শুভ রাত্রি 🌃
আজ ২০ ই জানুয়ারি,
রোজ সোমবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ , বাংলাদেশ থেকে।
হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।
গত সপ্তাহে আপনাদের মাঝে শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছিলাম। সে পোস্টে আমি বেশ কিছু তথ্য ও মেলার বিভিন্ন কসমেটিকের দোকানপাট ও বাচ্চাদের খেলনা এবং ওয়ালমেট সম্পর্কে বর্ণনা করেছিলাম। প্রতি বছরের মত এই বছর ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে এই মেলা। তাই এই মেলাকে কেন্দ্র করে সকলেই ঘুরতে আসেন এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করে বাসায় নিয়ে যান। শুধু তাই নয় শিশুদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন রাইড। সেখানে আমি খুবই সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি। শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন দোকানে ঘুরেছি। এবং বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। বাণিজ্য মেলায় ভ্রমণের তথ্য ও অনুভূতি তৃতীয় পর্ব আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় রাত গনিয়ে আসার পর মানুষের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছিল। বিভিন্ন শহর অঞ্চল থেকে অনেক মানুষ মেলা থেকে কেনাকাটা করে বাসায় চলে যায়। তবে বেশিরভাগ লোকজন না কিনে শুধু ঘোরাঘুরি করছিল। অতিরিক্ত মানুষের কারণে পা ফালানোর জায়গা নেই। যাইহোক একটু সামনে গিয়ে আমি খাবারের দোকান দেখতে পাই। মচমচে বাহারি খুরমা ও সুস্বাদু লাড্ডু দেখতে পাই। তবে তখন লাড্ডু খাওয়ার কোন ইচ্ছে ছিল না, তাই পরবর্তী রাইড গুলো ঘুরে ঘুরে দেখতে ছিলাম।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
কিছু সমনেই আরও একটি খাবারের স্টল দেখতে পাই। সেখানে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ডিম কেক ও আলুর চিপস তৈরি করছিল। এই ধরনের ডিম কেক গুলো খেতে ভীষণ মজা লাগে। আমি বেশ কয়েকবার খেয়েছিলাম। খেতে যেমন সুস্বাদু, দারুন তার টেস্ট। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে খুব সহজেই তৈরি করা হচ্ছে ডিম কেক। আমি আপাততো না খেয়ে সামনের দিকে রওনা করলাম ঘুরে দেখার জন্য।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
অল্প একটু সামনে গিয়ে দেখতে পেলাম চিলড্রেন পার্ক। সেখানে ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিলড্রেন পার্ক বাচ্চাদের জন্য বিনোদনের অন্যতম জায়গা। এখানে আগে টিকিট কেটে তারপর রাইড করতে হয়। স্পিড বোর্ড ৪ মিনিট ব্যবহার করলে ১০০ টাকা দিতে হবে। অস্থায়ী পুকুর বানিয়ে সেখানে বাচ্চাদের বিনোদনের জায়গা তৈরি করা হয়েছে। ছোট ছোট স্পিড বোর্ড এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বাচ্চারা খুব সুন্দর ভাবে ড্রাইভ করছে। দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। যেহেতু রাত ছিল তারপরও চেষ্টা করেছি কিছু ফটোগ্রাফি করার জন্য।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
স্পিডবোর্ডের পাশে ছিল উলা রাইড। এ রাইট বাচ্চাদের জন্য অনেক আনন্দ এবং মজার। পলিথিনের সাদা বক্স এর ভিতরে বাচ্চাদেরকে ঢুকিয়ে দিয়ে পাঁচ মিনিট আনন্দ দেওয়া হয়। বাচ্চারা এই বক্সের ভেতরে ঢুকে লাফালাফি করতে শুরু করে। তবে এখানেও পাঁচ মিনিট আনন্দের জন্য ১০০ টাকা খরচ করতে হবে আপনাকে।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
এরপর অল্প একটু সামনে হাতের বাম পাশে ভূতের বাড়ি দেখতে পাই। সেখানে ভূতের বিভিন্ন হরহর মিউজিক এবং বাচ্চাদেরকে আনন্দ দেওয়ার অভিনব কৌশল অবলম্বন করে ভূতের বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এখানেও প্রবেশ করতে টাকার প্রয়োজন। সবাই ভুতের বাড়ির সামনে খুব দারুন দারুন সেলফি নিচ্ছিল। তাই আমি বাদ থাকবো কেন। চলে গেলাম সামনে, নিয়ে নিলাম একটি সেলফি। পরবর্তী পর্বে শিল্প বাণিজ্য মেলার আরোও বেশ কিছু তথ্য এবং অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।💞
বিভাগ | ভ্রমণ পোস্ট। |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি ৯। |
বিষয় | শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় ভ্রমণ। (তৃতীয় পর্ব) |
লোকেশন | কাচারি রোড , ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ। |
রাইটার | @nazmul01। |
আমি মোঃ নাজমুল হাসান, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় থাকি। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি বাঙালি। বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ব বোধ করি। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কবিতা,আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না করা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া এবং বাহিরে খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো। আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য | এখানে ক্লিক করেন |
---|
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-Promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শীল্প বানিজ্য মেলার তৃতীয় পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে শীতকাল আসলেই যেন মেলার ধুম পড়ে যায়। আপনি শীল্প বানিজ্য মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে গিয়ে ঘোরাঘুরি করেছেন এবং ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাই অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। তাই আপনাদের মাঝে কিছু তথ্য শেয়ার করেছি। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শিল্প বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে যাওয়া তৃতীয় পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। সেখানকার বিভিন্ন অংশে নানা রকম ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সেখানকার বিভিন্ন জায়গাগুলো দেখতে পেলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, আমার পোস্ট ভিজিট করে প্রশংসা মূলক কমেন্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় ভ্রমণ করার তৃতীয় পর্ব খুব সুন্দর করে সবার মাঝে আপনি ভাগ করে নিয়েছেন। আর আমার কাছে এই পর্বটা দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। মেলায় গিয়ে সময় কাটালে সত্যি খুব ভালো লাগে। আপনার মেলায় গিয়ে কাটানো পুরো মুহূর্তটা সত্যি ভালো ছিল। সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করে নেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাই মেলায় গিয়ে সময় কাটালে মন মানসিকতা ভালো হয়ে যায়। উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মেলায় ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে৷ সবার ভ্রমণ করতে ভালো লাগে৷ আমিও মেলার মধ্যে ভ্রমণ করার চেষ্টা করি৷ তবে মাঝেমধ্যে সময়ের অভাবের কারণে মেলায় ভ্রমণ করা হয় না৷ তবে এমন অনেক সময় ছিল যে আমি যত বেশি সময় মেলার মধ্যে পার করেছি তা হয়তো আর অন্য কোথাও ব্যয় করিনি৷ আজকে আপনি যেভাবে এত সুন্দর একটি মেলায় ভ্রমণের পোস্ট শেয়ার করেছেন তা দেখে খুব ভালো লাগলো৷ ধন্যবাদ আপনাকে৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit