তৃষা আর আরিয়ান ধীরে ধীরে আবার একে অপরের জীবনে জায়গা করে নিতে লাগলো। দিনের পর দিন তারা নিজেদের গল্প, অনুভূতি, আর স্মৃতিগুলো শেয়ার করছিল। প্রতিটি দিন যেন তাদের আরও কাছাকাছি নিয়ে আসছিল। তবে তৃষার মনে একটা অজানা শঙ্কা ছিল—যেন কোনো অদৃশ্য বাধা তাদের সুখকে দীর্ঘস্থায়ী হতে দিচ্ছে না।
একদিন সন্ধ্যায়, তারা কফিশপে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। হঠাৎ তৃষা আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে বলল, “আরিয়ান, আমরা কি সত্যিই নতুন করে শুরু করতে পারবো? অতীতের সবকিছু কি আমরা ভুলে যেতে পারব?”
আরিয়ান কিছুক্ষণ নীরব থেকে বলল, “আমি জানি, অতীতের কিছু জিনিস ভুলে যাওয়া কঠিন। কিন্তু আমরা যদি সেই স্মৃতিগুলোকে আমাদের শক্তি বানিয়ে এগিয়ে যেতে পারি, তবে সব সম্ভব। আমি এখন ভিন্ন মানুষ, তৃষা। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আর কোনো ভুল করবো না।”
তৃষা একটু হাসলো, তবে তার চোখে একরকম দ্বিধা ছিল। সে বলল, “তুমি হয়তো বদলে গেছো, কিন্তু আমি কি বদলেছি? আমি কি সেই আগের তৃষাই আছি?”
আরিয়ান তার হাত ধরে বলল, “তুমি যেমনই হও, আমি তোমাকে আজকের তৃষা হিসেবে ভালোবাসি। আমরা দু’জনই বদলেছি, কিন্তু আমাদের ভালোবাসার অনুভূতিটা তো একই আছে।”
তৃষা আরিয়ানের চোখে গভীর ভালোবাসা দেখলো। তার মনে একটু একটু করে আশা জন্ম নিতে লাগল। “ঠিক আছে,” সে বলল, “আমরা চেষ্টা করবো। কিন্তু আস্তে আস্তে, কোনো তাড়াহুড়ো নয়।”
আর সেই সন্ধ্যায় তারা প্রতিজ্ঞা করল, এবার তারা নতুন করে সব শুরু করবে, কিন্তু ধীরে ধীরে। যেন বৃষ্টির ফোঁটাগুলো একে একে জমে নদী তৈরি করে।