আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে কক্সবাজার ভ্রমণের পঞ্চদশ পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে ষোড়শ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা সুগন্ধা পয়েন্টে সামুদ্রিক মাছের ফ্রাই খেয়ে সুগন্ধা বীচে আবারও চলে গেলাম। কারণ সেদিন যেহেতু ১৪ই ফেব্রুয়ারী ছিলো অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন্স ডে ছিলো, তাই সুগন্ধা বীচে নাকি রাতের বেলা ফায়ারওয়ার্কস হতে পারে। যদিও আমরা নিশ্চিত ছিলাম না এই ব্যাপারে,তবে কয়েকজনের কাছ থেকে এটা জানতে পেরেছিলাম। তাছাড়া সেখানকার একটি রেস্টুরেন্টে জিজ্ঞেস করার পরেও এই কথা বললো। যাইহোক আমার যেহেতু ফায়ারওয়ার্কস দেখতে খুব ভালো লাগে, তাই ভাবলাম বীচে গিয়ে চেয়ার ভাড়া নিয়ে শুয়ে থাকি। কারণ এমনিতেও রাতের বেলা বীচের চেয়ারে শুয়ে শুয়ে সমুদ্রের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে এবং সমুদ্রের গর্জন শুনতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।
সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ দেখতে যে কেউ ভীষণ পছন্দ করে। তাছাড়া মনোমুগ্ধকর এসব দৃশ্য উপভোগ করার পাশাপাশি অপেক্ষা করাও হয়ে যাবে। যাইহোক আমরা চেয়ারে শুয়ে আশেপাশের দৃশ্য উপভোগ করতে করতে, হঠাৎ খেয়াল করলাম বীচের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছেলে ফায়ারওয়ার্কস করার ব্যবস্থা করছে। ব্যাপারটা দেখে আমাদের দুজনের খুবই ভালো লাগলো। আমরা ভাবতে লাগলাম যেহেতু ১ ঘন্টার জন্য শুয়ে থাকার চেয়ার ভাড়া নিয়েছি,তাই ১ ঘন্টা পর চেয়ার থেকে উঠবো। তারপর ফায়ারওয়ার্কস শুরু হলে ঘুরে ঘুরে দেখবো। যাইহোক বেশ কিছুক্ষণ পর আমরা চেয়ার থেকে উঠে হাঁটতে হাঁটতে সামনের দিকে চলে গেলাম। এরইমধ্যে সুগন্ধা বীচের মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় আলাদা করে ফায়ারওয়ার্কস শুরু হয়ে গিয়েছিল। চারিদিকে শুধু ফায়ারওয়ার্কস আর ফায়ারওয়ার্কস।
সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে ফায়ারওয়ার্কস উপভোগ করতে যে কি ভালো লেগেছিল, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তাছাড়া বীচে দাঁড়িয়ে এই প্রথম ফায়ারওয়ার্কস দেখলাম আমি। যাইহোক আমরা মোটামুটি রাত ১০ টা পর্যন্ত সুগন্ধা বীচে থেকে,তারপর চিন্তা করলাম কিছু কেনাকাটা করার। কারণ পরের দিন বেলা ১১ টার পর যেহেতু আমরা গাড়িতে উঠবো বাসায় ফেরার জন্য, তাই সেদিন রাতে অনেক কিছু কেনার চিন্তা করেছিলাম। প্রথমে সুগন্ধা পয়েন্টে থাকা দোকানগুলোতে গেলাম আমার ওয়াইফ এর জন্য ২/৩ টা ড্রেস কেনার জন্য। তাছাড়া আত্মীয় স্বজনদের জন্য কিছু কেনাকাটা করার প্ল্যান ছিলো। সেই প্ল্যান অনুযায়ী বেশ কয়েকটি ড্রেস সহ বাসার জন্য আরও অনেক কিছু কিনেছিলাম। তবে মোবাইল পরিবর্তন করার কারণে অনেক ছবি খুঁজে পাচ্ছি না। তাছাড়া আমার জন্য দুটি টি-শার্ট কিনেছিলাম। যাইহোক এরপর আমরা গেলাম সুগন্ধা বীচের পাশে থাকা দোকানগুলোতে আচার, চকলেট এবং শামুক ঝিনুকের কিছু জিনিসপত্র কেনার জন্য। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সবকিছু কিনে ফেললাম।
তারপর শামুক ঝিনুকের দোকানে গিয়ে আমার ওয়াইফ বললো স্মৃতি হিসেবে রেখে দেওয়ার জন্য শামুক ঝিনুকের মধ্যে নিজেদের নাম লিখিয়ে নিবে। তারপর পছন্দ করে দুটি শামুক ঝিনুক কিনলাম এবং সেই দোকানদারকে এটা সেটা লিখে দিতে বললাম। খুব সম্ভবত ৬০০/৭০০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম শামুক ঝিনুক দুটি। যাইহোক লিখতে বেশ ভালোই সময় লেগেছিল। সেই ফাঁকে আমরা আশেপাশে ঘুরাঘুরি করছিলাম। এরমধ্যে দেখলাম একজন লোক খুব সুন্দর ভাবে পেইন্টিং করছে। ভীষণ ভালো লাগছিল সেই লোকের পেইন্টিং দেখতে। যাইহোক এরপর আমরা সেই দোকানে গিয়ে দেখলাম লেখা হয়েছে নাকি। গিয়ে দেখলাম যে সেই লোকটা লেখা শেষ করে একটু শুকানোর জন্য রেখে দিয়েছে। তারপর আমরা শামুক ঝিনুকের বিল মিটিয়ে হোটেলে চলে গেলাম। কারণ তখন রাত প্রায় ১ টা বেজে গিয়েছিল। যাইহোক এরপর আমরা কক্সবাজার ট্যুরে আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২৭.৮.২০২৪ |
লোকেশন | কক্সবাজার,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পরিবারকে সাথে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন। আর সে কক্সবাজার ভ্রমণের বেশ কিছু পর্ব প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করে থাকেন। কেউ ঠিক তেমনি একটা অসাধারণ পর্ব নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন যেখানে বেশ কিছু দেখার ও জানার সুযোগ মিললো। অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার আজকের এই পর্বটা দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চেষ্টা করছি কক্সবাজার ট্যুর সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার জন্য। যাইহোক এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার কাছ থেকে এই ভ্রমণের অনেকগুলো পর্বই দেখে আসছি৷ আজকেও খুবই সুন্দর একটি পর্ব শেয়ার করেছেন৷ যেভাবে আপনি এই পর্ব এখানে শেয়ার করেছেন তা খুবই সুন্দর হয়েছে৷ একইসাথে এই ভ্রমণের একের পর এক পর্ব আপনি খুব সুন্দরভাবে সবকিছু আমাদের মাঝে শেয়ার করে আসছেন৷ পরবর্তী পর্ব দেখার আশায় রইলাম৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে যারা কক্সবাজার কখনো যায়নি, তাদের কথা ভেবেই এই ট্যুর সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ভালো লাগলো আপনাদের পোস্ট পড়ে৷ খুব সুন্দর ভাবে আপনি সবকিছু সাজিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
🎉 Happy Times Ahead! 🤩 Just when you thought it was all about the PUSS Coin 😹... Here's a sneak peek into our plans for an exciting update! 🚀
PUSS COIN: BUY/SELL"
PUSS COIN 💸 is just the beginning. We're working tirelessly to bring you an improved experience, with more features and a stronger community. Your support means the world to us! 🌎
👉 Want to be part of this journey? Interact with our content, share your thoughts, and engage with fellow enthusiasts in the comments below! 💬
And remember, every vote counts! 🗳️ Please show your love for Steem by voting for xpilar.witness at https://steemitwallet.com/~witnesses. Your support will help us continue to contribute to the growth and success of our beloved community! 😊
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit