আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- ইলিশের টানে
- ২৬, সেপ্টেম্বর ,২০২৩
- মঙ্গলবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাশি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আপনার সামনে আবারও হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমার ভ্রমন কাহিনী পর্ব বাদ দিয়ে আজকে একটু অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা করার জন্য চলে এসেছি। কারণ প্রতিনিয়ত ভ্রমণ কাহিনী পড়তে পড়তে আপনারা তো খিদাও লেগে যেতে পারে😆 তাই এখন একটু খাবার পর্ব শেয়ার করতে চলেছে। এমন খুব কম মানুষই খুঁজে পাওয়া যাবে যার ইলিশ মাছ ভালো লাগেনা। আমাদের অধিকাংশ মানুষেরই ইলিশ মাছ খেতে বেশ মজা লাগে তাইতো মাঝেমধ্যে মন ছুটে চলে যেতে চায় ইলিশ মাছ খাওয়ার জন্য। মন চাইলেই তো খেতে চলে যেতে হবে। ঢাকার মধ্যে যারা ইলিশ প্রেমী আছে তারা সব সময় ইলিশ খাওয়ার জন্য মাওয়া ফেরিঘাটে চলে যায় সুন্দর সময় অতিবাহিত করে এবং ইলিশ মাছ খায়। ওইখানে ইলিশ খাওয়ার মধ্যে একটি আলাদা মজা আছে পাশেই পদ্মা নদী এবং ওখান থেকে দেখা যায়। পদ্মা সেতু একটি অসম্ভব সুন্দর পরিবেশ আর যাওয়ার রাস্তার কথা তো বাদই দিলাম। ধুলাবালি আর কংক্রিটের শহর ছেড়ে যখন নিজের জন্মস্থান গ্রামে চলে যায় তখন কিভাবে যেন দিনগুলো পার হয়ে যায় বুঝতেই পারিনা। গ্রামের বিশুদ্ধ হাওয়া ছেড়ে এ দূষিত শহরের প্রবেশ করতে ইচ্ছে করে না কিন্তু তারপরেও করতে হয়। কারণ গ্রামে বসে থাকলে তো আর গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট হবে না জীবনে অনেক দূর আগাতে হবে। তাই গ্রামের বিশুদ্ধ হওয়ার মায়ার ছেড়ে শহরের উদ্দেশ্যে আমি এবং আমার বন্ধু অংকন ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করি।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
প্রতিবারের থেকে এবার ভিন্নরাস্তা দিয়ে ঢাকা আসার প্লান করি। পদ্মা সেতু হয়ে আমরা ঢাকা প্রবেশ করব। যেহেতু আজকে ইলিশ খাওয়ার গল্প শেয়ার করব তাই যাতায়াতের গল্পটা ওভাবে আপনাদের মাঝে না বলি। আমাদের পদ্মা সেতু পার হতে হতে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি দুপুর হয়ে গিয়েছে বেশ খিদাও লেগেছিল তাই ভাবলাম অনেকদিন হলো মাওয়া ফেরিঘাটে গিয়ে সুন্দর পরিবেশের সাথে ইলিশ খাওয়া হয়ে ওঠে নাই। আমি মাওয়া দু তিনবার আসলেও আমার বন্ধুকে নিয়ে আসা হয়নি তাই ভাবলাম তাকে নিয়ে এই জায়গাটি ঘুরেও যাই এবং ইলিশ খেয়ে যাই। মায়া ফেরিঘাটে ঢুকতেই দেখা যাবে সব থেকে বড় রেস্টুরেন্ট হিলশা প্রজেক্ট।আমরা তো ওখানে ঢুকবো না কারণ আমরা তো অত বড়লোক না। তারপর আমরা আগাতে থাকি নদীর ধারের দিকে। এই দিকের রেস্টুরেন্ট থেকে খেতে গেলে টাকার পরিমান টা একটু বেশি লাগবে। তাই আমরা এগুলো পার হয়ে যেখানে বাসগুলো গিয়ে থামে অর্থাৎ বাস টার্মিনালের পাশে কিছু রেস্টুরেন্ট আছে এখানে কম খরচের মধ্যে খাবারগুলো পাওয়া যায়। রেস্টুরেন্টের সামনে গেলে নিজেকে সেলিব্রেটি মনে হয় কারণ সবদিক থেকেই ডাকাডাকি করে যে ভাইয়া এদিকে আসেন এদিকে আসেন বেশ ভালই লাগে ব্যাপারটা।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
তারপর আমরা একটি রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করি তারা প্রথমেই মাছের পেটি থেকে আমাদের মাছ দেখায়। আমাদের পছন্দ অনুযায়ী একটি মাছ পছন্দ করি তারপর দামদর করে এগুলোকে ভাজতে দিয়ে দিই। মাছ ভেজে কমপ্লিট করতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে। তত সময় আমরা রেস্টুরেন্টের ভেতর বসেই অপেক্ষা করতে থাকি। আমাদের সামনে খাবার দিয়ে গেল। এভাবে ইলিশ মাছ ভাজি খেতে আমার অসম্ভব ভালো লাগে। খাবার দেওয়ার পর আর দেরি না করে আমরা খাওয়া শুরু করলাম কারণ বেশ ক্ষুধার্ত ছিলাম। বিশেষ করে ইলিশ মাছের লেজ ভর্তা টা সবথেকে বেশি ভালো লাগে। সাথে দিয়েছিল ডাউল স্পেশাল সালাত আরো ছিল তিন রকমের ভর্তা। এগুলো দিয়ে দুপুরের খাবারটা বেশ জমজমাট ভাবেই হয়ে গিয়েছিল আমাদের। খাওয়া শেষ করে আমরা ধীরে ধীরে নদীর তীরে চলে যাই। ভর দুপুরের নদীর তীরে বেশি মজা ননাই।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
তারপরও নদীতে প্রচুর পানি হওয়াতে নদীর সৌন্দর্যটা অসম্ভব ভালো লাগছিল। বিকেলে গেলে দেখা যায় নদীর তীরে ফাস্টফুডের দোকানগুলো এর জমজমাট হয়ে ওঠে। যেহেতু ভর দুপুর তাই পর্যটকের আনাগোনা কম সেজন্য দোকানগুলো এখন বন্ধ পড়ে আছে বিকেল হতে না হতেই এগুলো পুরোদমে চালু হয়ে যাবে এভাবে চলতে থাকে সারারাত আর নদীর ধারে শীতল বাতাস পেয়ে রাতে বেশ মজা করে সবাই। আমরা যেহেতু অনেক দূর থেকে এসেছি আমাদের বাসায় যেতে হবে তাই এখানে এসে সময় না কাটিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আমি যেন আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে পুরনো স্মৃতিতে ফিরে গিয়েছিলাম। কেননা আমি ও আমার অর্ধাঙ্গিনী পদ্মা সেতু দেখতে গিয়ে মাওয়া ঘাটে গিয়ে ইলিশের স্বাদ গ্রহণ করেছিলাম। সত্যিই ভাই মাওয়া ঘাটে গিয়ে ইলিশ খাওয়ার মজাটাই আলাদা। বিশেষ করে ইলিশ মাছের লেজ ভর্তা খেতে দুর্দান্ত স্বাদ লাগে। যদি এই মাওয়া ঘাট আমার বাড়ির এদিকে হত তাহলে অবশ্যই আমি মাঝে মাঝেই ইলিশ খাওয়ার জন্য ছুটে যেতাম। তবে দুঃখজনক হলো এই আমার বাড়ি থেকে মাওয়া ঘাটের দূরত্ব অনেক অনেক বেশি। তাই মন চাইলেও সেখানে আর খেতে যেতে পারবো না। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, ইলিশের টানে মাওয়ার পানে সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ভাই এখানে কি ইলিশ খাওয়ার মজাটাই অন্য রকম। আমি যেখানে থাকি এখান থেকে যেত বেশ অনেক সময় লাগে তাও চাইলেও যাওয়া হয় না
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বন্ধু ইলিশের টানে মাওয়ার পানে গিয়ে একদম পেট ভরে খেয়েছিলাম। এই ভ্রমণটা সত্যি অনেক বেশি উপভোগ করেছি। অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু সুন্দরভাবে পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে বন্ধু একদম পেট পুরে খেয়েছিলাম বেশ মজা পেয়েছি। রাতের বেলা গেলে আরো বেশি মজা হইত
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হুম বন্ধু পেট পুরে খেয়েছিলাম। আবার গেলে রাতে যাবো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমিও সেখান কয়েক মাস আগে গিয়েছিলাম। এই জায়গার ইলিশ খেতে এত সুস্বাদু যারা গিয়েছে শুধু তারাই জানে। আমার তো বারবার যেতে ইচ্ছে করে। এর সাথে বেগুন ভাজি খেতে আরো বেশি সুস্বাদু লাগে। আমরা গিয়েছিলাম সন্ধ্যার একটু আগে তারজন্য মানুষ জন ছিল বেশি। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জ্বী আপু সন্ধ্যা থেকে মানুষজন বেশি হয়। এখানে সারা রাতে মানুষের আনাগোনা থাকে। মতামত প্রকাশের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সবই ঠিক আছে ভ্রমণ কাহিনী পড়তে পড়তে খিদা লেগে গিয়েছে এটাও ঠিক তবে পড়তে পড়তে খিদা লাগলে খাওয়ার দরকার খাবার গুলো পার্সেল করে পাঠিয়ে দিলেই তো হয় হি হি হি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বন্ধু তুমি চলে আসো তোমার খরচে আমরা গিয়ে আবার ওখানে ইলিশ খাব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হা হা হা, তাহলে সামনের সপ্তাহে আসতেছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit