আমার সকল স্টিমিট বন্ধুরা
নতুন ব্লগে স্বাগতম
হ্যালো বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন আশা করি আল্লাহর রহমাতে অনেক ভালো আছেন। আমি আল্লাহর অশেষ রহমাতে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি একটি মোটিভেশন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আজকেও আমি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তো সবাই আমার পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়বেন, এবং সুন্দর মতামতের মাধ্যমে উৎসাহিত করবেন যেন পরবর্তী পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে আবার হাজির হতে পারি। তো চলুন শুরু করা যাক।
পৃথিবীর প্রায় "90" ভাগ মানুষ তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়।কিন্তু তাঁরা কেন প্রথমে তাদের জীবনে সফল হতে পারেন না। কারন হলো,জীবনের লক্ষ্য ঠিক না রাখা। ফলে সফলতার মুখ দেখতে হলে তাদের কঠিন সময় পার করতে হয়।তাই আপনি জীবনে কি অর্জন করতে চান, তার একটি পরিষ্কার ধারণা পেতে চাইলে। প্রথমেই আপনাকে জীবনের লক্ষ্য ঠিক করতে হবে।
"বিল গেটস" বিশ্বের অন্যতম একজন সফল ব্যক্তি। তিনি বলেন, ।তিনি বলেন জীবনের সাফল্য আনন্দ করা ভালো।সাফল্যর পূর্বে ব্যর্থতা আসবেই এটাই স্বাভাবিক।তাই সাফল্যর মিষ্টতা উপভোগ করার আগে, আপনার ব্যর্থতাকে বিজয় করে শিখতে হবে।
পৃথিবীর অধিকাংশ সফল ব্যক্তিরা কখনোই একবারে সফল হননি।তারা জীবনে বহুবার ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়েছেন।বিশেষ করে ব্যর্থতার সম্মুখীন না হয় কেউ কোনদিন সফলতার মুখ দেখতে পায় না। কারণ ব্যর্থতায় আমাদের শিখিয়ে দেয় সফলতার পথ, আর এই ব্যর্থতার মাধ্যমে আমরা অর্জন করতে পারি একটি সফলতার উওম পথ।কিন্তু এই ব্যর্থতা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষ্যে কখনোই বাঁধা হতে পারেনি।
বেশিরভাগ মানুষের জীবনের প্রথম সফলতা না হওয়ার প্রদান কারণ গুলোর মধ্যে একটি হলো,মনের ভিতর নেতিবাচক চিন্তা রাখা।এই চিন্তাভাবনাগুলো অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে বাঁধা দেয়।ফলে আপনার দৈনন্দিন রুটিন ব্যাহত হয়।তাই আপনাকে অবশ্যই এই নেতিবাচক চিন্তা গুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
একজন হতাশাগ্রস্ত মানুষ কখনো সফলতা অর্জন করতে পারে না।কারন তারা নিজেও হতাশ থাকে এবং তাদের চারপাশের মানুষের জন্য একটি নেতিবাচক বিব্রতকর পরিবেশ সৃষ্টি করে তোলে।তবে মনে আশা এবং বিশ্বাস থাকলে প্রত্যেকের জীবনে কিছু ঘটতে পারে।এই বিশ্বাস আপনাকে প্রত্যেক পরিস্থিতিতে একটি পরিষ্কার এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে সাহায্য করে।পজিটিভ ধারণাগুলো আপনার জন্য কেবল নতুন সম্ভাবনার পথ খুঁজে দেবে না,বরং আপনাকে সাফল্যের চূড়ায় উঠাতে সাহায্য করবে।
লক্ষ্যের অনিশ্চয়তা একজন সাফল্য ব্যক্তিকে অর্জন করতে বাঁধা দেয়। অনেকেই জীবনের লক্ষ্য ঠিক না রেখে কাজে নামতে চায়।আমাদের লক্ষ্য আগে ঠিক রাখতে হবে। আমরা কোন দিকে যাচ্ছি কি করছি আমাদের লক্ষ্য এবং বিশ্বাস যদি একতা হয়ে যায়, তাহলে আমরা অবশ্যই সফলতা অর্জন করতে আমাদের কোনো কিছুতেই বাঁধা দিতে পারবো না।কিন্তু আপনি জীবনে যে লক্ষ্য অর্জন করতে চান তার জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিশ্রম ও দৃঢ়তা ইচ্ছাশক্তি।
সাধারণত বেশিরভাগ মানুষই তাদের লক্ষ্য অর্জন না করে হার মেনে নেয়।কারণ কাজটি থেকে বের হয়ে আসার এটাই সহজ উপায়।আবার ব্যর্থ হওয়ার ভয়ে থেকেও তারা তাদের লক্ষ্য থেকে দূরে সরে আসে ।যা তাদেরকে ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যায়।
যেহেতু আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে তাই কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই।বিভিন্ন সমস্যা ও ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে হবে।কিন্তু হার মেনে নেওয়া কখনোই কোনো সমাধান হতে পারে না।আবার অলসতা কাজে টিলেমি, বা মানসিক শারীরিক চাপ,লক্ষ্য অর্জন করতে না পারার একটি কারণ। এটি আপনার জীবনের লক্ষ্য অর্জনের পথে একটি বাঁধা হতে পারে। এবং আপনার মনে বাঁধা হতাশা ও অসন্তুষ্টির সৃষ্টি করে।
অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যেকোনো কাজের প্রতি আপনার ইচ্ছাকে জাগিয়ে তোলে। ফলে আপনি সংক্রিয়ভাবে আগের তুলনায় আরো ভালো কাজ করতে পারবেন।এই অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ আপনাকে নতুন করে,নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে ও সে অনুযায়ী কাজ করতে আপনাকে সাহায্য করবে।
আল্লাহ হাফেজ
🌷🤎❤️💗💙🧡❣️💚💝💜❣️🧡❤️💛🌹
জীবনে ব্যর্থ হওয়ার কারণ নিয়ে অনেক সুন্দর লেখা লিখেছেন। আসলে এরকম লেখা আমি খুবই পছন্দ করি। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জীবনে ব্যর্থ হওয়ার কারণগুলো আপনি খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আসলেই ব্যর্থ হওয়ার পিছনে এভাবে অনেক কারণ থাকে। আপনার লেখাগুলো সব আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই লেখাগুলো শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit