ফার্নান্দেজের গোল চুরি করতে চাননি মেসি

এবারের কোপা আমেরিকায় গোল খরায় ভুগলেন লিওনেল মেসি। অবশেষে গতকাল প্রথম গোলের দেখা পান। তবে কানাডার বিপক্ষে সেমিফাইনালে যেভাবে মেসির গোল এসেছে, তাতেও ভাগ্যের ছোঁয়া আছে।

মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজের শটে গোলে পা ছুঁয়েছিলেন মেসি। তাই ম্যাচ শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে—ফের্নান্দেজের গোল কি মেসি চুরি করলেন! মেসি নিজেও গোলের কথা বলেছেন। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসকে তিনি বলেছেন, ফার্নান্দেজের গোলটি তার নামের নিচে লেখার ইচ্ছা তার নেই।

গোল নিয়ে হাসিমুখে মেসি বলেন, আমি এনজোকে বলেছিলাম, তার গোল কেড়ে নেওয়া আমার উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু দেখলাম গোলরক্ষক শুয়ে আছেন, বল আসছে ধীরে ধীরে। তাই বলের গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন করেছি।
কানাডিয়ান ফুটবলাররা গোল করে অফসাইডের আবেদন করেন। যাইহোক, মেসি যখন বক্সে ছিলেন, তখন একজন কানাডিয়ান ডিফেন্ডার ডিফেন্সে অনেক নিচে নেমে যান এবং আর্জেন্টাইন অধিনায়ক অফসাইডের ফাঁদে পড়েননি। তাই ভিডিও রিপ্লে দেখে গোল বহাল রাখেন রেফারি।

গোল যেভাবেই আসুক না কেন, মেসিও গড়েছেন বেশ কিছু রেকর্ড। ইরানের আলি দাইকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলদাতা হয়েছেন মেসি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার গোল এখন 109। কোপা আমেরিকার ইতিহাসে ব্রাজিলের জিনেনোর পর মেসি ছয়টি ভিন্ন প্রতিযোগিতায় গোল করা দ্বিতীয় খেলোয়াড়ও হয়েছেন।

কোপা আমেরিকার ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার সুযোগ ছিল মেসির। তিনি 13 গোল দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলেন। সেমিফাইনালে একটি গোল নিয়ে এখন তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪।

আর কোপা আমেরিকার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৭ গোল আর্জেন্টিনার নরবার্তো মেন্ডেজ ও ব্রাজিলের জিজিনহোর। তাদের কাছে পৌঁছতে হলে ফাইনালে হ্যাটট্রিক করতে হবে মেসিকে।

মিয়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় ফাইনালে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।