এসো নিজে করি সপ্তাহের দ্বিতীয় DIY পোস্ট৷ বানালাম ডিজাইনার এমব্রয়ডারি জুয়েলারি

in hive-129948 •  15 days ago 

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,



কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ঈশ্বরের কৃপায় বেশ ভালই আছেন। আমিও ভালো আছি। আপনাদের সবার জন্য শুভকামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।

8c2c6796-8104-4750-bdfc-b160e0c239cb_20241207_160702_0000.jpg

আজকের পোস্টটি, এসো নিজে করি সপ্তাহের জন্য একটি DIY পোস্ট বানিয়েছি। ছবি দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এটি গলার হার। হারটি পুরোটাই আমি নিজে করেছি। ডিজাইনটাও আমারই করা। বেশ কিছু বছর আগে তখন বাজারে অক্সিডাইস জুয়েলারির খুব ডিমান্ড। তখন কলকাতার বড় বাজার থেকে র-মেটিরিয়াল কিনে এনে প্রথমে নিজের জন্য বানিয়েছিলাম। আমার সেই বানানো গলার হারটি দেখে আমার বন্ধুরা অনেকেই বলতে শুরু করল তাদের জন্যও যেন বানিয়ে দিই৷ আমি যে সময়টাতে এই কাজটা শুরু করি তখন সিলভার অক্সিডাইস ছিল ৮০ পয়সা পার গ্রাম। আর বাজারে অক্সিডাইসের সেট বিক্রি হত আড়াইশো তিনশো টাকা করে৷ প্রায় তিনগুণ লাভে বিক্রি হত৷ তারই মধ্যে যারা একটু আনকমন ডিজাইন বানাতো তাদের জুয়েলারির তো আরও বেশি দাম। আমার আবার এই সব কস্টিউম জুয়েলারির প্রতি খুবই আকর্ষণ৷ পরতেও পারব টাকাও বাঁচবে ভেবে শুরু করে দিলাম। পাশাপাশি টুকটাক বিক্রি, যাতে করে আমার কাঁচামাল কেনার টাকাও উঠে যেত।

IMG-20241207-WA0021.jpg

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি জুয়েলারি তৈরি করা আমায় কেউই শেখায়নি। কিছু জুয়েলারি নিজেই খুলে আবার বানিয়েছি, এভাবেই শিখে গেছি। আর ডিজাইন যা কিছু সবই নিজের মন থেকে বানানো৷ পরের দিকে বন্ধুরা শাড়ি নিয়ে আসত, বলত ওই শাড়ির ম্যাচে আলাদা কিছু বানিয়ে দিতে৷ এভাবেই আস্তে আস্তে নতুন নতুন বানাতে বানাতে শিখে যাই৷ এমব্রয়ডারি তো ফ্যাশন ডিজাইনিং ক্লাসে শিখেছি৷ যাইহোক আমার জুয়েলারি বানানো নিয়ে অনেক কথাই বললাম, কিন্তু আসল কথা কি জানেন, সময়ের ঘুর্ণাবর্তে সবই বন্ধ হয়ে গেছিলাম। এখানে সবাই কত কি বানায়, আমার একটু আলাদা কিছু করতে মন চায় তাই ভাবলাম পুরনো বাক্সটা খুলি, যদি কিছু পাই, তবে নতুন কিছু বানানো যাবে৷ তা বানিয়ে ফেললাম একটি এমব্রয়ডারি জুয়েলারি আলাদা করে কানের দুল বানাইনি কারণ এর সাথে যে কোন সিলভার অক্সিডাইসের ঝুমকা পরলেই যাবে ভালো৷ আসল এতো সময় লাগে, ধৈর্য্য রাখা মুশকিল হয়ে যায়। সেই কাল সন্ধে থেকে শুরু করেছি। আজ দুপুরে গিয়ে শেষ হল।

আচ্ছা চলুন ডিটেইলসে দেখে নিই কি কি লেগেছে আর কিভাবে বানালাম।

1000313996-removebg-preview.png

IMG-20241207-WA0058.jpgIMG-20241207-WA0057.jpg
IMG-20241207-WA0055.jpgIMG-20241207-WA0056.jpg

মাত্র চারটে ছবি হলেও উপকরণ কিন্তু অনেক।

  • পিজা বক্স

  • কাঁচি

  • লাল রঙের কাপড়(পুরনো ব্লাউজপিস)

  • পেন্সিল ও কম্পাস

  • সূচ

  • নানান রঙের এমব্রয়ডারি সুতো

  • হুপ

  • দু' সাইজের সাদা মোতি

  • কালো সুতো

  • অক্সিডাইস কানের টপ, ঝুমকার বাটি

  • দু' সাইজের রিং

  • ঘুঙরু

  • সিল্ক সুতোর পুঁতি দুটো

  • সিলভার বল পুঁতি চারটে

  • নোজ প্লাস

  • ফেভিকল আঠা



1000313985-removebg-preview.png

এবার ধাপে ধাপে দেখে নেব, কিভাবে গলার হারটি বানিয়ে নিয়েছি

ধাপ-১
IMG-20241207-WA0059.jpgIMG-20241207-WA0054.jpg
InShot_20241207_155140796.jpgInShot_20241207_155314927.jpg

একই মাপের দুটো গোল একটি কার্ডবোর্ডে এবং একটি কাপড়ে এঁকে নিলাম।

কাপড়ে আরও একটি আগেরটির থেকে সামান্য বড় সাইজের গোল এঁকেছি।

এবার পেন্সিল দিয়ে একটি ডিজাইন করে নিলাম।

ভেতরের ফুলের পাপড়িগুলো গোল্ডেন হলুদ সুতো দিয়ে সাটিন স্টিচ করলাম।

ধাপ-২
IMG-20241207-WA0061.jpgInShot_20241207_155225694.jpgIMG-20241207-WA0063.jpg
IMG-20241207-WA0065.jpgIMG-20241207-WA0052.jpgIMG-20241207-WA0034.jpg

একটু একটু করে আমি এমব্রয়ডারিটা শেষ করেছি। বেশিরভাগেরই সাটিন স্টিচ দিয়ে ভরিয়েছি৷ তবে পাতার ডাটি স্টেম স্টিচ আর ঘিয়ে সুতোর কলকাটা চেইন স্টিচে।

হলুদ ফুলের মাঝে অংশটা ফ্রেঞ্চ নট করেছি।

আর এদিকে ডিপ নীল ও হাল্কা নীলেত শেডিংটা হাই লো সাটিন স্টিচ। আর ওটার বর্ডার দিয়েছি স্টেম স্টিচে৷

সেলাই হয়ে যাওয়ার পর কাপড়টি চারপাশে ছোট ছোট করে কাট দিয়ে দিলাম।

চার পাঁচ লাইনে লিখে ফেললেও এই এমব্রয়ডারি টুকু করতেই আমার প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা লেগেছে। গতকাল ডিজে পার্টির গান শুনতে শুনতেই বানিয়ে ফেলছিলাম।

ধাপ-৩
IMG-20241207-WA0033.jpgIMG-20241207-WA0035.jpgIMG-20241207-WA0036.jpg

পিজা বাক্সতে আঁকা গোলটি কেটে নিয়ে তাতে আঠা লাগিয়ে দিয়েছি।

এখন এর ওপর ডিজাইন করা কাপড়ের টুকরোটি বসিয়ে দিলাম।

গোলাপের অংশটি এবার উল্টে দিলাম, কাপড়ের যে কাটগুলো দিয়েছিলাম সেগুলোও আঠার সাহায্যে গোল কার্ডবোর্ডের সাথে আটকে দিলাম৷

এই অবস্থায় সারারাত একটি সামান্য ভারী বোতল চাপিয়ে রেখে দিয়েছি। যাতে শুকনো হয়ে যায় আর পরের কাজ করতে সুবিধে হয়।

ধাপ-৪
IMG-20241207-WA0038.jpgIMG-20241207-WA0039.jpg
IMG-20241207-WA0040.jpgIMG-20241207-WA0041.jpg

এখন আমি চারপাশে মোতি সেলাই করে জুড়ে দেব বলে দু ধরণের মোতি নিয়েছি। বড়টি নিচে ও ছোট টি ওপরে। এগুলো চিটিয়ে দিলে খুলে পড়ার সম্ভবনা থাকে। তাই যাতে মজবুত হয় সেলাইয়ের পন্থাই অবলম্বন করেছি।

একটু একটু করেছি আর এক একটা ছবি নিয়েছি। আশা করি আপনাদের বুঝতে কোন অসুবিধে হচ্ছে না।

ধাপ-৫
IMG-20241207-WA0032.jpgIMG-20241207-WA0042.jpgIMG-20241207-WA0043.jpg
IMG-20241207-WA0044.jpgIMG-20241207-WA0045.jpgIMG-20241207-WA0031.jpg

পুরোটা মোতি লাগিয়ে দেওয়ার পর আমি ঝুমকোটা সেট করেছি।

এক একটি রিং নোজ প্লাসের সাহায্যে ফাঁকা করে তাতে ঘুঙরু ভরে সেটাকেই আবার ঝুমকার বাটির নিচের ফাঁকা অংশে ভরে ভালো করে চেপে দিয়েছি যাতে খুলে না যায়।

এভাবেই ঝুমকোর বাটি রেডি করেছি।

ঝুমকো বাটির মাথায় যে ফাঁকা অংশটা আছে সেখানে আবার একটি রিং গলিয়ে সেটিকে কানের টপের নিচের দিকে ফাঁকা অংশের সাথে জুড়ে দিলাম।

ব্যস তৈরি হল অক্সিডাইসের লকেট৷ এটি না করলেও চলত। কিন্তু এমব্রয়ডারি পেন্ডেন্ট যেটা তৈরি করেছি তা ভীষণ হাল্কা। তাই ভালো করে গলায় ঝুলবে না৷ সে কারণেই একটু ভারী কিছু দিতে চাইলাম যাতে অনায়াসেই ঝুলে থাকে।

এবার এই পেন্ডেন্টের মাথার অংশটা কাপড়ের পেন্ডেন্টের সাথে সুচ সুতো ও ছোট মোতির সাহায্যে আটকে দিলাম। এখানে বেশ কয়েকটি স্টিচ দিয়েছি। নইলে এই লকেটটি পড়ে যেতে পারে।

এবার দেখুন কী সুন্দর ভাবে ঝুলছে।

ধাপ-৬
IMG-20241207-WA0025.jpgIMG-20241207-WA0024.jpgIMG-20241207-WA0026.jpg

পেন্ডেন্ট তো হয়ে গেল, এবার ট্যাসেল বানানোর প্রয়োজন। নইলে হারটা গলায় কিভাবে ঝোলাবো?

কালো রঙের বেশ লম্বা করে এমব্রয়ডারি সুতো নিয়ে নিয়েছি।

যেদিকে অক্সিডাইসের লকেটটা ঝুলিয়েছি তার ওপর দিকে একটু বড় সাইজের সিলভার রিং আটকেছি৷

রিং দুটো কাপড় ও কার্ডবোর্ডের ওপর দিয়েই গেঁথে দিয়েছি। এরপর কালো সুতোটা ওই রিং এর ভেতর দিয়েই গলিয়ে দিয়েছি৷ এবং প্রথমে সিলভার বল পুঁতি, পরে সিল্ক পুঁতি শেষে আবার সিলভার পুঁতি গেঁথে দিয়েছি৷ দুই দিকেই গেঁথেছি। ব্যস্ত তৈরি হয়ে গেল ট্যাসেল।

যেহেতু পেন্ডেন্টটাই অনেক বড় তাই ট্যাসেল হাল্কা করে করলাম, নইলে অনেক বেশি জবরজং হয়ে যাবে সেটা আবার আমার ভালো লাগে না। আমি একটু সোবার সফিস্টিকেটেড জুয়েলারি পরতেই পছন্দ করি৷

ধাপ-৭
IMG-20241207-WA0026.jpgIMG-20241207-WA0027.jpgIMG-20241207-WA0028.jpg
IMG-20241207-WA0029.jpgIMG-20241207-WA0030.jpgIMG-20241207-WA0047.jpg

দেখতে গেলে হারটি তৈরি হয়ে গেছে। কিন্তু পেছনের দিকটা একেবারেই কুৎসিত দেখতে রয়েছে কারণ সেখানে অনেক সেলাইয়ের দাগ আছে, সুতো আছে, এছাড়াও কার্ডবোর্ডটি দেখা যাচ্ছে৷ এগুলো না ঢেকে দিলে ফিনিশিং কখনোই ভালো হবে না।

এই কারণেই আমি আরো একটি গোলাকার লাল কাপড়ের টুকরো কেটে নিয়েছি। এবং ফেভিকল আঠার সাহায্যে চিটিয়ে নিয়েছে। ব্যস হয়ে গেলো ডিজাইনার জুয়েলারি।

ফাইনালি কেমন হল তার কিছু কেতাদুরস্ত ছবি তো অবশ্যই তুলতে হয়। তাই না? কি বলেন আপনারা? তবে চলুন, দেখে নিই কেমন হল,

IMG-20241207-WA0048.jpg

IMG-20241207-WA0022.jpg

IMG-20241207-WA0049.jpg

IMG-20241207-WA0050.jpg

IMG-20241207-WA0051.jpg

IMG-20241207-WA0021.jpg

তাহলে, কেমন দেখতে হল বলুন? আপনাদের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলা। আবার কাল আসব। আজ এ পর্যন্তই রইল।
বন্ধুরা আপনারা ভালো থাকবেন।

টা টা

1000205476.png


1000216462.png

পোস্টের ধরণDIY পোস্ট
ছবিওয়ালানীলম সামন্ত
মাধ্যমআইফোন ১৪
লোকেশনপুণে,মহারাষ্ট্র


1000217106.jpg


১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক খ্যাঁককে


1000217198.png


1000227693.png


1000162998.jpg

আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিতব্য গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা



কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।

🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾


1000205458.png

Polish_20241113_183539684.png

IMG_7351.jpg

1000205505.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

খুব সুন্দর একটি জুয়েলারি তৈরি করে ফেলেছেন দিদি। আমারও জুয়েলারি তৈরি করতে ভীষণ ভালো লাগে। আমি আগে হাতে পড়ার ব্রেসলেট তৈরি করতাম টাকাও বেচে যেত প্রতিদিন নতুন নতুন একটা করে পড়তেও পারতাম। কলেজে আসার পর সেই সব আর হয় না। তবে আজ আপনার এই জুয়েলারি বানানোর পোস্টটি দেখে আমারও ইচ্ছে হচ্ছে কিছু বানাতে। সময় পেলে আমিও চেষ্টা করে দেখব।

যাইহোক দিদি জুয়েলারি টা কিন্তু দারুন হয়েছে। নিজের হাতে জুয়েলারি তৈরি করে পড়তে পারলে বেশ ভালো হয়। জুয়েলারি তৈরির ধাপগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিদি।

নিজে বানিয়ে পড়লে তার অনেক বেনিফিট আছে বোন। নিত্য নতুন তো পড়াই যায় উল্টে অনেক টাকা সেভিং হয়। তাছাড়া অন্য কারো সাথে ম্যাচ করে না তাই একটু আলাদা করা যায়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করলেন।

বেশ সুন্দর বানিয়েছেন গলার মালাটি। আমিও একটি পেজ খুলেছিলাম এই গহনার। মো্টামুটি বিক্রিও হতো। কিন্তু সময় এর অভাবে আর কনটিনিউ করিনি। আমি অবশ্য ইউটিউব দেখে গহনা বানানো শিখেছি। তবে ডিজাইন নিজের মতো করে বানাতাম। আপনার বানানো গলার মালার পেন্ডেনের চারদিকে মতিটা দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ গহনা বানানোর পদ্ধতিটি শেয়ার করার জন্য।

ফেসবুকে আমার একটি পেজ আছে আপু, তবে সময় আর ধৈর্যের অভাবে কোন কিছুই দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে পারিনি। তাই আজকে প্রথমে তো ভেবেছিলাম পারবোই না কিন্তু আস্তে আস্তে দেখলাম করে ফেলেছি। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করলেন।

বাহ খুব চমৎকার একটি জুয়েলারি আপনি তৈরি করে নিলেন। বিশেষ করে এমব্রয়ডারির ফুল গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। আর আপনি পুঁতি দিয়ে খুব সুন্দর করে ডিজাইন করে নিলেন। এই ধরনের জুয়েলারি গুলো থ্রিপিসের সাথে পড়লে বেশ ভালো লাগে। অনেক সুন্দর একটি ডাই প্রজেক্ট তৈরি করে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আসলে আপু এই ধরনের হারগুলো যে কোন জামা কাপড় বা শাড়ি সবার সাথেই বেশ ভালই যায়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করলেন বলে।

1000328353.jpg1000328352.jpg1000328351.jpg1000328350.jpg
1000328349.jpg1000328346.jpg1000328345.jpg1000328344.jpg

এমব্রয়ডারি জুয়েলারি দেখতে অসাধারণ হয়েছে আপু। এই ধরনের জুয়েলারি গুলো কখনো বানানো হয়নি। তবে নিজ হাতে কোন কিছু তৈরি করলে দেখতে যেমন ভালো লাগে তেমনি ব্যবহার করতেও ভালো লাগে। খুবই সুন্দর হয়েছে দেখতে।

আপু আগেই বেশ কয়েকটা বানিয়েছিলাম তবে সেগুলো সবই প্রায় বিচ করে ফেলেছি। যদিও এ বছর দুই তিনে আগেকার কথা। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আন্তরিক ধন্যবাদ নেবেন।

খুব সুন্দর একটা গলার মালা তৈরি করেছেন আপু। ‌‌ এই ধরনের জুয়েলারি গুলো শাড়ির সাথে খুব চমৎকার লাগে। আপনার তৈরি করা জিনিসটা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমি কখনো এই ধরনের জুয়েলারি তৈরি করিনি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা ডাই প্রজেক্ট তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ আপু শাড়ির সাথে পড়লে সত্যিই খুব ভালো লাগে। আমি তো ঠিক করেছি এই জুয়েলারি এবার বই মেলায় গেলে নিয়ে যাব। শাড়ির সাথে পড়লে বেশ মানাবে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

দিদি আপনি তো দেখছি নিজের হাতে খুবই চমৎকার একটা জুয়েলারি তৈরি করেছেন। আমার কাছে তো আপনার তৈরি করা এই জুয়েলারি দেখতে খুব ভালো লেগেছে। বেশিরভাগ মেয়েকে দেখা যায় এরকম জুয়েলারি গুলো শাড়ির সাথে পড়তে। আপনি যদি এটা শাড়ির সাথে পড়েন তাহলে আশা করি অনেক ভালো লাগবে দেখতে। আমার কিন্তু অনেক পছন্দ হয়েছে আপনার তৈরি করা এই জুয়েলারি।

ঠিকই বলেছেন দাদা এই জুয়েলারিগুলো সাধারণত শাড়ির সাথেই পরে। আমাদের যে পত্রিকা রয়েছে, তার থিম হল সাদা লাল। সেই লালের কথা ভেবেই এবং সাদার সাথে কারোর কনট্রাস্ট হবে চিন্তা করে এই জুয়েলারিটি বানিয়েছি। এবছর বইমেলায় যখন যাব একদিন পরবো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করলেন।

আপু মানুষের এটাই অভ্যাস কোন কিছু জানলে কাউকে শেখাতে চাই না। কিন্তু নিজে থেকে চেষ্টা করলে দেখা যায় অন্যের থেকে নিজেরটাই বেশি ভালো হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আজকে আমাদের মাঝে
এমব্রয়ডারি জুয়েলারি তৈরি করেছেন। যেটি দেখতে আসলেই অনেক চমৎকার লাগছে ধন্যবাদ আপু শুভকামনা রইল।

আসলে আপু আমি যখন দেখি নতুন কিছু কেউ করছে আমার ভীষণ ইচ্ছে করে সেটা নিজে নিজে করতে বা শিখতে। এখন সেই জিনিসটা কার কাছে কিভাবে শিখব বা কাউকে বললেই যে শিখিয়ে দেবে এমন তো হয় না, তাই সব সময় চেষ্টা করি নিজে নিজেই কোন ভিডিও দেখে বা অন্য কোন উপায়ে শিখে নেওয়ার । ধন্যবাদ আপু, কি সুন্দর করে বললেন আপনি।

আপু এতটাই ইউনিক আর চমৎকার হয়েছে গলায় পড়ে দেখতে আমার ইচ্ছে করছে। আপনার সৃজনশীলতার প্রশংসা না করে থাকতে পারলাম না। এই ধরনের কাজ একদমই করতে পারি না। তবে আমার মা খুব সুন্দর ডিজাইন করতে পারে আর অনেকবার শিখতে গিয়েই পেরে উঠতে পারিনি। আপনার হাতের কাজ অসাধারণ। গলার মালার আরও এমন সুন্দর সুন্দর ডিজাইন দেখার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ডাই আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আমার আসলে এই ধরনের ছোটখাটো কাজগুলো করতে খুব ভাল লাগে। আমাকেও কেউ কখনো শেখায়নি নিজে নিজেই শিখেছি। সত্যি বলতে কি এসব কাজ অনেক ধৈর্যের। সব সময় সময় করে উঠতে পারিনা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

তোমার বন্ধুর মতো আমারও তো মন চাইছে একটা বানিয়ে নিতে হাহা।দারুণ বানিয়েছো ডিজাইনার এমব্রয়ডারি জুয়েলারিটি।ভাবা যায় কতো কম খরচে বানিয়েছো আর কিনতে গেলে কতো টাকা গুনতে হতো।ধাপে ধাপে জুয়েলারিটি বানানো পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছো সুন্দর করে।ধন্যবাদ তোমাকে।

হ্যাঁ এখন তো অনলাইন শপিং হয়ে যাওয়ার ফলে ফেসবুকে দেখি তো বিভিন্ন মেয়ে এসব জিনিস গুলো বানিয়ে অনেক টাকা দিয়ে বিক্রি করে। সব সময় কিনে পরতে গায়ে লাগে৷ তাই নিজে বানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি।

এই ধররণের জুয়েলারি গুলো খুবই ভালো লাগে।শাড়ির সাথে ম্যাচিং করে পড়লে দেখতে খুবই স্মার্ট আর ক্লাসি লাগে।তোমার গুণের কোনো শেষ না আ৷ প্রশংসা করারও কোনো ভাষা নেই।পুরাতন জুয়েলারি খুলে শেখার মতো ধৈর্য্য বা দক্ষতা কোনোটাই আমার নেই।অল্প কিছু টাকা খরচ করে বানিয়ে অনেক চড়া দামে বিক্রি করে এটা আমরা সবাই জানি কিন্তু কিছু করার নাই তারপরও কিনতে হয়।অসম্ভব রকমের সুন্দর হয়েছে সবকিছু মিলিয়ে এক কথায় অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই

ঠিক বলেছ গো, শাড়ির সাথে এই ধরনের জুয়েলারি গুলো একেবারেই অন্যরকম লুক দেয়।

নতুন কিছু শেখার ইচ্ছেই আমায় এইগুলো দিয়েছে। আসলে কোন গুণই নেই। পুরো ঢ্যাঁড়স। তোমার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। কখনও আমাদের দেখা হলে তোমার জন্যও বানিয়ে নিয়ে যাবো।

এগুলো সাধারণত শহরের কোন মানুষ কে ব‍্যবহার করতে দেখা যায়। অনেক সময় আদিবাসী মহিলারা এমন জুয়েলারি ব‍্যবহার করে থাকে। ডিজাইন এমব্রয়ডারি জুয়েলারি টা দারুণ তৈরি করেছেন আপু। একটা নতুনত্ব ব‍্যাপার ছিল এইটার মধ্যে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।

আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। ভালো থাকবেন।