আহাঃ কি আনন্দ আকাশে বাতাসে

in hive-129948 •  2 years ago 

নমস্কার সবাইকে।কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালোই আছেন। আমিও ভগবানের কৃপায় ভালোই আছি।
893cf30daf0c4ee1e593e43d0e87ffed.0.jpg
অগ্রহায়ণ মাস চলছে। ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া। আর আগের ব্লগেই লিখেছি যে দিনাজপুরের ঠান্ডা অসহনীয় মাএায় পড়ে। তাই সেই সময়টা পারতো পক্ষে কুহুকে নিয়ে বাইরে যাওয়া টা এড়িয়েই চলি।কিন্তু যেহেতু ঠান্ডা টা এখন ও তেমন প্রভাব বিস্তার করেনি তাই কর্তা মশাইকে বললাম চল আজ একটু কোথাও থেকে বেরিয়ে আসি।আর যেহেতু আজ বন্ধের দিন ছিল তাই সে ও না করল না।আর মেয়েটিও বাইরে গেলে বড্ড খুশি হয়।
আজকাল বাইরে যেতে গেলে ও এক বিরাট সম্যসায় পড়ি।জানিনা এটা শুধু আমার সাথেই হয় নাকি সব মেয়েরাই এই সম্যসায় পড়ে। কি পড়বো কি পড়বো ভাবতেই সময় চলে যাওয়ার অবস্থা হয়।
অবশেষে ভাবলাম অনেক দিন শাড়ি পড়া হয়না।তাই ঝটপট শাড়ি পরে কুহু আর কর্তা মশাই সহ বেড়িয়ে পড়লাম।আজকাল কোথাও যাওয়ার ব্যাপারে কোথায় গেলে কুহু বেশি আনন্দ পাবে সেটিই বেশি মাথায় রাখি।শুনেছিলাম দিনাজপুরে কয়েকটা রেসন্টুরেন্টে বাচ্চাদের জন্য প্লে গাউন্ড রেখেছে।তাই ভাবলাম সেই রকমই একটা রেস্টুরেন্টে যাওয়া যায়।

b9845c1472623ee43ee14c29529929b6.0.jpg

2c0cfbfa2641394da1d51b6682974edf.0.jpg

7ee1ad99febfce6cd4ec51e3f20cfbbe.0.jpg
কুড়ি মিনিটের দুরত্বে একটি রেস্টুরেন্টে পৌছে গেলাম।জায়গাটা বেশ পচ্ছন্দ হলো আমাদের।খাবারের অর্ডার দিয়েই বেশ কিছু ফটোসেশান করে নিলাম কর্তাকে দিয়ে।এরি মাঝে আমাদের খাবার টাও চলে এলো।খাবার গুলো বেশ মজার ছিল।

d312861241273d659319ce54204a56db.0.jpg

ffb5097ebfde8d681fe34aef786e4bee.0.jpg

3f0d2cdabdd9e221730821a009ade3cb.0.jpg
সর্বপরি জায়গাটা আমাদের সবার খুব ভালো লেগেছে।আর কুহু ও অনেক মজা করেছে। বাচ্চাদের জন্য আলাদা করে প্লে গাউন্ড করার আইডিয়া টাও দারুণ লেগেছে।

IMG20221117213748.jpg

IMG20221117213751.jpg

আজ এই পর্যন্ত লিখছি।ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

হ্যাঁ আপু সব মেয়েদেরই এই সমস্যা হয় কোথাও গেলে কি পড়বে কিভাবে সাজুগুজু করবো এই নিয়ে সমস্যা শুরু হয়। তবে যাই বলেন আপনাকে শাড়ি পরে খুব সুন্দর লাগছে। সব বাচ্চারা ঘুরাঘুরি করতে অনেক পছন্দ করে। আমিও কিছু দিন আগে এক রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম সেখানে বাচ্চাদের জন্য খুব সুন্দর খেলাধুলা করার ব্যবস্থা ছিল। রেস্টুরেন্টে এমন দৃশ্য দেখতে পেলে আমার খুব ভালো লাগে। আপনারা ছুটির দিন খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনার ঘুরাঘুরির সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু।আমার পোস্টে এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য। আমার মনে হয় প্রত্যক মেয়ে কেই শাড়িতে সুন্দর লাগে।বিয়ে র পর অনেক শাড়ি পড়তাম কিন্তু কুহু হওয়ার পর তেমন একটা পড়া হয়ে উঠা হয়না।সামলানো মুশকিল হয়ে যায়।হ্যা আপু ঠিক ই বলেছেন অনেক মজা করেছি।

মাশাআল্লাহ আপনার মেয়ে দেখতে অনেক কিউট। চমৎকার মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ছবি গুলো দেখেই বুঝতে পারছি। খাবার গুলো ও অনেক সুন্দর ছিলো। বোঝা যাচ্ছে মজা করে খেয়েছেন। জায়গাটা দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার পুরো পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইলো।

ধন্যবাদ ভাইয়া।মেয়ে টা খুব চঞ্চল হয়েছে জানেন না।কোথাও ঘুরতে গেলে সেই জন্য চারিপাশ ভালো করে খেয়াল করতে হয়।নয়তো এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে সামলানো মুশকিল হয়ে যায়।আর হ্যা খাবার টাও খুব মজার ছিল রেস্টুরেন্টের।আমরা খুব মজাও করেছি।

আপনার মেয়েটা বেশ মিষ্টি দেখতে, সাথে সাথে আপনার তোলা বাকি ফটোগ্রাফি গুলোও খুব সুন্দর হয়েছে। তবে এটা যদি ফটোগ্রাফি পোস্ট হয় তাহলে তো মোটামুটি ঠিক আছে, আর যদি ব্লগিং পোস্ট হয় তাহলে আরো একটু বিস্তারিত লিখতে হবে। অনেকটাই ছোট করে লেখা হয়ে গেছে।🙂

ধন্যবাদ আপনাকে। আপনারা টিপস এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে আমি এখন ও হয়তো গুছিয়ে উঠতে পারেনি লেখার ধরণ টা।তাই লেখা গুলো অল্প হয়ে যাচ্ছে। তবে পরবর্তী তে আমি অবশ্যই আরো বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করব।

সত্যি আপু কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে এই এক সমস্যা তৈরি হয় কি পড়বো কি পড়বো এটা ভাবতে আরো বেশ কিছু সময় কেটে যায়। তবে শাড়ি পরে আপনাকে খুবই সুন্দর লাগছে। আপনাকে দেখতে খুবই মিষ্টি লাগছে আপু। কুহু মামনিকে দেখতেও অনেক মিষ্টি লাগছে আপু। সে নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছে। আসলে এভাবে বাইরে ঘুরতে গেলে সব বাচ্চারাই খুশি হয়। লোভনীয় খাবার গুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে আপু।

ধন্যবাদ আপু, আপনার সুন্দর কমেন্ট র জন্য। বাইরের মুখরোচক খাবার গুলো আসলেই অনেক লোভনীয়। চলে আসবেন একবার দিনাজপুরে।আমার বাংলা ব্লগবাসীরা মিলে একটা গেট টুগেদার হয়ে যাবে।

আরে বাহ বাহ ঘোরাঘুরি বেশ ভালই হচ্ছে তো দেখি 👌👌। শীতকালে তোমাদের ওইদিকে একবার ঘুরে আসতে পারলে বুঝতে পারতাম উত্তরবঙ্গের ঠান্ডাটা আসলে কতটা তীব্র হয়। হিহিহিহি। ভীষণ মিষ্টি লাগছে কুহুকে এবং কুহুর মাকে 😀। আর খাবারগুলো তো মনে হচ্ছে হাত দিয়ে আমাকে ডাকছে । ভালো থেকো দিদি সব সময়।

আরে বাহ বাহ ঘোরাঘুরি বেশ ভালই হচ্ছে তো দেখি 👌👌। শীতকালে তোমাদের ওইদিকে একবার ঘুরে আসতে পারলে বুঝতে পারতাম উত্তরবঙ্গের ঠান্ডাটা আসলে কতটা তীব্র হয়। হিহিহিহি। ভীষণ মিষ্টি লাগছে কুহুকে এবং কুহুর মাকে 😀। আর খাবারগুলো তো মনে হচ্ছে হাত দিয়ে আমাকে ডাকছে । ভালো থেকো দিদি সব সময়।

তোমাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই কুহু এবং কুহুর মার পক্ষ থেকে। সত্যিই আসলে বুঝতে পারবা যে আসলেই ঠান্ডা টা কি পরিমাণ পড়ে। খাবার গুলো তোমাকে ডাকতেছে।চলে আস।

আসলে কোথাও যাওয়ার কথা উঠলে কি পড়বো এটা নিয়ে আমাদেরও চিন্তা করতে হয়। শাড়ি পড়ে আপনাকে ভীষণ মিষ্টি লাগছিল। আর কালো কালার আমার ভীষণ পছন্দের। বর্তমানে প্রায় অনেক রেস্টুরেন্ট আছে যেগুলোতে বাচ্চাদের প্লে গ্রাউন্ড দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। রেস্টুরেন্টে খাওয়া যেমন হয়, তেমনি বাচ্চারা একটু আনন্দ ও করতে পারে। কুহু দেখছি ভীষণ আনন্দ করছে।

ধন্যবাদ আপু। কালো কালার আপনার পচ্ছন্দের কালার জেনে ভালো লাগলো। আসলে কালো আমার ও অনেক প্রিয় একটা রং।সেদিন কি পড়বো ভাবতে ভাবতে মনে হলো যে আজকের আবহাওয়ার সাথে কালো শাড়ি টি বেশ মানাবে।তাই শাড়ি টি পড়ে ফেললাম।আর যেহেতু রেস্টুরেন্টটিতে প্লে গ্রাউন্ড ছিল তাই আপনি ঠিকই বলেছেন খাওয়া যেমন হয়েছে তেমনি কুহু ও বেশ আনন্দ পেয়েছে।

এই ধরনের পোস্টে ক্যামেরা সংক্রান্ত তথ্য এবং লোকেশন লিঙ্ক দেবেন। পরিবার নিয়ে এভাবে সময় কাটাতে বেশ ভালোই লাগে। সময়টা বেশ উপভোগ করেছেন বোঝা যাচ্ছে।

আচ্ছা দাদা।আমি অবশ্যই পরবর্তী তে এই কথা মনে রেখেই পোস্ট করব।আর আপনাকে ধন্যবাদ আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য। জী সময় টা সেদিন সত্যিই অনেক ভালো কেটেছিল।