প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা বেশ ভালোই আছেন। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করি শুরু করছি আজকের ব্লগ।
🎬 সিরিজের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য 🎬
মুভির নাম | বন্দিশ ব্যান্ডিটস সিজিন-২ |
---|---|
প্লার্টফর্ম | অ্যামাজন প্রাইম |
পরিচালকের নাম | আনন্দ তিওয়ারি |
কলাকুশলী | ঋত্বিক ভৌমিক, শ্রেয়া চৌধুরী,শিবা চড্ডা, অতুল কুলকার্নি,রাজেশ তিলাং, কুনাল রয় কাপুর, দিভিয়া দত্তা, ইত্যাদি |
মুক্তির তারিখ | ১৩ই ডিসেম্বর ২০২৪ |
ভাষা | হিন্দি |
সময় | ৫৪ মিনিট |
এপিসোডের নাম | দ্য ভয়েজার |
কান্ট্রি অফ অরিজিন | ভারতবর্ষ |
থিম | শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের একটি ঘরানা বাঁচানো ও বিশ্ব দরবারে যুগোপযোগী করে প্রকাশ সাথে প্রেম, ইগো, প্রতিযোগিতা ও নানান মানসিক টানাপোড়েন |
ধারা | রোমান্স, ড্রামা, সঙ্গীত |
🎬 মূল কাহিনী 🎬
দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে দেখছি, তামান্নার ঘুম ভেঙেছে অর্ঘ্যর ফোনে। অর্ঘ্য সামান্য কিছু মজা করল এবং জানালো তাদের বন্দিশ ব্যান্ডিট পুরষ্কার পেয়েছে। অনেক করে অনুরোধ করল যাতে পুরষ্কার নিতে যায়৷ তামান্না কথাগুলো তার নতুন বন্ধু আয়ানকে বলে। আয়ান স্বভাবে অনেকটাই প্লে বয়ের মতো। সারাক্ষণ ফ্লার্ট করে বেড়ায়।
যাইহোক এই সিনের পর নাম দেখানো হয় আর আমরা আবারও দেখতে পাই সেই অপূর্ব যোধপুরের দৃশ্যগুলি।
নাম দেখানো পর্ব শেষ হলে স্ক্রিন চলে যায় মুম্বাইয়ের সিনে৷ যেখানে রাধে প্রচন্ড রেগে ও বিরক্ত হয়ে রয়েছে আর তাকে অর্ঘ্য ও মাহি বোঝাচ্ছে লিপ সিং এর কারণ। রাধে বুঝতে নারাজ৷ তর্ক বাড়তে থাকে।
অর্ঘ্য আলাদা করে বোঝালেও কাজ হয় না।
পরবর্তীতে দেখা যায় তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া বাঁধে এবং রাধে সব ছেড়ে চলে যায়। অর্ঘ্য বুদ্ধি দেয় আলাদা ব্যান্ড তৈরি করতে এবং আইবিসি তে পারফর্ম করতে৷
এদিকে যোধপুরের দৃশ্যে দেখি মোহিনীকে তার স্বামী রাজেন্দ্র রাঠোর সঙ্গে করে নিয়ে আসে দিগ্বিজয়ের বাড়িতে। উদ্দেশ্য রেওয়াজ করা। রেওয়াজের সময় রাজেন্দ্রকে থাকতে অনুরোধ করার পরেও তিনি থাকেননি। ফলে দিগ্বিজয় এবং মোহিনী দুজনে মিলেই রেওয়াজ করতে শুরু করেন। দুজনের পথ আলাদা মোহিনী অনেক দিন অভ্যাসের বাইরে এবং দিগ্বিজয়ও শাস্ত্রীয় সংগীত ছেড়ে অন্য গান গাইছে। কিন্তু তারা আবার একে অপরের সাথে শুরু করছে। এখানে কিছু আবেগঘন মুহূর্তে আমরা দেখতে পাই। সিজন ওয়ান দেখলে এই আবেগঘন মুহূর্তগুলোর অর্থ স্পষ্ট বোঝা যাবে।
এরপরের দৃশ্যে হিমালয়ের মিউজিকগুলি আমরা দেখি, মিউজিক টিচার নন্দিনী তামান্না কে বেশ কিছু রেকর্ডিং শুনতে দেয় এবং বলেন সেই গানগুলো নোটেশন লিখে আনতে। এত বেশি পরিমাণ ছিল যে তামান্না কোন রিহার্সালেই যোগ দিতে পারেনি। এবং সেই নোটেশন গুলো তুলে নিয়ে আসার পর যখন রিহার্সালির যোগ দিতে চায় তখন নন্দিনী আবারো বেশ কিছু নোটেশন লেখার জন্য রেকর্ডিং ধরিয়ে দেয়। বিষয়টা আয়ানের ভালো লাগেনি এবং তামান্নার ও বারবার মনে হয় যে নন্দিনী হয়তো চাইছে না সেই গান গাক। যেহেতু শিক্ষক বলেছেন তাই এড়িয়ে যেতেও পারেনি।
আবারও আমরা চলে যাই যোধপুরের দৃশ্যে । সেখানে মোহিনী দিগ্বিজয়ের সাথে একই স্টেজে গান গাইতে উঠেছেন। গান মানে রাঠোর ঘরানার শাস্ত্রীয়ের সংগীত। দর্শক শুরুর দিকে বেশ ভালোমতো নিচ্ছিল কিন্তু আস্তে আস্তে তারাও পুরনো দিনের কথা নিয়ে নানান আলাপ আলোচনা করছিল যা রাজেন্দ্রর কানে পৌঁছলে তার ভালো লাগেনা।
সত্যি কথা বলতে কি এই দৃশ্যে মোহিনী এবং দ্বিগিজয়ের রসায়ন ছিল চোখে পড়ার মতো।
ওয়েব সিরিজটিতে গান গল্প সবই রয়েছে এবং আমরা দুই জেনারেশনের প্রেমের সম্পর্কের নানান মুহূর্ত দেখতে পাই। এখন দেখা যাচ্ছে রানী এবং তামান্না দুজনেই সেই এওয়ার্ড ফাংশানে এসেছে। সামনাসামনি দুজনে আশাতে খুব একটা মধুর মুলাকাত হয়নি। একে অপরকে খোটা মেরে কথা বলা কিংবা ছোট করে দেখানোতে কেউ কোথাও কমতি রাখেনি।
এমনকি যখন স্টেজে উঠল পুরস্কার নিতে, তখন দর্শক শ্রোতাবৃন্দ গান শুনতে চাইলে যথারীতি রাধে একাই গিয়ে দেয় এবং তামান্না কে বলে সে তো খালি গলায় গাইতেই পারে না। তামান্না এই অবস্থায় অত্যন্ত অপমানিত হয়। সেই আত্মসম্মানের আঘাত বুকে নিয়ে অ্যাওয়ার্ড ট্রফি রাধের হাতে ধরিয়ে ফিরে আসে৷
সমস্ত হতাশা এসে তামান্না আয়ানের কাছে বলে এবং সবকিছু ভুলে থাকতে চায় আয়ানকে আঁকড়ে ধরে।
গানের প্র্যাক্টিস শুরু হয়। নন্দিনী তামান্নাকে গাইতে বলে৷ পিয়ানো বাজায় ওদেরই স্কুলের এক ছেলে আর তামান্না গান করে। বেশ কিছুটা গান সে নির্দ্বিধায় করে এবং অনুভব করে যে নন্দিনী তাকে যে সমস্ত নোটেশন তুলতে দিয়েছিল তা আসলে গানগুলো সঠিকভাবে শোনার জন্য। রিহার শালী ভালোভাবে গান গাইতে পারার জন্য তামান্না বিষয়টা বুঝতে পারে এবং দৌড়েতে দৌড়াতে নন্দিনীর কাছে গিয়ে তাকে ধন্যবাদ জানায়। নন্দিনী তখন তাকে শেখায় গান মাথা দিয়েও নয় হৃদয় দিয়েও নয় সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে যাইতে হয় কারণ গান স্রোতের মতো তা শরীরের রক্ত স্রোতে নিঃশ্বাসের সাথে বয়ে যায়।
রাধে বাড়ি ফিরে যায়। বাড়িতে বাবা মা ও কাকাকে বোঝায় তার নতুন ব্যান্ড তৈরি করে আইবিসি তে যোগদান দেওয়ার কথা। এও বলে যে আইবিসিতে রাঠোর ঘরানার বন্দিস গাইলে তা বিশ্ববাসীর কাছে সহজেই পৌঁছে যাবে৷ এই কথপোকথনেই শেষ হয় তৃতীয় এপিসোডটি।
🎬 আমার মতামত 🎬
এই পর্বে আমরা গান ও পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক কিছু দেখি৷ গানের প্রতি ডেডিকেশন থাকলেই যে গান নিয়ে ভালো কিছু করা যায় তা দেখি৷ সাথে সাথে পরিনতি না পাওয়া প্রেমের মাধুর্যতাও লক্ষ্য করি৷
রাগ, অধৈর্য্য, ইগো মানুষকে দিয়ে কত কি করায় তারও উদাহরণ পাই এই পর্বে৷ মোটের উপর এই পর্বের গল্প বেশ ভালই ছিল এবং গতিও ছিল। বেশ তাড়াতাড়ি করে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে এবং হঠাৎ করেই দেখলাম পরবর্তী শেষ হয়ে গেল।
বন্ধুরা আবার আগামীকাল আসব অন্য কোন পোস্ট নিয়ে, আপাতত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
টাটা।
পোস্টের ধরণ | ওয়েব সিরিজ রিভিউ |
---|---|
ছবিওয়ালা | নীলম সামন্ত |
মাধ্যম | স্যামসাং এফ৫৪ |
লোকেশন | পুণে,মহারাষ্ট্র |
ব্যবহৃত অ্যাপ | ইনশট |
১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে
~লেখক পরিচিতি~
আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশ ও ইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিতব্য গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit