বড় বোনকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করার মুহূর্ত

in hive-129948 •  last year 

হ্যালো বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার বড় বোনকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করার আনন্দঘন মুহূর্ত নিয়ে। পরিবারের আপনজনদের সাথে অনেকদিন পর দেখা হওয়াটা কতটা আনন্দের সেটা নিশ্চয়ই সকলেই জানেন। প্রায় ছয় থেকে সাত মাস আগে আমার আপু সৌদি গিয়েছিল দুলাভাইয়ের কাছে ট্যুরে। সেখানে থাকার কথা ছিল এক বছর কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে চলে আসতে হয়েছে ছয় মাস পর। আমাদের পরিবারকে সবচেয়ে বেশি আনন্দ ময় করে রাখে আমার এই সেজ আপু। আপু সব সময় চেষ্টা করে সবার শখ গুলো পূরণ করতে। তাই আপুকে ছাড়া কোন আনন্দ কল্পনাই করা যায় না।

IMG-20230825-WA0005.jpg

  • যেহেতু আপু দুলাভাই ভাগিনা ভাগ্নি সবাই একসাথে আসছে তাই সবাইকে একটু স্পেশালভাবে বরণ করার চেষ্টা করলাম। প্রথমে আমরা কুমিল্লা থেকে সরাসরি রওনা হয়ে। আমি আমার বড় দুলাভাই ভাগ্নি। ঢাকা থেকে রিসিভ করে আমার ছোট মামা ও মামাতো বোনকে। আমার ছোট মামা ও আমাদের জন্য খুবই প্রিয় একজন ব্যক্তি। তাই ভাবলাম মামাকেও সাথে নিয়ে যাই। আমরা ভোর পাঁচটায় রওনা দেই। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট গিয়ে সাড়ে আটটার দিকে পৌঁছে আমরা হোটেলে নাস্তা করে নিলাম। আধাঘন্টা পর আমাদের গাড়ি আবার ছুটে চলল।মেতে যেতে আমরা চারপাশের পরিবেশ দেখছিলাম আর ছবি তুলছিলাম বেশ সুন্দর লাগছিল।

IMG-20230825-WA0001.jpg

IMG-20230825-WA0000.jpg

তারপর আমরা সাড়ে দশটার দিকে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে পৌঁছলাম। আপুদের ফ্লাইট ল্যান্ড করার কথা ছিল ১১ঃ০০ টায়। কিন্তু মালামাল খুঁজে পেতে পেতে প্রায় পৌনে ২ টা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল। প্রথমে আমরা বেশ খানিকটা সময় অপেক্ষা করে কিছুটা টেনশনে ছিলাম। তারপর ভেতর থেকে যখন আপু ফোন দিয়ে বলল আমরা এসে পৌঁছেছি কিন্তু বের হতে একটু সময় লাগবে তখন কিছুটা টেনশনমুক্ত হয়েছি। কিন্তু অপেক্ষা করতে করতে প্রায় বিরক্ত এসে গেছে সবার। কারণ অপেক্ষা সবসময়ই কষ্টকর ।যাইহোক অপেক্ষার পর আনন্দঘন মুহূর্ত কিন্তু খুবই ভালো লাগার।

IMG-20230825-WA0002.jpg

IMG-20230825-WA0003.jpg

  • তারপর আমি একটি ফুলের তোড়া কিনে রাখলাম তাদেরকে বরণ করার জন্য। পৌনে দুইটার দিকে যখনি দেখলাম আমার ভাগ্নে বের হয়ে হাত তুলল তখনই বেশ ভালো লাগছিল। তারপর আমি ফুল নিয়ে ভেতরে চলে গেলাম। গিয়ে আমার বোন এবং দুলাভাইয়ের হাতে ফুল দিলাম। তারা বেশ খুশি হয়েছিল। কারণ ফুল এমন একটি জিনিস যা হাজারো দামি জিনিস হার মানায়। তারপর আমরা দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ ছবি তুললাম। এরপরে রওনা দিলাম মূল গন্তব্যে।

IMG-20230825-WA0004.jpg

🌺 আশা করি আমার আজকের পোস্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে।ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 🌺

🌺 ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য🌺

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

ঠিক বলেছেন আপনি যদি নিজের সবচেয়ে কাছের কোন মানুষ বাহিরের দেশ থেকে ফিরে তাহলে তার থেকে আনন্দ আর কোনদিন হয় না। আপনারও সে জুয়া আপু পাঁচ ছয় মাস পর আবার দেশে ফিরেছে দেখে ভালো লাগলো। আশা করি চিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে। সবাই মিলেও হইচই করতে করতে তাদেরকে রিসিভ করেছেন। তা দেখে আরো ভালো লাগলো। বিশেষ করে তোড়া নিয়েছেন দেখে আরো ভালো লাগল। এটা ঠিক না সবারই অনেক পছন্দের। আপনাদের সবাইকে হাসিখুশি দেখে আমার আরো ভালো লাগল।

আসলেই ঠিক বলেছেন নিজের কেউ যদি বাহির থেকে ফিরে আসে তাহলে আনন্দের আর সীমা থাকে না। আসলে একটু ভিন্নভাবে তাদেরকে বরণ করে নেয়ার জন্যই এই আয়োজন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামতের জন্য।

আসলে দেশের বাহির থেকে কেউ আসলে দেশের মানুষের আনন্দের সীমা থাকে না। আর আপনি তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করেছেন এই ব্যাপারটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ঠিকই বলেছেন ফুল এমন একটি জিনিস যা অনেক দামি জিনিস কেউ হার মানায়। আপনার ফটোগ্রাফিতে দেখে বোঝা যাচ্ছে সবাই অনেক আনন্দের সাথে তাদেরকে বরণ করেছেন। আপনার বড় বোনকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনি একদম ঠিক বলেছেন বাহির থেকে পরিবারের কেউ দেশে ফিরে আসলে তখন আনন্দের সীমা থাকে না। আর আমি তাদেরকে সুন্দরভাবে ফুল দিয়ে বরণ করেছি এ ব্যাপারটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আরো বেশি ভালো লাগছে। সরাসরি সৌন্দর্যের প্রত্যা এটি অন্য দামী জিনিস কে ও হার মানায়।

আসলে বড়বোন মানেই অন্যরকম ভালোবাসা।আপনার বড়বোন প্রায় ছয় মাস পরে সৌদি থেকে বাংলাদেশে এসেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো।বড় বোনগুলো সব সময়ই ছোটবোনদের আশা আকাঙ্খা গুলো পূরন করে।বাংলাদেশে মনে হয় এমনি হয় সহজে নিজেদের ব্যাগগুলো খুঁজে পাওয়া যায় না। যাই হোক সব মিলিয়ে বেশ ভালো ছিলো মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ

সেটাই বড় বোন মানে অন্যরকম আনন্দ অন্যরকম ভালোবাসা। বড় বোনদের সাথে যে আনন্দ উপভোগ করা যায় তা আর কারো সাথে করা যায় না। তাইতো আমি আমার বড় বোন দুলাভাই ও ভাগিনা ভাগ্নিকে বরণ করে নিতে বিমানবন্দরে পৌঁছে গেলাম। ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।

আপু আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। সত্যি আপু প্রিয়জনকে কাছে পাওয়ার আনন্দই অন্য রকম। যাইহোক আপনি অনেক দিন পরে আপনার বোনকে কাছে পেয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগলো।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আনন্দ ঘন মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

প্রিয়জনদের কাছে পাওয়ার আনন্দ আসলে কেমন তা বলে বোঝানো যাবে না। সবাই মিলে বেশ আনন্দঘন সময় কাটিয়েছি আমরা। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে আমার আনন্দের সময়টুকু।

সঠিক বলছেন আপু আমাদের পরিবারের এমন কিছু ভাই বোন আছেন। যারা সব সময় অন্যদের ভালো মন্দের খবরা খবর রাখেন। এছাড়া সবার ইচ্ছাগুলো পূরণ করার চেষ্টা করেন। আপনার সেজ আপুর সাথে আবারো ছয় মাস পর আপনার সাথে দেখা হল। লেখাটি পুরো পড়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। অবশেষে আপনার আপুকে পেয়ে বরণ করে নিলেন। সুন্দর মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আসলে একটি পরিবারের বোন না থাকলে আনন্দ কি জিনিস উপলব্ধি করা যায় না। তাই আমার আপু সৌদি থেকে ফেরার পর আমরা তাকে বরণ করে নিলাম। আর সেই মুহূর্তটুকু আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

বড় বোন যার রয়েছে সে সৌভাগ্যবান। আপনার বোন বাইরে ভ্রমণ করতে গেলেও অসুস্থতার জন্য সময়ের আগে চলে এসেছে। যাইহোক আপনারা চমৎকারভাবে তাদের বরন করে নিয়েছেন দেখলাম। আপনাদের সবার চোখে মুখে বেশ আনন্দের বন্যা দেখতে পেলাম। চমৎকার আনন্দঘন মূহুর্ত আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

Posted using SteemPro Mobile

বড় বোনকে রিসিভ করতে ঢাকা আন্তর্জাতিক হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে গিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আর এরকম আপন কাউকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করতে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে। আর আপনারা আপুকে অনেক সুন্দর ভাবে সম্মাননা প্রদর্শন করেছেন দেখে আরো বেশি মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বড় বোনকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করার কিছু মুহূর্ত। আসলে কারো যদি বড় বোন থাকে বেশ সৌভাগ্যের একটি ব্যাপার। আপনার আপু দুলাভাই ও তাদের ছেলে মেয়ে একসাথে বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছে জেনে বেশ ভালই লাগলো। আপনি তাদের বরণ করার জন্য একটি ফুলের তোড়া কিনে রেখেছিলেন এটা শুনে বেশ ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

আপন মানুষগুলোকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করার মজাই আলাদা। আপনার আপু ছয় মাস পর সৌদি আরব থেকে আসলো। যদিও তিনি অসুস্থতার কারণে সৌদি আরব থেকে চলে আসলেন। তবে আপনারা সবাই সুন্দর করে আপনার দুলাভাই আপু ভাগিনা ভাগ্নির সবাইকে রিসিভ করেছেন। আপনাদের ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনারা খুব ভালোই সময় কাটিয়েছেন বোনকে রিসিভ করার জন্য গিয়ে। তবে অনেক সময় এয়ারপোর্টগুলোতে যাত্রীগুলো বাহির হতে অনেক টাইম লাগে। যাইহোক এগারোটা বাজে আসার কথা আপনাদের বোনের ফ্যামিলি সেই জায়গাতে রাত দুইটা বাজে এয়ারপোর্ট থেকে বাইর হলো। অনেক সুন্দর করে অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।