যমুনা পাড়ের কিছু দৃশ্য ফটোগ্রাফি By nasrin111 [10% @shy-fox + 5% abb-school

in hive-129948 •  3 years ago 

আসসালামুয়ালাইকুম/আদাব

প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আমি বাংলাদেশের 🇧🇩 সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি।

আজকে আমার মন ভালো নেই। দিনটা ছিল অনেক গরম রোদের তাপমাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে জলবায়ুর প্রভাবে। তাই ভাবলাম একটু নদীর পাড় দিয়ে ঘুরে আসি এতে শরীর ও মন দুটোই ভাল থাকবে।বাসা থেকে বের হয়ে রিকশা নিলাম । কিন্তু রাস্তায় দেখলাম মহিলা কলেজের মেয়েরা নাচানাচি ঘোরাঘুরি করছে আজকে তাদের রেগ ডে।যার জন্য রাস্তায় কিছুটা জ্যাম ছিল। অবশেষে আমি নদীর ঘাটে এসে পৌছালাম। আবার নদীর ঘাটে কাটানো কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। আমি সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন কিছু তুলে ধরার জন্য কিন্তু পারিবারিক সমস্যা ও কাজের ব্যস্ততায় সবসময় তা হয়ে ওঠে না। নদীর ঘাটে গিয়ে ভাবলাম একা একা বসে কিছুটা সময় পার করব কিন্তু সেখানে যেয়ে দেখি কলেজের মেয়েরা এসে ভিড় জমিয়েছে।আমাদের সময় বিদায় অনুষ্ঠান মানে কান্নাকাটি করা, বন্ধুদের মিস করা অনেক দুঃখজনক একটা বিষয় ছিল। কিন্তু বর্তমানে কলেজে বিদায় মানে নাচানাচি উশৃংখলতা। প্রথমে আমি নদীর পাড়ে কিছুক্ষণ বসে ওদের দেখলাম এরপর কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। ফটোগ্রাফি করতে আমার বরাবরই ভালো লাগ। চলুন ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।

ফটোগ্রাফিঃ-১

IMG-20220725-WA0012.jpg

ফটোগ্রাফিঃ-২

IMG-20220725-WA0013.jpg
নদীর পাড়ে অনেক নৌকা দেখা যায়।
নৌকা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্য। সেই আদি যুগ থেকে এখন পর্যন্ত নদী পারাপারের জন্য আমাদের দেশে নৌকা ব্যবহৃত হয়। যখন আমাদের দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক খারাপ ছিল তখন আমাদের নদী পথ ছিল খুব সচল। তখনকার সময়ে মানুষ নদীপথে নৌকা নিয়ে অনেক দুর দুরান্তে পারিজামাতো।

ফটোগ্রাফিঃ-৩

IMG-20220725-WA0005.jpg

নদীর পাড়ে অনেক খেলনার স্টল দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে হরেক রকম খেলনা পাওয়া যায় ছোট বাচ্চাদের বেলুন বেশি আকর্ষণ করে ছোট বাচ্চাদের বেলুন বেশি আকর্ষণ করে না

ফটোগ্রাফিঃ-৪

IMG-20220725-WA0007.jpg

ফটোগ্রাফিঃ-৫

IMG-20220725-WA0008.jpg

নদী, একটি ছোট্ট নাম; অথচ এর মধ্যে লুকিয়ে আছে কত গভীরতা যা পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে মানুষের জীবনে। মানুষের সাথে এই নদ-নদীর কতো সখ্যতা আবার কখনো কখনো বৈরিতাও দেখা যায়। নদ-নদীর এই প্রবহমান ধারা মানুষের গতিশীল জীবনের সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাদৃশ্যপূর্ণ। সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার এক অমরগাথা বুকে নিয়ে নদ-নদী নিরন্তর ছুটে চলে উৎস থেকে মোহনা অবধি।
অধিকাংশ নদ-নদীর উৎসবস্থল পাহাড়ে ,তবে জন্ম যেখানেই হোক না কেন, প্রত্যেকটি নদীর উদ্দেশ্য এক এবং অভিন্ন; ঘুরে ফিরে সাগরের কাছে ছুটে চলা।

ফটোগ্রাফিঃ-৬

IMG-20220725-WA0009.jpg
আনমনে বসে আমি , ভাবি নিরালায়
নদীমাতৃক দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। এদেশে ছোট-বড় অনেক নদী রয়েছে। নদীর সৌন্দর্যের প্রতিটি মানুষকেই মুগ্ধ করে তোলেন। নদীর প্রেমে পড়েনি এমন মানুষ খুব কম রয়েছে। নদীমাতৃক এই দেশে বিপুল সংখ্যক নদী রয়েছে। এই নদীগুলোতে দেখা যায় শাপলার মেলা। সেই সাথে ছোট-বড় ডিঙ্গি নৌকা ভেসে চলে অবিরাম। নদীর ঘাটের সৌন্দর্য মুগ্ধ করে দেয় সকলের মন। সেই সাথে সুরে চলেন মাঝি ভাইয়ের ভাটিয়ালি গান। সবকিছুর মিলিয়ে নদী এক অপূর্ব সৌন্দর্য প্রকাশ করেন।

ফটোগ্রাফিঃ-৭

IMG-20220725-WA0014.jpg

ফটোগ্রাফিঃ-৮

IMG-20220725-WA0002.jpg
অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পরে আমি ফুচকা খেলাম। ফুচকা নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে।
ফুচকা একটি অতি জনপ্রিয় সুস্বাদু ভারতীয় উপমহাদেশর মুখরোচক খাদ্যবিশেষ।বাংলাদেশ এবং ভারতের শহরাঞ্চলে প্রায় সর্বত্রই এই খাদ্যটির প্রচলন রয়েছে। অঞ্চলভেদে এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত। গোটা বাংলাদেশে এর নাম ফুচকা। উত্তর ভারতে এটির পরিচিতি গোল-গাপ্পা হিসেবে , আবার পশ্চিম ভারতে, এই খাবারটির নামই পানি-পুরি।

ফটোগ্রাফিঃ-৯

IMG-20220725-WA0015.jpg

ফুচকা খাওয়া শেষে মনটা একটু আইসক্রিম খায় খায় করছিল তাই একটি আইসক্রিম কিনে খাইলাম। আইসক্রিম খেতে কিযে ভালো লাগে আর আইসক্রিম পছন্দ করেনা এরকম মানুষ খুব কমই আছে।

ফটোগ্রাফিঃ-১০

IMG-20220725-WA0006.jpg

শেষ ধাপ

IMG-20220725-WA0000.jpg

তারপর কিছুক্ষণ নৌকা ঘোরাঘুরি করলাম। নৌকায় উঠতে প্রথমে একটু ভয় ভয় লাগছিলো ।
তবে যত ভয়ই লাগুক না কেন, নৌকায় চড়ে নদীর বুকে ভেসে পড়ার পরই মন থেকে সকল ভয় দূর হয়ে, এক অদ্ভুত মধুর আবেশে মনটা ভরে গেল। এ যেন এক অন্য বাংলাদেশ । নদীপথে নৌকায় চড়ে শহরের চেনা ব্যস্ততার ছক থেকে বেরিয়ে কয়েক মুহূর্ত যাপন করেনি, তারা কেউ এই বাংলাদেশকে চেনে না।

নদীর বুক থেকে নৌকায় চড়ে আমার চোখে বাংলাদেশ সত্যই হয়ে উঠলো তিলোত্তমা। যখন আমরা নৌকায় চড়লাম, যখন সূর্য মধ্যগগন থেকে প্রায় পশ্চিমে হেলে পড়েছে। আমি আর বোন নৌকার পাটাতনের ওপর চিৎ হয়ে শুয়ে বিকেলের রৌদ্রতাপহীন আকাশ মগ্ন হয়ে দেখতে থাকলাম।

দেখলাম পাখিরা দিনের কাজ সেরে দলবেঁধে কিচিরমিচির করতে করতে উঠে যাচ্ছে নিজের বাসায়। দেখলাম অনতিদূরে মাথা উঁচিয়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতু। তার উপর দিয়ে মুহুর্মুহু চলে যাচ্ছে কত শত গাড়িঘোড়া। নৌকায় শুয়ে চারপাশের পরিবেশ প্রাণ দিয়ে অনুভব করতে করতে মনে হল এমন বিকেল যেন ইতিপূর্বে আর কখনো আসেনি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী কিছু দৃশ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। পরবর্তী কোন একদিন যমুনা নদী এবং সিরাজগঞ্জ সম্পর্কে আপনাদেরকে আরও সুন্দর সুন্দর তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।আপনারা সবাই কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করে জানাবেন আজকের যমুনা নদীর ফটোগ্রাফি গুলো কেমন ছিল। আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভাল লেগেছে।

banner-abbVD.png

ফোনের বিবরণ

ফোনRealme C17

ক্যমেরা মডেল | C17
ক্যাপচার | @nasrin111
অবস্থান |সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

received_855100781949535.jpeg

আমি মোছা.নাসরিন খাতুন।বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ভ্রমণপিপাসু মানুষ। ঘোরাফেরা করতে আমি খুবই ভালোবাসি।সুযোগ পেলেই পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হই।ভ্রমণ করার পাশাপাশি আমি বাগান করতে খুব ভালোবাসি।এছাড়াও অবসর সময়ে আমি বই পড়ি।বই পড়তে আমার খুবই ভালো লাগে।সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।

👉সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সত্যিই আপনার অনেক ভালো মুহূর্ত কেটেছে দেখছি। আমার কাছেও এরকম ঘুরাঘুরি করতে ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নদীর পাড়ে গিয়ে ঘোরাঘুরি করতে একটু বেশি ভালো লাগে। তখন মনের ভেতর অন্যরকম একটি ফিলিংস কাজ করে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

আপু আগের দিন আর নাই, এখন রেগ ডে মানে ভিন্ন কিছু। যাই হোক যমুনার পাড়ের প্রতিটি ছবি খুব সুন্দর। দেখেই মনে ভালো হয়ে যাচ্ছে। আমার বাসার সামনে যদি এই রকম থাকতো,তাহলে আমি মনে হয় প্রতিদিন যেতাম।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ

আপনি খুবই চমৎকার ভাবে যমুনা পারের দৃশ্যের কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফিগুলো আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছে নদীর পাড়ে সময় কাটাতে সকলেরই অনেক বেশি ভালো লাগে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

নদীর পাড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সব সময় আমাকে মুগ্ধ করে ।যমুনা নদী পাড়ের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি খুবই সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন ।।শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

নদীর পাড়ে অপরূপ সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনি অনেক আনন্দের সাথে সময়টা পার করেছেন। যা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো।

নদীর পাড়ে দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন। সত্যিই নদীর পাড়ে গিয়ে এরকম সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করতে সবাই পছন্দ করে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো।

নদীর পাড়ের ফটোগ্রাফি গুলা সত্যি বেশ চমৎকার হয়েছে। নৌকায় ঘুরার ফটোগ্রাফি তো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনি খুবই চমৎকার ভাবে যমুনা পারের দৃশ্যের কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফিগুলো অসম্ভব সুন্দর ছিলো। আপনি খুবই চমৎকার ভাবে যমুনা পারের দৃশ্যের কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

image.png

আপনি যমুনা পাড়ের অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি দৃশ্য করেছেন। আপনার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। আর এরকম জায়গা দেখার মত ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

যমুনাপাড়ের দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নৌকাসহ নদী দেখতে বেশ ভালো লাগতেছে। আপনার উপস্থাপনা অনেক ভাল ছিল। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

নদীতে নৌকায় ঘুরতে আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি খুবই সুন্দর হয়েছে এবং আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আজকে আমারও মন ভালো নেই আপু হি হি। যমুনা নদীটা কখনো দেখা হয়নি। নদীর ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুণ শেয়ার করেছেন চমৎকার ছিল। এবং নদীর পাড়ে বেশ ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন। যাইহোক ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে আপনার ঘোরাঘুরির সময় টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

আপনি অনেক সুন্দর করে যমুনা পাড়ের কিছু দৃশ্য ফটোগ্রাফি করেছেন আমাদের মাঝে। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি দেখতে বেশ অসাধারণ লাগলো। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন ।তাই আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

যমুনা নদীর পাড়ের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে আপু। নদীতে ঘুরেছেন বুঝে গেছে বেশ সুন্দর এবং মজার মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। এই বর্ষায় আমার একবারও নদীতে ঘোরা হয়নি। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে খুব ইচ্ছা করছে একদিন নৌকায় ঘুরে আসি। দেখি সময় পেলে অবশ্যই চেষ্টা করব। ধন্যবাদ সুন্দর এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপু।

আপু মন খারাপ থাকলে যদি নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়া যায় তাহলে ভালোই লাগে। আমারতো নদীর পাড়ে ঘুরতে ভীষণ ভালো লাগে। আর এরকম নদীর পাড়ের দৃশ্য দেখতেও কিন্তু খুবই ভালো লাগে। আপনি নদীর পারে কোনো ভালো সময় কাটিয়েছেন আর আমাদের মাঝে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।