জুঁই ফুলের পোলাও। রেসিপি ব্লগ

in hive-129948 •  2 months ago 

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,


সমস্ত ভারতবাসী এবং বাংলাদেশের বাঙালি সহযাত্রীদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।


Onulipi_10_07_10_55_50.jpg



1000234046.png


1000234048.png




আশা করি আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ আছেন, সব দিক থেকে ভালোও আছেন। আপনাদের সবার ভালো থাকা কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।



আমরা নদীমাতৃক দেশের অধিবাসী হওয়ার কারণে আমাদের প্রধান খাবার ভাত। ঠিক যেভাবে উত্তরপ্রদেশ বা পাঞ্জাবের লোকেরা রুটি খায়৷ প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের পূর্ব ভারতে ধান চাষের প্রাধান্য রয়েছে। মাটির উর্বরতা ও নদীর জল যে তার প্রধান কারণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ জানেন আমাদের দেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি ধরণের ধানের উল্লেখ পাওয়া যায়। যার বেশিরভাগই আজ বিলুপ্ত। এখন যদিও অন্য ধরণের চাষের পদ্ধতির কারণে নানান ধরণের ধানের বীজ উৎপন্ন করা হয়েছে, যাতে করে ফলন ভালো হয়।

ধান প্রধান ফসল হওয়ার ফলে আমাদের বাঙালিদের মধ্যে ভাতের নানান পদ চিরকালই রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পোলাও। পোলাও কথাটা এসেছে সংস্কৃত শব্দ পল্লাও থেকে। পল্লাও পরবর্তীতে পলান্ন থেকে পোলাও। পলান্ন অর্থাৎ পল ও অন্ন। পল মানে মাংস। মাংস দিয়ে যে অন্ন তৈরি হয় তাকেই বলা হত পলান্ন৷ অতয়েব এ কথা বেশ পরিষ্কার যে পলান্ন যখন আবিষ্কার হয়েছিল তখন মাংস দিয়েই হত। তারপর তা ভেঙে চুরে নানান মেলবন্ধনের পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গিয়ে নানান পদ তৈরি হয়েছে৷ প্রসঙ্গত বলে রাখি, হরপ্পা মহেঞ্জোদারো সভ্যতাতেও এমন রান্নার উল্লেখ পাওয়া যায়।

তবে বুঝতে পারছেন বন্ধুরা, আমাদের আবিষ্কার বলতে আসলে কিছুই নেই ওই এদিক ওদিক করে এর মাথা তার ঘাড়ে ওর মাথা এর ঘাড়ে করে চালাই মাত্র। আসল বীজ বহু বছর আগেই বোনা হয়ে গিয়েছিল৷ প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী লিখেছেন,

সামান্য ভাতও রাঁধিবার গুণে রাজভোগ্য খাদ্যে পরিণত হইতে পারে, পোলাও তাহার প্রমাণ।

সত্যিই তাই। পোলাও-তে নানান ধরণের বাদামের মিশ্রণ যেমন স্বাদ ও গন্ধ বৃদ্ধি করে তেমনি অভিনবত্ব আনার জন্য নানান ফুলের পাপড়ি দিয়ে দমে বসানোর প্রচলন ছিল এক সময়। তবে পোলাওয়ের আসল স্বাদ কিন্তু আখনি থেকেই আসে বলে আমার বিশ্বাস। জুঁই ফুলের পোলাও পদটি এমনি ভাবেই বানানো হয়েছিল প্রায় একশ'দশ বছর আগে। বর্তমানে এর প্রচলন প্রায় নেই বললেই চলে৷ কেবলমাত্র শোভাবাজার রাজবাড়িতে দুর্গাপূজার নবমীতে এই পোলাও রান্না করে মা কে ভোগ নিবেদন করার প্রচলন আজও টিকে আছে৷

পোলাও নিয়ে অনেক কথা বললাম, এবার চলুন সরাসরি রেসিপিতে যাই৷ আগেই বলে রাখি এই রান্নাটি করেছিলাম আমার মেয়ের জন্মদিনের দিন৷ সেই মাপেই আমি পরিমানগুলো লিখব৷ তবে অনেক মানুষের পদ ছিল আরও অনেক পদ রান্না করেছিলাম তাই সমস্ত ধাপের অনেক ছবি নেই। এছাড়াও উপকরণের ছবিও তোলা হয়নি তাড়াহুড়োর মধ্যে। প্রথমে ভেবেছিলাম পরে আবার একদিন রান্না করব৷ কিন্তু সে দিন আবার কবে আসবে তার চেয়ে ভালো এখনই লিখি। কিছু ছবি তো আছে। নাই বা হল দারুণ করে তোলা।


1000213522.png

উপকরণপরিমান
বাসমতি চালএক কেজি আড়াইশ গ্রাম, ডালের বাটির পাঁচ বাটি
ঘিপ্রায় আড়াইশ গ্রাম
কাজুবাদামআড়াইশ গ্রাম
পেস্তাদু'শ গ্রাম
কিসমিসএকশ'গ্রাম
নুনপরিমান মতো
জলসাত বাটি
দুধচার বাটি
জাফরানপরিমান মতো
জুঁই ফুলের মালাতিনটি
সমস্ত ধরণের গোটা গরম মশলাপরিমান মতো


চলুন দেখে নিই কিভাবে বানালাম।


1000213536.png


ধাপ-১

InShot_20241007_223229937.jpg

প্রথমেই একটা বড় সসপ্যানে করে সাতবাটি জল নিয়ে তাতে সমস্ত ধরণের গোটা গরম মশলা যেমন লবঙ্গ, এলাচ দারুচিনি, সা-জিরা, বড় এলাচ, জায়ফল, জয়িত্রী, স্টারফল দিয়ে জলটা ফুটতে দেব, প্রায় ছ' বাটি হওয়া পর্যন্ত বেশি আঁচে ফুটিয়েছি৷ আখনি বানাতে গেলে পরিষ্কার সাধা কাপড়ে এই গরম মশলাগুলি বেঁধে জলে ফেলে ফোটালেও হয়। কিন্তু আমার কাছে নরম কাপড় নেই৷ তাই এভাবেই করেছি। ফুটে রেডি হয়ে যাবার পর ছাকনিতে ছেঁকে জলটা আলাদা করে নিয়েছি।

ধাপ-২

InShot_20241007_223209249.jpg

জলটা যতক্ষণে ফুটছিল আমি অন্য একটা ওভেনে কড়াই বসিয়ে দিয়ে বেশ খানিকটা ঘি দিয়ে তাতে পেস্তা কাজু কিসমিস ভেজে নিয়েছি। এতে কোন নুন যোগ করিনি। ভাজার পর ঘি সমেতই কড়াই নামিয়ে রেখেছি৷

ধাপ-৩

InShot_20241007_223257843.jpg

একটি বড় কড়াইতে বাকি ঘি টা পুরোপুরি দিয়ে তা গরম হয়ে গেলে আগে থেকে ধুয়ে রাখা চাল দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করেছি। এই ধাপটা পোলাও রান্নার ক্ষেত্রে অনেক জরুরি। কারণ চাল ভালো করে ভাজা না হলে পোলাও ঝরঝরে হবে না৷ চাল নাড়ার সময় আমি পরিমান মতো নুন দিয়েছি।

ধাপ-৪

InShot_20241007_223330849.jpg

ভালো করে নাড়াচাড়া করার পর আখনি জলটা পুরোটা মানে ছ'বাটি একসাথে ঢেলে দিয়ে সামান্য নাড়াচাড়া করে ঢাকা দিয়ে দিয়েছি।

ধাপ-৫

InShot_20241007_223352468.jpg

যেই সময়তে ভাতটা হতে লাগবে সেই সময়েই আমি চারবাটি দুধ সামান্য গরম করে তাতে খোদ কাশ্মীরী জাফরান মিশিয়ে দিয়েছি। এটা ভিজতে বেশি সময় লাগেনা।

ধাপ-৬

InShot_20241007_223414504.jpg

দেড় কেজি চালের পোলাও একসাথে বোধহয় এই প্রথম রান্না করেছি৷ তাই বাসনের আন্দাজ বুঝতে পারিনি। কড়াইতে চালটা সামান্য হতেই ভরে যাচ্ছিল। অগত্যা আরও বড় মাপের হাঁড়ি বের করে তাতে সামান্য ঘি দিয়ে গরম করে পুরো পোলাওটা বদলি করলাম। এতে এবার ভেজে রাখা ড্রাইফ্রুট দিয়ে দিলাম। সাথে যেটুকু বাদাম ভাজা ঘি বেশি হয়েছিল পুরোটাই দিয়ে দিলাম। এবার ঢাকা দিয়ে রেখেছিলাম প্রায় দশ মিনিট।

ধাপ-৭

InShot_20241007_223441530.jpg

দশ মিনিট পর ঢাকা খুলে জাফরান মেশানো দুধটা ঢেলে দিয়ে আরও ৫ মিনিট চাপা দিয়েছি।

ধাপ-৮

InShot_20241007_223500401.jpg

জুঁই ফুলের পোলাওএর এটা শেষ ধাপ৷ এখানে আমি ফুলের মালাগুলো ভাতের ওপর দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিয়েছি৷ আর কম আঁচে প্রায় পনের কুড়ি মিনিট দম দিয়েছি।

অনেকে এই প্রশ্ন করতে পারেন, ফুলের মালা কেন ব্যবহার করেছি। আসলে রান্নার শেষে মালাটি তুলে ফেলে দিতে হয়। ফুল এমনি দিলে তা বাছা যাবে না কারণ গরম ভাপে নরম হয়ে যাবে৷ সেক্ষেত্রে খাবার সময় মুখে পড়লে ভালো লাগবে না৷ তাই মালার পদ্ধতি।

কেউ বলেনি সেদিন যে রান্না খারাপ হয়েছিল। সকলেই পাত চেটে খেয়েছে। সামান্য পোলাও বেশি হয়েছিল দেখে দুটো বন্ধু আলাদা করে টিফিনবাক্সে করে বাড়িও নিয়ে গেছে৷ এভাবে কেউ খেলে বড় তৃপ্তি হয়। রাঁধুনিদের এটাই তো প্রাপ্তি তাই না?

1000225073.png

সেদিন অনেক মানুষ ছিল আর পদও অনেক হয়েছিল। তাই আলাদা করে পোলাওএর সাজানো ছবি তুলব তার আর সময় হয়ে ওঠেনি৷ মেয়ের জন্মদিনের পুরো প্লেট টাই আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।

এখানে জুঁই ফুলের পোলাও ছাড়াও রয়েছে মুগ ডালের পুরি, শাহী পনীর, সোয়াবিনের মালাই কোফতা, সিমুইয়ের পায়েস। এছাড়াও মিষ্টি মুখের জন্য কাজু বরফি, বালুসাই আর কালাকান্দ ছিল, পাঁপড় ভাজা, কেক আর ফ্রেঞ্চফ্রাইও ছিল, ছবিতে নেই কেবল। আসলে একা হাতে অনেক বন্ধুবান্ধব আর অনেকগুলো পদ তো তাই কিভাবে সামলাবো কোনভাবেই বুঝে উঠতে পারিনা। উপকরণের অভাবে তো এবার কেকটাই বানাতে পারলাম না৷

InShot_20241007_223525361.jpg


আচ্ছা, আবার আগামীকাল আসব নতুন কোন পোস্ট নিয়ে। ততক্ষণ আপনারা ভীষণ ভালো থাকুন আনন্দে থাকুন। আজ এ পর্যন্তই...

টাটা

1000205476.png


1000216462.png

পোস্টের ধরণরেসিপি পোস্ট
ছবিওয়ালানীলম সামন্ত
মাধ্যমস্যামসাং এফ৫৪
লোকেশনপুণে,মহারাষ্ট্র
ব্যবহৃত অ্যাপক্যানভা, অনুলিপি, ইনশট


1000216466.jpg


৫% বেনেফিশিয়ারি এবিবি স্কুলকে এবং ১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে


1000192865.png


~লেখক পরিচিতি~

1000162998.jpg

আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিতব্য গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা



কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।

🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾


1000205458.png

Untitled_design_-_18.png

1000205505.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

জুঁই ফুলের পোলাও এর কথা আমি আজকে প্রথমবারের মতো শুনলাম। এটা আগে কখনোই আমার খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি একটু ভিন্নভাবে এই পোলাও তৈরি করেছেন। দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। নিশ্চয়ই জুঁই ফুলের পোলাও টা অনেক মজাদার হয়েছে। আমি তো ভাবছি একবার এটি তৈরি করবো। কেন যে মজাদার রেসিপি টা দেখিয়ে লোভ লাগিয়ে দিলেন। সাজানো প্লেট দেখে খেয়ে নিতে ইচ্ছে করছে নিয়ে।

আমি সব সময়ই চেষ্টা করি সাধারণ কিছু থেকে বেরিয়ে রান্না করতে। পরীক্ষা করতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

রান্নাটি কিন্তু আমার কাছে একদম ইউনিক মনে হয়েছে। আমি দারুন সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তবে রান্নাটি কিন্তু এই প্রথম আমি দেখলাম। এর আগে এমন দারুন রেসিপি আমার কখনও চোখে পড়েছি।যাই হোক এমন দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন।

জুঁই ফুলের পোলাও রেসিপি এখন পর্যন্ত কোন দিন খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে জুঁই ফুলের পোলাও রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা জুঁই ফুলের পোলাও রেসিপি টি দেখে বেশ ভালো লাগলো।আমি ও বাসায় চেষ্টা করবো জুঁই ফুলের পোলাও রেসিপি তৈরি করার জন্য।

অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

শেষে জুই ফুলের মালা। এটা বেশ ছিল কিন্তু। জুই ফুলের পোলাও নাম দিলেও জুই ফুল তো রান্না করলেন না আপু হা হা। চমৎকার তৈরি করেছেন রেসিপি টা আপু। দেখে বেশ লাগল। রেসিপি টার ধাপগুলো চমৎকার উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।

হা হা। আসলে জুঁই ফুলের গন্ধে মো মো করা পোলাও।

জুঁই ফুলের পোলাও এই প্রথম আমি এই রেসিপির নামটি শুনলাম। আসলে এই রেসিপিটির নামটি শুনে আমার রেসিপিটি পড়ার খুব শখ হলো। আসলে আপনি যেভাবে এত সুন্দর করে এই রেসিপি তৈরি করেছেন তা দেখে মনে হচ্ছে যে এই রেসিপি অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা নতুন ধরনের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ জানাই আপনাকে দাদা। আমি চেষ্টা করি এরম একটু অন্যরকম রান্না করতে।

খুবই ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। এই ধরনের রেসিপি আগে কখনো করা হয়নি।বলতে গেলে প্রথম বার জুঁই ফুলের পোলাওয়ের রেসিপিটি দেখলাম।আগে জানা ছিল না এভাবেও এত মজাদার তৈরি করা যায়।আপনার তৈরি রেসিপিটি দেখে শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

করে খাবেন বাড়িতে। সেটা নিয়ে ব্লগ লিখবেন। আমি খুশি হব। এভাবেই বাঙালির হারিয়ে যাওয়া রান্না টিকে থাকবে মানুষের মধ্যে।

অনেক লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এর সাথে আপনি জুঁই ফুল ব্যবহার করেছেন এজন্য এটা আমার কাছে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের পোলাও রান্না বলে মনে হয়েছে। এই ফুল দেবার কারণে পোলাওয়ের গন্ধ খুবই সুন্দর হয়ে গিয়েছিল বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে।

খেতেও ভিন্ন হয়েছিল। গন্ধও অসাধারণ। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

আপনার মাধ্যমে আজকে ইউনিক একটা রেসিপি দেখলাম। আপনার তৈরি করা রেসিপিটা দেখে আমার তো খুব পছন্দ হয়েছে। পোলাও খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। তবে কখনো জুঁই ফুলের পোলাও আমার খাওয়া হয়নি। ইউনিক একটা রেসিপি পোস্ট নিয়ে সবার মাঝে হাজির হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

জুঁই ফুলের পোলাও হারিয়ে যাওয়া পদের মধ্যে একটি দাদা। ভাবিকে বলবেন করে খাওয়াবে। ভাল থাকবেন।

অনেক সময় তাড়াহুড়ার কারণে সব ছবিগুলো তোলার সময় হয় না। আর আপনি ব্যস্ততার কারণে হয়তো ছবিগুলো তুলতে পারেননি আপু। জুঁই ফুলের পোলাও রেসিপি আমার কাছে একদম নতুন মনে হয়েছে। মনে হচ্ছে খেতে দারুন ছিল।

সত্যিই খেতে দারুণ হয়েছিল। ধন্যবাদ জানবেন।

আপু আপনার কাছ থেকে একদম ভিন্ন ধরনের রেসিপি শিখতে পারলাম। জুঁই ফুলের পোলাও কখনও খাওয়া হয়নি। পোলাও রান্নার সব ধাপ একই শুধু সবশেষে জুঁই ফুল দেওয়াতে এর থেকে আলাদা একটা ঘ্রাণ এসেছে। এমন সুন্দর ঘ্রাণ আসলে সত্যিই খেতে খুব ভালো লাগে। আমার তো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

শুধু জুঁইফুলের মালার জন্য আলাদা হয়েছিল খেতে তা নয়। বাকি উপকরণও সময়ে সময়ে মেশাতে হয়েছে। রান্নার স্বাদ অনেকটাই সময়ের ওপর নির্ভর করে।

ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।