ঈদের দিন ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়ার অনুভূতি।

ঈদের দিন ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়ার অনুভূতি।"সবাইকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা - ঈদ মোবারক"

_{^{"ছবিটি Canva অ্যাপস দিয়ে তৈরি"}}

হ্যালো...!
শুভ রাত্রি
আজ ১১ই এপ্রিল ,
বৃহস্পতিবার ২০২৪ খ্রিঃ।

আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।

"আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম ঈদের দিন ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়ার অনুভূতি পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।

আজকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন, সবাইকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা "ঈদ মোবারক"। প্রতি বছরের মতো এ বছরও অনেক মানুষ তাদের কর্মস্থল ছেড়ে দূর দূরান্ত থেকে নাড়ীর টানে দেশে ফিরে এসেছে তাদের পরিবারের সঙ্গে ঈদ উৎযাপন করার জন্য। পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার মাঝে অনেক আনন্দ বিরাজ করে। বিশেষ করে বাড়িতে বৃদ্ধ মা বাবা থাকেন তাদের সঙ্গে সন্তানের দেখা হয়, সকল বাবা মায়ের মুখে হাসি ফোটে। এই ধরনের খুশির জোয়ার আমাদের পরিবারেও হয়ে থাকে। আমার বড় ভাই পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। প্রতি বছরে ঈদ উপলক্ষে তারা পরিবারে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। গত কালকে সন্ধ্যায় বাসায় এসে পৌঁছায়। সে সুবাদে পরিবারের সঙ্গে আমার ঈদগাহে নামাজ পড়ার অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি

ঈদের দিন আমি খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠে নামাজ পড়ার জন্য প্রস্তুতি নেই। তার কারন হলো ঈদের নামাজ খুব সকাল হয়ে থাকে। আমাদের ঈদগাহ মাঠ হলো ময়মনসিংহ সদরের মারর্কাজ মসজিদ। এই মসজিদে সকাল ৭:১৫ মিনিটে নামাজ শুরু হয়ে থাকে। তার জন্য সকালে নতুন কাপড় পড়ে আতর সুরমা লাগিয়ে আমার বড় ভাই এবং ভাতিজাকে সঙ্গে নিয়ে তাড়াতাড়ি চলে যাই। যেহেতু হেঁটে যাওয়া সুন্নত তাই আমরা হেঁটে যাওয়া শুরু করলাম। অনেককে দূর দূরান্ত থেকে সাইকেল এবং অটোরিকশা দিয়ে ঈদগাহ মাঠের দিকে প্রবেশ করছে।

আমরা হেঁটে ঈদগাহ মাঠের গেটের সামনে চলে এসেছি। সবাই হাতে জায়নামাজ নিয়ে এগিয়ে চলছে ঈদগাহ মাঠের দিকে। এরকম পরিবেশ দেখতে আমার খুবই ভালো লাগছিল।

আমাদের কেন্দ্রীয় মারর্কাজ মসজিদে অনেক মানুষের সমাগম হয়েছিল। সবাই জায়নামাজ বিছিয়ে কাতারে বসে পড়েছিলাম। ওই সময় ইমাম সাহেব রমজানের ফজিলত এবং নামাজ সম্পর্কে খুব গুরুত্বপূর্ণ হাদিস নিয়ে বয়ান করছিল। আমি ইমাম সাহেবের কথাগুলো মন দিয়ে শুনছিলাম। কথা শেষ হয়ে গেলে আমি কিছু সেলফি নিয়েছিলাম।

কিছুক্ষণ পর নামাজ শুরু হয়ে যায়। তারপর আমরা সবাই নামাজে শরিক হয়ে যাই। নামাজ শেষ হওয়ার পর,ইমাম সাহেব ঈদের নামাজের খুতবা পাঠ করেন। আমরা সবাই নীরবতার শহীদ খুতবা শুনি। তারপর সকলের উদ্দেশ্যে আখেরি মোনাজাত করা হয়। সবাই গুনাহ মাফের দোয়া করেন। দোয়ার মধ্যে দিয়ে ঈদের নামাজ সমাপ্ত হয়ে যায়। তারপর সবাই একে একে চলে যেতে শুরু করে বাসার দিকে। আমিও চলে যেতে শুরু করলাম। অনেক মানুষ নামাজ শেষ করে সালামের মাধ্যমে মুসাফা এবং কোলাকুলি করছিল। তখন সবার মনে খুশির জোয়ার ছিল।

তারপর আমরা সবাই মিলে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করি। আমাদের ময়মনসিংহ বাইপাস রাস্তার পাশে, ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্ট ছিলো। তার পাশে সবাই সেলফি নিচ্ছিল। তখন আমরা ভাই,ভাতিজা পরিবারের সবার সাথে কিছু সেলফি নিলাম এবং ফটোগ্রাফি করলাম। তখন আমাদের খুবই ভালো লাগছিল এই অনুভূতি বোঝানোর মতো ছিল না। তারপর আমরা সবাই বাসায় চলে গেলাম।

এ ছিলো আমার ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়ার অনুভূতি। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে? কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মতো এখানে বিদায় নিলাম। আবারও হাজির হবো নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ 💞।

পোস্ট বিবরণ

বিভাগ	জেনারেল রাইটিং।
ডিভাইস	শাওমি রেডমি ৯
বিষয়	"ঈদের দিন ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়ার অনুভূতি"।
লোকেশন	ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
ফটোগ্রাফার	@nazmul01