প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী
আশা করি আপনারা সবাই বেশ ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আপনাদের সবার সুস্থতা কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।
দূর্গা পূজা শেষ, লক্ষ্মী পূজার শেষ মাতৃ আরাধনায় এরপর আসে কালীপূজা। কালীপূজা অর্থাৎ দীপাবলি । আমাদের পশ্চিমবঙ্গের এক ধরনের দীপাবলি হয়, যেখানে ভূত চতুর্দশী পালন হয় চৌদ্দটা মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ থেকে দীর্ঘদিন বাইরে থাকার ফলে এটুকু জেনেছি অবাঙালিদের কাছে এই ভুত চতুর্দশী বা দীপাবলি হল বছরের শুরু। ফলত এদের নিজস্ব কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। যেমন দীপাবলীর আগে এরা সমস্ত ঘরদর ঝাড় পোছ করে ঝকঝকে করে ফেলে। প্রত্যেকের নতুন জামা কাপড় কিনে একে অপরকে উপহার হিসেবে দেয় এবং নিজেদের জন্য রাখে৷ এছাড়াও যারা বাড়িতে কাজ করতে আসে বা দারোয়ান সবাইকে বোনাস দেয়। নানান ধরনের নোনতা মিষ্টি খাবার বানায় যা দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়। আর দীপাবলীর দিন ঘরটা অপূর্ব সুন্দর করে সাজায়। আলো দিয়ে নানান ধরনের রঙ্গোলি দিয়ে। এই সময় বাজারে প্রচুর ল্যান্টার্ন বিক্রি হয়। এই ল্যান্টার্নগুলিও প্রত্যেকের ব্যালকনিতে জ্বলতে দেখা যায়। আজ যখন পোস্ট করব বলে বেশ কিছু টপিক মাথার মধ্যে ঘুরঘুর করছিল, তখন ভাবলাম কাগজের ল্যান্ট্যার্ন তৈরি করি, ছোট্ট ছোট্ট ল্যান্টার্নগুলো ঘরের মধ্যে সাজিয়ে রাখার জন্য খুবই সুন্দর দেখতে হয়।
যেই ভাবা অমনি কাজ, বানিয়ে ফেললাম কয়েকটি রঙিন ল্যান্টার্ন৷ চলুন দেখে নেই কি কি লাগলো এবং কিভাবে বানালাম।
উপকরণ
- বর্গাকার রঙিন কাগজ
- কাঁচি
- ট্রান্সপারেন্ট রিবন
- স্কচ টেপ
বানানোর পদ্ধতি
এবার ধাপে ধাপে দেখাই কিভাবে বানিয়েছি৷
একটি বর্গাকার কাগজ নিয়ে তাকে মাঝ বরাবর ভাঁজ করে ত্রিভুজ বানালাম।
ত্রিভুজটি খুলে দিয়ে তার বিপরীতের কোণগুলো জুড়ে আবার একটু ত্রিভুজের ভাঁজ করলাম।
সমস্ত গাছ খুলে দিয়ে দেখলাম মাঝে দুটো ভাঁজের একটি সংযোগস্থল তৈরি হয়েছে, সেই বিন্দু থেকে কেন্দ্র করে এক দিকের কোণ ভাঁজ করলাম।
ঐ কোণটির বিপরীতের কোণটিও ভাঁজ করলাম। তৈরি হলো দুটি ত্রিভুজ।
বাকি দুটো কোণও ভাঁজ করে নিলাম। এখন দেখা যাচ্ছে একটু ছোট সাইজের বর্গাকার তৈরি হয়েছে৷
এবার কাগজটিকে উলটে রাখলাম।
একই ভাবে আবারও কোণ মুড়তে শুরু করলাম।
চারদিকের কোণই ভাঁজ করে নিলাম। আরও ছোট একটি বর্গাকার কাগজ তৈরি হল।
আবারও কাগজটি উলটে রাখলাম।
একই ভাবে বিপরীতমুখী কোণ দু'টো ভাঁজ করলাম।
আরও দু'টো কোণ ভাঁজ করে নিলাম।
তারপর কাগজটি উলটে দিলাম।
এবার একটি কোণের ভাঁজের ওপর জোড়া কাগজের অংশে আঙুল ঢুকিয়ে শুধু মাত্র ওই জায়গার ভাঁজটাই খুলে দিলাম অতি সাবধানে যাতে ছিঁড়ে না যায়৷
ভালো করে চাপ দিয়ে সোজা করে দিলাম।
ঠিক বিপরীতের ভাঁজটাও একই ভাবে খুলে দিলাম।
একদিকের মুখের ভেতর ট্রান্সপারেন্ট রিবন ছোট করে মাপ মতো কেটে স্কচ টেপ দিয়ে আটকে নিলাম।
হয়ে গেল কাগজের তৈরি মিনি ল্যান্টার্ন।
প্রথমে ভেবেছিলাম দু'টো বানাবো৷ সবুজ আর কমলা। কিন্তু মেয়ে আবদার করল তারও দু'টো চাই। তাই আরও দুটো বানিয়েছি।
এবার এইগুলো নিয়ে আমি একটি সুইচ বোর্ডের নিচে ডবল সাইডেড টেপ দিয়ে চিটিয়ে দিয়েছি। দেখতে কিন্তু দারুণ লাগছে।
বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের নিবেদন - রঙিন রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি কাগজেত ল্যান্টার্ন। কেমন লাগল আপনাদের অবশ্যই জানাবেন৷ অপেক্ষায় থাকলাম। আজ তবে আসি?
টা টা
পোস্টের ধরণ | অরিগ্যামি ক্রাফট পোস্ট |
---|---|
ছবিওয়ালা | নীলম সামন্ত |
মাধ্যম | স্যামসাং এফ৫৪ |
লোকেশন | পুণে,মহারাষ্ট্র |
ব্যবহৃত অ্যাপ | ইনশট |
১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক খ্যাঁককে
আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশ ও ইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিতব্য গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/neelamsama92551/status/1849158957358543353?t=rbOSO1fLFrd7s46Cb6Mtaw&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মিনি ল্যানটার্ন গুলো বেশ কিউট লাগছে। রঙিন কাগজ দিয়ে খুব চমৎকার অরিগামি তৈরি করেছেন আপু। ঝুলিয়ে রাখার পর এগুলো আরো বেশি সুন্দর লাগছে দেখতে। ভালো লাগলো আপনার আজকের অরিগামি পোস্ট দেখে। চমৎকারভাবে এগুলো তৈরি করেছেন। প্রত্যেকটা ধাপ উপস্থাপন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোট্ট তো কিউট সত্যিই৷ ধন্যবাদ আপু আপনাকে৷ সুন্দর বললেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কাগজের তৈরি মিনি ল্যানটার্ন অসাধারণ হয়েছে দেখে মুগ্ধ হলাম। আপনি খুবই দক্ষতার সাথে এই ডাই পোস্টটি তৈরি করেছেন। আমার অনেক ভালো লেগেছে, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চেষ্টা করেছি দাদা৷ মেয়ের সাথে থেকে অনেক কিছু যেমন শিখি তেমনি অনেক কিছু তাকে করেও দিতে হয়। এটি তারই ফল। আপনার ভালো লাগল জেনে আপ্লুত হলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কাগজ দিয়ে অরিগ্যামি বানাতে যেমন ভালো লাগে দেখতেও চমৎকার লাগে। আজকে আপনি কাগজ দিয়ে অনেক সুন্দর করে ল্যানটার্ন বানিয়েছেন। তবে এটি ঠিক পোস্ট রেডি করতে অনেক কিছু মাথায় এসে থাকে। আর ধৈর্য ধরে খুব সুন্দর করে ল্যানটার্ন বানিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit