মাকে নিয়ে ডঃ কে. জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে।

মাকে নিয়ে ডঃ কে. জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে।"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

_{^{"ছবিটি InShot অ্যাপস দিয়ে তৈরি"।}}

শুভ রাত্রি ..🌃
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।

হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম মাকে নিয়ে ডঃ কে. জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে যাওয়ার পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।

আমার মায়ের বেশ কিছু দিন যাবৎ চোখের সমস্যা ছিল সামান্য। কিন্তু চোখের সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এক মাস আগে সামান্য ছিল তাই ডক্টর কিছু ওষুধ এবং চশমা ব্যবহার করতে বলেছিল। চশমা এবং ড্রপ ব্যবহার করার পর চোখের সমস্যা অনেক অংশে ভালো হয়ে যায়। কিন্তু মা আমাকে গত সপ্তাহ থেকে চোখে সমস্যা নিয়ে কিছু বলেনি। সত্যি বলতে মায়েরা এমনতেই নিজের চাওয়া পাওয়া এবং অসুস্থতার কথা কখনো সন্তানের কাছে বলতে চায় না। কিন্তু চোখের সমস্যার কারণে মা দূরের জিনিসগুলো দেখতে পায় না। এবং এক সপ্তাহ ধরে চোখ দিয়ে পানি পড়ছিল। তাই আমি মাকে দ্রুত চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যাই এবং ডাক্তারের শরণাপন্ন হই।

_{^{"লোকেশন"}}

আমাদের ময়মনসিংহ জেলার শহরে নিকটস্থ ভালো চক্ষু হাসপাতাল রয়েছে। অনেক মানুষ দূর দূরান্ত থেকে চোখের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হয়। হাসপাতালের পরিবেশ খুবই ভালো এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কোন কমতি নেই। আমি জানি ডঃ কে. জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল চোখের বিভিন্ন সমস্যা খুব সহজেই চিহ্নিত করে সমাধান দিতে সক্ষম। তাই আমি মায়ের চোখের সমস্যা নিয়ে প্রথমেই উপস্থিত হয়ে প্রথমেই কাউন্টারে ২২০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে নিয়েছিলাম। ২২০ টাকা ছিল টিকিটের মূল্য, তবে তেমন বেশি ছিল না। টিকিট কাঁটার পর আমরা দুজন ডাক্তার দেখানোর জন্য ভিতরে প্রবেশ করি।

_{^{"লোকেশন"}}

ভিতরে প্রবেশ করে আমি অবাক হয়ে যাই। সকাল সকাল অনেক মানুষের ভিড় জমে যায়। যাইহোক অবশেষে ৩০ মিনিট পরে ডাক্তার দেখানোর পর ডক্টর কিছু চোখের টেস্ট দিয়েছিল। টেস্ট গুলো হাসপাতালের ভিতরেই করিয়ে ছিলাম। টেস্টগুলো করার জন্য আমাকে আরোও ২৮০ টাকা দিতে হয়েছিল। সর্বমোট চারটি পরীক্ষার জন্য ২৮০ টাকা মোটামুটি মানানসই ছিল। মায়ের চোখের জন্য মোটামুটি অল্প সময়ের ভিতর সবগুলো টেস্ট করেছিলাম। সবগুলো পরীক্ষা হাসপাতালের ভিতরে করতে হয়েছিল।

_{^{"লোকেশন"}}

অবশেষে ডঃ কে. জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের ভিতরে পরীক্ষা করার পর আবারো ডাক্তারের চেম্বারে দেখা করি। ডাক্তার আমার মায়ের পরীক্ষার রিপোর্ট গুলো দেখে বলেছিলে তেমন কোন সমস্যা নেই। চোখের ড্রপ ও বেশ কিছু ওষুধ লিখে দিয়েছিল। আগে যে চশমাটা ব্যবহার করতো সেটার পাওয়ার কিছু পরিবর্তন করে নতুন আরেকটি চশমা দিয়েছিল। তারপর আমি এবং মা ওষুধগুলো নিয়ে বাসায় চলে আসি। ইনশাআল্লাহ ডাক্তারের কথা অনুযায়ী আশা করছি মা এই ওষুধ গুলো খেলে সুস্থ হয়ে যাবেন। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ💞

পোস্ট বিবরণ

বিভাগ	লাইফ স্টাইল।
ডিভাইস	শাওমি রেডমি ৯।
বিষয়	মাকে নিয়ে ডঃ কে. জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে।
লোকেশন	ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
রাইটার	@nazmul01।