আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে একটি ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। যেহেতু বেশ কিছুদিন আগে একটি সুন্দর জায়গায় ভ্রমণ করেছিলাম তাই কয়েকটি পর্ব শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমি মুইব গার্ডেন ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।

আপনারা হয়তো ইতোমধ্যেই মুহিব গার্ডেন ভ্রমণের বেশ কিছু পর্ব দেখেছিলেন। আমি বিগত পোস্টের মাধ্যমে সেই পর্বগুলো তুলে ধরেছিলাম। আজকে যেহেতু ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করবো তাই ভাবলাম মুইব গার্ডেন ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আসলে জায়গাটা এতটাই সুন্দর যে প্রত্যেকটি পর্ব মানেই নতুন নতুন চমক। আর এত সুন্দর জায়গায় গেলে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করা হয়। তাই সেই ফটোগ্রাফি গুলো পর্ব আকারে শেয়ার করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যেই জায়গাগুলোতে ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে সেই জায়গাগুলোর মুহূর্তগুলো তুলে ধরতে বেশি ভালো লাগে।

যেহেতু মুইব গার্ডেন আমার বাসা থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে তাই খুব একটা যাওয়ার সুযোগ হয় না। এর আগেও আমি সেখানে গিয়েছিলাম। তবে এবার যখন গিয়েছি তখন দেখেছি বেশ কিছু নতুনত্ব এসেছে। তাদের ছোট্ট একটি ক্যাফের পাশাপাশি অনেকটা জায়গা জুড়ে গার্ডেন করা হয়েছে। যাতে করে সবাই সেখানে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যেতে পারে। আসলে এই ধরনের জায়গা গুলো সবাই পছন্দ করে। বিশেষ করে বাচ্চারা বেশি পছন্দ করে। আর অবসর সময়ে পরিবার নিয়ে সবাই সেখানে ঘুরতে যায়

সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে নিরিবিলি পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে সবাই অনেক পছন্দ করে। আর যদি হয় এত সুন্দর নিরিবিলি এবং গ্রামীন পরিবেশ তাহলে ঘুরাঘুরি করতে বেশি ভালো লাগে। চারপাশে ছোট ছোট করে ঘর আর বসার জায়গা সব মিলিয়ে জায়গাটি সত্যিই দারুণ ছিল। বিশেষ করে বসার জায়গা গুলোর জন্য মানুষ সেখানে যেতে বেশি পছন্দ করে। যখন ঘুরাঘুরি করতে করতে ক্লান্তি চলে আসে তখন সবাই সেখানে গিয়ে বিশ্রাম করতে পারে। আর গল্প গুজব করতে পারে।

আর এই জায়গাগুলোতে ঘুরাঘুরি করতে বেশি ভালো লাগে। কারণ এত সুন্দর করে সাজানো গোছানো ফুলের গাছ আর রাস্তাঘাট সবকিছু মিলিয়ে গার্ডেনটি যেন একেবারে ছবিতে আঁকা দৃশ্যের মতো। হয়তো সেভাবে আমি ফটোগ্রাফিতে উপস্থাপন করতে পারিনি। তবে এত সুন্দর জায়গায় ঘুরতে গিয়ে আমার তো ভীষণ ভালো লেগেছিল। বৃষ্টি ভেজা দিনে কোথাও ঘুরতে গেলে খুব একটা ভালো লাগে না। তবে এখানে যেহেতু ছোট ছোট ঘরের মতো বসার জায়গা ছিল তাই তেমনটা সমস্যা হয়নি।

আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে ফুলের বাগান গুলো। ফুলের বাগান গুলোতে বিভিন্ন রকমের ফুল ছিল। আর এই ফুলগুলো দেখতেও ভালো লাগছিল। যখন কোন জায়গায় ফুলের বাগান থাকে তখন তার চারপাশের সৌন্দর্য অনেকটাই বেড়ে যায়। আর জায়গাগুলো দেখতেও অনেক আকর্ষণীয় লাগে। আমি যখন ঘোরাঘুরি করছিলাম তখন বেশ কিছু ফুলের বাগান দেখেছিলাম। পরবর্তী পর্বে ধীরে ধীরে এই দৃশ্যগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।