আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। আজ আমি ফেলে আসা বন্ধুত্বের স্মৃতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আজকের আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-২৪ এর মাধ্যমে ফেলে আসা বন্ধুত্বের স্মৃতিগুলো আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি। বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। আমাদের কমিউনিটির শ্রদ্ধেয় শুভ ভাই খুবই সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। তার সাথে ধন্যবাদ জানাই আমাদের বাকি এডমিন মডারেটরদের। আরো ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল আমাদের সবারই প্রিয় দাদার প্রতি। চলুন শেয়ার করা যাক
আমি আজ যে বন্ধুর কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেছে তার নাম রাজু। তার সাথে আমার জীবনটা দীর্ঘ পাঁচ বছর খুবই সুন্দর কেটে ছিল। ৫টি বছর তার স্মৃতিগুলো এখনো অনেক মনে পড়ে। আমার এখনো মনে আছে তার সাথে যখন প্রথম দেখা হয়। স্কুলে যখন আমি প্রথম ভর্তি হই এবং প্রথম ক্লাসে যাই। আমি স্কুলের বারান্দায় একা একা দাঁড়িয়ে আছি, তখনই আমার পাশে রাজু এসে দাঁড়ালো। সেদিনের প্রথম তার সাথে দেখা এবং ওই দিনেই বন্ধুত্ব।
তার সাথে অনেকক্ষণ পর্যন্ত কথা হয় ক্লাস শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত। ক্লাস শেষ করে দুইজন স্কুল মাঠের মধ্যে সময় কাটিয়েছি প্রায় পুরো বিকাল। এভাবেই তার সাথে সময় কাটানো শুরু হয়। স্কুল জীবনের কয়েকটা বছর ভালোভাবে মজা করতে না পারলেও শুরু হয় অষ্টম শ্রেণী থেকে। যখন আমরা অষ্টম শ্রেণীতে উঠে তখন তোর দুষ্টামির মাত্রা অনেক বেড়ে গেল। ২৪ ঘন্টা একজন তার সাথে থাকতাম। আর রাজু যদি আমার বাড়িতে থাকে , তাহলে পরের দিন আমি বাড়িতে। দুইদিন আমাদের বাড়িতে থাকা হলে বাকি দুইদিন তার বাড়িতে। সকালে ঘুম থেকে উঠার সময় থেকে ঘুমানো পর্যন্ত একই সাথে থাকা হয়।
আমাদের দুজনের বন্ধুত্ব দেখেই স্কুলের বাকি সবার অনেক খারাপ লাগতো , কারণ একজন একজনের জন্য পাগল ছিলাম। ক্লাসে বসলে একই টেবিলে বসতাম। কোথাও কোন স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়লেও দুজন একসাথেই বের হতাম এবং পড়তাম। আমাদের দুজনের বাসায় দুজনকে খুব সুন্দর ভাবে গ্রহণ করেছে। আমি যখন তাদের বাড়িতে থাকতাম আমি মনে করতাম আমি তাদের সন্তান। এমনভাবে আদর স্নেহ করত তাদের সবাই। রাজু একজন বোন ছিল সে আমাকে খুবই স্নেহ করতো।
তার আর আমার বন্ধুত্ব এমন ছিল আমি যদি তাকে না বলে একটি পাসওয়ার্ড দিতাম মোবাইলে। সে কিন্তু আমার পাসওয়ার্ডটি কয়েকবার ক্লিক করে বলে দিতে পারতো। কারণ আমি কি চিন্তা করে পাসওয়ার্ড দিতে পারি, তাও তার ধারণায় রয়েছে। এই বিষয়টা আমাকে খুবই ভালো লাগতো। আমাদের স্কুলের স্যার যদি দুজনকে কিছু একটা বলতো দুইজন একসাথে উত্তর দিতাম। যেন দুজনের মস্তিষ্ক একই।
স্কুলের মধ্যে যদি টিচারের কাছে কোন কারনে আমি শাস্তি পেতাম, সে কান্না করে দিত। এই বিষয়টা আমার কাছে খুবই কষ্ট লাগতো। স্কুলের সবাই দুজনকে ভাই মনে করত। একজনের ভুল হলে অন্যজন তা ধরিয়ে দেওয়ার অবস্থায় ছিলাম না। উল্টো একজন একজনকে উপকার করতাম। আজ তো অনেক স্মৃতি মনে পড়তেছে না। কি অবস্থা থেকে সময়ের ব্যবধানে সবকিছুই আজ স্মৃতি হয়ে গেল।
স্কুলে টেস্ট পরীক্ষার আগ মুহূর্তে তার সাথে আমার সমস্যা হয়। অনেক বড় ধরনের একটি ঝামেলা হয়েছিল আমাদের দুজনের মধ্যে। ঝামেলায় অনেক মারদোর করেছিলাম দুইজন। এই নিয়ে স্কুল এবং দুই গ্রামের মানুষ সবাই একসাথে অনেক বড় একটি বিচার হয়েছিল। আমাদের দুজনকে নিয়ে। মারামারিটা মাথা ফাটাফাটি পর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল। বিচারে তৎক্ষণাৎ আমার পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানা করে। এরপর রাজু পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। তাকে কিছুদিন পরেই বিদেশ পাঠিয়ে দেয় তার পরিবার।
কিন্তু প্রথম প্রথম দুজন দুজনের প্রতি রাগ থাকলেও। পরে দুজনে দুজনকে অনেক বেশি মিস করতে শুরু করি। বিশেষ করে আমি তাকে অনেক বেশি মিস করতে শুরু করি। সারাক্ষণ কান্না করতাম তার জন্য। প্রত্যেকটা স্মৃতি আমার সব সময় মনে পড়তো। দুটি পরিবারের সবাই একজন একজনকে খুবই খারাপ জানতো। কিন্তু রাতে যখন বিদেশ চলে যায় তিন মাসের মধ্যেই, আমি ফেসবুকে মেসেঞ্জারে অনেক বড় করে একটি লিখে লিখলাম। তার কাছে ক্ষমা চাইলাম। সেদিনের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত হয়েছিল। সেখানে আমাদের মধ্যে কেন ঝামেলা হয়েছিল তা এখনো আমাদের দুজনের জানা নেই। দুজন এখনো কাউকে কেউ তার শেয়ার করতে পারেনি।
আমার মেসেজটি পড়ে তিনদিন পর সে আমাকে কল দিল। দুজনের মধ্যে ঝামেলাটা মিটে গেল। কিন্তু চোখের আড়াল হলে মনের আড়াল হয়। দূরে থাকার কারণে ধীরে ধীরে দূরত্ব হয়ে গেল। কিন্তু মাঝে মাঝে আমি অনেক মিস করি তাকে। এখন রাজু দেশে আসলে দেখা হয় কথা হয়। কিন্তু যে বন্ধুকে হারিয়েছি সে বন্ধু এখন আর নেই। সাধারণত স্কুল বন্ধুর মত সাধারণ বন্ধু মতো করে রয়েছে সে। দেখা হলে কথা হয় না হয় এমনিতে আর কথা হয় না।
আজ আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তার স্মৃতিতে আবার মনে পড়ে গেল। এখনো আমার ভীষণ খারাপ লাগতেছে তার স্মৃতিগুলো মনে করে। সুখের এক কোনায় অনেকগুলো জল জমে গেছে। বন্ধুত্বের স্মৃতিগুলো অনেক স্মৃতিময় থাকে। সেগুলো কখনোই ভোলা সম্ভব নয়।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit