গুড্ডু - চতুর্থ পর্ব

in hive-129948 •  2 years ago 

আচ্ছালামুয়ালাইকুম বন্ধুরা, আসাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও এখন আলহামদুলিল্লাহ মোটা মুটি সুস্থ। আমাদের ছয় ঋতুর দেশ এখন আমাদের কোন পাত্তাই দেয় না। অতিরিক্ত গরম আর লোডশেডিং এর কারনে সহজেই আমরা অসুস্থ হয়ে পরছি।

এরই মাঝে আপনাদের সাথে কানেক্টেড হতে গুড্ডুকে নিয়ে হাজির হলাম।

গুড্ডু আমার পোষা বিড়ালের নাম ওর জীবন যুদ্ধ নিয়ে আমার এই ধারাবাহিক ছোট গল্প।
যারা পূর্বের পর্ব গুলো দেখেননি দেখে নিতে পারেনঃ
গুড্ডু - প্রথম পর্ব
গুড্ডু - দ্বিতীয় পর্ব
গুড্ডু - তৃতীয় পর্ব

IMG20211210214954jhg.jpg

গুড্ডু এখন হাতে-পায়ে ভালোই বড় হয়ে গিয়েছে। যেমন দুষ্টুমি শুরু করছে এতেই বোঝা যায় ও ওর ভালো-মন্দ যাচাই করতে পারে। কিন্তু মানুষ সমাজে একটা পশুর ভালো-মন্দের বিচারে সব দিক দিয়েই মূল্যহীন। এই শিক্ষাটা গত পর্বেই ফুটে উঠেছে।

ঐঘটনার পর থেকে রুমের জানালা চিরতরে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেই এবং বাস্তবায়ন করা হয়।

এখন গুড্ডু পরিপূর্ণ ভাবে সব কিছুই করতে পারে, নিজে নিজের টয়লেটে টয়লেট করে কখন করে আমরা বুঝতেই পারি না। খিদে লাগলেও মিউ মিউ করে বুঝিয়ে দেয়, তার খিদে লেগেছে।
ওসারাক্ষন ঘরের ভেতরেই থাকে, আমি সারাদিন মার্কেটেই কাটাতাম ওকে নিয়ে আমার স্ত্রী সহজেই দিন কাটিয়ে দিত। খালি ঘরের একাকিত্ব দুর করেছে আমার স্ত্রীর।
গুড্ডু আমাকে কঠিন ভালোবাসে এবং আমাকে এতটাই বিশ্বাস করে যে আমি ঘুমিয়ে থাকলে আমার পায়ের উপরে মাথা রেখে ঘুমিয়ে বুঝিয়ে দিত আমার প্রতি ওর কৃতজ্ঞতা।

PXL_20220301_095519236.jpg

ছবিঃ ফেব্রুয়ারি ২০২২
তুলেছে আমার স্ত্রী। কোন একদিন মার্কেট বন্ধ থাকার কারনে দুপুরে খেয়ে ঘুম দিয়েছিলাম, তারই মাঝে এই ছবিটি তুলে রেখেছে।
ওর এই আচরন গুলো আমাকে ওর প্রতি দূর্বল করে দিতো। ওরসাথে থাকলে জমে থাকা ক্লান্তিকর সময়ের কথা ভুলেই যাই।
ঘরে থাকা টিকটিকি আর তেলাপোকা পেলে গুড্ডুর দিনটা কাটতো ভালো। ওগুলোকে না মারা পর্যন্ত খেলেই যেতো।

এভাবেই গড়াতে থাকে দিন গুলো…..

কিছুদিন পরেই খবর আসে ছোট্ট ভাইর সুন্নতে খতনার অনুষ্ঠানের, যেতে হবে পাবনায়। এই নিয়েই প্রস্তুতি চলে আমাদের গুড্ডুকে কিভাবে নিয়ে যাবো।
টাংগাইলের সখিপুর থেকে পাবনার বেড়া উপজেলাতে, দুইটা হাইওয়ে বাস চেন্জ এবং দুইবার সিএনজিতে নামা উঠা করতে হয়, এবং প্রায় ৬-৭ ঘন্টার রাস্তা।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ বাসিন্দা আজ এপর্যন্তই, আগামী পর্বে সেয়ার করবো এর পরের টুকো। ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা আল্লাহ্ হাফেজ।

আমার পরিচয়

PicsArt_12-12-08.02.49.jpg

আমি ,আল - মামুন

আমার বাড়ি পাবনা জেলায়

বাংলা আমার মাতৃভাষা, আমি আমার মাতৃভাষাকে ব্যবহার করতে ভালোবাসি, এ ভাষায় আমি আমার মনের ভাব প্রকাশ করে শান্তি লাভ করি। এই ভাষাতে ব্লগিং করার জন্য "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে আমার পথ চলা শবে মাত্র শুরু। বর্তমানে আমি লেভেল-৪ এ ক্লাসরত আছি

@MyFriendMamun.png
আমার বাংলা ব্লগ, বাংলা ভাষার ঐতিহ্য

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

Puppies,🐶 kittens🐱 and all that is good in the world.🌏🌍🌎

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
default.jpg

বিড়াল আমার খুব পছন্দের একটি প্রাণী। আমার কাছে খুব ভালো লাগে ওকে দেখতে। ইভেন আমার মেয়েরও খুব পছন্দ। বিড়াল দেখলে ওর খুশির যেন কোন শেষ থাকে না। জি ভাইয়া দেখলেই বোঝা যাচ্ছে গুড্ডু আপনাকে কতটা ভালোবাসে।

অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখে। আর হ্য গুড্ডু আমাকে অনেক ভালোবাসতো।

মামুন ভাই, আপনার গুড্ডু দেখতে বেশ কিউট, তাকে নিয়ে লিখাগুলো আমি পড়ে, বেশ উপভোগ করি। গুড্ডু কিন্তু আপনাকে অনেক ভালোবাসে, বিড়াল যাকে খুব ভালোবাসে, তার পায়ের কাছে ঘুরঘুর করে এবং তার মায়াটা বোঝা যায়। আমি জানি গুড্ডুর প্রতিও আপনি অনেক দুর্বল। অনেক ভালো লাগে যখন আপনি গুড্ডুকে নিয়ে, নতুন নতুন বিষয়গুলো শেয়ার করেন। আসলেই তেলাপোকা দেখলে বিড়াল খুব সুন্দর ভাবে, তাদের সাথে খেলা করে। কিন্তু এ কথা সত্য এক পর্যায়ে মেরে ফেলে। আসলে গুড্ডুকে নিয়ে লেখা আপনার প্রতিটি পর্ব খুব সুন্দর ভাবে আমি উপভোগ করি। ধন্যবাদ মামুন ভাই। এত সুন্দর পোস্টগুলো আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

প্রিয় ভাই আপনার মন্তব্য দেখে আমি সর্বোচ্চ অনুপ্রেরণা পাই, আপনার মন্তব্য আমাকে নতুন করে পোষ্ট লেখার উৎসাহ যোগায়। আপনি আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোষ্টি পরেছেন সেই সাথে মন্তব্যে গুড্ডুকেও নটিস করেছেন। খুবশিগ্রই গুড্ডুর পরের পর্ব নিয়ে আসতেছি ইনশাআল্লাহ