কথা বলার মাঝে সংযত রাখুন ১০% সাই ফক্স ও ৫% এবিবি স্কুল

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

হ্যালো বন্ধুরা


আসসালামু আলাইকুম

আমার এস্টিমিট সকল বন্ধুরা কেমন আছেন।আশা করি সবাই ভালোই আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমাতে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে কথা বলবো। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তাই সবাই আমার পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়বেন, এবং সুন্দর মতামতের মাধ্যমে উৎসাহিত করবেন। জানো আরও সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাযির হতে পারি।তো চলুন শুরু করা যাক।


আসলে আমি আজকে যে আপনাদের মাঝে কথা বলবো। সেটা হলো মানুষের সাথে কথা বলার সময় সংযত রাখা।যার যবান বা জিহ্বা থেকে অন্য মানুষ নিরাপদ থাকে,সেই হলো একজন প্রকৃত মানুষ। মানুষের মতো মানুষ হতে হলে আমাদের অবশ্যই কথা বলার মাঝে সংযত রাখতে হবে। যে ব্যক্তি জবানের হেফাজত করবে তাকে আজাব ও শাস্তির মুক্তি দেওয়া হবে।ক্ষমতাশালী ব্যক্তি থেকে শুরু করে নিরীহ মানুষ পর্যন্ত যারাই জবানের হেফাজত করে রেখেছে তারাই সফলকাম হয়েছে।এবং তারাই দুনিয়ায় শান্তি সম্মানের অধিকারী হয়েছে।


আমাদের সৃষ্টিকর্তা, মানুষের সাথে সুন্দর কথা বলার বলার জন্য বলেছেন, এবং সদা সত্য কথা বলার জন্য ইঙ্গিত দিয়েছেন।আবার অনর্থক কাজের কথা ছাড়া শুধু শুধু কথা বলার চেয়ে চুপচাপ থাকা অনেক ভালো। বিশ্ব বিখ্যাত 4 সম্রাটের উক্তি থেকে। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ যুগে অতুলনীয় ছিলেন। তাদের উক্তি হলো ->পারস্যের সম্রাট কেসরা বলেন।আমি কম কথা বলার কারণে কখনও লজ্জিত ও অপমানিত হয়নি।বরং কখনো অধিকাংশ বেশি কথা বলার কারণে লজ্জিত হয়েছি।>

water-lily-1510707_1280.webp

Free Copyright image from pixabay.com

যে ব্যক্তি চুপ থাকলো সে নাজাত পেল। চুপ থাকলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে নাজাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চিন্তা ভাবনা করে তাড়াতাড়ি কথা বলে তার জন্য আশ্চর্য হতে হয়। প্রচারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।


সুতরাং অযথা কথা না বলাই আমাদের জন্য ভালো। কারণ যে যত বেশি কম কথা বলবে সে ততো বেশি নিরাপদ। আমাদের মাঝে মাঝে অনেক সময় দেখা যায় আমরা বেশি কথা বলার কারণে আমাদের কথাবার্তাও উল্টাপাল্টা হয়ে যায়। আর এ কথাগুলো উল্টোপাল্টা হওয়ার কারণে মানুষের সাথে দ্বন্দ্ব ফাসাদ ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে।কারণ যার কথা বার্তা সুন্দর তার সাথে মানুষের মিল মহব্বত আকরে থাকে।বিশেষ করে আমরা আমাদের জবানকে ঠিক রাখতে পারলে, আমরা অনেক মিথ্যা কথা থেকে ও বেচে যাব।বেশি কথা বলার কারনে আমাদের মুখ থেকে মিথ্যা কথা বেড়িয়ে যায়। তাই আসুন আমরা আমাদের জিহ্বা কে সংযুক্ত রাখি এবং অযথা কথা থেকে বেচে থাকি।


কম কথা বলা বুদ্ধিমত্তা জ্ঞানের পরিচায়ক। কম কথা বলে সে অনেক অনর্থক বিষয় থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে থাকতে পারে।গীবত পরনিন্দা মিথ্যা অশ্লীল কথা ইত্যাদি, বিভিন্ন ধরনের গুনাহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা তার পক্ষে সম্ভব হয়। সুতরাং প্রতৃক মানুষের উচিত কথা বলার ক্ষেএে সচেতন হওয়া। জিহ্বা মানবদেহের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এর দ্বারা আমরা খাবারের স্বাদ ও মনের ভাব প্রকাশ করি।জিহ্বা ছোট একটি মাংসপিণ্ড হল এটি বড় একটি আল্লাহতায়ার বিশেষ নিয়ামত।জিহ্বা অধিকাংশ অনিষ্টের মূল,অধিকাংশ পাপ পুণ্যের কাজ জিব্বার ধারায় সংঘটিত হয়।তাই জিহ্বাকে সংযত রাখা আমাদের সবার জন্য আবশ্যক।


আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে, আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা অভিনন্দন❤️💙।

আল্লাহ হাফেজ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে আপনি একদম ঠিক বলেছেন কথা বলার বলার মাঝে সংযত রাখা উচিত। যার সাথে যেরকম কথা বলা উচিত সেটা অবশ্য ভেবেচিন্তে এরপর বলা উচিত। শুধু শুধু কথা বলে অন্য মানুষকে কখনোই হেনস্তা করা উচিত নয়।

ভাই আপনি যথার্থই বলেছেন আমাদের সকলের উচিত আমাদের জবান ধারা যেন অন্য কেউ কষ্ট না পায় সেদিকে খেয়াল রাখা। এবং সব সময় মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

জি ভাই একদম ঠিক বলেছেন ধন্যবাদ সুন্দর একটা মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।