হ্যালো বন্ধুরা
প্রথমে জানাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্যবৃন্দ ও মডারেটর ভাই-বোনদের এবং যারা নতুন ইউজার তাদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি।
আমি@monjel1 বাংলাদেশ দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানা গ্রাম জমিরহাট ডাঙ্গাপাড়া থেকে বলতেছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে কাজ করতে পেরে খুবেই আনন্দিত। যেখানে আমি আমার মনের ইচ্ছা মনের ভাব প্রকাশ করতে পারতেছি। আমার নিজের বাংলা ভাষায়। সত্যিই আমি খুব আনন্দিত। যাইহোক বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি আনন্দময় মুহূর্ত আমার বড় ভাই ও বন্ধুর সঙ্গে স্মার্ট মোবাইল ফোন কেনার মুহূর্ত শেয়ার করতে যাচ্ছি। তো বন্ধুরা শুরু করা যাক।
আমি আমার বাসায় বসে আছি। ভাই এসে হঠাৎ করে বলল একটি ফোন কিনবো। আমি ভাইয়াকে বললাম হঠাৎ করে ফোন নিবেন। আমি বললাম কি ফোন নিবেন। ভাই বলল realme ফোন নিব। ভাই বলল এই সময় আমার হাতে টাকা আছে তাই দেরি না করে ফোন নিয়ে নিবো। ভাই বাসা থেকে ফোন কেনার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে এলো। এসে আমার বাসায় উপস্থিত হল। আমাকে বলল তুই এখনো রেডি হস নি। আমি আবার গোসল করে আসলাম। গোসল করে তৈরি হয় ভাই আর আমি ও আমার বন্ধু আরমান কে সঙ্গে নিয়ে নিলাম। আরমান একটু ফোন সম্পর্কে ভালো জানে। তাই আমরা তিনজনে পার্বতীপুর এর দিকে রওনা দিলাম। আমাদের বাসা থেকে কিছুদূর হেঁটে এসে ভ্যান ভাড়া করলাম। ভ্যান মামাকে বললাম পার্বতীপুর যাবেন। মামা বলল চলেন, ভাড়া কত নিবে বলল ৩০ টাকা নিব। আমরা বললাম তাহলে চলেন ৩০ টাকা দিব। সেই ভ্যানে চড়ে আমাদের প্রিয় শহর পার্বতীপুরে রওনা দিলাম।
অবশেষে আমরা চলে আসলাম পার্বতীপুর মার্কেটে। পার্বতীপুরে মোবাইলের অনেক দোকান রয়েছে। ভাইকে বললাম কোন দোকান থেকে ফোন নিবেন। আমার বন্ধু আরমান বলল পার্বতীপুরের সবচেয়ে ভালো মোবাইলের দোকান হচ্ছে তাহেরা টেলিকম। ভাই বলল তাহলে চলো সেই দোকানে যাওয়া যাক। দোকানের ভিতর আমরা ঢুকলাম। দোকানের ভিতর এক আঙ্কেল কে জিজ্ঞেস করলাম আংকেল আপনার দোকানে কি realme c21 ফোন পাওয়া যাবে। আঙ্কেল বলল অবশ্যই পাওয়া যাবে। আমরা বললাম একটু দেখান। ফোনটি আমাদেরকে দিল, আমরা বললাম এর প্রাইস কিরকম। আঙ্কেল বলল 10,990 এক রেট। আমার বন্ধু আরমান বলল কিছু কম রাখলে হবে না। আঙ্কেল বলল না বাবা একরেট আসলে এগুলো ফল কোম্পানি থেকে দাম নির্দেশন করেছে। কোন কি গিফট পাওয়া যাবে না। ফোন কোম্পানি থেকে কোন গিফট দিবে না। আমরা বললাম তবুও একটু টাকা কম রাখলে ভালো হয়। অন্য পাশ থেকে এক ভাই এসে বলল টাকা কম রাখতে পারব না ভাই তবে আমরা আপনাদের একটি হেডফোন, একটি ডিসপ্লে কভার দিতে পারি। ভাইটি বলল তাহলে কি ফোনের বক্সটি খুলবো। জি ফোনের বক্সটি খুলেন।
দোকানের ভাই ফোনের বক্সটি খুলল। বক্সটি খুলে আমাদের ফোনটি হাতে দিল। ফোনের কালার টি অনেক সুন্দর এবং ফোনটি অনেক স্মুথ। ভাই বলল এই ফোনটি বাজারে এখন চলতেছে। ফোনটির ক্যামেরা, ডিসপ্লে, এককথায় ফোনটি ছিল অসাধারণ দেখতে। তারপর দোকানের ভাই একটি রশিদ কেটে দিল। বিকাশের দোকান থেকে টাকা তুললাম তারপর ফোনের যে দাম ছিল তার টাকা দিয়ে দিলাম।
ফোনের দাম পরিশোধ করে দোকানদার ভাইয়া আমাদের ফোনটি হাতে তুলে দিল। আমরা জিজ্ঞেস করলাম ফোনের যদি কোন যান্ত্রিক ত্রুটি বা কাজ কম করতেছে বা ক্যামেরা ত্রুটি দেখা দিচ্ছে তাহলে কি ফোনটি আবার এক্সচেঞ্জ করতে পারবো। হ্যাঁ অবশ্যই যদি ফোনের ভিতরে কোন সমস্যা হয়ে থাকে অবশ্যই রশিদসহ আমাদের দোকানে আসবেন। ফোনটি আমরা কোম্পানিকে সার্ভিসিং এর জন্য দিব। তারা যদি বলে ফোনটি এক্সচেঞ্জ করতে হবে তাহলে আমরা ফোনটি আপনাকে এক্সচেঞ্জ করে দিতে পারব। এই কথা শুনে আমরা খুব খুশি হলাম। আমার ভাই ফোনটি পেয়ে খুবেই খুশি ও আনন্দিত। দোকান থেকে বেরিয়ে এসে আমার বন্ধু আরমান বললো যেহেতু অনেক টাকা দিয়ে ফোন কিনলাম ফোনের তো একটি সেফটি দরকার।যেমন ব্যাক পার্ট ব্যাক কভার।
তারপর আমরা আরেকটি দোকানে ঢুকলাম। দোকানদার ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম ভাই আপনি কেমন আছেন, বলল আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি বলেন আপনাদের কিভাবে সাহায্য করতে পারি। আমরা ভাইকে ফোনটি বের করে দেখাইলাম। ভাই বলল ফোন টি এখনি কিনলেন নাকি। আমরা বললাম হ্যাঁ এখনই করলাম। ভাই ভাইয়া বলল কোথাথেকে কিনলেন আমরা বললাম তাহেরা টেলিকম থেকে কিনলাম। তারপর বলল আপনাদের কি লাগবে। আমাদের ফোনের পিছনে যে কাগজটি লাগিয়ে দেন এবং ফোনের একটি ব্যাকপাট দেন। অনেকগুলো ব্যাকপাট দিল সেখান থেকে আমার ভাই পছন্দ করে একটি ব্যাকপাট চয়েস করলো।
অবশেষে ফোনের সেফটির জন্য সবকিছু কেনা হলো এবং লাগিয়ে নেওয়া হলো। ফোন নেওয়া তো হয়ে গেল এখন একটু নাস্তা করা যাক।
আমরা চলে গেলাম পার্বতীপুরের নামকরা রেস্টুডেন্ট শাহ হোটেল। আমরা সেখানে তিনজনে বসলাম বসে নান রুটি ও ডাল অর্ডার করলাম। তারা এসে আমাদেরকে দিয়ে দিল। নান রুটি গুলো খেতে অনেক সুস্বাদু ছিল। আপনারা ইচ্ছে করলে একবার খেয়ে দেখতে পারেন।
পার্বতীপুর শাহ হোটেল যে চা এর কারনে বিখ্যাত। সেই চা অর্ডার করলাম ।যেহেতু শাহ হোটেল ঢুকলাম স্পেশাল চা খেয়ে যাব। চায়ের অর্ডার দিলাম মেসি আর কিছুক্ষণ পর আমাদের টেবিলে সেই স্পেশাল চা দিয়ে গেল। শাহ হোটেলের চা খেতে অসাধারণ। এই চা খেতে দূর-দূরান্ত থেকে লোক আসে। ইচ্ছে করলে আপনারা একবার হলেও খেয়ে দেখবেন। তো বন্ধুরা ভাইয়ের সঙ্গে অনেক মজা ও ইনজয় করলাম। আমার পোস্টটি আপনারা ধৈর্য্য সহকারে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমার পোস্টটিতে যদি কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন ফোন কেনার অভিজ্ঞতা। আপনার প্রতি কিছু পরামর্শ থাকবে। চেষ্টা করুন মারকডাউন এর ব্যবহার দ্রুত শিখে নিতে। আপনার পোস্টে কয়েকটা ভুল আছে। সেগুলো সংশোধন করে নিন। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সফল হতে হলে আপনাকে অবশ্যই ডিসকর্ড এ একটিভ হতে হবে। অন্যের পোস্ট পড়তে হবে এবং তাতে গঠনমূলক মন্তব্য করতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর উপদেশগুলো দেওয়ার জন্য এবং নতুন ইউজারদের সব সময় পাশে থাকার জন্য। আপনার উপদেশ গুলো যথাযথ পালন করার চেষ্টা করব।ইনশাল্লাহ, বিশেষ করে মার্ক ডাউন এর কাজ তাড়াতাড়ি শিখে আমার পোস্টে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit