আসসালামুআলাইকুম।
কি খবর বন্ধুরা?আশা করি যে যেখানেই আছেন ভালো আছেন।
আজকে আপনাদের সাথে আমি আমার দাঁতের চিকিৎসার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে যাচ্ছি।
source:https://pixabay.com/
কিছুদিন যাবত আমার দাঁতে খুব ব্যথা হচ্ছিল। যার দরুন আমি ঠিকমত খেতে পারছিলাম না। তাই আমার বাবা বলল আমাদের বাসার পাশে একজন ডেন্টিস্ট আছে,তার কাছে গিয়ে দেখতে।১/২ দিন পর আমি গিয়েছিলাম তার কাছে।সে বলল আমার ৫টি দাঁতে সমস্যা, ২টি দাঁতে ক্যাপ করতে হবে। আর বাকি ৩টি দাঁতে ফিলিং করতে হবে।তার কাছ থেকে আমি সাময়িক চিকিৎসা নিলাম। যাতে ১/২ সপ্তাহ কোন সমস্যা না হয়।
- কিছু সপ্তাহ অতিবাহিত করার পর আমি ও আমার বাবা চিকিৎসার জন্য ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বের হই।
- আপনারা যারা ঢাকায় থাকেন, তারা তো জানেন ঢাকায় কী পরিমাণ জ্যাম।কোথাও বেরোতে গেলে এই জ্যামের কারণে সারাদিন কেটে যায়। আমার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়, মিরপুর ১৪ এর উদ্দেশ্যে যাত্রাপথে আমাকেও এই জ্যামের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
location:https://w3w.co/streetcar.button.prepped
- অনেক সময় জ্যামে অতিবাহিত করার পর, অবশেষে আমি আমার গন্তব্যস্থলে পৌঁছে গেলাম। ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল মিরপুর ১৪ তে অবস্থিত। যারা মিরপুরে আশেপাশে থাকেন তারা চিনতে পারবেন। চলুন আর বিস্তারিত না বলে ভিতরে যাওয়া যাক।
- আমাদের দাতের চিকিৎসার জন্য ৩ তলায় যেতে হবে। লিফট ব্যবহার করে আমরা ৩ তলায় যাবো।এই হাসপাতালে আবার করোনা টিকাও দেওয়া হচ্ছিল। তাই মানুষের জমায়েত একটু বেশি ছিল।
চিকিৎসাঃ
- প্রথমত বলবো চিকিৎসা কেমন ছিল। চিকিৎসা আমার কাছে খুব ভালো লাগে।বিশেষ করে আমার চিকিৎসারত ডাক্তারের কথা বলতেই হয়। তার সুন্দর ব্যবহার,যত্নশীল চিকিৎসা আমাকে মুগ্ধ করে। বুঝলাম সে সে একজন ভালো মনের মানুষ। সে আমার দুই দাতে রুট ক্যানেল বা আরসিটি চিকিৎসা সম্পাদন করে থাকে। পরবর্তীতে আমি আমার বাসার পাশের একটি চেম্বার থেকে বাকি কাজ সম্পাদন করে।
চিকিৎসার কার্যক্রমঃ
- এই দাতের চিকিৎসায় প্রথম পর্বে মোটামুটি কষ্ট হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে কষ্ট ছিল মারাত্মক। দ্বিতীয়পর্বে আমার ঘাঁটি কেটে ছোট করা হয়। তারা এমন কাটাকাটে দেখে মনে হচ্ছে আমার দাঁতই নেই। এরপর তারা আমার দাঁতের মাপ নেয়। এবং পরবর্তীতে দুটি কেপ বসিয়ে দেয়।
চিকিৎসা শেষে অভিজ্ঞতাঃ
- চিকিৎসা শেষে আমার মনেই হচ্ছিল না যে এটি আমার ক্যাপ পরানো দাঁত। দেখতে এত নিখুত লাগছিল বোঝা মুশকিল ছিল কোনটি কেপ পড়ানো দাঁত। প্রথম দিন একটু ব্যথা ছিল, কিন্তু ৩/৪ দিন পর স্বাভাবিক হয়ে যায়। তাও খাওয়ার সময় একটু বুঝা যায় এটি কেপ যুক্ত দাঁত। এখন ব্যথা তেমন নেই। ভালোভাবেই চিকিৎসারই সম্পাদন করলাম।
উপদেশঃ
এখন আমি আপনাদের কিছু উপদেশ দিতে যাচ্ছি।
- প্রতিদিন ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করবেন
- অন্তত দু'বার ব্রাশ করবেন
- রাতে খাবার পর এবং সকালের নাস্তা খাওয়ার পর