আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্যদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে কাজ করে আমি খুবই গর্বিত। আমি আমার নিজের ভাষায় কথা বলতে পারতেছি। নিজের মনের ইচ্ছা, মনের ভাব, সৃজনশীলতা ইত্যাদি প্রকাশ করতে পেরে খুবই আনন্দিত। আমি @monjel1 বাংলাদেশ দিনাজপুর জেলা, সদর থেকে বলতেছি। আমার বাসা হচ্ছে পার্বতীপুর থানা, জমির হাট গ্রামে বসবাস করি। পড়াশোনার জন্য আমাকে বাইরে থাকতে হয়। আমি দিনাজপুর পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট পাওয়ার ডিপার্টমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করি। আমার জীবনের প্রথম নিজের গ্রাম থেকে বাইরে থাকা। আমি যদি গ্রামের বাহিরে না আসতাম তাহলে জীবনের মানে বুঝতাম না।বাইরে থেকে আমার অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ব্যাচেলার লাইফ সম্পর্কে বলবো।
ব্যাচেলর লাইফে অনেক কষ্ট আছে। কিন্তু কষ্ট ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ফ্রেন্ড সার্কেল, সিনিয়র ভাই রয়েছে। আমি একটি বাসায় থাকে, আমার সাথে থাকে দুজন ফ্রেন্ড, মানে আমার সমবয়সী, আর চারজন সিনিয়র ভাই থাকে। আমরা মোট সাতজন মেম্বার নিয়ে থাকি। প্রথমে আমরা রান্নার কাজের জন্য একটি ভুয়া রেখেছিলাম। বুয়ার রান্না খেতে আমাদের সমস্যা হচ্ছিল। বুয়া রান্নায় দেখা যাচ্ছিল কোনদিন লবণ কম হয়েছে, আবার কোনদিন ঝাল বেশি হয়েছে। আবার দেখা যায় রান্না অর্ধ সিদ্ধ হয়েছে। আমাদের রান্না খেতে খুবই অসুবিধা হচ্ছিল। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের শরীর খারাপ হয়ে যাবে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম নিজেরাই রান্না করে খাব। আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম কে কখন রান্না করবে। আমাদের কলেজ দুই শিফট রয়েছে।
আমাদের ভিতরে যাদের দ্বিতীয় শিফটে ক্লাস রয়েছে, তারা সকালে রান্না করবে। আর যাদের প্রথম শিফটে ক্লাস রয়েছে তারা রাতে রান্না করবে। এরকম করে দেখা গেল সকালে চারজন রান্না করবে, আর রাতে তিনজন রান্না করবে। এতে দেখা যাচ্ছে কারো কোনো সমস্যা হবেনা। আমরা রান্নার সমস্যাটা দূর করলাম। এবার সমস্যা হচ্ছে বাজার করা নিয়ে। আমরা সবাই মিলে বলাবলি করতেছি যে কে বাজার করবে। তো আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম বাজারের লিস্ট করা থাকবে। সেই অনুযায়ী বাজার করতে হবে। যাদের যেদিন বাজার থাকবে তাদেরকে বাজার করতে হবে। আজকে বুধবার লিস্টে আমি ও আমার রুম মেটের বাজার ছিল। আজকে যেহেতু আমাদের বাজার রয়েছে তো আমরা দেরি না করে বাজার করার জন্য বের হলাম। আমাদের বাসা থেকে একটু দূরে বাজার বসে। আজকে আমাদের কি কি বাজার করা লাগবে তার একটি লিস্ট নিয়ে বাজারে বের হলাম।
আমরা বাজারে গিয়ে দেখি সব ধরনের দোকানপাট খুলেছে। প্রথমে আমরা মাছের দোকানে গেলাম, সেখানে দেখলাম বিভিন্ন ধরনের মাছ দেখা যাচ্ছে । আমি বললাম মাছ পরে কিনব আগে শাক - সবজির বাজার করি। সে বললো আচ্ছা ঠিক আছে চলো তাহলে কাঁচাবাজার আগে করে নেই।
আমি বললাম, রেললাইনের পাশে যে মামার দোকান বসেছে সেখানে থেকে আমরা কাঁচা বাজার শাক-সবজির বাজার করব। সেখানে গিয়ে দেখি নানা ধরনের শাকসবজি । এখন মূলত শীতকাল, শীতকালে আমাদের দেশে বিভিন্ন রকমের ফলমূল, শাকসবজি ইত্যাদি পাওয়া যায়। সেই দোকান থেকে আমরা বরবটি, কাঁচা মরিচ, আলু, ধনিয়া পাতা, বেগুন, ইত্যাদি নিলাম। দোকান দার মামা বললো আর কিছু লাগবে, আমি বললাম না আর কিছু লাগবে না, এই দিয়ে আমাদের আজকে হবে। আমরা সেখান থেকে চলে আসলাম। সে আমাকে বলল আমাদের আরো কিছু বাজার রয়েছে। আমি বললাম আর কি। সে বলল আমাদের রান্না করার জন্য যাবতীয় মসল্লা লাগবে। আবার আমরা একটি বড় দোকানে গেলাম।
দোকানদার ভাইকে বললাম কেমন আছেন। তিনি আমাদের বললেন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনারা কেমন আছেন। আমরা বললাম ভালো আছি। দোকানদার ভাই বলল আপনাদের কি লাগবে। আমরা বললাম, আমাদের পেঁয়াজ, রসুন, তেল, ডিম, লাগবে। তিনি আমাদের সবগুলো দিয়ে দিলেন, করলেন আর কি কিছু লাগবে, বললাম না লাগবেনা, আমি বললাম আমাদের দাম কত হয়েছে। তিনি আমাদের দাম বললেন এবং আমরা দাম পে করলাম। দিনাজপুর শহরে অনেক পলিউশন।
দিনাজপুরে শহরে প্রুচর পরিমানে যান বাহন চলাচল করে তাই প্রুচুর পরিমান ধুলাবালি হয়। এই ধুলাবালির কারণে আমার প্রচুর পরিমাণে অসুবিধা ছিল। তাই দেরি না করে বাসায় চলে আসলাম। আমাদের আবার রান্না করতে হবে। আমাদের তিন জনের রান্না ছিল। তাই দেরি না করে রান্নার কাজ শুরু করলাম। আজকে আমরা পেঁয়াজ দিয়ে ডিম রান্না করবো। তার পাশাপাশি আলু বেগুন দিয়ে ভাজি। তাই আমরা তাড়াতাড়ি রান্নার কাজ শেষ করা। হয়তো আমি বাইরে থাকলে অনেক কিছু শিখতে পারবো এবং অনেক কিছুই জানতে পারবো। এখানে আমি শেষ করলাম। যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমার সম্পর্কে কিছু কথা। আমার নাম মনজেল হক আমি মিশুক টাইপের ছেলে। আমি অতি সহজেই সবাইকে আপন করে নিতে পারি। আমার নতুন কিছু করার ও শেখার আগ্রহ হয়েছে।আমি ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি এবং ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি।
এটি বাজারে একটি খুব উত্তেজনাপূর্ণ দৈনন্দিন কার্যকলাপ, যখন আমরা বাজারে যাই তখন আমরা সবসময় ভিড় দেখতে পাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তোমাকে স্বাগতম আমার বন্ধু.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit