"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
আমার বাংলা ব্লগ কর্তিক আয়োজিত নতুন একটি প্রতিযোগিতা "গ্রীষ্মকালীন ফলের মজার গল্প"।আর এত সুন্দর একটি ইউনিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই "আমার বাংলা ব্লগ" কর্তিপক্ষকে।আসলে এখানে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন এরকম মজাদার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়,আর সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা সত্যিই দারুন একটা ব্যাপার।আর আজকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এর নিমিত্তে আমি আমার জীবনের ঘটে যাওয়ার স্মৃতিময় একটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি।আশা করি সাথেই থাকবেন ভালো লাগবে গল্পটি আপনাদের।
গ্রীষ্মকালীন ফলের মজার গল্প। |
---|
গ্রামের ছেলেরা কতটা দুরন্ত এবং ডানপিটে হয় সে কথা সবার জানা। আর আমিও সেগুলোর ব্যতিক্রম ছিলাম না। যখন মাধ্যমিক লেভেল পর্যন্ত ছিলাম এতটাই দুরন্ত এবং ডানপিটে ছিলাম যে বলার মত না। আর এর জন্য অবশ্য হরহামেশাই বাসা থেকে গণপিটুনি খেয়ে থাকতাম। কিন্তু তারপরেও এসবের তোয়াক্কা না করে আমি সেই আগের মতই ছিলাম। আপনারা হয়তো জানেন এই গ্রাম বাংলা হচ্ছে ফুলে ফলে ঘেরা এক সম্রাজ্য। আর ফলের মৌসুমে প্রায় চারদিকেই অহরহ ফলের গড়াগড়ি।আর এই ফলের মৌসুমে এমন একটা অবস্থা হয় যে কে খাবে কার ফল। তো সে যাই হোক কথার কথায় আসি। সময়টা ছিল বর্ষাকাল একদম ঘন বর্ষাকাল। বলা চলে বর্ষাকাল কেবল শুরু হয়েছে। সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসে গ্রামবাংলায় সচারাচার সব জায়গায় ফল পাওয়া যায়,আর এই মাসকে মৌসুমী মাস হিসেবেও ডাকা হয়। কিন্তু কথা হলো বর্ষাকালে খুব একটা ফল পাওয়া যায় না। তবে এই সময়ে কিছু কিছু গাছে তখনও ফল বিদ্যমান থাকে। যেগুলোকে গ্রামের ভাষায় বলে নমলা ফল এবং এই ফলগুলো মৌসুম শেষেও বিদ্যমান থাকে।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান
এখন কথা হচ্ছে যখন মৌসম তখন প্রায় চার দিকে এবং সবার বাগানে কিংবা গাছে ফল থাকে। এই সময় যদি আপনি বাগান মালিকের সামনেও তার গাছ থেকে ফল ছিঁড়ে খান কিছু বলবেনা। কিংবা চুরি করেও যদি খান সে যদি তা জানতে পারে তারপরও কিছু বলবেনা। আর এই সময়টায় ফল খেতে খেতে এক প্রকার অতিষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু যখন মৌসুম শেষ তখন গাছে খুব একটা ফল থাকে না কেবল গুটিকয়েক গাছ বাদ দিয়ে। আর এই সময়টাতেই ফল খাওয়ার প্রচুর ইচ্ছে করে।কথায় আছে না "যখন থাকে তখন কেউ সাধে না,আর যখন থাকে না তখন আটে না"।আর আমাদের দশাও ঠিক এই রকম হয়।যখন থাকে তখন আমরা খাই না আর যখন থাকে না তখন খুঁজেও পাইনা।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান
কিন্তু ঐযে বললাম মৌসুম শেষেও কিছু কিছু গাছে তখন ও কিছু ফল বিদ্যমান থাকে।আর ওগুলোতেই আমাদের বিষাক্ত নজর পড়ে।তো আমরা গ্রামে যতগুলো ভাই ব্রাদার থাকি সবার মধ্যে আবার কাঠাল খাওয়ার একটা সেই ঝোক।ওই সময়টা হয় কি আমরা বিকেলের দিকে ফুটবল খেলি আর ফুটবল খেলার আগে আমাদের কঠাল না খেলে এনার্জি আসে না।কিন্তু কাঠাল ও তো এই সময় সচরাচর সব গাছে নেই।কিন্তু সব গাছে না থাকলে কি কিছু গাছে তো আছে আর ওগুলোতেই আমাদের টার্গেট।এখন কিভাবে সেই কাঠাল গুলো নিজদের ভান্ডারে নিয়ে আসা যায় সেটাই সবাই ভেবে পায় না।আবার এই জায়গায় আমি হলাম ওদের নেতা।বুদ্ধি বের করলাম যখন বৃষ্টি পড়বে ওইসময় তো কেউ বাইরে থাকে না,আর আমরা তো ওই সময় ফুটবল খেলি তাহলে এই সময়টাকে কাজে লাগাবো।আর দ্বিতীয়ত যখন সন্ধা হবে তখন গিয়ে অ্যাটাক দিবো।যেই কথা সেই কাজ যখন বৃষ্টি হয় আমরা খেলা বাদ দিয়ে গিয়ে কাঠাল পাড়ায় নিয়ে এসে আমাদের গুপ্ত ডেরায় সংগ্রহ করি।তবে কাঠাল পড়ানোর সময় আমরা কাচা কাঠাল গুলো বেশি সংগ্রহ করি যেনো রেখে দিয়ে পরে খেতে পারি কারণ আমাদের ডেরায় ঢের কাঠাল থাকে।আর যেগুলো পাকে সেগুলো প্রত্যেক দিন বের করে পেট পুজো করি।তবে বিপত্তি ঘটে একদিন সন্ধায় চুরি করতে গিয়ে।একটি গাছ থেকে কাঠাল আনতে আনতে প্রায় শেষই করে দিয়েছি আমরা।আর এজন্য ওই ভদ্র মহাশয় রাগ করে আজ চোর ধরার জন্য বাজার না গিয়ে আমাদের অপেক্ষায় আছে।আর আমরা যেই গেছি গাছের নিচে গেছি অমনি ওই ভদ্র মহাশয় লাঠি নিয়ে বের হয়ে বলে কে ওখানে রে।আর পালানোর সময় আমাকে চিনতে পেরে বলে কে এটারে মুন্না নাকি।আর ওই ভদ্রমহাশয় কে জানেন আমার বড়ো আব্বু।আমার তো আত্মারাম খাচা ছাড়া হওয়ার উপক্রম।পরেরদিন সেই ভয়ে ভয়ে আছি আমি আমাকে তো চিনে ফেললো এখন কি হবে আমার।পরেরদিন সকালে বড়ো আব্বু আমাকে ডাকে,ডাক দিয়ে বলে বাবা তুমি কি বাইরের কেউ তোমার খাইতে মন চাবে তুমি বাড়িত বসে খাবা চুরি করে খাওয়ার কি আছে।আমিতো আর কিছু বলতে পারি না,মাথাটা শুধু নিচ পাশে করে বলি আমি ছিলাম না বড় আব্বু আমাকে ওরা জোর করে নিয়ে আসছে। পরে বড়ো আব্বু বলে ব্যাপার না সবাইকে নিয়ে আসো এসে একসাথে কাঠাল খাও।এরপর ঐখান থেকে ঐযে আমি পালাইছি পরে এক সপ্তাহ বড়ো আব্বুর সামনে যাই নাই। পরে যখন বড় আব্বুর বাসায় গেছি বড় আম্মু বলে কাঠাল চুরি করার জন্যে এক সপ্তাহ আসতে হবে না এটা কোনো কথা।তোমরা এই বয়সে চুরি করবা নাতো কে করবে😍
উপযুক্ত ছবির সাথে
প্রাঞ্জল উপাস্থাপন,
বিচারকগন দিয়েছেন রায়
থাকেনা কথন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার কাঠাল চুরি করে খাওয়ার গল্পটি বেশ দারুন । চোর যখন ধরা পড়ে তখন তার অবস্থা কতটা লাজুক হয় আপনাকে দেখে বোঝা যাচ্ছে ।আর আসল কথা হলো আপনি কিন্তু পাকা চোর না।চুরি করে আবার ধরা পড়েন এটা ত লজ্জার।😜😜😜যাইহোক বেচারি আপনি বড় আব্বুর সামনে গিয়ে খুব ভয় পেয়েছেন । পরে তো গেলেন ই না।এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম আপু,বেশ লাজুক একটা অবস্থা হয়েছিল আমার।যাইহোক ধন্যবাদ আপু পুরো পোস্ট টি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাঙালির বুদ্ধি মেলা, তাই রাতের বেলা ও বৃষ্টির সময় চুরির কাজে লাগিয়ে দিতে পারে। তবে গল্পটি পড়ে ভাল লাগল,সকল বন্ধুদের সাথে একত্রিত এভাবেই কাঁঠাল খাবার একটি বিশেষ মুহূর্ত দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাঙালি বলে কথা বুঝতে হবে তো।ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চুরি করে কাঁঠাল খাওয়ার গল্পটি আমার খুবই ভালো লেগেছে, আসলে আমরা ছোটবেলা অনেকেই এরকম চুরি করে ফল খেতাম। সত্যি আপনার গল্পটি অনেক ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আহ্ চোরকে আরো উসকে দিল । হা হা হা। মজা করলাম। দারুন লেগেছে গল্পটি। তবে বৃষ্টির মধ্যে চুরি করার মজা আছে তখন কেউ বাইরে বের হতে পারে না। আরামে চুরি করা যায় । হা হা হা। ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হিহি,,ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ,,,,, খুব দারুণ একটি গল্প শেয়ার করেছেন কাঠাল চুরি করে কহাওয়ার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে আপনার চুরি করা একটি ফলের গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করে বিনোদন দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit