক আমাদের মাঝে উপস্থাপন করে চলেছেন। অনেক অনেক ভালো লেগেছে আপনার এই পর্ব দেখে। যেখানে বেশ আনন্দ-ঘনো মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনি। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর এই মুহূর্তে দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা ভাই। যাইহোক ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit