আকাশ ও মহাবিশ্বে কি আছে ১০% সাই ফক্স ১০% এবিবি স্কুল

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগ পরিবার
নতুন ব্লগে স্বাগতম



হ্যালো বন্ধুরা

আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন আশা করি ভালোই আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমাতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি প্রতিদিনের মতো একটি মোটিভেশন পোস্ট নিয়ে আলোচনা করবো।তবে আজকে ভিন্ন কিছু টপিক নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করি সবাই উপকৃত হবেন। তবে সবার কাছে অনুরোধ আমার পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়বেন। এবং সুন্দর মতামতের মাধ্যমে উৎসাহিত করবেন। তো চলুন শুরু করা যাক


আমরা রাতের আকাশে যে তারা দেখিয আজ থেকে হাজার হাজার বছর আগে মানুষ সূর্য, তারা, উল্কা ছায়াপথ ধুমকেতু ইত্যাদি, পর্যবেক্ষণ করে তাদের সম্বন্ধে জানার চেষ্টা করতো।সেই সময়ে আজকের মত বিজ্ঞান ততটা উন্নত ছিল না।ঘড়ি ক্যালেন্ডার কম্পাস ও ছিল না।চাঁদ ও সূর্যের চলাচল দেখে, দিন দিক মাস বছর গণনা করতো।আসলে আগের সময় মানুষ গুলি খুবই।বিশ্ব জগৎ সম্পর্কে ধারণা ছিল খুবই কম।কারন আগেকার সময়, আজকের মতো বিজ্ঞান ততটা উন্নত ছিল না।

sea-164989_1280.jpg

Source


সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে মোটামুটি উপরে দিকে 1000 কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত যে শুন্যস্থান আছে তাকে আকাশ বলা হয়।পৃথিবী ছাড়িয়ে রাতের আকাশে তাকালে যতদূর দেখা যায়,সেই বিশাল ফাকাস্তানকে মহাকাশ বলে।মহাবিশ্ব সৃষ্টি নিয়ে অনেক মতপার্থক্য রয়েছে। আধুনিক মত অনুসারে -- মহাবিশ্বের সমস্ত পদার্থ একটি বালি কনার মত ছোট অবস্থায় ছিল। প্রায় ১৪০০ কোটি বছর আগে প্রচুর তাপ ও শক্তি নিয়ে এর প্রসারন শুরু হয়। সেই সঙ্গে প্রচুর গ্যাসের এর মহাজাগতিক মেঘ ধূলিকণা তৈরি হয়।কোটি বছর ধরে এই গ্যাস মেঘ থেকে তৈরি হয় গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র ছায়াপথ, উল্কা, ধূমকেতু,নীহারিকা ইত্যাদি।মহা আকাশের পরিসীমা ঠিক কতদূর সেটা আসলে মানুষের ধারণার বাইরে।


corn-field-440338_1280.jpg

source

নক্ষত্র নক্ষত্রমন্ডল-- মহাকাশে রয়েছে বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তু।এগুলো হলো গ্রহ, উপগ্রহ, উল্কা ছায়াপথ, নীহারিকা।এখন আমরা এগুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু জেনে নিব।এসব জ্যোতিষকে নিজের আলো ও উত্তাপ আছে তাদেরকে নক্ষত্র বলে।সূর্য ও নক্ষত্র আছে আমাদের থেকে ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে।জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের বিভিন্ন নক্ষত্র আলোকবর্ষ একক দিয়ে দুরত্ব পরিমাণ করেন। ১ সেকেন্ডে আলোর গতি প্রায়, ৩০০,০০০ কিলোমিটার। এই হিসাবে আলো এক বছরে যত দুরত্ব, অতিক্রম করে সেটাই হলো আলোকবর্ষ। অনেক নক্ষত্র কাছাকাছি অবস্থান করে,তাদের কাল্পনিক রেখা দিয়ে যোগ করলে,বিভিন্ন আকৃতি গঠিত হয়।এদেরকে বলা হয় নক্ষত্রমন্ডল।


গ্রহ ও উপগ্রহ -- যে সমস্ত জ্যোতিষ্কের নিজের আলো উত্তাপ নেই।যাঁরা নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত হয় তাদেরকে গ্রহ বলে।আবার গ্রহের চারদিকে যারা ঘোরে তাদেরকে উপগ্রহ বলে।উপগ্রহরা আলো নক্ষত্রের কাছ থেকে পায়।সূর্যের চারদিকে আবর্তন করে ৮ টি গ্রহ।এগুলি হল-- বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি,শনি, উরেনাস,ও নেপচুন। আর চাঁদ হলো পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। চাঁদ তার আর্বতন পরিক্রমণ শেষ করে ২৭, দিন ২৮ ঘন্টয়।

ocean-1867285_1280.webp

Source


নীহারিকা -- মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময় অসংখ্য ধূলিকণা গ্যাসের মহা জাগতিক মেঘ তৈরি হয়।তার থেকে তৈরি হয়েছে নীহারিকা। মহাবিশ্ব সৃষ্টির প্রায় ১০ লক্ষ বছর পর গ্যাসীয় পদার্থ গুলি জমাট বেঁধে, প্রচন্ড গতিতে একে অপরের সাথে মিলে জ্বলন্ত নক্ষত্রের জন্ম দেয়। এই নীহারিয়া থেকে নক্ষদের জন্ম হয়েছে।


ছায়াপথ --মহাকাশের এক এক জায়গায় লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি, তাঁরা ও গ্যাসীয় বস্তু মিলে একটি বিশাল তাঁরা জগত গড়ে তোলে,একে ছায়াপথ বলে। ছায়াপথ গুলি ডিম্বাকার প্যাচালো , ইত্যাদি নানা রকম হয়।খালি চোখে আমরা যে তাঁরা গুলি দেখি,আকাশগঙ্গা ছায়াপথের তারা।সূর্য পৃথিবী ও গ্রহ গুলি ,আকাশগঙ্গা ছায়াপথে রয়েছে। আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের কেমন লেগেছে, তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আশা করি ভালো লাগবে। এবং আমার লেখার মধ্যে যদি কোন ভুল হয় তবে সবাই ক্ষমা করবেন, যাতে করে ভুল গুলি শুধরে নিতে পারি।

আল্লাহ হাফেজ

🌹❣️🤎💗🧡💙💓💝❤️❣️💚💜🤎💜💓🌷

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনি ঠিকই বলেছেন বর্তমান বহির্বিশ্বে বিজ্ঞানের যে পরিমাণ প্রযুক্তি চলমান, আগে তেমনটা ছিলনা। আগে মানুষ সূর্যটাকে দিন কাল পাত্র বছর এগুলোর হিসাব করতো। কোটি বছর ধরে এই গ্যাস মেঘ থেকে তৈরি হয় গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র ছায়াপথ, উল্কা, ধূমকেতু,নীহারিকা ইত্যাদি একতারা জগতকে ছায়াপথ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছে বিভিন্ন গ্রহ উপগ্রহ। তবে এগুলো সব কিছুই আল্লাহর সৃষ্টি। যদিও আপনি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন আর আপনার এই পোস্ট এর বিশ্লেষণ করা আমার পক্ষে হয়তো সম্ভব নয়। তবে অসাধারণ এবং শিক্ষনীয় বিষয় ছিল। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

ধন্যবাদ আপনাকে ও এতো সুন্দর একটা গঠন মূলক মন্তব্য করার জন্য।

আপনার কথার সাথে আমি একমত মানুষ হাজার বছর ধরে তারা গ্রহ নক্ষত্র উপগ্রহ ইত্যাদি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে। যার ফলশ্রুতিতে মানুষ কিছু জ্ঞান অর্জন করেছে। মহাবিশ্বের সৃষ্টি প্রায় 10 লক্ষ বছর আগে গ্যাসীয় পদার্থ একত্রে জমাট বেঁধে নক্ষত্র সৃষ্টি হয়। অনেক সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য তিনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনাকেও ধন্যবাদ গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

অনেক সূন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আকাশ মন্ডল ও গ্রহ মন্ডলের পরিচয়। এগিয়ে যান পাশে আছি।