ইস্কন মন্দিরে একদিন

in hive-129948 •  2 years ago 

নমস্কার সবাই কে। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি ভগবানের কৃপায়। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেদিন গিয়ে ছিলাম আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক মন্দিরে ইস্কন মন্দিরে।
8d2d30a7cc1b14037abeda6123af545b.0.jpg
ঝুমের মা,আমার বান্ধবী র কথা তো আপনাদের বলেইছি।ও হঠাৎ সেদিন ফোন করে বলল চল ইস্কন মন্দিরে অনুষ্ঠান হচ্ছে। চলো ঘুরে আসি।
2ddd42bc1f04873d2fb5225ce1bededf.0.jpg
ঝুমের মা কে বললাম চল আমরা সেদিন একইরকম জামা বানিয়েছি সেটাইপড়ে যাই।কোথাও দলবেধে গেলে এরকম একই রকমের পোশাক করতে ভালই লাগে। বেশ মজার একটা ব্যাপার হয়। কুহু এবং জুম দুজনে খুবই মজা পাচ্ছিল।
2f5cfd68924fa0fc8c04cbd6150e2116.0.jpg
ও বলল ঠিকই আছে। ঝটপট রেডি হয়ে বেড়িয়ে পড়লাম মন্দিরের উদ্দেশ্য। মন্দিরে যেতেই চোখে পড়ল অনেক দোকান বসেছে।প্রসাদ খাবার ব্যবস্থা করেছে।
36133ea3ab7d3fd91ecd0bf2bead067b.0.jpg

ffc1a854ca328d75d19208b0c4f851d2.0.jpg
মন্দিরে ভিতরে নাম কীর্তন শুনে আমরা প্রসাদ গ্রহণের জন্য মন্দিরের বাইরে আসলাম। খাবারের আয়োজন ছিল হরেক রকমের।
592328cbe2abb858f4db67ab6100c32a.0.jpg

6857de6dd720b38ced2194ca8f9fb72e.0.jpg

405922de2b6a1e23c948d172b6b6978কa.0.jpg
আমাদের মধ্যে একজন আবার টক খাওয়ার ওস্তাদ। তাই সে এক থালা টক নিয়ে বসে পড়ল। আমরাও মজা করে ওর একটা ছবি তুলে নিলাম।
30282578f457a7026dc05fcf19faa7d8.0.jpg

খাওয়া-দাওয়ার পর্ব মিটিয়ে বাচ্চারা অনেকক্ষণ খেলাধুলা করল। আর আমরা বড়রা একটু দোকানপাট গুলো ঘুরে দেখলাম।
24204e6a8ff14524ee6020b34a18381d.0.jpg
বিকেল ঘনিয়ে এলো তারপর। কুহুর বাবা আবার চেম্বারে চলে গেল।আমরাও কিছুক্ষণ পর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলা। সব মিলিয়ে বেশ ভালোই কাটলো দিনটা ।
আজ এ পর্যন্ত লিখছি। আপনারা সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

মাঝে মাঝে মন্দির দর্শন করলে শরীর ও মন দুই পবিত্র হয় এবং মনে অনেক শান্তি অনুভব হয়।আগে একটা সময় স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে খুব যাওয়া হতো, সন্ধ্যা বেলায় ওখানে গেলে আর বাসায় আসতে মন চাইতো না এতো ভালো লাগতো তা বলার মতো না। দিদি আপনারা সবাই মিলে মন্দিরে গিয়ে ঘোরাঘুরি প্রাসাদ গ্রহণ করে বেশ ভালোই সময় পার করেছেন তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।ইসকনের প্রতিটি খাবার আমার খুব ভালো লাগে।বাচ্চারা খোলামেলা জায়গায় বেশ মজা করে খেলাধুলা করেছে।সবমিলিয়ে অসাধারণ সময় কাটিয়েছেন এবং সেই মুহূর্ত গুলো শেয়ার করেছেন তার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই দিদি।

অসাধারণ আনন্দ একটি মুহূর্ত আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মন্দিরে অবস্থানকালীন সময়ে এত সুন্দর কিছু বিষয়ে আপনি আমাদের মাঝে যে তুলে ধরবেন তো আমি কখনোই ভাবি নাই ফটোগ্রাফিগুলো বেশ দারুন ছিল। আপনজনদের সাথে খুব সুন্দর সেলফি উঠেছেন দেখলাম। সব মিলে বলবো অসাধারণ ছিল আপনার পোস্ট।