ট্রেভেল টার্গেট - রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্তমান দৃশ্যমান অবস্থা

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

আচ্ছালামুয়ালাইকুম প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ বাসিন্দা, আসাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তবে একটু পারিবারিক সমস্যায় আছি, যে কারনে লেখা লেখি নিয়মিত হচ্ছে না। খুব শিগ্রই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো ইনশাআল্লাহ।

আজকে আপনাদের সাথে সেয়ার করবো ভিন্ন ধরনের কিছু। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির জন্য আমার এই ভ্রমনটা।
ইদানীং বাংলাদেশ লোডশেডিংএ ভুগছে। এই ভুগান্তি আর কত দিন হতে পারে তারই কিছু ধারনা পেতে যাচ্ছেন আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে। তবে বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক।

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র.jpg
সোর্স
আমার বাড়ি পাবনা জেলায়, পাবনার মাটিতে তৈরি হচ্ছে আধুনিক বিদ্যুৎ উন্নয়ন প্রকল্প। এটা মনে করতেই ভেতর থেকে দেশের প্রতি মায়া জন্ম নেয়। এতদিনেও সেই জায়গায় আমার পদার্পণ হয়নি এটা ভাবতেই লজ্জাবোধ হয়।

২২ জুলাই, ২০২২
শুক্রবার সকাল ৭:১৫
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই রওনা দেই রেল স্টেশনের দিকে। সেখান থেকে দুইটা ট্রিকেট ক্রয় করি কাশিনাথপুর টু ঈশ্বরদী বাইপাস যাত্রার উদ্দেশ্যে। দুঃখঃজনক ব্যাপার টিকেটে কোন সিট নাম্বার ছিলো না। সকাল সকাল মেঘাচ্ছোন্ন আকাশ, ঠান্ডা ও মনরোম পরিবেশে বিষয়টা ততটা খারাপ লাগলো না।

IMG20220722071722.jpg

ছবিঃ সকাল ৭:২৩
ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করি কখন আসবে ট্রেন, এটা নতুন স্টিশন প্রায় দুই বছর হয়েছে, এই রাস্তায় ট্রেন চালু হয়েছে। শুধু মাত্র একটা ট্রেনই চলে নাম "ঢালারচর এক্সপ্রেস" ঢালার চর থেকে রাজশাহীর রেলগেট পর্যন্ত।

অবশেষে ট্রেনের দেখা মিলে ঠিক সকাল ৮:০০।
ভিডিওঃ

ট্রেনে সিট নেই মানেই ফাকা সিটগুলোই আমাদের।
এরই মাঝে চা ওলার দেখা, এই সুযোগ আর মিছ করলাম না।

IMG20220722081311.jpg

ছবিঃ সকাল ৮:১৩

কিছু দুর যেতেই আর সিটে বসে থাকা হলো না, সিট নাম্বার সহ যাত্রী হাজির। কিছুই করার নেই ওনাকে স্বাগতম জানালাম এবং ট্রেনের এপাশ থেকে ওপাশে ঘুরাঘুরি শুরু করলাম।

অল্প কিছুটা পথ যেতেই আমাদের স্টেশন পেয়ে যাই।

IMG20220722094611.jpg

ছবিঃ সকাল ৯:৪৬
ট্রেনটিকে বিদায় জানিয়ে আমরা বেরিয়ে পরি আমাদের গন্তব্যের দিকে। সেখান থেকে একটি অটো-রিকশা নিয়ে এগোতে থাকি রূপপূরের দিকে।

কাছা কাছি যেতেই দেখামিলে সেখানকার পাহাড়ায় থাকা সেনাবাহিনীর সাথে, তাদের অনুমতি না পাওয়া ঘুরে চলে আসতে হয় অন্য দিকে।

এবার পাশে থাকা পাকশী স্টেশনের দিকে অটোরিকশা অলাকে যেতে বলি।

এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোটাই সেনাবাহিনী মোতায়েন করে হেফাজত করা হয়েছে, সেখানে সাধারন জনগনের এমনকি কোন প্রকার সাংবাদিক দেরও আশে পাশে ঘোরাঘুরি সম্পূর্ন নিষেদ।

মনে মনে চিন্তা করতে থাকি কিভাবে কী করা যায়।

যাইহোক আপাততো পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পরিদর্শন করা যাক।

অটো অলাকে পাকশী স্টেশনে নিয়ে যেতে বললাম, কারন রেললাইন এর রাস্তা অনেক উচু।

ভিডিওঃ

পাকশী হার্ডিঞ্জব্রিজ থেকে ঈশ্বরদী বাইপাসগামী ট্রেন

ইংরেজ আমলের এই নিদর্শন এখনো সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে….

প্রতিদিন প্রায় ৩০টিরো অধিক ট্রেন যাতায়াত করছে এই পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে।

যাই হোক আমাদের টার্গেট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এ আসার মূল কারন ছিলো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রোকে ভালো করে যেনো দেখা যায়।

IMG20220722105339.jpg

ছবিঃ সকাল ১০:৪৫, পাকশী স্টেশন, পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ

পাকশী হার্ডিঞ্জব্রিজ এর সামনেই পাকশী স্টেশন অবস্থিত।

এবং পাকশী স্টেশনের দক্ষিণ দিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবস্থান।

IMG20220722105047.jpg

ছবিঃ পাকশী স্টেশন থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

কাজের এই অগ্রগতি দেখে, আসাকরা যায় ২০২৪ সালের ভেতরেই কাজ সম্পন্ন হবে। আর এটা কম্পিলিট হলেই বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে। আমাদের বর্তমান লোডশেডিং থেকে মুক্তি পেতে হলে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিপূর্ণ ভাবে সক্রিয় করতে হবে।

যারা এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে কিছুই যানেন না, তারা উইকিপিডিয়ায় বিস্তারিত দেখে নিতে পারেন।
উইকিপিডিয়াঃ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

কিছুক্ষন পাকশী স্টেশনে সময় কাটিয়ে, চলে যাই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর নিচে। সেখানে পর্যটকদের জন্য হাল্কা খাবারের কয়েকটা দোকান গরে উঠেছে।

IMG20220722120517.jpg

ছবিঃ হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এর নিচে অবস্থিত চটপটির দোকানে

আমরা এসেছিলাম দুজন হঠাৎ করে হয়ে যাই পাঁচ জন। বাকি তিনজন আমাদের মতই ঘুরতে আসা পর্যটক, তবে ওনারা পাবনা জেলার না। ওনারা যশোর জেলা থেকে এসেছেন। একে অপরের ছবি তুলা দিয়ে পরিচয়।

ওনাদের সাথে থেকে আমাদের দল ভারি হয়। চটপটি শেষ করে আমরা সকলেই এক সাথেই জুমার নামাজ আদায় করি আমরা পাকশী স্টেশন মসজিদে।

প্রিয়, বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই পরবর্তী পোষ্টে সেয়ার করবো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে ভেরার সময় গুলো, ততক্ষন ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায়, আল্লাহ হাফেজ।

আমার পরিচয়

PicsArt_12-12-08.02.49.jpg

আমি ,আল - মামুন

আমার বাড়ি পাবনা জেলায়

বাংলা আমার মাতৃভাষা, আমি আমার মাতৃভাষাকে ব্যবহার করতে ভালোবাসি, এ ভাষায় আমি আমার মনের ভাব প্রকাশ করে শান্তি লাভ করি। এই ভাষাতে ব্লগিং করার জন্য "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে আমার পথ চলা শবে মাত্র শুরু। বর্তমানে আমি লেভেল ৪এ ক্লাসরত আছি

@MyFriendMamun.png
আমার বাংলা ব্লগ, বাংলা ভাষার ঐতিহ্য

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
default.jpg

যাত্রার অসাধারণ অনুভূতিগুলো আপনার পোস্টে ফুটিয়ে তোলার যথেষ্ট চেষ্টা করছেন। শুরুটা অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।

পাকশী হার্ডিঞ্জব্রিজ থেকে ঈশ্বরদী বাইপাসগামী ট্রেন । ইংরেজ আমলের এই নিদর্শন এখনো সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে….

এই কথাটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সব মিলিয়ে পোস্টে অনেক নতুনত্ব ও ভিডিওচিত্রর মাধ্যমে ট্রেনের সৌন্দর্য আপনার পোস্টটিকে আরো অতুলনীয় করে তুলেছে। শুভকামনা এবং পরবর্তী কার্যক্রম এর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।