শুভেচ্ছা স্বাগতম
সম্মানিত আমার বাংলা ব্লগ বাসি সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন।আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন।আপনাদের প্রতি আবারও ভালোবাসা জ্ঞাপন করে আজকের পোস্ট শুরু করছি। |
---|
আপনারা সকলেই জানেন নদীমাতৃক দেশ আমাদের এই দেশ।একসময় নদীর উপর ভিত্তি করেই চলত এই দেশের অর্থনীতি চলত রমরমা ব্যবসা।এখনো চলে কিন্তু আগের মত না।আমাদের কারণেই এই নদী গুলো আজকে মরতে বসেছে।কিন্তু এখনো অনেক নদিয়ে আছে যেগুলোতে পানির স্রোতধারা অব্যাহত তাদের মধ্যে একটি হচ্ছে বদরগঞ্জ উপজেলার যমুনাশরী নদী যেটি বদরগঞ্জ এর বুকের উপর দিয়ে বয়ে গেছে।কপাল বসত সেই নদীটি আমার নানুর বাসার পাশ দিয়েই বয়ে গেছে।তাই কখনো নানুর বাসায় গেলে সেই নদীতে গোসল করতে যাই।এবং এবারও গিয়েছিলাম এবং আজকের অনুভূতি গুলো আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।
প্রায় একবছর পর আজকে নানুর বাসায় গেছি।যাওয়া হয় না বললেই চলে।আমার সাথে ছিল আমার আরো দুই জন বড়ো ভাই।তারা আমাকে বললো চলো নদীতে গোসল করতে যাই।আমি বললাম এখন নদীতে তেমন একটা পানি নেই আর পানিও অনেক ঠান্ডা আরেকবার কখনো আসলে গোসল করতে যাবো।তারা বলল তারা নাকি কখনো নদীতে গোসল করে নাই।আমি বললাম তাইলে ঠিক আছে চল যাই কিন্তু কথা হলো আমি কিন্তু কখনো গোসল করতে নামবো না তোমরাই করিও তারা বলল আচ্ছা ঠিক।
এরপর ওরা দুইজন পানিতে নামলো।পানিও খুব একটা বেশি ছিল না হাঁটু জল পানি।আবার নদীর ওপর প্রান্তে বালু দেখাচ্ছে সেগুলোতে পানিয় নাই।ওগুলোতে আবার আখ লাগিয়েছে জমির মালিক এরা।তারা আমাকে বললো যদি কুশিয়ারা(আমাদের এখানে আখ কে আঞ্চলিক ভাবে কুশিয়ারা বলা হয়) খাইতে চাও তাইলে চলে আসো।আমি তাদের অনুরোধ করলাম তোমারতো যাচ্ছই আমার জন্যেও একটা নিয়া আসিও।
ওরা গোসল করতে নামছে আমি ভাবলাম এর ফাঁকে দুই একটা ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি।কিন্তু তেমন কোনো ভিউ পাচ্ছিলাম না তাই খুঁজতে ছিলাম।এরপর দেখলাম পানির নিচে শেওলা।এবং শেওলা টা সুন্দর লাগছিল কারন পানির ঢেউ এ দোল খাচ্ছিল ও তার সবুজ রংগুলো চোখ এ যেনো একটা কল্পনা একে দিচ্ছিল।আর এর ফাঁকে নদীর সাথে আমার একটা সেলফি বন্দী করে ফেললাম।আর নদীর ধারের কাশফুল গুলো যেনো নদীর শোভা বর্ধন এর জন্য কেউ ইচ্ছে করেই লাগিয়ে দিয়ে গেছে কেনো জানি আমার কাছে এরকম লাগছিল।এই কাশফুল এর গাছ গুলো যেনো নদীর ধারে একটা রোমান্টিক ফিল এনে দেয় যদিও বা এখন কাশফুল ছিলো।থাকলে হয়তো আরো ভালো লাগতো।
এরপর তারা দুইজনে কুশিয়ারা হতে চলে আসে আর আমাকে দিতে অস্বীকৃতি জানায় তারা বলে আমি যদি পানিতে নাকি তাইলে নাকি আমাকে দিবে। যাই হোক তারপর তাদেরকে কষ্ট করে বুঝিয়ে কুশিয়ারা আদায় করি।এরপর আর কিছুক্ষণ তারা পানিতে লাফ ঝাঁপ করে সাঁতার শেখার চেষ্টা করে কিন্ত বেচারাদের ঘিরে ফিরে রেজাল্ট জিরো এই নিয়ে আমি তাদেরকে একটু পচাই।আর এভাবেই শেষ হয় আমাদের নদীতে গোসল করা আর কুশিয়ারা খাওয়া।
Device | model | location |
---|---|---|
Mobile | realme narzo 30a | source |
আজকের মত আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে।ততদিন ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের প্রতি যত্ন নিবেন। |
---|
যমুনেশ্বরী নদী আমার কাছে নতুন একটি নাম। তবে আপনাদের এই নদীটি সত্যি খুবই মনোরম। আর প্রতিটি ফটোগ্রাফি এত সুন্দর করে করেছেন যে নদীরে পরিবেশ দেখে ইচ্ছে করছে এখনই সেখানে ছুটে যাই।
খুব সুন্দর করে আপনি আপনার পরিচিত এই নদী নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।🖤
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit