পাউরুটি দিয়ে তৈরি মজাদার জলখাবার

in hive-129948 •  2 years ago 

নমস্কার সবাইকে। কেমন আছেন সবাই?? আশা করি ভালই আছেন।আমিও ভালো আছি ভগবানের কৃপায়।
অগ্রহায়ণ মাস পড়েই গেল। ঠান্ডা টা যেন এবার একটু বেশি আগে পড়েছে। আর দিনাজপুরে ঠান্ডার কথা নাই বা বলি। আমার আবার ব্যাংঙ এর সর্দির মতন অবস্থা। ঠান্ডা কাতুরে মানুষ আমি। বাইরে একটু বাতাস চললেই হাত-পা গুটিসুটি মেরে শুয়ে-বসে কাটাতে ভালো লাগে।

তবে খাদ্য রসিক তাই শীতের গরম গরম পিঠে পুলি খেতে বেশ ভালোই লাগে। ভাপা পিঠা চিতই পিঠা পায়েস ভাবতেই মনটা খুশিতে ভরে ওঠে। বেশি মিষ্টিমুখ হয়ে গেলে আবার কুড়মুড়ে ভাজাভুজি ও মন্দ লাগে না।
তাই আজ সন্ধ্যায় বিকেলের জলখাবার এর মেনু ছিল পাউরূটির ঝাল টোস্ট। আমি খুব অল্প উপকরণ দিয়ে তৈরি করি খাবারটি।আর তাই ভাবলাম রেসিপি টি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।চলুন দেখা যাক রেসিপি টি।

১।এক্ষেত্রে স্লাইস করা পাউরুটি নিলে ভালো হয়।

IMG_20221122_014019.jpg

FB_IMG_1669049523369.jpg

২|পাউরুটির ব্রাউন অংশগুলো ফেলে দিয়ে মাছ বরাবর কেটে নিতে হবে। যেমনটা স্যান্ডউইচ থাকে।

FB_IMG_1669049526264.jpg

FB_IMG_1669049528901.jpg

৩।এরপর একটি বাটিতে দুটো ডিম পরিমান মত লবন দিয়ে ফেটিয়ে নিব।

FB_IMG_1669049531432.jpg

FB_IMG_1669049534242.jpg

৪।এবার সেই আগে থেকে পিস করে নেওয়া পাউরুটি টাকে ফেটানো ডিমে মিশ্রণের ডুবিয়ে নিব।

FB_IMG_1669049536854.jpg

FB_IMG_1669049539569.jpg

৫। তারপর রুটি ভাজা তাওয়াই হালকা তেলে এপিঠ-ওপিঠ করে ভেজে নিব।
ব্যাস তৈরি হয়ে গেল ঝটপট মজাদার একটি জলখাবার।

FB_IMG_1669049542968.jpg

FB_IMG_1669049545962.jpg

IMG_20221122_014019.jpg
আশা রাখি রেসিপিটি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। আসলে বাসায় ছোট বেবি থাকায় সব সময় চেষ্টা করি খুব অল্প সময়ের মধ্যে মুখরোচক এবং স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে জলখাবার বানিয়ে কিভাবে বাসার সবার মন রাখা যায়। আজ এ পর্যন্তই রাখছি।। সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

খুবই কম সময়ে অল্প উপকরণ দিয়ে এই পাউরুটি টোস্ট তৈরি করা যায়। যা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। এ সিম্পল নাস্তা বিকেলে খেতে খুবই ভালো লাগে ।আমিও মাঝেমধ্যে এটি তৈরি করে খেয়ে থাকি ভালই লাগে আমার কাছে। রেসিপিটি তৈরির প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপনাকে। আমি চেষ্টা করেছি প্রতিটি ধাপ তুলে ধরে রেসিপি টি আপনাদের সাথে শেয়ার করার।আসলে শীতের বিকেলে এমন একটি মুখরোচক খাবার খেতে আশা করি আমাদের সবার ই ভালো লাগে। আর তাইতো আমার জলখাবার বানানোর লিস্টে এই খাবারটি অবশ্যই থাকে।

দিনাজপুরের তো অনেক শীত পরে।আমি একবার শীতের সময় দিনাজপুর গিয়েছিলাম।তখন সর্বনিম্ন তাপমাএা থাকতো দিনাজপুরে কি পরিমান যে কষ্ট পেয়েছিলাম। যাই হোক এই রেসিপিটাকে আমরা ডিম পাউরুটি বলি।ভালোই লাগে খেতে।ধন্যবাদ

ধন্যবাদ আপু। আপনি ঠিক ই বলেছেন দিনাজপুরের ঠান্ডা টা অতি মাএায় পড়ে।খুব অসহনীয় মাএায় ঠান্ডা পড়ে শেষের দিক এ।আর আমরা এই খাবার টি কে পাউরুটির ঝাল টোস্ট বলি।

ছোটবেলার জাতীয় টিফিন আইটেম।স্কুলে গেলে টিফিনের সময় নিজের না হলেও কারো না কারো বক্সে ঠিকই দেখতাম।
আমার খুব পছন্দের একটি নাস্তা আইটেম এটি।দেখে অনেক ভালো লাগলো।শুভ কামনা রইলো।

ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টে এত সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য। আমার স্কুলটা বাড়ির কাছে হওয়ায় টিফিন টা বাড়ি থেকে করে আসলত হতো কিন্তু দুরে যাদের বাড়ি ছিল তারা প্রায়ই এই খাবারটি টিফিনে নিয়ে আসতো।আর তাইতো খাবার টি পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়।

আপু, চটজলদি কোন রেসিপি যদি থেকে থাকে, তাহলে প্রথমেই আমার এই পাউরুটি দিয়ে তৈরি মজাদার খাবারের কথা মনে পড়ে যায়। কেননা খুবই অল্প উপকরণে এবং অল্প সময়ে দ্রুত এই রেসিপি তৈরি করে অতিথি আপ্যায়ন অথবা নিজেরও পেট ভোজন হয়ে যায়। আর এই খাবারটি আমার পরিবারের সকল সদস্য খুবই পছন্দ করে। তবে আমরা এই রেসিপিকে ডিমের টোস্ট বলে থাকি। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে মজাদার এই রেসিপির প্রতিটি ধাপ শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আমার রেসিপিটি পচ্ছন্দ করার জন্য। আমার পরিবারের সবাই ও খুব পচ্ছন্দ করে খাবার টি। প্রথম আমি আমার মা র থেকেই রেসিপি টি শিখেছি।আমরা অবশ্য পাউরুটি র ঝাল টোস্ট বলি।

পাউরুটি দিয়ে তৈরি মজাদার জলখাবার টা দারুন হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই নাস্তাটি তৈরি করা যায়। ব্যাচেলরদের জন্য পারফেক্ট একটা খাবার। রাতের বেলা মাঝে মধ্যে তৈরি করে খাওয়া হয়। বানানোর প্রসেস টা খুব সহজেই দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যা দাদা ঠিক ই বলেছেন ব্যাচেলর রেসিপি এটি।খুব অল্প সময়ের মধ্যে খাবারটি তৈরি করা যায়। আর পেট ও ভরে।আমি ও আমার হোস্টেল লাইফে এই খাবারটি তৈরি করে খেতাম প্রায়ই।