লাইফস্টাইল পোস্ট || আইডিবি ভবন থেকে ল্যাপটপের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু এক্সেসরিজ কেনার অনুভূতি

in hive-129948 •  7 months ago 

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।



প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই মাসের ১ তারিখ অর্থাৎ শনিবার আমার ল্যাপটপের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু এক্সেসরিজ কেনার জন্য আইডিবি ভবনে গিয়েছিলাম। আজকে মূলত সেসব বিষয় নিয়েই আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। যাইহোক শনিবার বেলা ১১ টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে প্রথমে গুলিস্তান চলে গেলাম অল্প সময়ের মধ্যেই। তারপর গুলিস্তান থেকে রিকশা নিয়ে মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশনে চলে গিয়েছিলাম। তারপর মেট্রো তে চড়ে আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে নেমে,২ মিনিটের মধ্যেই আইডিবি ভবনে ঢুকে পরলাম। তারপর নিচতলায় একটু ঘুরাঘুরি করে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। এরপর উপরে চলে গেলাম।


20240601_132809.jpg

20240601_132803.jpg

20240601_121413.jpg

20240601_121440.jpg


প্রথমে স্টার টেকের শপে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম ল্যাপটপের স্টিকার আছে কিনা এবং ইসেট এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ১ বছরের পেইড ভার্সন আছে কিনা। সেখানকার এক স্টাফ বললো ল্যাপটপের স্টিকার নেই, তবে ইসেট এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ১ বছরের জন্য নিলে ৭০০ টাকা। তারপর আমি বের হয়ে অন্য কয়েকটি দোকান ঘুরাঘুরি করে একটি দোকানে ল্যাপটপের স্টিকার পছন্দ করলাম। যদিও দোকানে থাকা লোককে জিজ্ঞেস করেছিলাম স্যামসাং ব্রান্ডের ল্যাপটপের জন্য আলাদা কোনো স্টিকার আছে কিনা। কিন্তু সে বললো নেই। যাইহোক আমি যেহেতু গাড়ি খুব পছন্দ করি, তাই গাড়ির খুব সুন্দর একটি স্টিকার কিনলাম ২০০ টাকা দিয়ে। তারপর দোকানের লোক খুবই নিখুঁতভাবে স্টিকার লাগিয়ে দিলো। তারপর ঘুরতে ঘুরতে টিসিএস কম্পিউটার সার্ভিস শপে ঢুকলাম।


20240601_124048.jpg

20240601_124547.jpg

20240601_124436.jpg

20240601_135147.jpg


তারপর ৫০০ টাকা দিয়ে ইসেট এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার নিলাম ১ বছরের জন্য। তারপর সেই শপে ঘুরাঘুরি করতে লাগলাম। কারণ ঘুরে ঘুরে এসব জিনিসপত্র দেখতে বেশ ভালোই লাগে। যাইহোক হঠাৎ করে দেখলাম খুব সুন্দর একটি কুলার পেড। সেই কুলার পেডের ভিতরে ৫ টা ফ্যান রয়েছে। মূলত ল্যাপটপ ইউজ করার সময় যাতে গরম না হয়,সেজন্য কুলার পেড ব্যবহার করতে হয়। যদিও আমার ল্যাপটপ তেমন গরম হয় না। কিন্তু কুলার পেড দেখে পছন্দ হয়ে গিয়েছিল বলে দাম জিজ্ঞেস করলাম। তারপর দোকানদার আমার কাছে ১৫০০ টাকা দাম চাইলো কুলার পেডের এবং পরে ১০০ টাকা কমিয়ে ১৪০০ টাকা বললো। তারপর বাংলা ফন্ট আছে এমন একটি মিনি কিবোর্ড দেখাতে বললাম। এরপর একটি কিবোর্ড কিনলাম ৫০০ টাকা দিয়ে।


20240601_135453.jpg

20240601_133546.jpg

20240601_134531.jpg

20240601_132154.jpg


যদিও কিবোর্ডটা ওয়ারলেস না। তবে আমি চেয়েছিলাম ওয়ারলেস কিবোর্ড কিনতে। কিন্তু তাদের কাছে ওয়ারলেস কিবোর্ড ছিলো কম্বো অফারে। কম্বো অফারে ওয়ারলেস কিবোর্ড এবং মাউস ছিলো। কিন্তু আমার আগে থেকেই ওয়ারলেস মাউস ছিলো বলে কম্বো অফারে আগ্রহ প্রকাশ করলাম না। যাইহোক ঘুরাঘুরি না করে সেই দোকান থেকেই ইসেট এন্টিভাইরাস, কুলার পেড এবং বাংলা কিবোর্ড কিনলাম ২৪০০ টাকা দিয়ে। কিন্তু আলাদা মেমোতে ভুলবশত ২৫০০ টাকা লিখেছে। যাইহোক সবকিছু কিনে আইডিবি ভবন থেকে দুপুর ৩ টার দিকে বের হয়ে গেলাম। তারপর মেট্রো তে চড়ে শাহবাগ নেমে মোতালিব প্লাজা তে চলে গেলাম। কারণ আমার এয়ারপডের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বলে, দুটি ব্যাটারি কিনলাম ৫০০ টাকা দিয়ে।


20240601_135825.jpg

20240601_133728.jpg

20240601_140019.jpg

20240601_121224.jpg


ব্যাটারি পরিবর্তন করার পর দেখলাম এয়ারপড খুব ভালোভাবে চলছে। তারপর মোতালিব প্লাজা থেকে বের হয়ে রিকশা নিয়ে ইস্টার্ন মল্লিকা শপিংমলে চলে গেলাম ৫ মিনিটের মধ্যেই। কারণ আমার ওয়াইফ ইউটিউবে ভিডিও দেখে একটি ড্রেস পছন্দ করেছিল বাসায় পরিধান করার জন্য। তারপর আমি লেভেল চারের ৫০ নম্বর দোকানে গিয়ে ড্রেসের ছবি দেখিয়ে, ড্রেস কিনে ইস্টার্ন মল্লিকা শপিংমল থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। তারপর সেখান থেকে রিকশা নিয়ে গুলিস্তান চলে গিয়েছিলাম। এরপর অল্প সময়ের মধ্যেই বাসায় চলে এসেছিলাম। সেদিন আইডিবি ভবন, মোতালিব প্লাজা এবং ইস্টার্ন মল্লিকা শপিংমল, মোট ৩ টা মার্কেটে যেতে হয়েছিল। তবে সেদিন রাস্তায় একেবারেই জ্যাম ছিলো না বলে,তেমন খারাপ লাগেনি। তবে সেদিন গরম ছিলো প্রচুর। আইডিবি ভবন থেকে ল্যাপটপের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু এক্সেসরিজ কিনতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। মোটকথা সবগুলো কাজ সেদিন ঠিকঠাক মতো শেষ করতে পেরেছি।


20240601_121238.jpg

20240601_150753.jpg

20240601_152544.jpg

20240601_162406.jpg



2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিলাইফস্টাইল
ফটোগ্রাফার@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
তারিখ৬.৬.২০২৪
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG-20240212-WA0036.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

ল্যাপটপের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে আইডিবি ভবন এ গেছেন। এবং সেখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস কিনেছেন। কেনাকাটার বিষয়ে বিস্তারিত ফটো আর বর্ণনার সাথে উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক কিছু জানতে পারলাম। বেশ ভালো লাগলো সুন্দর এই মার্কেটে উপস্থিত হয়ে কেনাকাটা করতে দেখে।

চেষ্টা করেছি এই পোস্টের মাধ্যমে সবকিছু বিস্তারিত তুলে ধরতে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আপনি দেখছি আইডিবি ভবনে ল্যাপটপের প্রয়োজন কিছু জিনিসপত্র ক্রয় করতে গিয়েছিলেন। ভাইয়া আমিও এই ঢাকা আইডিবি ভাবনে গিয়েছিলাম। আমি মনে করি কম্পিউটার ল্যাপটপ বা ইলেকট্রনিক্স এর অন্য কিছু জিনিস করার জন্য আইডিবি ভবনে যাওয়াই ভালো। কানে কানে সকল মূল্যের দাম খুচরা এবং পাইকারিতে বিক্রি করা হয়। সেই সাথে ক্রেতার অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ প্রকাশ করে। ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য।

আপনিও আইডিবি ভবনে গিয়েছিলেন,জেনে খুব ভালো লাগলো।

কানে কানে সকল মূল্যের দাম খুচরা এবং পাইকারিতে বিক্রি করা হয়।

এই লাইনটা ঠিক করে নিবেন।

আইডিবি ভবন এবং মোতালেব প্লাজা দুটোই ইলেকট্রনিক জিনিসের স্বর্গরাজ্য বলা যায়। একই দিনে ঢাকা শহরে এতগুলো জায়গা ঘোরাঘুরি করতে পেরেছেন, ভালোমতো সব কাজ করতে পেরেছেন জেনে যেন বেশ ভালো লাগলো। আপনার ভাগ্য ভালোই, জ্যাম কম পেয়েছেন৷ তবে আপনার ল্যাপটপ এর স্টিকার এবং কুলিং ফ্যান দুটোই বেশ ভালো লেগেছে ভাই।

আপু আমাদের মদনপুর থেকে গুলিস্তান যেতে জ্যাম খুবই কম লাগে এখন। ২৫/৩০ মিনিটের মধ্যে গুলিস্তান চলে যাওয়া যায়। তারপর তো মতিঝিল থেকে মেট্রোরেলে চড়ে আইডিবি ভবনে চলে গিয়েছি একেবারে অল্প সময়ে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনি দেখছি অনেক কিছুই কেনাকাটা করেছেন এবং খুব সুন্দর কিছু জিনিস কেনাকাটা করে তা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷

আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা ভাই। ল্যাপটপের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু এক্সেসরিজ কিনতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।