আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে সুইট এন্ডিং। এই নাটকটি প্রায় মাসেক খানেক আগে রিলিজ হয়েছে। অল্প কয়েকদিনে এই নাটকটি বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যাইহোক এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে মুশফিক আর ফারহান এবং সাদিয়া আয়মান। এই নাটকটি মূলত একটি রোমান্টিক নাটক,তাই দেখতে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

নাটকের শুরুতে দেখা যায় নাটকের নায়ক ফারহান খুবই বাজে ব্যবহার করে নাটকের নায়িকা সাদিয়া আয়মান এর সাথে। কারণ ফারহান ভাবে যে, সাদিয়া আয়মান এলাকার মধ্যে গুজব ছড়িয়েছে, ফারহান এবং সাদিয়া আয়মানের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু সাদিয়া আয়মান এই ব্যাপারে কিছুই জানে না। এককথায় বলতে গেলে, ফারহান সাদিয়া আয়মানের বাসার সামনে গিয়ে তাকে চরমভাবে অপমান করে। এতে করে সাদিয়া আয়মান ফারহানের উপর অনেক রাগ করে। কিন্তু ২/১ দিন পর সাদিয়া আয়মান দেখে যে,ফারহান পথ শিশুদেরকে লেখাপড়া শেখাচ্ছে। এটা দেখে ফারহানের প্রতি সাদিয়া আয়মানের মনে ভিন্ন ধরনের অনুভূতি কাজ করে। সাদিয়া আয়মান ধীরে ধীরে ফারহানের প্রেমে পড়ে যায়। যদিও সে মুখ ফুটে কিছু বলে না।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

তাছাড়া ফারহানও সাদিয়া আয়মানকে ভালোবেসে ফেলে। তবে সে-ও মুখ ফুটে কিছু বলে না। তবে ফারহান বলে যে সাদিয়া আয়মানের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করবে। তখন সাদিয়া আয়মান রাজি হয়ে যায়। তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ভালোই চলছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে ফারহান তার মোবাইল বন্ধ করে লাপাত্তা হয়ে যায়। এদিকে সাদিয়া আয়মান টেনশনে অস্থির হয়ে যায়। আসলে ফারহান চেয়েছিল সাদিয়া আয়মানের সাথে কিছুদিন যোগাযোগ বন্ধ করে তাকে ফিল করানোর জন্য। আর এই কয়েকদিনে সাদিয়া আয়মান ভীষণ মিস করে ফারহানকে। তারপর ফারহান কয়েকদিন পর যখন সাদিয়া আয়মানের সাথে যোগাযোগ করে,তখন তারা একে অপরকে বলে যে ভালোবাসি।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

এরপর তারা চুটিয়ে প্রেম করতে থাকে। কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পর সাদিয়া ফারহানকে বলে যে তার বাবা, বন্ধুর ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক করে ফেলছে,অর্থাৎ তাকে দেখতে আসবে। এই কথা যখন সাদিয়া আয়মান ফারহানকে জানায়,তখন ফারহান এটা নিয়ে মজা করতে থাকে। বলে যে মাত্র প্রেম শুরু করলাম, আর এখনই কিসের বিয়ে হা হা হা। এটা শুনে তো সাদিয়া আয়মানের মাথা গরম হয়ে যায়। কিন্তু ফারহান সবকিছুই মজা করে ফেলে, তবে সাদিয়া আয়মান সেটা বুঝতে পারে না। ফারহান সাদিয়া আয়মানকে ভীষণ ভালোবাসতো। তাই তাকে কখনোই হারিয়ে যেতে দিবে না, এটাই সে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

আসলে মানুষ কখন কাকে ভালোবেসে ফেলে সেটা বলা যায় না। তবে কাউকে ভালোবাসলে, ভালোবাসার মানুষকে সেটা মুখ ফুটে বলতে হয়। নয়তো অনেক সময় ভালোবাসার মানুষ আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যেতে পারে। তবে ভালোবাসার মানুষকে নিজের করে পাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা উচিত আমাদের। কারণ ভালোবাসার মানুষকে পেলে জীবনটা সুন্দর ভাবে গড়ে তোলা সম্ভব। তাছাড়া ভালোবাসার মানুষ জীবন থেকে হারিয়ে গেলে সারাজীবন আফসোস করতে হয়। কিছু কিছু মানুষ তো ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে ফেললে, মানসিক ভারসাম্য পর্যন্ত হারিয়ে ফেলে। যাইহোক এই নাটকে ফারহান এবং সাদিয়া আয়মান এককথায় দুর্দান্ত অভিনয় করেছে। বিশেষ করে ফারহান তো সবসময়ই খুব ভালো অভিনয় করে থাকে। তাই আমি ফারহানের নাটক প্রায়ই দেখে থাকি। তাছাড়া রোমান্টিক নাটক আমার বরাবরই খুব পছন্দ।

আমার রেটিং