অতি বৃষ্টির ভয়াবহতা

in hive-129948 •  last year 

হ্যালো বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন?আশা করি ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আরেকটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেছি। আজ আমি অতিবৃষ্টির ভয়াবহতা নিয়ে কিছু কথা বলব আপনাদের সাথে। আষাঢ় শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল। কিন্তু পুরো আষাঢ় মাস জুড়ে কোন বৃষ্টির ছোঁয়া পেল না পৃথিবীবাসী। শ্রাবণ মাসের ও প্রায় অর্ধেক শেষ হয়ে গেছে তীব্র গরমে। তখন মানুষ হাহাকার করেছে পৃথিবীতে বৃষ্টির জন্য।অতি গরমে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছিল। শ্রাবণ মাসের প্রায় অর্ধেক যাওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় অল্প অল্প বৃষ্টি হওয়া শুরু করেছে। তখন কিছুটা উত্তাপ কমে এসেছে পৃথিবীতে। কিন্তু গত কয়েকদিন যাবত এত বেশি পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে এখন সেটা ভয়াবহতায় রূপ নিয়েছে। আমাদের এখানে গত দুদিন টানা বৃষ্টি হয়েছে কোন থামাথামি ছাড়াই। যেখানে পুকুরে সামান্য পরিমাণ পানি ছিল সেখানে এখন পুরো পুকুর জুড়ে টলটলে পানি।খাল বিল মাঠ ঘাট পানিতে একাকার হয়ে গেছে।

20230807_183108.jpg

20230807_183106.jpg

দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে শহরাঞ্চলের অনেক জায়গায় পানিতে বাসাসহ দোকানপাট ডুবে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে আমার এক কাজিন ফোনে বলল তিন চার দিন অনবরত বৃষ্টি হওয়ার কারণে তাদের বাসায় হাটু সমান পানি উঠে গেছে। এতে করে তাদের বাসার জিনিসপত্র সব খাটের উপর উঠানো হয়েছে। কিন্তু রান্নাবান্না খাওয়া দাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে। নিম্নমানের মানুষ যারা দিনে রোজগার করে দিনে খায় তাদের জন্য এমন মুহূর্তগুলো খুবই সংকটময়। অনেকে আছে দৈনিক কাজ করতে পারছে না ঘরে খাবারও জুটছে না। যাদের ঘরবাড়ি ডুবে যাচ্ছে তাদের জন্য তো বেঁচে থাকাটা ও আকাশ কুসুম কল্পনা। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে প্রত্যেকে প্রত্যেকের সহযোগী হয়ে থাকাটাই মঙ্গলজন। যারা একটু ভালো অবস্থানে আছে তারা তাদের আশপাশের মানুষগুলোর একটু খোঁজখবর নেয়া এবং কে কোন পরিস্থিতিতে আছে সেটা অনুযায়ী প্রত্যেককে প্রত্যেককে সাহায্য করাটাই হবে মানবীয় কাজ।

20230807_183049.jpg

20230806_083445.jpg

কেননা এমন সংকটময় পরিস্থিতি থাকবে না কিন্তু দুঃসময় পাশে থাকা মানুষদের কথাই মনে থাকবে। বর্ষাকাল আমার প্রিয় ঋত। ঝুমঝুম বৃষ্টিতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু অতি বৃষ্টি হয়ে কারো ক্ষতি হলে তখন আর ভালো লাগেনা। জানিনা এমন পরিস্থিতি আর কতদিন থাকবে। দোয়া করি সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুক। আর এই পরিস্থিতিতে নিরাপদ পানি পান করাটাই হচ্ছে সবচেয়ে জরুরী। কারণ এখন খাল বিল নদী-নালা সব একাকার হয়ে গেছে তাই অপরিচ্ছন্ন ও দূষিত পানি পরিমাণ বেড়ে যাবে। এতে করে শুরু হবে বিভিন্ন পারিবাহিত রোগ। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আসুন সবাই একে অপরের সহযোগী হই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

বৃষ্টির কারনে চট্টগ্রাম এর সাইডে বেশ ভয়াবহতার সৃষ্টি হয়েছে গতবার সিলেট আর এবার চট্টগ্রাম। আল্লাহ সহায় হোন।

বৃষ্টির কারণে পানির চাপ বেড়ে গেছে। আর তাই বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আরো ভয়াবহতা রূপ নেবে।

কিছুদিন আগে বৃষ্টি হচ্ছিল না আর এখন এত বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে যা সাধারণ মানুষের জন্য সত্যি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। আর এই বৃষ্টির সময়টাতে নিরাপদ পানির অভাব হয় কিন্তু নিরাপদ পানি পান না করলে মানুষ খুব সহজেই অসুস্থ হয়ে যাবে।

আসলে বর্ষার প্রথম দিকে কোন বৃষ্টি না হওয়ার কারণে অতিরিক্ত উত্তাপ বেড়ে গেছে পৃথিবীতে। আর এখন অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে জনজীবন সংকটে পড়ে গেছে।

এতো বেশি উত্তাপের পর আজ যখন বৃষ্টি এলো তাও আবার এতো ভয়াবহতা নিয়ে।সত্যি এমন চিত্র দেখলে ভীষণ খারাপ লাগে।পুকুর,খাল,বিল, মাঠ পানিতে সব একাকার হয়ে গেছে।তাইতো নিরাপদ পানি পেতে খুবই কষ্ট হয়।এই সময় নিম্ন অঞ্চলগুলোতে মানুষের অনেক ভোগান্তি হয়।তাই আমাদের সকলের সহানুভূতিশীল হতে হবে।

আসলেই অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন জায়গায় প্লাবিত হচ্ছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামের অবস্থা খুবই খারাপ। আমাদের চারপাশে ও অনেকটাই পানি চলে এসেছে।

একটা কথা আছে কোন কিছু অতিরিক্ত ভালো না। মনে হচ্ছিল এবার বৃষ্টি হবে না কিন্তু দেখা যাচ্ছে দেশের কিছু কিছু স্থানে অতিমাত্রায় বৃষ্টি হয়ে মানুষের জনজীবনের বিপন্ন ডেকে এনেছে। তবে আমাদের এদিকে বৃষ্টি হচ্ছে না। টিপটপ মাঝেমধ্যে পড়ছে অবশ্য আমাদের এদিকে বেশি বৃষ্টি হওয়ার প্রয়োজন ছিল।

আসলে সবই আল্লাহর ইচ্ছা। এতদিন আল্লাহ বৃষ্টি দেয়নি এখন দিয়েছে তাই আমাদের কিছুই করার নেই। অনেক মানুষ খুবই সংকটে পড়ে আছে তাই সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।