ভাইপোর বিবাহবার্ষিকীর ঘরোয়া মুহুর্ত।

in hive-129948 •  16 days ago 

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,


সমস্ত ভারতবাসী এবং বাংলাদেশের বাঙালি সহযাত্রীদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।


IMG-20250130-WA0027.jpg








আশা করি আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ আছেন, সব দিক থেকে ভালোও আছেন। আপনাদের সবার ভালো থাকা কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।



আপনারা জানেন বন্ধুরা, কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা উপলক্ষে কলকাতা এসেছি। বিগত দুই দিন পর পর বসলাম৷ আমার যেহেতু কলকাতাতে বা কলকাতার আশেপাশে নিজের কোন বাড়ি নেই তাই আমাকে সব সময়ই কোন না কোন আত্মীয়র বাড়িতে থাকতে হয়। এবার আমি আছি আমার পিসতুতো দাদার ছেলের বাসায়৷ গত বছরও এক দু দিন ছিলাম। ভাগ্যক্রমে একই তারিখে৷

আজ ছিল ওদের বিবাহবার্ষিকী। গতবছরও এই দিনটি আমরা একসাথে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। কিন্তু আজ ভাইপোর বউ বাড়িতেই সব রান্না করেছে৷ বইমেলার জন্য আমি সকালেই বেরিয়ে গিয়েছিলাম। আর সত্যিই বলতে কি আমার মনেও ছিল না৷ তাই কোন উইশ করতে পারিনি৷ এদিকে বৌ বাড়িতে অনেক রান্নাবান্না করেছে। আমি যখন ওদের বাসায় ফিরলাম তখন সাড়ে ন'টা। ভাইপোর ছেলে অর্থাৎ আমার নাতি বেলুন ফুলিয়েছে৷ ওদের নতুন বাসা ভারি চমৎকার।

IMG-20250130-WA0030.jpg

আয়োজন দেখেই মাথায় খেলল আজ ওদের বিবাহবার্ষিকী। আমি চটপট হাত পা ধুয়ে এসে টেবিল সাজিয়ে দিলাম৷ আর বউ কে রান্নাতেও সাহায্য করলাম একটুই৷ কারণ ওর সব রান্নাই হয়ে গেছিল।

তাড়া দিয়ে বললাম রেডি হয়ে আসতে৷ ভাইপোও একটা সুন্দর পাঞ্জাবি পরে এডি হল। আমি বেশ কয়েকটা ছবি তুলে দিলাম। তারপর সাড়ে তিনজনেই কেক কাটিং করে খেতে বসলাম।

IMG-20250130-WA0029.jpg

বউ এর রান্নার হাত ভারি চমৎকার। ভেটকি মাছের চিলি ফিস করেছিল। সাথে শাহী পনীর আর চাইনিজ ফ্রায়েডরাইস। সুন্দর পোশাক পরে খেতে বসবেনা বলে ও গেল চেঞ্জ করতে ততক্ষণে আমি স্যালাদ কেটে নিলাম আর সুন্দর করে খাবার বেড়ে নাতিকে খেতে দিলাম। আসলে রাত হয়ে গেছিল তো নাতির বেশ খিদেও অএয়ে গেছিল৷

সারাদিন নানান ব্যস্ততার সাথে সত্যি বলতে কি খাওয়ার একেবারেই কোন ঠিক থাকে না। তাই আজ বাড়ি ফিরে ওদের সাথে এতো আনন্দ করে খাওয়া দাওয়া অনেক তৃপ্তি দিল৷ বাড়ির খাবার বলেই হয়তো তৃপ্তি বেশি৷ আমি আবার বাইরের মানে রেস্ট্রুরেন্টের খাবার বেশি হজম করতে পারি না৷

IMG-20250130-WA0028.jpg

মাঝে মাঝে মনে হয়, আজকাল মানুষ একা থাকতে চায় অথচ আত্মীয় পরিবারের সাথে আনন্দের অন্ত নেই যেন৷ আমি যদিও একেবারেই একা থাকতে পারি না। সারাক্ষণ সবাইকে নিয়ে হই হই করে কাটাই। একা কেমন দম বন্ধ লাগে।

আপনাদের কেমন লাগে একা? নাকি আত্মীয় পরিবারের সাথেই বেশি ভালো লাগে?

কমেন্টে জানাবেন৷ আমিও আজ খুবই টায়ার্ড। তাই বেশি কিছু লিখছি না৷ এখানে শেষ করছি।

টা টা

1000205476.png


1000216462.png

পোস্টের ধরণলাইফস্টাইল ব্লগ
ছবিওয়ালানীলম সামন্ত
মাধ্যমস্যামসাং এফ৫৪
লোকেশনকলকাতা
ব্যবহৃত অ্যাপক্যানভা, অনুলিপি


1000216466.jpg


১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে


1000192865.png


~লেখক পরিচিতি~

1000162998.jpg

আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিতব্য গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা



কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।

🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾


1000205458.png

1000205505.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

1000388037.jpg

1000388031.jpg

"সাড়ে তিনজন" মানেই তো বুঝলাম না আপু। বউয়ের রান্নার হাত যে ভালো সেটা ফুড গুলির ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বাইরের ক্লান্তি নিয়ে বাসায় ফিরে এরকম দৃশ্য দেখা মানেই মনের প্রশান্তি মিলে। দারুন একটা সময় উপভোগ করেছেন আপনার পিসতুতো দাদার ছেলের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে। সেই আনন্দের একাংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

সাড়ে তিনজন মানে আমরা বড়রা তিনজন আর ছোট বাচ্চা যে কিনা অর্ধেক জন। হা হা হা

এই অনুষ্ঠানে গুলো রেস্টুরেন্টে আয়োজন করলে একরকম আনন্দ আবার বাসায় আয়োজন করলে একরকম আনন্দ। দুই জাগায় ভিন্ন ভিন্ন আনন্দ উপভোগ করা যায়। বাড়িতে ভাইপোর বউ ভালোই রান্না বান্না করেছে। ধন্যবাদ।