কমলাইলিশ || বাঙালির সেরার সেরা মাছ ইলিশ ও শীতের কমলালেবুর যুগলবন্দী।

in hive-129948 •  2 months ago 

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,


সমস্ত ভারতবাসী এবং বাংলাদেশের বাঙালি সহযাত্রীদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।


InShot_20241201_203707428.jpg



1000234046.png


1000234048.png




আশা করি আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ আছেন, সব দিক থেকে ভালোও আছেন। আপনাদের সবার ভালো থাকা কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।



আনিয়া ইলিশ মৎস্য করিল ফালা ফালা
তাহা দিয়া রান্ধে ব্যঞ্জন দক্ষিণ সাগর কলা।

মধ্যযুগীয় মঙ্গলকাব্যে বাঙালার খাবার দাবার রন্ধন সম্পর্কিত অনেক তথ্যই পাই৷ বিজয়গুপ্ত তাঁর কালজয়ী রচনা পদ্মপুরাণে ওপরের লাইনগুলি লিখেছেন। আমিষ পদগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল ইলিশের ঝোল। তারপর থেকে দিন যত গেছে ইলিশের কদর বেড়েছে বৈ কমেনি। বিভিন্ন তথ্যসুত্র বলছে, ১৯১৬ সালে বহরমপুরের কাশিমবাজার রাজবাড়িতে মহারাজা শ্রীশচন্দ্র নন্দীর বৌভাতে এক লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছিল। প্রায় দু'শ রকমের পদ ছিল। সে যুগে একটা বৌভাতে এতো রকমের পদ কিন্তু খুব কম নয়৷ ওই দু'শ পদের মধ্যে দুটি পদ ইলিশের ছিল। আমেলিশ সার্ষপং অর্থাৎ ইলিশের সরষে বাটা আর ইলিশ পত্রিকা অর্থাৎ ইলিশমাছের পাতুড়ি। এই দুই পদ আজও আমাদের বাঙালিদের কাছে রাজকীয় পদ হিসেবেই গুরুত্ব পায়৷

বাঙালির ইলিশকে নিয়ে আদিখ্যেতার অন্ত নেই৷ অনেক বনেদিবাড়িতে বছরের প্রথম ইলিশ বাড়িতে এলে তার আঁশ মাটির তলায় পুঁতে রাখা হত, এতে করে নাকি গৃহস্থের অর্থের আগমন বাড়বে। কোন কোন বাড়ির প্রথা অনুযায়ী দূর্গা নবমী বা দশমীর দিন জোড়া ইলিশ রান্নার প্রথা আছে৷

জানেন বর্ষাকালে ইলিশের আগমন নিয়ে দারুণ গল্পও আছে। আষাঢ়ের মেঘ যখন ঘন হয় আর ঝমঝমিয়ে বৃষ্ঠিতে গঙ্গা পদ্মা ফুলে ওঠে, তখন স্বামীর সোহাগে ইলিশ বৌয়ের পেটে সন্তান আসে৷ বৃষ্টির বেগ মাথায় নিয়েই পোয়াতি ইলিশ মিষ্টি জলে আসে সন্তান জন্ম দিতে। মা গঙ্গা ও মাসি পদ্মার স্রোত সামলেই ডিম পাড়বে৷ সন্তান বড় করে আবার ফিরে যাবে৷ গঙ্গা পদ্মায় ইলিশ বছরে দু'বার আসে। বর্ষাকালে আর শীত কালে। কৃষ্ণা নদীতে আসে আশ্বিনের শুরুর দিকে। কার্তিক মাসে প্রথমে ইলিশ-বর-বৌ এক সাথে আসে গোদাবরী আর ইরাবতীতে।তারপর একেবারে ফাল্গুন-চৈত্রে আসে সিন্ধু নদে৷ এই সমস্ত মিঠা জলে যাতায়াতের কারণেই ইলিশকে উজানবাহী বলা হয়।

ইলিশের সুগন্ধ আর মাঝে মাঝে আসা যাওয়ার কারণেই হয়তো এতো কদর। কোথাও কোথাও আবার গুরুবাড়িতেও ইলিশ পাঠানোর চল আছে। এই সব কিছুই কাউকে বেশি মাত্রায় গুরুত্ব দেওয়ার কারণ বলেই আমার মনে হয়। আমাদের বাড়িতে ইলিশ নিয়ে এরকম কোন প্রথা নেই। ছোট থেকে দেখেছি প্রতি বছর বাজারে যতদিন ইলিশ আসত বাবা রোজ কিনে আনতেন। কোলাঘাটে ছোটমাসির বাড়ি এবং রূপনারায়ণের খানিকটা চড়া ওদের হওয়ার কারণে আমার মেসোমশাই জেলে মাঝিদের থেকে প্রতি বছরই ইলিশ নিয়ে পাঠাতেন। সেই ইলিশের স্বাদ এখন আর পাওয়া যায় না। এবছর দাদা পাঠিয়েছিল ইলিশ। তারপর আর খাওয়া হয়নি। মুম্বাইতে অনেক ইলিশ আসত। পুনেতেও আসে কিন্তু দোকানগুলো কোথায় তা এখনও জানি না৷ গত সপ্তাহে মাছের আড়তে দেখলাম ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। সাইজ ছোট হলেও তা ইলিশই। জিজ্ঞেস করতে বলল গুজরাটের। দুটোই নিয়ে এসেছিলাম, তবে গোটা। আমি বাড়িতে কেটেছি নিজের মতো করে। মারাঠিরা কি আর বাঙালির মতো মাছ কাটতে পারে? ছাল চামড়া তুলে ইলিশ যখন ওদের হাত থেকে বাড়ি আসে তখন আর একেবারেই চেনা যায় না৷

সেই ইলিশের সরষেবাটা হয়েছে, একদিন তেঁতুল দিয়ে টক খেলাম। কিন্তু বরাবরই কিছু এক্সপেরিমেন্ট করতে আমার ভালো লাগে। গতকাল বাবা এসেছেন। বাবা আমার কাছে এলে এতোই জিনিসপত্র আনেন কোনটা ছেড়ে কার কথা বলব নিজেই খুঁজে পাই না৷ যাইহোক অনেক নাগপুরের কমলালেবু এনেছিলেন। এই সময় নাগপুরের কমলালেবু খুব মিষ্টি হয়, এছাড়াও আলাদা গন্ধ ও স্বাদ থাকে। ইলিশ ভাজতে তুলে দিয়ে ভাবলাম কমলালেবু দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না করলে কেমন হবে? বাবা মজা করছিলেন খেতে পারবেন নাকি ভেবে৷ আমি আশ্বস্ত করলাম, বললাম এতোদিন রান্না করছি এটুকু তো বুঝিই কিসে কি দিলে স্বাদ কেমন হবে৷ খাওয়ার সময় সবাই বেশ চেটেপুটেই খেয়েছে। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে রেসিপি শেয়ার করি।
চলুন দেখে নিই কি কি লেগেছে।

1000213522.png

  • ইলিশ মাছ — ৪ পিস
  • কালোও হলুদ সরষে মিলিয়ে — প্রায় ৩ চামচ
  • কালো জিরে — হাল্ফ চা চামচ
  • কাঁচা লঙ্কা — ২ টা
  • কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো — ১ চামচ
  • নুন হলুদ— পরিমান মতো
  • কমলালেবু — মাঝারি সাইজের ২ টা


চলুন দেখে নিই কিভাবে বানালাম।


1000213536.png


ধাপ-১
IMG-20241201-WA0019.jpg

নুন হলুদ মাখিয়ে, কড়ায় সরষের তেল গরম করে মাছগুলো দিয়ে দিয়েছে। খুব বেশি ভাজব না, সামান্য এপিঠ ওপিঠ করে নেব।

ধাপ-২
IMG-20241201-WA0018.jpg

মাছ ভাজা হওয়ার ফাঁকে সরষে বেটে নিলাম।

ধাপ-৩
IMG-20241201-WA0020.jpg

দুই পিঠ ভেজে ওই তেলেই কালো জিরে ও কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিলাম।

ধাপ-৪
IMG-20241201-WA0017.jpgIMG-20241201-WA0021.jpg

~ এবার সরষে বাটা দিয়ে দিলাম।

~ ওপর থেকে কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিলাম। সামান্য নুনও দিয়েছি। এই সময় আর হলুদ দিইনি৷ কারণ এই লাল লঙ্কার গুঁড়োই কমলালেবুর সোনালী রঙ এনে দেবে।

ধাপ-৫
IMG-20241201-WA0022.jpg

** অল্প পরিমাণ জল মিশিয়ে দিলাম, এবার এটি কেক সামান্য কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিচ্ছি।**

ধাপ-৬
IMG-20241201-WA0023.jpgIMG-20241201-WA0024.jpg

** একটা লেবু এভাবে মাঝ বরাবর কেটে হাফ করে নিয়েছি৷ আর বীজগুলোও বেছে ফেলে দিয়েছি। আর একটা লেবু মাঝখান থেকে দুটো স্লাইস কেটে আলাদা করে নিয়েছি।**

দুটো স্লাইস ছাড়া বাকি সব লেবুর রস নিঙড়ে সরাসরি মাছ ও সরষে বাটার উপর দিয়ে দিলাম।

ধাপ-৭
IMG-20241201-WA0015.jpg

লেবুর রস নিংড়ে দেওয়ার পর, কমলা লেবুর দুটো স্লাইস এইভাবে ঝোলের মধ্যে দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিয়েছি।

প্রয়োজন মত রস রেখে কড়াই নামিয়ে নিয়েছি, আর সাথে কমলা ইলিশ রান্নাও শেষ হল।

1000225073.png


InShot_20241201_203619544.jpg

InShot_20241201_203549562.jpg

InShot_20241201_203638758.jpg

InShot_20241201_203651494.jpg

InShot_20241201_203707428.jpg

আচ্ছা, আবার আগামীকাল আসব নতুন কোন পোস্ট নিয়ে। ততক্ষণ আপনারা ভীষণ ভালো থাকুন আনন্দে থাকুন। আজ এ পর্যন্তই...

টাটা

1000205476.png


1000216462.png

পোস্টের ধরণরেসিপি পোস্ট
ছবিওয়ালানীলম সামন্ত
মাধ্যমস্যামসাং এফ৫৪
লোকেশনপুণে,মহারাষ্ট্র
ব্যবহৃত অ্যাপক্যানভা, অনুলিপি, ইনশট


1000216466.jpg


১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে


1000192865.png


~লেখক পরিচিতি~

1000162998.jpg

আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিতব্য গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা



কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।

🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾


1000205458.png

4HFqJv9qRjVeVQzX3gvDHytNF793bg88B7fESPieLQ8dxHdhnjvkioa1f2JtZ2LoPTfbBVm5pqTCPohrig3jik5kx6vwVD1Bd7LsrN7Jsp7QsYJhZKr7tXMngo11dMzHKvCp9Z7CbEykuQt1oBVYh3SxQgtQwV7CMEE.jpeg

7YHZyBadGPMHF2XKgfZXx3oMrJwWNvgxqAsBdVAuTc61TPYubb3EKwXArUs8px2rcXjNb6iVQVgemgChuhshQrW1xnNaF2Re8fLzUufkQu...g7xPY7zb8EFFCbjNKRYpfLq65zmCzMhW3G12FLMkP8m5hDHu12yaYqU3RmvWzXicMYhonxjsm7v7vkZd5VN6s4jutwDrMUc215gwLFjQ7G1rvQbY6ocmSGcr5.webp

1000205505.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। ইলিশ মাছের এই সুস্বাদু রেসিপি খেতে ইচ্ছা করছে। ধাপে ধাপে মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

চেষ্টা করেছি দাদা। আপনার ভালো লেগেছে শুনে আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ জানবেন৷

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Screenshot_20241201_210952_Samsung Internet.jpgScreenshot_20241201_210923_Samsung Internet.jpg
Screenshot_20241201_210627_X.jpgScreenshot_20241201_204423_Samsung Internet.jpg
Screenshot_20241201_204406_Samsung Internet.jpg

ইলিশ সম্পর্কে কতো দুষ্ট মিষ্টি কথা বল্লে আমি মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। মেসমশাই অনেক কিছু এনেছে বাবাদের কাজ এটাই মেয়ের বাড়িতে দুনিয়ায় সব জিনিসপত্র নিয়ে আসলেও তৃপ্ত হন না।দারুণ রেসিপিটি হয়েছে। এই রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি তবে রেসিপি টি দেখে লোভ লেগে গেলো। কমলা লেবু দিয়ে রান্না করার জন্য ইউনিক ও লোভনীয় হয়েছে রেসিপিটি। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

সব কিছুরই গল্প আছে গো। আমি চেষ্টা করি সেগুলোই তুলে আনতে৷ তুমি পড়লে, তোমার ভালো লাগল জেনে আমিও খুশি হলাম। এইটে আমার লেখার পুরষ্কার৷

দারুন একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। এই রেসিপিটা একদম ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। তার পাশাপাশি কিছু কথা শেয়ার করেছেন যেগুলো জানা ছিল না। ধন্যবাদ এত সুন্দর কিছু কথা এবং রেসিপিটা উপস্থাপন করার জন্য।

আপনাকেও ধন্যবাদ, পোস্টটি সময় নিয়ে পড়েছেন। অনেকটা ভালোলাগা ও শুভেচ্ছা জানালাম। ভালো থাকবেন আপু।

ইলিশ মাছ এর বেশ কিছু তথ্য জানা হলো আপনার পোস্টের মাধ্যমে।বেশ ভালো লাগলো তথ্যগুলো জানতে পেরে। আপনার রেসিপিটি জাস্ট অসাধারন হয়েছে।দেখেই মনে হচ্ছে বেশ মজার ছিল রেসিপিটি। একদিন বানিয়ে খেতে হবে। মজার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

অবশ্যই বানিয়ে খাবেন। ভালোই লাগবে৷ আমার তো বেশ ভালো লেগেছিল।

আপনি একদম ঠিক বলছেন দিদি আমরা বাঙালিরা ইলিশ মাছ অনেক বেশি পছন্দ করি। বিশেষ করে বাঙালিরা এমনিতেই মাছে ভাতে বাঙালি। তার মাঝে যদি এত সুস্বাদু মাছ হয় তাহলে বলেন কে এড়িয়ে যেতে পারে। আমার তো এমন ভাজা ইলিশ সরিষা পোস্ত দানা দিয়ে রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। দারুন একটি স্বাদের রেসিপি আপনি আজকে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। অনেক ভালো লেগেছে আপনার রেসিপিটি দেখে।

আমি এরকম নিত্যনতুন রান্নার রেসিপি মাঝে মধ্যেই করি৷ এখানেও শেয়ার করি মাঝে মাঝে। আপনি আমার এই রেসিপিটি পড়লেন এবং সুন্দর করে মন্তব্য করলেন বলে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।

নতুন একটি রেসিপি দেখতে পেলাম।সবাই চেটে পুটে খেয়েছেন।তার মানে রেসিপিটি খুব স্বাদের হয়েছিল খেতে।নতুন নতুন রেসিপি করতে সত্যি ই ভালো ই লাগে।বাবা খেয়ে তৃপ্তি পেয়েছেন শুনে আরো ভালো লাগলো।

হ্যাঁ আপু, বাবাকে তো আমি কমই পাই৷ বাড়ি থেকে অনেক দূরে থাকি তো। তাই বাবা এলে যত্ন করি৷ আসলে আমিও ভয় পাই, কোন একদিন তো বাবা আর থাকবে না। তখন ইই করব চাইলেও কিচ্ছু করতে পারব না। 😔

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগুলো ক্যামেরাবন্দি করে মোবাইলে রাখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি ঠিক তেমনি অসাধারণ সব ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ধারণা করা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমাকে মুগ্ধ করলো। আমি মনোযোগ সহকারে শুধু দেখলাম চেয়ে চেয়ে দেখার মত চিত্রগুলো।

আপনি সম্ভবত ভুল পোস্টে কমেন্ট করে ফেলেছেন। এটি রান্নার পোস্ট আর আপনি কোন ফটোগ্রাফির পোস্টে কমেন্ট করেছেন।

image.png

আমি দেখেছি আপনার রেসিপি পোস্ট গুলো সব সময়ই ইউনিক হয়ে থাকে। কমলাইলিশ রেসিপি সম্পুর্ন নতুন আমিও শিখে নিলাম। আশাকরি আপনারা বাবা তাহলে মজা করে খেয়েছেন। আপনার লেখা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। রেসিপি অনেক সুন্দর করে পরিবেশন করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।

হ্যাঁ দাদা, নিজে নিজেই অনেক ধরণের রান্না করি৷ তার মধ্যে যেটা ভালো হয় সেটা ব্লগে দিই। আসলে সাধারণ রান্না তো সকলেই পারে, তার আর রেসিপি করে কি লাভ। তাই একটু নতুন কিছু দেওয়ার চেষ্টা করি। আপনার ভালো লাগল এটাই তো আমার পরীক্ষামূলক রান্নার প্রাপ্তি।

আপু আপনার রেসিপি দেখে শুধু একটা কথাই বলতে ইচ্ছে করছে আপনার বাসায় আমাদের সকলের দাওয়াত। সত্যি আপু ইলিশ মাছের রেসিপিটা দুর্দান্ত হয়েছে। আর দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। এক কথায় অসাধারণ হয়েছে আপু।

একদম আপু। আপনাদের দাওয়াত রইল। আপনাদের সবাইকে পাত পেড়ে খাওয়াতে পারলে আমারই আনন্দ হবে৷ অবশ্যই আসুন।

একেবারে ইলিশ মাছের ভিন্ন ধরনের একটি ইউনিক রেসিপির সাথে পরিচিত হলাম। রেসিপির ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে তাছাড়া তেলে ভাজি করা ইলিশ মাছের ছবি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় ইলিশ মাছের রেসিপিটি তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।

আমার ইনোভেশন দাদা। আপনিও বাড়িতে করে খাবেন। আশা করি ভালোই লাগবে।

ইলিশ বিভিন্নভাবে রান্না করে খেয়েছি। কিন্তু কোনদিন ইলিশের ভেতর কমলালেব ব্যবহার করে রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখেই মনে হচ্ছে মজাদার হয়েছে খেতে ।একদিন বাড়িতে তৈরি করে দেখব খেতে কেমন লাগে ধন্যবাদ আপু।

কমলালেবুর সাথে ইলিশটা আমারই মাথায় এলো অনেক কমলালেবু ছিল ঝুড়িতে তাই দেখে৷ অবশ্যই বানিয়ে খাবেন আপু। আশা করি ভালোই লাগবে৷

আহ! কি রেসিপি শেয়ার করলেন আজ দিদি, ঝাঁপ দিতে মন চাইছে সাজানো প্লেটটির উপর হি হি হি।

হা হা হা। আপনার গিন্নি বুঝে নিয়েছেন তো, এবার সাবধানে ঝাঁপ দেবেন দাদা, কড়াই চুলায় থাকলে কিন্তু সমস্যা হবে। 😜

বাহ্! নাগপুরের কমলালেবু দিয়ে তো ইলিশ মাছের ইউনিক রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। সরিষা ইলিশ আমার খুব পছন্দ। তবে কমলালেবু দিয়ে তৈরি ইলিশ মাছের রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি আমার। বেশ ভালো লাগলো রেসিপিটা দেখে। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

হ্যাঁ দাদা, এখন নাগপুরের কমলালেবুই স্বাদে চমৎকার হয়। এটাই সিজিন। হাওড়া থেকে পুনে আসার পথেই নাগপুর পড়ে৷ ট্রেনে ওঠে বিক্রি করতে। এই সময় কেউ এলেই বলে দিই আনার কথা, বা এখান থেকে যাবার সময়ও নিয়ে যায়৷ একবার তো ওই কমলালেবু দিয়ে পায়েস বানিয়েছিলাম।

যাইহোক আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ জানবেন৷

কমলালেবু দিয়ে পায়েস তৈরি করেছিলেন,বলেন কি আপু? আমি তো পুরোপুরি অবাক হয়ে গেলাম। এই রেসিপিটা একদিন তৈরি করে শেয়ার করবেন আপু।

করব, বানাই।

ইলিশ এমন একটি মাছ যেন বাঙ্গালীদের খাবারের ঐতিহ্যের অনেক বড় পরিচয় দেয়। যেমন আমি ইলিশ মাছ খাওয়া নিষেধ তবুও সামনে নিয়ে এলে না খেয়ে থাকতে পারি না। আপনি আজ ইলিশ মাছ নিয়ে অনেক কথা শেয়ার করলেন যেগুলো আগে জানতাম না। আপনার তৈরি ইলিশ মাছের রেসিপিটি দেখে লোভ সামলাতে পারছিনা। অসাধারণ একটি রেসিপি ছিল অনেক ভালো লাগলো।

সত্যিই ইলিশ বাঙালির ঐতিহ্য৷ তাই তাকে নিয়ে আদিখ্যেতা না দেখালেই নয়৷ আপনি পুরো পোস্টটা পড়েছেন জেনে খুবই আনন্দ পেলাম। আসলে পড়লেই লেখার স্বার্থকতা।

যাইহোক রেসিপিটা আপনিও ট্রাই করতে পারেন অসুবিধে নেই।

ধন্যবাদ নেবেন৷

বেশ মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু।রেসিপিটি দেখেই তো লোভ লেগে গেল।রেসিপিটি আমার কাছে অনেক ইউনিক মনে হয়েছে।আপনার রেসিপিটি একদিন বাসায় ট্রাই করবো। ধন্যবাদ আপু লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

অবশ্যই আপু বাড়িতে রান্না করবেন। সবার ভালো লাগলে আমি বুঝবো আমার এক্সপেরিমেন্ট সার্থক হয়েছে।

অসাধারণ আপু অসাধারণ আপনি অনেক সময় নিয়ে ধৈর্য্য সহকারে, ইলিশ মাছের সাথে বাবার নিয়ে আসা নাগপুরের কমলালেবুর সমন্বয়ে একটি ইউনিক রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আসলে ইলিশ মাছ অনেক ভাবেই খেয়েছি তবে এই ভাবে কমলালেবু দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম পরবর্তীতে তৈরি করবো ইনশাআল্লাহ। তাছাড়া আপনার রন্ধন প্রণালী এবং পরিবেশন দেখে মনে হচ্ছে রেসিপিটা আসলেই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। যাইহোক আপু উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে একটি ইউনিক রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আমার রেসিপিটা যে আপনার কাছে ইউনিক লেগেছে সেটা জেনে খুশি হলাম। কমলালেবু দিয়ে ইলিশ রান্না খুব একটা জনপ্রিয় নয় কারণ আমি তো এটা মন থেকে নিজে ভেবে ভেবে রান্না করেছি। আপনি কখনো আপনার বাসায় রান্না করে খেলে খুশি হব। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য।

দারুন একটা রেসিপি শেয়ার করছেন আপু। আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো। আমার কাছে রেসিপিটা অনেক ইউনিক লেগেছে। ইলিশ মাছ অনেক ভাবে রান্না করে খেয়েছি তবে কমলা দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। রান্না করার প্রতি ধাপ অনেক সুন্দরভাবে আমাদের উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

রেসিপিটি যে আপনার ভালো লেগেছে এবং ইউনিক লেগেছে তার জন্য আমি অনেকটা আনন্দ পেলাম। আমি চেষ্টা করি সব সময় একটু অন্যরকম এবং সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করার। এবং আমার চেষ্টা সফল আপনাদের মন্তব্যের জন্যই। ধন্যবাদ দেবেন দাদা

জি দিদি আমি আপনার প্রতিটি পোস্ট দেখার চেষ্টা করি কারন ভিন্ন কিছু দেখতে ও শিখতে আমি অনেক পছন্দ করি। শুকরিয়া দিদি।