আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। গত দুইদিন আমি আপনাদের মাঝে অসুস্থ থাকার কারণে পোস্ট শেয়ার করতে পারেনি। আসলে ঠান্ডা লাগার কারণে গলা ব্যথা হয়েছিল তাই কথা বলা যাচ্ছিল না এইজন্যই বলতো আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার মতো সুযোগ করতে পারিনি। আর ঠান্ডা লাগলে কথা বলাটা কতটা কষ্টের হয়ে যায় সেটা হয়তোবা আপনারা হলেই জানেন। যখনই একটু সুস্থতা অনুভব করছি তখনই আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য হাজির হয়ে গেলাম। যেখানে আপনাদের মাঝে একটা দিন পোস্ট শেয়ার না করলে ভালো লাগবে না সেখানে আমার দুইটা দিন মিস হয়ে গিয়েছে। তারপরও আমি চেষ্টা চালিয়ে যাব বাকি দিনগুলোতে ভালোভাবে নিজের ধারাবাহিকতা বৃদ্ধি করে নিজের অবস্থানকে ভালো জায়গায় রেখে দেবার জন্য।
গ্রাম অঞ্চলের মানুষের মাঝে যে কোন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই খুবই জমজমাট একটা সময় অতিবাহিত হতে দেখতে পাওয়া যায়। যেহেতু আমি গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করি তাই এই বিষয়গুলো খুব সহজেই দেখার মত সুযোগ পেয়ে যায়। তেমনি একটা অনুষ্ঠান আমি আজকে সকালে উপভোগ করেছিলাম। আমি সকাল থেকেই লক্ষ্য করে দেখলাম অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মানুষের আনাগোনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
যেহেতু এই অনুষ্ঠানে অনেক মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে তাই সকাল থেকেই রান্নার কাজের জন্য আমরা সকলেই কাজ শুরু করে দিয়েছিলাম। যেহেতু শুক্রবার ছিল আর এই শুক্রবারে অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা সময় কম পাওয়া যায় তাই আমরা একটু বেশি সকাল থেকে রান্নার কাজ শুরু করে দিয়েছিলাম। এই রান্নার কাজ কি কেন্দ্র করে আমরা খুবই আনন্দ ভালো কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছিলাম। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি এইভাবে রান্না করলে সেই রান্না খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়ে যায়। সত্য কথা বলতে আপনারা সকলেই হয়তোবা লক্ষ্য করে দেখবেন যদিও মেয়েরা প্রতিদিন রান্না করে কিন্তু এইভাবে ছেলেরা যখন রান্না করে সেই রান্নাগুলো মেয়েদের রান্না তুলনায় অনেক বেশি সুস্বাদু হয়ে যায়। আমি মনে করি প্রত্যেকটা মেয়ে ও আমার এই কথার সাথে একমত হবে। আমরা দুপুরের আগেই রান্নার কাজ শেষ করে ফেলেছিলাম।
এরপরে নামাজের বিরতি শেষ হয়ে যাবার পরেই শুরু হয়ে গেল খাওয়া দাওয়ার পর্ব। যেহেতু সকাল থেকে এখানে কাজ করা হচ্ছিল তাই আমার অনেক বেশি খিদা লেগে গিয়েছিল তাই প্রথমেই ছোটদের সাথে আমি খাওয়া-দাওয়া করতে শুরু করে দিলাম। আমি লক্ষ্য করে দেখলাম ছোটরা অনেক উৎসাহ নিয়ে এই অনুষ্ঠানকে উপভোগ করছে। গ্রাম বাংলার এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগে সেটা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময় আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্টের মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা ঠিক গ্রামে থাকলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলো দেখা যায় এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা যায়। আসলে নিজের এলাকায় থাকার মজাটাই অন্যরকম। আর বর্তমান সময়ে আবহাওয়াটা খুব খারাপ যাচ্ছে আর এই সময় মানুষের অসুস্থতা বেড়ে গেছে। আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গ্রামে থাকলে আপনিও এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারতেন ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit