আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। শীতকাল প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে আর শীতকাল শেষ হয়ে যাবার সাথে সাথেই আমরা চারিদিকে ওয়াজ মাহফিল হতে লক্ষ্য করছি। শীতের শুরু থেকেই ওয়াজ মাহফিল শুরু হতে থাকে। আর শীতের শেষের দিকে সেই পরিমাণটা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। আমি গত কয়েকদিন আগে আমাদের পাশের গ্রামের একটা ওয়াজ মাহফিলে গিয়েছিলাম। আবু রায়হান ছোট হবার কারণে আমি চাইলেও রাতের বেলায় বাইরে যাবার মতো সুযোগ পায় না এজন্য সন্ধ্যার দিকে সেখানে গিয়েছিলাম। এখানে যাবার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল কিছু জিনিস কেনাকাটা করা। প্রথমত ইচ্ছা ছিল আবু রায়হানের জন্য একটা খেলনা কিনব আর বাড়ির জন্য কিছু জিলাপি কিনব। আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখেছি এই ধরনের ওয়াজ মাহফিলের কাছে গেলেই যেন আমার বেশি পরিমাণে চিংড়ির চপ এবং চটপটি খেতে ইচ্ছা করে। এজন্য যখনই আমি আমাদের আশেপাশের কোন ওয়াজ মাহফিলে যায় তখনই এই দুইটা জিনিস কিনে খাই।
অন্যান্য সময়ে আমি যে ধরনের চিত্র দেখতে পাই এখানে তার পুরোটাই ভিন্ন চিত্র দেখতে পেলাম। অন্যান্য ওয়াজ মাহফিল এর কাছে গেলেই আমি দেখতে পাই ওয়াজ মাহফিলের যত জন মানুষের সমাগম হয়েছে তার থেকে বেশি সমাগম হয় খাবারের দোকানগুলোতে। কিন্তু এখানে যাবার পরে ঠিক তার উল্টো চিত্র লক্ষ্য করে দেখলাম। ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে অনেক মানুষের সমাগম হয়েছিল কিন্তু খাবারের দোকানে মানুষের সমাগম ছিল খুবই সামান্য। এর সব থেকে বড় কারণ ছিল ওয়াজ মাহফিলে অনেক বড় একটা বক্তার আগমন হয়েছিল আর সেই বক্তাকে দেখার জন্য এবং তার কথা শোনার জন্য মানুষের সমাগম সেখানে বেশি ছিল।
আমাদের খাওয়া-দাওয়া পর্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আবু রায়হানের জন্য খেলনা দেখতে শুরু করলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে এইখান থেকে আমি একটা খেলনা ও কিনতে পারলাম না। আসলে এখানে যে ধরনের খেলনা গুলো ছিল সেগুলো আমার পছন্দ হচ্ছিল না আর যা খেলনা এসেছে তার বেশিরভাগই আবু রায়হানের রয়েছে। এজন্য আমি সেখান থেকে কোন ধরনের খেলনা না কিনেই চলে আসলাম।
বাড়ি ফেরা ঠিক আগ মুহূর্তে বাড়ির জন্য কিছু পরিমাণে জিলাপি কিনে আনলাম। ওয়াজ মাহফিল এর কাছ থেকে এই ধরনের জিলাপি খেতে আপনাদের কাছে কেমন লাগে সেটা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকে আর আমি আপনাদের মাঝে বেশি কিছু শেয়ার করছি না আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোষ্টের মধ্যে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঐদিন ওয়াজ মাহফিল থেকে আনা জিলাপি গুলোও সত্যি অনেক মজা ছিল। ওয়াজ মাহফিল থেকে আনা জিলাপি গুলো খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। সব থেকে বেশি ভালো লাগে এই জিলাপি গুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে খেতে। ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে আপনি দেখছি অনেক ধরনের খাবার খেয়েছেন। চিংড়ির বড়া খেতে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে কিন্তু খাওয়ার পর কেমন যেন একটা লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ওয়াজ মাহফিল কিংবা মেলার মধ্যে বিভিন্ন খাবারে দোকান বসে। বেশ ভালো লাগে এই ধরনের খাবার গুলো খেতে। আপনি তো ছেলের জন্য খেলনা কিনতে গেলেন। আর আপনি জিলাপি কিনতে গেলেন। ভালো লাগলো দেখে সব কিছু। সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit