আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একজন ব্যর্থ প্রবাসীর গল্প (শেষ পর্ব) আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন প্রায় ৩/৪ বছর কারো সাথেই যোগাযোগ ছিলো না রফিক ভাইয়ের। কিন্তু হঠাৎ করেই রফিক ভাই মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে চলে আসলো। কারণ মালয়েশিয়ায় রফিক ভাইয়ের দোকান যেখানে ছিলো,সেখানকার কয়েকজন বাঙ্গালী ইমিগ্রেশনে অভিযোগ করে রফিক ভাইকে ধরিয়ে দেয়। কারণ রফিক ভাই অবৈধ ছিলো। যারা ধরিয়ে দিয়েছিল, তাদের সাথে রফিক ভাইয়ের ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতাও ছিলো না। কিন্তু রফিক ভাইয়ের দোকানে কাস্টমার বেশি যেতো বিধায়, পাশের দোকানদারেরা হিংসায় এমন নোংরা কাজটি করেছে।
যাইহোক রফিক ভাই বাংলাদেশে চলে এসেছিল ২০১৯ সালে। আসার পর বাড়িতে যাওয়ার পর তার ভাইয়ের পরিবারের লোকজন খুবই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছিলো। আর বাবা মা তো অনেক আগেই মারা গিয়েছিল। মহল্লার বাজারে রফিক ভাইয়ের একটি দোকান আছে। সবার অবহেলার কারণে রফিক ভাই সিদ্ধান্ত নেয়, সেই দোকানে ব্যবসা করার পাশাপাশি দোকানেই থাকবে। দোকানের পিছনের সাইডে রান্নাবান্না সহ ঘুমানোর ব্যবস্থা করা হয়। রফিক ভাই সেই দোকানের মধ্যেই থাকতে শুরু করলো। এদিকে রফিক ভাইয়ের ওয়াইফ মালয়েশিয়া থেকে ফোন দিয়ে মাঝে মধ্যে যোগাযোগ করতো। রফিক ভাইকে আশ্বাস দিতো যে মালয়েশিয়া নেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
মালয়েশিয়ায় রফিক ভাইয়ের দোকান তার ওয়াইফ দেখাশোনা করতো।কিন্তু রফিক ভাইয়ের এমন বিপদের কথা জানা সত্ত্বেও, একবারের জন্যও বাংলাদেশে আসেনি রফিক ভাইকে দেখতে। এমনকি আর্থিক কোনো সাহায্যও করেনি। এক পর্যায়ে সেই মালয়েশিয়ান মহিলা রফিক ভাইয়ের সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। হয়তোবা রফিক ভাইকে ধরিয়ে দেওয়ার পিছনে, এই মহিলার হাতও থাকতে পারে। যাইহোক রফিক ভাই প্রায় সর্বশান্ত। কয়েকমাস আগে রফিক ভাই আমাকে বললো যে, তার বাবা নাকি তার নামে কিছু জমি লিখে দিয়েছিল। সেটা রফিক ভাই তার এক আত্নীয়ের কাছ থেকে জানতে পারে। সেই জমিটা রফিক ভাই ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়।
আর বাড়িতে অল্প একটু জায়গা পেয়েছিল,সেই জায়গাটুকু তার ভাইয়েরা রফিক ভাইয়ের কাছ থেকে, খুবই অল্প দামে নিয়ে নেয় আরে কয়েক বছর আগে। রফিক ভাই দিতে না চাইলেও, বিভিন্ন ধরনের চাপ সৃষ্টি করে তারা জায়গাটুকু নিয়ে নেয়। এখন রফিক ভাইয়ের একটাই ইচ্ছে, সেটা হচ্ছে ইউরোপে পাড়ি জমাবে। যেতে পারলে হয়তোবা আর কখনো বাংলাদেশে আসবে না। কারণ সবাই তাকে সবদিক থেকে ঠকিয়েছে। একমাত্র রফিক ভাইয়ের বাবা মৃত্যুর আগে তার নাম কিছু জমি লিখে দিয়ে গিয়েছিল। আর সেটাই রফিক ভাইয়ের একমাত্র সম্বল। রফিক ভাই প্রায়ই আমাকে বলে ইউরোপ যাওয়ার ব্যাপারে হেল্প করতে। আমিও চেষ্টা করছি রফিক ভাইকে হেল্প করার জন্য। আপনারা দোয়া করবেন রফিক ভাইয়ের মনের আশা যেন পূরণ হয়। এই হচ্ছে একজন ব্যর্থ প্রবাসীর গল্প।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | গল্প |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২৭.৭.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Twitter Link
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server
Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একজন ব্যর্থ প্রবাসীর গল্পটির যদিও আগের পর্বগুলো আমার পড়া হয়নি, তবে শেষের পর্ব পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। রফিক ভাইয়ের জন্য অবশ্যই দোয়া করি যেন ওনার মনের আশা পূরণ হয়। আর তিনি যেন ইউরোপে যেতে পারেন। আশা করছি আপনিও সর্বদা চেষ্টা করবেন ওনাকে সাহায্য করার। যাইহোক সম্পূর্ণ গল্পটা কখনো পড়ে নেওয়ার চেষ্টা করব। গল্পটা সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখেই রফিক ভাইয়ের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু সময় করে আগের পর্বটি পড়ে নিবেন। আমিও চেষ্টা করছি ওনাকে হেল্প করার জন্য। পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জীবন সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি আপনার পোস্টটা পড়ে। যদিও আগের পর্ব গুলো না পড়ার কারণে বেশি কিছু জানতে পারিনি, তবে শেষে যা পড়লাম তা পড়ে অনেক কিছু বুঝতে পেরেছি। শেষ পর্যন্ত তো মালয়েশিয়ার ওয়াইফ টাও ওনার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আপনিও যথাযথ চেষ্টা করতেছেন ওনাকে হেল্প করার জন্য এটা জেনে খুব ভালো লেগেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি মনে করি এমন শিক্ষামূলক পোস্ট পড়লে বাস্তব ধারণা পাওয়া যায়। হয়তো অনেকে উপকৃত হতে পারে। সেটা ভেবেই এই পোস্টটি শেয়ার করা। যাইহোক পোস্ট পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit