আসসালামু আলাইকুম/আদাব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার , নভেম্বর ৩/২০২২

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে চলেছি হয়তো বা আপনারা উপরে ছবিটি দেখে বলতে পেরে গিয়েছেন। এইতো কিছুদিন আগে আমি ভ্রমণ করার জন্য বেরিয়েছিলাম, হঠাৎই দেখতে পেলাম কৃষকেরা হলুদ চাষ শুরু করেছে। হলুদ আমাদের প্রতিটি মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় একটা জিনিস। রান্নার একটা গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসেবে আমরা হলুদকে ব্যবহার করে থাকি। রান্না করার ক্ষেত্রে খাবারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য হলুদের তুলনা হয় না। মূলত এই কারণটির জন্যই হলুদ আমাদের প্রতিটি মানুষের অতি পরিচিত একটা জিনিস।

আমি মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলাম হঠাৎই দেখতে পেলাম রাস্তার পাশ দিয়ে সুন্দর হলুদের ক্ষেত। সেটা দেখার পরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো এবং আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে এগুলোর ফটোগ্রাফি করব। তাই আমি রাস্তার পাশে মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে চলে গেলাম হলুদের ক্ষেতের মধ্যে কিছু ছবি তোলার জন্য।

সেখানে প্রবেশ করার পরেই আমরা সুন্দর কিছু ফুল দেখতে পেলাম। এগুলো হচ্ছে হলুদের ফুল। আপনারা অনেকেই হয়তোবা এই ফুলটি দেখে থাকবেন আবার অনেকেই এটা দেখেননি। মূলত যাদের বাড়ি গ্রাম অঞ্চলগুলোতে তারা এই ধরনের হলুদের ফুলগুলোর সাথে অতি পরিচিত। কিন্তু যারা শহরে বসবাস করে তারা শুধুমাত্র হলুদকেই চেনে ,কিন্তু হলুদের ফুল তাদের দেখার সৌভাগ্য হয় না।

এই ফুল গুলো দেখতে যতটা সুন্দর এটার গন্ধ কিন্তু দারুন। আপনারা যারা এই ফুলটিকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন তারা জানেন এটা কতটা সুন্দর গন্ধ ছড়ায়। আমরা অনেকে এই হলুদের ফুলকে একটা ঔষধি হলো ধারণা করে থাকি। আমরা ধারণা করে থাকি যে এই ফুলের মাধ্যমে একটা রোগ নিবারণ করা যায়। যদিও সেই রোগটির নাম আমার এখন মনে আসছে না তাই আমি লিখতে পারলাম না। আমি দেখেছি এই হলুদের ফুলের মধ্যে জমে থাকা কুয়াশা অথবা পানি ব্যবহার করা হয় সেই রোগটি নির্মাণ করার জন্য। সম্ভবত রোগী একটি চর্ম জাতীয় রোগ।

আমরা অনেকেই জানি যে ফুল থেকে ফল হয় কিন্তু হলুদের ক্ষেত্রে সেটা পুরোটাই ভিন্ন। ফুলগুলো দেখে হয়তো বা অনেকেই ধারণা করতে পারেন যে এই ফুল থেকেই হয়তো বা হলুদ আমরা পেয়ে থাকি, যা আমাদের রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। আসলে আমাদের ধারণাটা ভুল। হলুদের ফুল থেকে কোন ফলের সৃষ্টি হয় না। হলুদ যেটা আমরা রান্নার কাছে ব্যবহার করে থাকি সেটা হয় মাটির নিচে অর্থাৎ গাছের শিকড় এর সাথে। যখন এই হলুদ গাছগুলো মারা যায় তখন কৃষকেরা মাটি খুঁড়ে হলুদ বের করে। আর সেগুলো পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে গুড়ো করেই তৈরি করা হয় রান্নার অতি প্রয়োজনীয় হলুদ।

আশা করি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে হলুদ গাছ সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য শেয়ার করতে সক্ষম হয়েছি। যদি একজন ব্যক্তিও আমার এই পোস্ট এর মাধ্যমে প্রথম এই বিষয়গুলো জেনে থাকেন তাহলে আমি আমার লেখাকে সার্থক বলে মনে করব। আপনারা অবশ্যই আমাকে বিষয়টি কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।

আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোষ্টের মাধ্যমে।

আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।

আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

ফেসবুক টুইটার

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy