আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন, আশা করি ভালোই আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমাতে অনেক অনেক ভালো আছি।আসলে মোটিভেশনাল পোস্ট লেখা লেখি করতে অনেক ভালো লাগে। তাই আজকেও আপনাদের মাঝে একটি শিক্ষা মূলক পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আশা করি সবার কাছে ভালো লাগবে। তো চলুন কথা না বাাড়িয়ে শুরু করা যাক।
আসলে আজকে আমি রাতের ঘুম সম্পর্কে নিয়ে আলোচনা করবো। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে মানুষ রাতের বেলায় ঘুমাতে যায়।কিন্তু এমন অনেকেই আছে, যাঁরা অকাজে বিনা প্রয়োজনে রাতের বেলায় জেগে থাকেন। কিন্তু তাঁরা কি জানে না , রাত জেগে থাকা ভালো না, এতে করে শরিরের ক্ষতি হয়।রাতে কাজ করলে দেহে ঘড়ির ন্যয়,, স্বাভাবিকতায় ছন্দপতন হয়,তছনছ হয়ে যায় দেশের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।আসলে আমাদের সবারই এখন একটা "বদঅব্যাস"হয়ে গেছে রাতে জেগে কাজ করা। এটা আমাদের সবার মধ্যে আছে কম বেশি।রাত জেগে কাজ করা, বা পড়াশোনা করা আমাদের অনেকেরই পছন্দ। কিন্তু রাত জেগে কাজ করলে শরিরের ক্ষতি হয়, এবং শরির দুর্বল হয়ে যায়। তবে কি আর বলবো আমাদের ইস্টিমিট এ যারা এখানে কাজ করে, তারা তো রাত জেগে ছাড়া মনে হয় কেমন জানি কাজ হয়নাআসলে কি বলবো আমাদের এখানের কাজ গুলো রাত ছাড়া হয়ও না, কারণ এসব কাজ নিরিবিলি জায়গা ছাড়া হয় ও না। তার পর ও আমরা একটু চেষ্টা করলেই পারবো। তবে আমরা যদি হিসাব নিকাশ করে টাইম টাকে ভাগ করে নেই। যে এই সময় এই কাজ করবো,সময় কে ভাগ করে নিলেই হয়
আমরা রাত জেগে যত টাকা আয় করবো, তার থেকেও হতে এর দিগুণ টাকা অসুস্থ হলে যেতে পারে।কারণ রাত জাগাই মারাত্মক ভাবে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেঁচে থাকলে জীবনে অনেক টাাক পয়সা ইনকাম করা যাবে। তাই আমি মনে করি আমাদের রাত জাইগা কাজ করা বেশি একটা ভালো না। যদিও কোন জরুরি কাজ থাকলে সেটা মাঝে মাঝে করা যেতে পারে তাতে কোন সমস্যা নাই । কিন্তু লাগাতার প্রতিদিন রাত জেগে কাজ করলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
যুক্তরাজ্যের স্লিপ রিসার্চ সেন্টারের গবেষকেরা ,সম্প্রতি এর উপর একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। যেখানে গবেষকেরা সতর্ক করে জানিয়েছেন । রাত জেগে থাকলে তাদের উচ্চ রক্তচাপ, হৃদয়েরও ক্যান্সারের ঝুঁকি সম্পর্ক খুজে পাওয়া গেছে।গবেষকেরা আরও জানান, মানুষের শরিরের একটি প্রাকৃতিক ছন্দে বা দেহ ঘড়ি রয়েছে।যার ছন্দ হচ্ছে রাতের ঘুম আর দিনের কাজ।রাতে জাগার ফলে হরমোন,পরিবর্তন,দেহের তাপমাত্রায় রদবদল,মেজাজ ও মস্তিষ্কের কাজ কর্মে ব্যাপক প্রভাব পরতে দেখা যায়।গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে,প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাক্যাডেমি অব
সাইন্সেস সাময়িকিতে।
Free Copyright image from pixabay.com
দীর্ঘদিন রাত জেগে কাজ করলে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে শরীরে।টানা রাত জাগলে শরিরে ঘুমের ঘাটতি থেকে যায়। দিনের বেলায় ঘুমালেও রাতের ঘুমের ঘাটতি পূরণ হয়না।রাত জাগার সবচেয়ে বড় প্রভাব হচ্ছে, মেজাজ খিটখিটে থাকা, রক্তচাপে স্বাভাবিক না থাকা,ও কাজে মনযোগ না হওয়া। আমাদের মাঝে মাঝে দেখা যায় যে, আমরা ঘুমিয়ে পরি তার পরেও কাজ করতে থাকি,কিন্তু ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কাজ করা, এটি খুবই একটি "বদঅভ্যাস"।এতে যেমন কাজে ভুল হয়, আর ভুল হলেই আমাদের যে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।তাই আমাদের লাভের চেয়ে, ক্ষতিই বেশি হয়।তাই আমাদের সবারই উচিত বেশি রাত পর্যন্ত জেগে না থাকা। এবং বিনা কারণে অযথা রাত জেগে থাকাই ঠিক না। হয়তো জুরুরি কোন কারণ থাকালে সেটা ভিন্ন কথা।
রাত জেগে কাজ করতে বা পড়াশুনা করতে অনেকেরই পছন্দ। তবে শরিরকে ঠিক রাখার জন্য, অনেক ভিটামিন জাতীয় খাদ্য খাওয়া উচিত। যাতে ঘুম কম হলেও ভিটামিন, জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে শরির ঠিক থাকে। আমাদের শরিরকে ঠিক রাখার জন্য, সুস্থ রাখার জন্য, অবশ্যই ঘুম, ও আহার বিশ্রাম দরকার। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হলে রাত জাগার "বদঅভ্যাস" পরিবর্তন করতে হবে।মাঝে মধ্যে দু,এক দিন রাত জেগে থাকলে তাতে কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু এক টানা রাত জেগে থাকলে,শরিরের ক্ষতি হতে পারে। রাত জাগলে সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব পায়,মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, আলস্য কাজ করে, ব্যায়ামের ইচ্ছে থাকে না,ফলে দিন দিন ওজন বাড়তে থাকে। দীর্ঘদিন রাত জেগে থাকলে, একসময় ঘুমের ছন্দে পরিবর্তন হয়ে আসে। নতুন করে তাকে রুটিনে ফিরিয়ে আনা, তখন বেশ কঠিন হয়ে যায়। রাত জেগে পড়া, বা টার্গেট পূরণের চাপে কিংবা , খেলা দেখার উৎসাহে প্রতিদিনের ওষুধ খেতে ভুলে গেলে বিপদ। অতএব, সবাই এদিকে খেয়াল রাখবেন।
আল্লাহ হাফেজ
🌹❣️💛💚💗💓💜🤎💝💙🧡🤎💚❤️❣️🌷
বেশি রাত জাগলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এবং শরীরের মধ্যে অনেক সমস্যা দেখা যায়। আপনার পোস্টটি অনেক ভালো ছিল তবে চেষ্টা করবেন দুই থেকে তিনটি ছবি ব্যবহার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাই চেষ্টা করবো, ভাই আপনার ভালো লেগেছে শুনে আমার কাছে আরও বেশি ভালো লেগেছে আপনার মন্তব্য শুনে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।আপনার জন্যই অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জনসচেতন মূলক একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তাই আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। খুবই ভালো লাগলো এত সুন্দর দক্ষতা নিয়ে লেখালেখি করার দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আমার পোস্ট পড়ে ভালো লেগেছে শুনে আমার ও অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর সাজেশন দেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit