বুক রিভিউ||বিনা পণের বউ।||

in hive-129948 •  8 months ago 

আসসালামু আলাইকুম।

আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

  • বুক রিভিউ
  • ১৮,মার্চ ,২০২৪
  • সোমবার

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের মাঝে একটি নতুন পোস্ট হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো একটি বুক রিভিউ। এর আগে কখনো আমি বুক রিভিউ আপনাদের মাঝে শেয়ার করেনি তবে আজকে যে বইয়ের রিভিউ টা দিব এর গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে লেখা। আমাদের সমাজে বিবাহে পণ একটি সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পণ ছাড়া যেন বিয়ে হতে চায় না। বিয়ের সময় যদি মেয়ের বাড়ি থেকে মোটা অংকের টাকা না দেয় তাহলে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে তার কোন মূল্য থাকে না সবসময় অবহেলিত হয়ে থাকে। আজকে আপনাদের মাঝে এমন একটি বইয়ের রিভিউ শেয়ার করব যে বইতে বিনা পণে বিয়ে দিলে একটা মেয়ের শেষ পরিনীতি হয় এবং গরিব ঘরের মেয়ের বিয়ে দিতে কি কষ্ট হয় সেই কাহিনী গুলো তুলে ধরা হয়েছে। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।


এক নজরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :

নাম:বিনা পণের বউ
লেখক :আব্দুল হামীদ ফাইযী মাদানী
প্রকাশনা :ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী
১ম প্রকাশ:ফেব্রুয়ারী, ২০২২
গ্রন্থিত মূল্য :১২৫ টাকা মাত্র
পৃষ্ঠা সংখ্যা :১৭০
ভাষা:বাংলা
ধরন :সামাজিক উপন্যাস


এই বইটি একটি সামাজিক উপন্যাস। মূলত এই বইটি লেখা হয়েছে সমাজের বাস্তব চিত্র নিয়ে। এই লেখাটি লেখক লিখেছিলেন ১৯৮১ সালে তখন তিনি ছাত্র ছিলেন। এই লেখাটি লেখার পর লেখক তার বন্ধু মহলে গল্পটি শেয়ার করে তারা তাকে এটি প্রকাশ করতে উৎসাহিত করে। কিন্তু তিনি যেহেতু ছাত্র ছিলেন তাই কাঁচা হাতের লেখা কে আর ছাপাবে? সেজন্য ওই সময় প্রকাশ হয়নি। তিনি যেটা লিখেছেন সেটা কাল্পনিক ঘটনা তবুও বাস্তব সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন বিনা পনের বউ এর মাধ্যমে।

বইটি পড়ার পর যদি কোন বর বা বরের বাবাকে আল্লাহতালা সুবুদ্ধি দেন এবং যৌতুক নেয়ার চিন্তা ধারা বর্জন করেন তাহলেই হবে লেখকের বই লেখার সার্থকতা। এই গল্পের মূল চরিত্র হলো বদরুন্নিছা তিনি অত্যন্ত গরিব ঘরের একটি মেয়ে তার মা মারা গিয়েছেন। একটি ছোট ঘরে তার পিতা এবং তার বৃদ্ধ দাদা বসবাস করেন। তার পিতা এবং তার দাদা মাঠে কাজ করেন এবং এভাবে তাদের সংসার চলে। বদরুন্নিছার বয়স যখন ১২ তখন তার মা মারা যান। ছোট্ট একটি বাড়িতে তারা তিনজন বসবাস করেন। বদরুন্নিসার পিতা এবং তার দাদা সারাদিন মাঠে কাজ করেন এবং দিনশেষে বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েন এটাই তাদের প্রতিদিনের রুটিন।


1710759120810.png


Device : Realme 7
What's 3 Word Location :

সারাদিন বদরুন্নিছার একা একাই বাড়িতে থাকেন। তার পিতা এবং তার দাদার মনেও বিভিন্ন চিন্তা মেয়ে বড় হচ্ছে তাকে বিয়ে দিতে হবে কিন্তু এই সমাজে তো পণ ছাড়া মেয়ে বিয়ে দেওয়া অনেক বেশি কষ্ট। সেই চিন্তায় তাদের দুজনের ঘুম আসেনা রাতে। গরিব ঘরের মেয়ের কেইবা বিয়ে করবে। মেয়ে দেখতে মাশাল্লাহ অনেক সুন্দরী তারপরও মেয়ের বাপের যে টাকা নেই সেজন্য বিয়ের জন্য পাত্র দেখা মেলে না। সমাজে পণপ্রথা যে একটি সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটা আমরা সবাই জানি। হঠাৎ দুপুরে বদরুন্নিছা বাড়িতে একা একা দূর সম্পর্কের কোন এক আত্মীয় এসে তার পিতাকে খুঁজছে। সেই ছেলেটার মূল উদ্দেশ্য হলো বদরুন্নিছার দেখা। কারণ মনে মনে তার যে অনেক বেশি ভালো লাগে। বদরুন্নিছার তাকে পাত্তা না দিয়ে তাকে চলে যেতে বলল কারণ সে বাড়িতে একা কারণ গ্রামের মানুষ দেখে ফেললে অনেক কিছুই বলবে।

বদরুন্নিছার মনে অজানা এক দুশ্চিন্তা ভর করল হঠাৎ করে কোন যুবকের নব আগমন তার মনে যেন দুশ্চিন্তা বাসা বাধলো। যে ছেলেটি তার বাড়িতে এসেছিল সে ছেলেটির নাম শামসুল সেটা দূর সম্পর্কের চাচাতো ভাই হয় তারা আবার অনেক বেশি বড়লোক সেজন্য গরিবদের সাথে সম্পর্ক ভালো না অর্থাৎ সম্পর্ক নেই বললেই চলে। এভাবেই কেটে যেতে লাগলো তিন কিন্তু মেয়ে তো ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে তার পিতার মাথায় চিন্তার পার আরো বেড়ে যাচ্ছে। শামসুল মনে মনে বদরুন্নিছা কে ভালবেসে ফেলেছে। তাই সে ঠিক করেছে তাকে বিয়ে করবে। সামসুলের আনমনা চলাফেরা দেখে তার বাড়ির লোকও ঠিক করেছে তাকে বিয়ে দিয়ে দিবে। সেজন্য ঘটক ডাকতে যায়। এই গল্পে যে ঘটক রয়েছে ঘটকটির নাম হল মোড়ল সে বেশ চালাক এবং ধান্দাবাজও বটে। তার কথার জালে সবাই আটকে যায়। এর মাঝে বদরুন্নিছা আর বিয়ের জন্য ছেলে দেখতে এসেছিল কিন্তু মোটা অংকের পণের জন্য বিয়ে ভেঙ্গে গিয়েছে।

আর এদিকে সামসুলের বিয়ের জন্য তার বাবা ঘটক ডেকে ফেলেছে এবং মেয়ে খুঁজতে বলেছে । সামসুল এর বিয়ের জন্য মেয়ে খুজে পেয়েছে এবং অনেক বড় অংকের পণ দিবে বলেছে। যেহেতু মোটা অংকের টাকা দিবে সে তো সামসুলের বাবা বিয়েতে রাজি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সামসুলের মনে তো বদরুন্নিছার জন্য যার জন্য স্বপ্ন বুনে রেখেছে। পরে যখন জানতে পারে তার বিয়ে অন্য জায়গা ঠিক হয়েছে তখন সে ঘটকের কাছে যায় বিয়ে ভাঙার জন্য ঘটক সেই সুযোগে তার কাছ থেকেও বকশিশ চেয়ে নেয়। ঘটক যখন বদরুন্নিছার বাড়িতে বিয়ের জন্য যায় তখন তাদের বিয়েটা পণের জন্য হয় না। কারণ ছেলের বাবার যে অনেক বড় চাহিদা সেই চাহিদা পূরণ করার সাধ্য যে মেয়ের বাবার নেই। অবশেষে তাদের বিয়েটা ভেঙে যায় এখানেই সামসুলের মনের কল্পনা সকল জল্পনা থেমে যায়।

মোটা অংকের টাকার জন্য গরীব ঘরের মেয়ের আবার বিয়ে থেমে যায়। এভাবে চলতে থাকে তাদের জীবন। বদরুন্নিছা আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকে এবং আশাহত না হয়ে অপেক্ষা করতে থাকে একদিন ভালো কিছু হবে বলে। হঠাৎ সমাজের কিছু লোক একটু উত্তগ্রহণ করে যে তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বে এবং বিভিন্ন মানুষের সাহায্য সহায়তা করবে। অনেক মজলিসে বক্তব্য দেয়া হচ্ছিল বিভিন্ন অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য। হঠাৎ যিনি বক্তব্য দিচ্ছিল তার কাছে একটি চিঠি এসে পৌঁছায় পাশের গ্রামের একটি গরীব ঘরের সুশীল মেয়ের জন্য বিনাপণের কেউ যদি বিয়ে করতে রাজি থাকে এমন কোন ছেলের খোঁজ থাকলে বলতে।


IMG20240318162306.jpg


Device : Realme 7
What's 3 Word Location :

হঠাৎ এর মধ্য থেকেই একটি যুবক দাঁড়িয়ে বলল আমি আছি রাজি। সবাই তখন তাকে বাহবা দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে বলল। কিন্তু এর মধ্যেই বাধা সৃষ্টি করতে লাগলো ছেলের বাবা। কারণ ছেলের বাবার ইচ্ছা তার ছেলেকে বিয়ে দেবে অনেক বড়লোক ঘরে এবং মোটা অংকের টাকা নিয়ে। তারপরও যুবক পিতার কথা না শুনে এই বিয়ের জন্যই রাজি হয়ে গেল। যুবক ভরা মজলিসে বোলো আমি লোকের মতো টাকা নিয়ে বিয়ে করে বিবির গোলামি করতে রাজি নই আমি এ বিয়ে করবো। এই বিয়ের সংবাদ পেয়ে বদ দ্রুত যেন আকাশ হতে পরলো হঠাৎ করে নাটকীয় ভাবে কিভাবে বিয়ে হতে পারে। অবশেষে তাদের বিয়ে সম্পূর্ণ হলো কিন্তু বউকে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবে না কারণ তারা বাবা রাজি ছিল না তাই কিছুদিন শ্বশুরবাড়িতে থাকতে হলো।

কিন্তু শ্বশুরবাড়ি আর কতদিন থাকবে তাই সে চিন্তা করল যাই হোক বাড়িতে চলে যাবে বাড়ি থেকে বের করে তো আর দিবে না। এজন্যই বের করে দিবে না কারণ ছেলে স্কুলে চাকরি করে মোটা অংকের বেতন পায় সেজন্য তার বাড়ি থেকে বের করে দেবে না এই ভেবে তারা রওনা দিল বাড়ির উদ্দেশ্যে। ছেলেটির নাম ছিল আব্দুল নূর। কিন্তু ছেলের বাবা মা কেউ বিয়ের জন্য রাজি নয় কারণ এখানে বিয়ে দিলে মোটা অংকের টাকা পাবে না। অতঃপর তারা বাড়িতে এসে পৌঁছালো নতুন বউ আসলে বরণ করবে তা না তারা উল্টো রেগে বিভিন্ন কথা বলতে থাকলো। কারণ এ যে বিনা পণের বউএই সমাজে বিনা পনের বউয়ের দাম নেই। যার যত টাকা তার তত মর্যাদা। বিভিন্ন কথার শোনার মাধ্যমে এবং অত্যাচারের মাধ্যমেই চলতে লাগলো বদরুর জীবন। তার বিয়েতে পণ দিতে না পারায় শ্বশুরবাড়িতে তার কোন মর্যাদা নেই শ্বশুর বাড়ির সব কাজ তাকে করতে হয়।


IMG20240318162327.jpg


Device : Realme 7
What's 3 Word Location :

এভাবে কষ্টের মধ্য দিয়ে চলতে থাকলো বদরুর জীবন। কিন্তু ছেলের বাপ তো প্রচুর লোভী সে চলে গেল বদরুল বাপের কাছে পণ চাইতে কিন্তু এই ঘটনাগুলো তার ছেলে জানে না। মেয়ের বাপ রাজি হল মেয়ের সুখের জন্য তার সমস্ত কিছু দিয়ে দিতে। কিন্তু এটা দিতে দেরি হবে কারণ সব যদি দিয়ে দেয় তারা থাকবে কই। বদরুর বিয়ে হয়েছে কিন্তু তার স্বামী চাকরি সুবাদে স্কুলের পাশেই থাকে এবং সপ্তাহে দুই দিন আসে। সপ্তাহে ওই দুই দিন বাদে সব দিনই অনেক বেশি কাজ করতে হয়। হঠাৎ তার দাদা অসুস্থ হয় কিন্তু সে দেখতে যেতে পারে না কারণ সে তো বিনা পনের বউ। অসুস্থ থাকতে থাকতে তার দাদা মারা যায় তারপরও তার দজ্জাল শাশুড়ি তাকে যেতে দেয় না কারণ সে তো বিনা পনের বউ। এমন অত্যাচার সহ্য করতে করতেই তার দিন চলতে লাগলো। অশ্রুসিক্ত চোখ নিয়ে তাকে পার করতে হয় দিনগুলো। অবশেষে ছেলের বাবা বদরুল বাবার কাছে গিয়ে সব জমি লিখে নেয় এবং ওই সময় অঙ্গীকার করে যতদিন সে বেঁচে থাকবে সে তার বাড়িতেই থাকবে।

কিন্তু যখন ছেলের বাবা বাড়িতে এসে রাত্রে শুয়ে শুয়ে বউয়ের সাথে আলোচনা করে ।তখন তার বউ তাকে বুদ্ধি দেয় জমি তো আমাদের শুধু শুধু তাকে থাকতে দিব কেন ।আমরা ওই জমিতে অন্য কিছু করব তার বাড়ি উচ্ছেদ করতে হবে। পরের দিন চলে যায় বাড়ি উচ্ছেদ করার জন্য কিন্তু গ্রামবাসীর বাধা দেওয়ার কারণে ওই দিন উচ্ছেদ করতে না পারায় সে চলে আসে। কিন্তু সে থেমে থাকার মানুষ নয় রাতের বেলা গিয়ে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাড়ি পুড়ে ছারখার হয়ে যায় কোনমতে বদরুর বাবা বেঁচে পালিয়ে যায়।

হঠাৎ একদিন বদরুন্নিছা ও তার স্বামী তার বাপের বাড়িতে বেড়াতে যায় কিন্তু সেখানে গিয়ে কোন ঘরবাড়ি দেখতে না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। এবং অবশেষে বাসায় ফিরে আসে। পরবর্তী সময়ে তার বাবার খোঁজ পেয়ে সে তার বাবার সাথে দেখা করার জন্য তার শাশুড়ি এবং শশুরের অনুমতিক্রমে দেখা করতে যায়। কিন্তু সে কি আর জানত এটা তার প্লান অপবাদ দেওয়ার জন্য। সেদিন রাতে চলে আসে বদরুর স্বামী কিন্তু এসে বদরুকে দেখতে না পেয়ে তার বাবা আমাকে জিজ্ঞেস করলে বলে সে চলে গেছে অন্যজনের সাথে। এটা সে কখনো বিশ্বাস করে না কিন্তু যখন সে বাড়িতে ফিরে আসে তখন যার সাথে গিয়েছিল তার সাথে আসতে দেখে তার মনেও বিশ্বাস গেঁথে গেল। অবশেষে তার একমাত্র স্বামী তাকে অবিশ্বাস করতে লাগলো।

এখন যেন তার সকল আস্থা ভেঙ্গে গেল। তারপর সে অশ্রুসিক্ত তো চোখ দিয়ে ঘরের কোনে বসে থাকলো। তার বাবা মার মিথ্যা অপবাদের জন্য প্রাণপ্রিয় স্বামী টাও তাকে বিশ্বাসঘাতক মনে করছে। এসব কিছু হয়েছে বিয়ের সময় পণ না নেওয়ার জন্য। কারন সে যে গরিব ঘরের মেয়ে তার বাপের অনেক টাকা নেই সেজন্য তার সম্মানটুকু নেই। পরের দিন দেখা গেল কোন একটি গুদাম ঘরে তার মরা দেহ ঝুলছে। অবশেষে বিনা পণের বউয়ের শেষ পরিণত হলো মৃত্যু।


বই পড়ে আমার মতামত


আমাদের সমাজ এত নিষ্ঠুর কেন আমাদের সমাজে কেন এত পণপ্রথা?কেন মোটা অংকের টাকার জন্য মেয়েদেরকে এত কষ্ট করতে হয়। আচ্ছা তার শাশুড়ি তো মেয়ে সে কি করে একটা মেয়ের উপর এত বেশি অত্যাচার করতে পারে এটা কি শুধু টাকার জন্যই? এই দুনিয়াতে টাকাই সব গরীব মানুষের কি কোন দাম নেই তাদের জীবন কি জীবন না। আমরা কি পারি না এ সমাজ তাকে বদলে দিতে। আমরা কি কোন গরিব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারিনা? আমরা যদি বিনাপণে বিয়ে করি তাহলে একটা সময় এসব প্রথা বৃথা হয়ে যাবে। আমি অনেক আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিনা পণে বিয়ে করবো ইনশাআল্লাহ। এক কথায় বইটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে শেষ পর্যন্ত পড়তে পড়তে আমার চোখ অশ্রু সিক্ত হয়ে গিয়েছিল। আপনারাও চাইলে বইটি পড়তে পারেন।

ব্যাক্তিগত রেটিং : ৯/১০


আমি কে !

IMG_20231120_103032_225.jpg

আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে অনেক আগে থেকেই এমন অনেক বিষয় নিয়ে সামাজিক ব্যাধি আমাদের মনে ঢুকে বেশ শক্তপোক্ত জায়গা করে নিয়েছে। একারণে নতুন করে কেউ এসব নিয়মের পরোয়া না করতে চাইলেও, তার আশেপাশের মানুষ যেন কিছুতেই তা মেনে নিতে পারে না। বিপদে পরে যায় মেয়ের পরিবার ও সেই মেয়ে নিজেও। তবে নূরের পরিবারের এমন বদমায়েশি দেখে ভীষণ রাগ লাগলো। আপনি বেশ গুছিয়ে সুন্দর করে লিখেছেন।

Posted using SteemPro Mobile

পোস্ট পড়ে গঠনমূলক মতামত প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

আপনি আজ বুক রিভিউ দিয়েছেন। বর্তমান সময়োপযোগী একটা পোস্ট করেছেন। বিনা পনের বউ। কথাটা ছোট হলেও এর তাৎপর্য অনেকটা। আমাদের সমাজে যৌতুক একটা মারাত্মক ব্যাধি হিসেবে গণ্য হয়েছে। যৌতুক ছাড়া যেন বিয়েই সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু যৌতুকটা কত যে খারাপ একটা কাজ এটা তারা যদি জানত তাহলে এই পর্যায়ে যেত না। বুক রিভিউটি পড়ে অনেক কিছু জ্ঞান লাভ করতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

আমাদের সমাজে যৌতুক একটা মারাত্মক ব্যাধি হিসেবে গণ্য হয়েছে। যৌতুক ছাড়া যেন বিয়েই সম্ভব হচ্ছে না।

ধন্যবাদ মতামত প্রকাশের জন্য

লেখক যে সময়ে এটা লিখেছিলেন ঐ সময়ে সমাজে এটার প্রভাব ছিল খুবই খারাপ। কিন্তু এখন অনেকটা কমে গিয়েছে পণ বা যৌতুকের প্রভাব। গল্পটার পরিণতি টা বেশ খারাপ লাগল। ছেলে বাবা মায়ের জন্য এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো দুজনের জীবনে। এখানে ছেলেরা পরিবারের চাপেই পণ বা যৌতুক নিতে বাধ‍্য হয়। এবং কোন মেয়ে সেটা দিতে না পারলে তার সংসার জীবনে নেমে আসে অশান্তি। বইটা বেশ ভালো ছিল। সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

এখানে ছেলেরা পরিবারের চাপেই পণ বা যৌতুক নিতে বাধ‍্য হয়

ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ মতামত প্রকাশের জন্য

আপনি আজকে বুক রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন। আপনি ঠিক বলছেন ভাই যার যত বেশি টাকা তার তত বেশি মর্যাদা।আমাদের সমাজ টা এমন হয়ে গেছে যে টাকা ছারা বিয়ে হচ্ছে। এখনো অনেক বিয়ে মানুষ টাকার জন্য দিতে না পারে।আপনার সিদ্ধান্ত টা আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনি বিনা পনে বিয়ে করবেন।যাইহোক আপনার বুক রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ মতামত প্রকাশের জন্য। এবং আমার পোস্ট ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম