"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা-২৬||টক মিষ্টি জলপাইয়ের কেক রেসিপি

in hive-129948 •  2 years ago 

আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার


আমি @monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ের চলমান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য মজার একটি কেক তৈরি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আসলে আমার বাংলা ব্লগ সব সময় ভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। যদিও আমি এর আগে কখনো নিজে নিজে কেক তৈরি করিনি। তবে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রথমবারের মতো কেক তৈরি করেছি। খাবারের টেস্ট মোটামুটি পারফেক্ট ছিল। হয়তো পরিবেশন করতে গিয়ে একটু ঝামেলায় পড়েছিলাম। যাই হোক এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মজার মজার কেকের রেসিপি শিখতে পেরেছি। তাইতো আমার নিজের মাঝেও কেক তৈরির প্রতিভা জাগ্রত হয়েছে🤪। আসলে যারা কেক তৈরি করতে পারে তারা সুন্দর করে ডেকোরেশনও করতে পারে। যদিও আমি সেরকমভাবে ডেকোরেশন করতে পারিনা তবে নিজের মতো করে চেষ্টা করেছি। হয়তো অনেকেই বিভিন্ন থিম অনুযায়ী কেকের ডেকোরেশন করে। কেকের সুন্দর সুন্দর ডেকোরেশন দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তাই আজকে আমি টক মিষ্টি জলপাইয়ের কেক তৈরি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি।


টক মিষ্টি জলপাইয়ের কেক রেসিপি:

CM_20221108170959797.jpg
Device-OPPO-A15
IMG20221108104606.jpg
Device-OPPO-A15


এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য টক মিষ্টি জলপাইয়ের কেক তৈরি করতে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। আসলে আমরা হয়তো অনেক কিছুই করার চেষ্টা করি না। তাইতো অনেক কিছুই করা হয়ে ওঠে না। তবে এবার প্রথমবারের মতো কেক তৈরি করে আমার কাছে ভালোই লেগেছে। আমি কখনো কল্পনাও করতে পারিনি আমি কেক তৈরি করতে পারব। আসলে আমার ভিতরে হয়তো চেষ্টাই ছিল না। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চলমান এই প্রতিযোগিতায় সবার অংশগ্রহণ দেখে আমিও চেষ্টা করে সফলতার সাথে কেক তৈরি করে ফেললাম। তবে মিষ্টির মাঝে যদি হালকা একটু টক ফ্লেভার থাকে তাহলে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। তাইতো আমি জলপাইয়ের স্বাদে টক মিষ্টি এই কেক সুন্দরভাবে তৈরি করেছি। এবার চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি টক মিষ্টি জলপাইয়ের কেক তৈরি করেছি এবং কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি।


প্রয়োজনীয় উপকরণ:

নামপরিমান
জলপাই৬ পিস
ময়দা২ কাপ
চিনি১ কাপ
বেকিং পাউডার২ চামচ
লবণসামান্য পরিমাণ
গুঁড়া দুধ৩ চামচ
ডিম২ টি
সয়াবিন তেল৩ চামচ

IMG20221108090651.jpg

IMG20221108093449.jpg

IMG20221108093531.jpg


ধাপসমূহ:


ধাপ-১

IMG20221108093735.jpg

IMG20221108094038.jpg


টক মিষ্টি জলপাইয়ের কেক রেসিপি তৈরির অন্যতম উপকরণ জলপাই প্রস্তুত করে নেওয়ার জন্য প্রথমে পানির মধ্যে জলপাই সিদ্ধ করে নিয়েছি। এরপর খুব ভালোভাবে পেস্ট করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।


ধাপ-২

IMG20221108094202.jpg

IMG20221108094242.jpg


টক মিষ্টি জলপাইয়ের কেক রেসিপি তৈরি করার জন্য এবার একটি বাটির মধ্যে ডিম ভেঙে নিয়েছি। এরপর চামচ দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় নাড়াচাড়া করে ডিম ভালোভাবে ফেটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।


ধাপ-৩

IMG20221108094343.jpg


বেশ কিছুক্ষণ সময় ডিম নাড়াচাড়া করার পর সুন্দর ভাবে মিশ্রণটি তৈরি হয়েছে।


ধাপ-৪

IMG20221108094402.jpg

IMG20221108094434.jpg


এবার চিনি ভালোভাবে মিক্স করে নেওয়ার জন্য দিয়েছি। বেশ কিছুক্ষণ সময় নাড়াচাড়া করার পর মিশ্রণটি প্রস্তুত হয়েছে।


ধাপ-৫

IMG20221108094659.jpg

IMG20221108094713.jpg


এবার পরিমাণ অনুযায়ী ময়দা দিয়েছি। এরপর পরিমাণ অনুযায়ী গুঁড়া দুধ দিয়েছি। আপনারা চাইলে কাঁচা দুধ ব্যবহার করতে পারেন।


ধাপ-৬

IMG20221108094753.jpg

IMG20221108094853.jpg


এবার ধীরে ধীরে নাড়াচাড়া করে মিশ্রণটি প্রস্তুত করার চেষ্টা করেছি। এরপর দুই চামচ পরিমাণে বেকিং পাউডার দিয়েছি। বেকিং পাউডার দিলে কেক খেতে মজার হয় এবং একেবারে নরম হয়।


ধাপ-৭

IMG20221108095024.jpg

IMG20221108095055.jpg


এবার আমার এই কেক তৈরির স্পেশাল উপকরণ অর্থাৎ প্রস্তুত করে রাখা জলপাই এর মধ্যে দিয়েছি। এরপর চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করে সুন্দরভাবে মিশ্রণটি প্রস্তুত করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।


ধাপ-৮

IMG20221108095111.jpg

IMG20221108095130.jpg


এবার পরিমাণ অনুযায়ী সয়াবিন তেল দিয়েছি। যাতে করে কেক খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। এরপর আবারও নাড়াচাড়া করে তেল ভালোভাবে মিক্স করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।


ধাপ-৯

IMG20221108095335.jpg

IMG20221108095504.jpg


এভাবে বেশ কিছুক্ষণ সময় নাড়াচাড়া করার পর মিশ্রণটি কেক তৈরির জন্য উপযুক্ত হয়েছে। এবার একটি স্টিলের বাটি নিয়েছি কেক বসিয়ে দেওয়ার জন্য। এরপর সামান্য পরিমাণে সয়াবিন তেল দিয়েছি।


ধাপ-১০

IMG20221108095640.jpg

IMG20221108095723.jpg


এবার একটি কাগজ বাটির মধ্যে রেখেছি যাতে করে কেক বাটির সাথে আটকে না যায় এবং খুব সহজেই বাটি থেকে আলাদা করা যায়। এবার বাটি প্রস্তুত হয়ে গেলে কেক তৈরির উপকরণ গুলো এর মধ্যে ঢেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।


ধাপ-১১

IMG20221108095923.jpg

IMG20221108095945.jpg


বাটির মধ্যে কেক তৈরির উপকরণ গুলো ভালোভাবে ঢেলে দেওয়া হয়ে গেলে এবার চুলার উপর একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। কড়াই বেশ ভালোভাবে হিট করে নিয়েছি। এরপর পাতিল রাখার একটি স্টিলের স্ট্যান্ড কড়াইয়ের মধ্যে রেখেছি। এরপর বাটি বসিয়ে দিয়েছি।


ধাপ-১২

IMG20221108100001.jpg

IMG20221108102135.jpg


এবার খুব ভালোভাবে ঢাকনা দিয়ে বাটি ঢেকে দিয়েছি। যাতে করে ভেতরে বাতাস ঢুকতে না পারে। এভাবে প্রায় ২০ থেকে ২২ মিনিট মিডিয়াম আচে চুলা রাখার পর কেক পুরোপুরি ভাবে তৈরি হয়েছে।


শেষ ধাপ

IMG20221108103851.jpg

IMG20221108103926.jpg


কেক তৈরি করা হয়ে গেলে এবার একটি প্লেটের মধ্যে তুলে নিয়েছি। এরপর আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য সুন্দর করে সাজিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। যদিও আমি খুব ভালোভাবে সাজাতে পারি না তবে হালকা ভাবে ডিজাইন করার চেষ্টা করেছি।


উপস্থাপনা:

IMG20221108104540.jpg
Device-OPPO-A15
IMG20221108104538.jpg
Device-OPPO-A15


টক মিষ্টি জলপাইয়ের কেক তৈরি করা হয়ে গেলে সকলের মাঝে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছি। এই কেক খেতে কিন্তু বেশ ভালো লেগেছিল। জলপাইয়ের কেক খেতে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। টক মিষ্টির দারুন এক কম্বিনেশন ছিল এই কেকের মাঝে। খেতেও আলাদা রকমের হয়েছিল। আশা করছি আমার তৈরি করা এই টক মিষ্টি জলপাইয়ের কেক সকলের কাছে ভালো লাগবে।


ধন্যবাদ সকলকে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলেই আপু আমার ব্লগের এই প্রতিযোগিতা গুলোর মধ্য দিয়ে অনেকে অনেক কিছু শিখছে এবং প্রতিনিয়ত নিজেকে সৃজনশীল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে। জলপাইয়ের কথা শুনে তো আমার মুখ থেকে ইতিমধ্যেই পানি পড়া শুরু হয়ে গেছে। ভাবছি এই কেকটা খেতে কেমন হবে। 😁

সত্যি ভাইয়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনেক মজার মজার রেসিপি শিখেছি এবং সবাই সবার সৃজনশীলতা প্রকাশ করেছে। জলপাই খেতে আপনি পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। এভাবে কেক তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন। মনে হয় আপনার কাছেও ভালো লাগবে।

আপু টক কেক কখনো খাইনি। টক কেক দেখে আমি অবাক হলাম। রেসিপিটা আমি অবশ্যই একবার ট্রাই করবো আপু। ডেকোরেশনটা বেশ ভাল ছিল। শুভ ভাইয়ারে প্রতিযোগিতার কারণে আমরা এখন বিভিন্ন ধরনের কেক দেখতে পাচ্ছি।

আমরা তো সব সময় মিষ্টি কেক খাই। এবার একদিন টক কেক তৈরি করে খেতে দেখতে পারেন। মনে হচ্ছে খেতে ভালই লাগবে আপনার। সত্যি আপু এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কেক রেসিপি শিখতে পেরেছি।

আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নতুন নতুন কেকের রেসিপি শিখতে পারছি। আপনার তৈরি করা কেকটি বেশ ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ রেসিপিটী শেয়ার করার জন্য।

একদম ঠিক বলেছেন আপু সবাই ভিন্ন ধরনের কেকের রেসিপি তৈরি করে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। যদিও আমি খুব ভালো কেক তৈরি করতে পারি না। তবুও নিজের পছন্দের কেকের রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করেছি।

আপনার কেকটি অসাধারণ হয়েছে। আসলে আপু আমি জানি জলপাই দিয়ে শুধু আচার বানানো যায়। কিন্তু আপনি জলপাই দিয়ে কেক বানিয়েছেন, আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম । প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। ডেকোরেশন টা দারুণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক একটি কেক শেয়ার করার জন্য।

আসলে জলপাই দিয়ে আচার বানানো যায় এটা ঠিক। কিন্তু জলপাই দিয়ে অন্য অনেক রেসিপি তৈরি করা যায়। টক মিষ্টি ফ্লেভার দিয়ে কেক তৈরি করার চেষ্টা করেছি আপু। খেতেও বেশ ভালো হয়েছিল।

অনেকের কেক রেসিপি দেখা হয়ে গেছে।আপনার রেসিপিটা দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। আমি জানতাম আপনি ব্যতিক্রম কিছু একটা করবেন।ঠিক তেমনটি হয়েছে।আপনি জলপাইয়ের টক মিষ্টি কেক রেসিপি তৈরি করেছেন।আপনার ডেকোরেশনটাও অনেক ভালো ছিল।আপনি ধাপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আসলে ব্যতিক্রম কিছু করতে একটু বেশিই ভালো লাগে। তাই তো ব্যতিক্রম কিছু করার চেষ্টা করি। যদিও খুব ভালো পারি না। তবে নিজের চেষ্টায় যতটুকু করতে পেরেছি ততটুকুই আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।

আপু কেক আবার টক হয় এই প্রথম শুনলাম ও দেখলাম।আর স্বাদ বুঝতে হলে খাওয়া ছাড়া উপায় নেই।তারপরও আপনার ব্যতিক্রম ও ইউনিক কেকের রেসিপিটি দেখতে অসাধারন লাগছে।আসলে প্রতিযোগিতার ব্যতিক্রম কিছু না হলে পুরোপুরি আনন্দ পাওয়া যায় না।আপনি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

মাঝে মাঝে যদি খাবারের মাঝে ভিন্নতা আনা হয় তাহলে খেতে ভালো লাগে। তাইতো আমি টক মিষ্টির স্বাদ বাড়ানোর জন্য জলপাই দিয়ে কেক তৈরি করেছি। এটা একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া প্রতিযোগিতায় ব্যতিক্রম কিছু না করলে আনন্দই পাওয়া যায় না।

আপনার কেকের রেসিপি দেখার অপেক্ষায় ছিলাম।আপনি একেবারে ইউনিক রেসিপি দিলেন।আমি নিজেও কেক বানাতে পারি না।এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কেক বানানো অনেকটাই শেখা হলো।ডেকোরেশন টাও ভালোই ছিলো।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইল। ধন্যবাদ

আমার কেকের রেসিপি দেখার প্রতীক্ষায় ছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আমি তো কেক বানাতেই পারি না। তবু একটু চেষ্টা করেছি আপু। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।

টক দিয়ে যে কেক বানানো যায় তা আগে আমার জানা ছিল না দেখে একটু অবাক হলাম আপু। আপনার রেসিপিটা আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন একটি রেসিপি। তবে দেখে মনে হচ্ছে টক মিষ্টি কেক রেসিপিটি খেতে ভালোই লাগবে। অবশ্যই বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখব। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

আসলে আমরা যা কিছুই তৈরি করি না কেন তাই খেতে ভালো লাগে। টক দিয়ে কেক বানিয়ে খেতে আবার বেশ ভালো লেগেছে। যদিও এর আগে কখনো বানাইনি। তবে টক মিষ্টির একটা দারুন ফ্লেভার তৈরি হয়েছিল। একদিন অবশ্যই বাসায় ট্রাই করে দেখবেন আপু।

আপু আপনি বর্তমানে আমার বাংলা ব্লগের একজন বড় ইউজার ৷ কেন বলেন দেখি !
কারন আপনার প্রতিটি পোস্ট আর আর আপনার এক্টিভিটিস সত্যি অসাধারণ ৷
যা হোক আপনি প্রতিটি কনটস্টে অংশগ্রহণ করেন ৷ যেটা আমি প্রতিবার লক্ষ করি ৷ তবে আজকের কেক বানানো রেসেপিটিও দুর্দান্ত ৷ টক কেক ৷
একটা নতুন ইউনিক কেক বানানো রেসেপি দেখলাম অনেক ভালো লাগলো আপু৷ আমি নিশ্চিত যে আপনি বিজয়ী হবেন ৷ন
ধন্যবাদ

আমি নিজের ভালোবাসা দিয়ে কাজগুলো করার চেষ্টা করি। তাইতো আমার কাজগুলো আপনার কাছে ভালো লাগে। আসলে আপনাদের যদি ভালো লাগে তাহলে আমার পরিশ্রম সার্থক হয়। যাইহোক কেকের রেসিপি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।

জলপাইয়ের কেক আমার কাছে অনেক ভালো ও ইউনিক আর কেকটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার ও টেস্টি ছিল । আশা করি প্রতিযোগিতায় অনেক ভালো করবেন।

আমার তৈরি করা জলপাইর কেক আপনার কাছে ইউনিক লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আপু। আসলে এই কেক খেতে দারুন লাগে। টক মিষ্টির কম্বিনেশনে মজার একটি কেক আপনিও তৈরি করে খেতে পারেন।

বাহ্ খুব সুন্দর শীতকালীন একটা কেকের রেসিপি দেখলাম বোন। বেশ ভালো লাগলো। কেকটা দেখতেও বেশ ভালো হয়েছিলো। আর উপরের ক্রিম দিয়ে ডিজাইন টা বিষয়টাকে আরো পরিপূর্ণতা দিচ্ছে।আর এটা একদম ঠিক যারআ কেক খেতে ভালোবাসবে তারা কেক বানিয়েও ফেলবে। 😄

আপু আমি এর আগে কখনো কেক বানাইনি। কিংবা ডিজাইনও করিনি। এই প্রথম করেছি। তাই একটু এলোমেলো হয়েছে। তবুও চেষ্টা করেছি আপু। কেক খেতে ভালবাসি বলেই হয়তো কেক বানাতে সক্ষম হয়েছি।

আমরা সবসময় মিষ্টি কেক খেয়েছি কিন্তু টক মিষ্টি মিলিয়ে এত সুন্দর কেক বানানো যায় জানা ছিল না।আপু কখনো খাওয়া হয়নি তাই বুঝতে পারছিনা খেতে কেমন হবে। শুভ ভাইয়া কেক রেসিপি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন বলে আজ কত ধরনের কেক দেখতে পাচ্ছি। যাই হোক খুব ইউনিক লেগেছে। ধন্যবাদ।

সত্যি আপু আমরা সব সময় মিষ্টি কেক খাই। কিন্তু এবার যদি একটু হালকা টক কেক খাওয়া হয় তাহলে কিন্তু দারুন লাগে। মাঝে মাঝে খাবারে ভিন্নতা আনলে খেতেও বেশ ভালো লাগে।

প্রথমে আমি আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য। আর সবচেয়ে বেশি স্মরণ করতে হচ্ছে শুভ ভাইকে, যার অ্যানাউন্সমেন্টে জন্য উপহার পাচ্ছি হাজার রকমের হাজার স্বাদের নিত্যনতুন ইউনিক কেক। সত্যি বলতে আপনার কেক টা দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। কারণ টক দেখলে কার না জিভে জল আসে। আর যেহেতু টক টা আমার প্রিয় তাহলে বুঝতেই পারছেন। তবে আপনাকে বলেছিলাম পার্সেল করে দেওয়ার জন্য, আরে এত দারুণ কেক তৈরি করেছে সেটা জানলে আমি নিজেই যেতাম। আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে জলপাইয়ের টপ দিয়ে তৈরি করা কেকের রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

আমাকে অভিনন্দন জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। সত্যি ভাইয়া এই কনটেস্টের মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের মজার মজার কেক তৈরি শিখেছি। যদিও আমি ভালো কেক বানাতে পারি না। তবুও চেষ্টা করেছি। আর আগে বললে হয়ত পার্সেল করে পাঠিয়ে দিতাম। এখন তো খাওয়া শেষ।