নমস্কার সবাইকে।কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি ভগবানের কৃপায়।কোভিড আশায় আমাদের সবার জীবনে অনেক কিছুই যেন থেমে গিয়েছিল।এই যেমন আমার মামা বাড়ি রায়গঞ্জ,ইন্ডিয়া।
আগে প্রায় বছরে দু বার করে মামার বাড়ি যাওয়া হতো। কিন্তু কোভিড আসার পর আর কুহু হওয়ার পর থেকে প্রায় অনেকদিন ইন্ডিয়া যাওয়া হয়নি। ইন্ডিয়া গেলেই মামা বাড়ি রায়গঞ্জ আর জ্যাঠা মনির বাড়ি নৈহাটি কলকাতা যাওযাই হতো। তাই কুহু বাবাকে বললাম পাসপোর্টটা করে ফেলি।
অনেকদিন মামা বাড়ি যাওয়া হয় আর কুহু কেউ সবাই দেখতে চাচ্ছিল। আর যেহেতু পাসপোর্ট ভিসা অনেক লং প্রসেস তাই বললাম পাসপোর্ট ও ভিসার প্রসেস টা শুরু করে ফেল।তাও প্রায় দুমাস আগে থেকে পাসপোর্ট কাজ কাজ শুরু করে ফেললাম। সব প্রসেস হয়ে যাওয়ার পর েবার শুধু দিন গোনার পালা।
অবশেষে সেই কাঙ্খিত দিন চলে আসলো। আমরা মে মাসের 18 তারিখে দিন ফাইনাল করলাম।
সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে ঠিক মতন খুব সকাল সকাল বেরিয়ে পড়লাম হিলি যাবার উদ্দেশ্যে। সকাল সাড়ে ছয়টায় বাস ধরে ঠিক সাড়ে আটটার মধ্যে আমরা হিলি পৌঁছে গেলাম। এরপর প্রায় আধ ঘন্টার মতন লাগলো বাংলা বর্ডারে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ হতে।ওপারে পার হয়ে আমরা তারপর প্রায় এক ঘন্টার মতন ইন্ডিয়া বর্ডারের ইমিগ্রেশনের টাইম লেগে গেল। ইমিগ্রেশন কমপ্লিট করে হালকা টিফিন সেরে নিলাম। আমরা মামার বাড়ি রায়গঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম এরপর ঠিক ১১ টায় স্টেট বাস ধরে। এবং দুপুর তিনটের মধ্যে আমরা রায়গঞ্জ পৌঁছে গেলাম।
আর এভাবেই আমাদের অনেক দিনের ইচ্ছে পূরণ হল মামার বাড়ি। আজ এ পর্যন্তই লিখছি আপনারা সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। পরবর্তী জার্নি সবগুলো গল্পই আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
আসলে কোভিড আসার কারনে মানুষের জীবন থেকে অনেক মূল্যবান সময় হারিয়ে গিয়েছে। তারপরও আপনি সময় সুযোগ করে আপনার ইচ্ছাটা পূরণ করে ফেললেন এবং আপনি মামার বাড়িতে চলেই গেলেন । যাওয়ার গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit