ঐতিহ্যের অপর নাম ভালোবাসা - আমার বাংলা ব্লগ কনটেস্ট -৬৫ এর জন্য বানালাম ভালোবাসার পুলি

in hive-129948 •  last month 

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,


সমস্ত ভারতবাসী এবং বাংলাদেশের বাঙালি সহযাত্রীদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।


cd76ea58-60ef-4d6e-b138-eb0a45d8edae_20241126_190212_0000.jpg



1000234046.png


1000234048.png




আশা করি আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ আছেন, সব দিক থেকে ভালোও আছেন। আপনাদের সবার ভালো থাকা কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।



ভালোবাসা বাংলা অভিধানের শ্রেষ্ঠ শব্দগুলির মধ্যে অন্যতম

কয়েকদিন আগে যখন ঐতিহ্যবাহী পিঠে পুলির রেসিপি প্রতিযোগিতা অ্যানাউন্স হল আমি তখন থেকে ভাবছি কি করা যায়। বাঙালির এতো পিঠেপুলি, কাকে ছেড়ে কাকে ধরি?

রেসিপি ডিটেলসে যাবার আগে বলি শীতকালে কেন পিঠেপুলি হয়। আমরা সকলেই জানি বাংলা নদীমাতৃক দেশ হওয়ার কারণে বাংলার প্রধান শস্য হল ধান আর গ্রামবাংলায় প্রধান জীবিকাও ছিল কৃষিকাজ৷ এই সময় আমন ধান ওঠার মরসুম। সাধারণ মানুষের দীর্ঘ খাটাখাটুনি পর যখন ঘরে ঘরে দরিদ্রতার অন্ধকারে নতুন ধান সামান্য আলো নিয়ে আসে তখন সকলেই চায় একটু ভালোমন্দ খেতে৷ সন্তানসন্ততিদের মুখে সুস্বাদু খাবার তুলে দিয়ে হাসি এনে দিতে৷ ধান প্রধান শস্য হওয়ার কারণে আমাদের চালই সব থেকে বেশি সহজ লভ্য৷ তাই যাই বানানো হত সবটাই চাল দিয়ে৷ আমাদের বাংলায় বা ভারতবর্ষেও কেকের প্রচলন ছিল না৷ পিঠে পুলিই ঐতিহ্য৷ বিয়ে বা পুজো বা অন্নপ্রাশন আজও নানান পিঠে দেওয়ার চল রয়েছে৷ যদিও মানুষ আধুনিক হতে গিয়ে অনেক কিছুই সেকেলে বলে ত্যাগ দিয়ে দিচ্ছে।

এই শীতকালের ঐতিহ্য পিঠে বললে পুলি পিঠেই সব থেকে আগে জায়গা করে নেয়৷ ঝাল পুলি মিষ্টি পুলি, নানান পুরের প্রকার ভেদে কত রকমের যে পুলি পিঠে হত, পাটিসাপটাও খুবই প্রচলিত। শীতকালে এই দুই পিঠের জনপ্রিয়তার পাশে অন্য কোন পিঠে হলেও একে ছাপিয়ে যেতে পারেনি বলেই আজও জানি৷ আমি একবার ভেবেছিলাম ক্ষীর সাপটা বানাবো৷ যেমনটা প্রিয় বান্ধবী বানিয়ে খাইয়েছিল একবার৷ তারপর শুনলাম দেশের বাড়িতে পুলি পিঠে হচ্ছে৷ তাই সব বাদ দিয়ে লেগে পড়লাম পুলি পিঠের তোড়জোড় করতে৷

বাড়িতে কখনই কেনা চালগুঁড়িতে পিঠে হত না৷ সারা দুপুর জুড়ে হামানদিস্তার ঠং ঠং শব্দে চালের বুক ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হত। আমরা তখন ছোট ছোট, লোভের শেষ নেই৷ ধৈর্য্য রাখতে না পেরে আমার কাকুর মেয়ে তো একবার গরম জলের সাথে চালের গুঁড়ি এমনিই খেয়ে ফেলেছিল। হা হা হা৷ কিন্তু আমি কোনদিন এই কাজ করতাম না। কেন জানেন? আমি দুধ প্রেয়সী মানুষ। পুলি পিঠের জন্য ঠাকুমা খোয়া বানাতেন আগে। হাত দেওয়া বারণ ছিল৷ উবু হয়ে বসে দেখতাম আর অপেক্ষা করতাম কখন সেই অমৃত তৈরি হবে। নারকেল আর খোয়া ক্ষীরের মিশ্রণ সাথে গুড় যে পুরটিকে একটি রাজকীয় উচ্চতা দিত তা কেবল ঠাকুমাই বুঝত৷ তিনি যে রাজকন্যে ছিলেন। বড় হয়ে যখন জিজ্ঞেস করি কেন এই খোয়া ক্ষীরের সাথে যুগলবন্দী ঘটানো হয়? কারও বাড়িতে তো হয় না৷ ঠাকুমা বলেছিল, রান্না হল হাতের জাদু৷ আর সামান্য কিছু উপকরণের এদিক ওদিক হলেই মুখে লেগে থাকার মতো খাবার তৈরি হবে৷ তখন এই সব কথা বুঝতাম না। হাঁ করে শুনতাম খালি।

সেই সব স্মৃতি মাথায় রেখেই আজ বানিয়েছি এবছর শীতের প্রথম পুলি পিঠে নাম দিয়েছি ঐতিহ্যের অপরনাম ভালোবাসা পিঠে। ঠাকুমার খানিকটা পরামর্শ সাথে নিলেও ধরা বাঁধা পুলি থেকে বেরিয়ে এসে একটু নিজের মত করে নতুন ভাবনা প্রয়োগ করেছি। দেখতে কেমন লাগছে বলুন? খাওয়া তে তো পারি না তাই দেখেই বলুন। ওহ বলে রাখি আমি কোন রকম ফুডকালার ব্যবহার করিনি৷


1000213522.png


IMG-20241126-WA0051.jpgIMG-20241126-WA0056.jpg
IMG-20241126-WA0055.jpgIMG-20241126-WA0054.jpg
দুধএকলিটার
খোয়া ক্ষীরএক শ' গ্রাম
কনডেন্স মিল্কদু'শ' গ্রাম
বিটতিনটে
চালের গুঁড়োপ্রায় তিনশ' গ্রাম
আঁখ গুড়দেড়শ গ্রাম
নারকেলদু'টো
এলাচ গুঁড়োপরিমান মতো
ঘিপরিমান মতো
নুনপরিমান মতো

চলুন দেখে নিই কিভাবে বানালাম।


1000213536.png


ধাপ-১
IMG-20241126-WA0053.jpgIMG-20241126-WA0052.jpg
  • কুরুনি বটিতে নারকেলটা কুরে নিলাম৷ ছাল ছাড়িয়ে মিক্সার গ্রাইন্ডারে বেটে নিলে হয়তো সহজ হতো তবে আমার সাবেকচালই বেশি পছন্দের। তাছাড়া বটিতে কুরে নিলে পিঠের জন্য নারকেলটা একবারে সঠিক ভাবে কোরা হয়। বেটে নিলে অরিতিক্ত মিহি হয়ে যায়৷
ধাপ-২
InShot_20241126_200705977.jpgInShot_20241126_201204505.jpg
InShot_20241126_200647682.jpgInShot_20241126_200637781.jpg
  • বিট কেটে নিয়েছি।

  • এরপর সেটিকে ধুয়ে নিয়ে মিক্সার গ্রাইন্ডারে বেটে নিয়েছি৷

  • বড় ছাকনি সাহায্যে চেপে চেপে পুরো রসটা বের করে নিলাম।

ধাপ-৩
InShot_20241126_213918447.jpgInShot_20241126_213940245.jpg
InShot_20241126_214049944.jpgInShot_20241126_200603211.jpg
  • এবার নারকেলের পুরটা তৈরি করে নেওয়ার জন্য কড়াইতে প্রথমে নারকেল ও গুড় একসাথে দিয়ে দিয়েছি।

  • সামান্য নাড়াচাড়া করার পর পরিমাণ মতো এলাচ গুঁড়ো দিয়েছি

  • আরো একটু নাড়াচাড়া করে খোয়া ক্ষীর দিয়ে ভালো করে নেড়েছি।

  • তাড়াহুড়ো না করে কম আছে আরো একটু সময় ধরে ভালো করে বানালাম। পুরটা এমন ভাবেই তৈরি হয়েছে একেবারে শুকনো ঝরঝরে হয়ে যায়নি একটু জুসি ভাব রয়েছে।

ধাপ-৪
InShot_20241126_200546674.jpgInShot_20241126_200534493.jpgInShot_20241126_200519514.jpg
InShot_20241126_200501210.jpgInShot_20241126_200444019.jpg
  • ঐতিহ্যের অপর নাম ভালোবাসা অর্থাৎ ভালোবাসার পুলি বানানোর জন্য আমি দু'রঙের ডো ব্যবহার করেছি। একটি লাল দাদা। বিটের রসটা লাল রংয়ের ডো ব্যবহার করার জন্যই তৈরি করেছি। তাই ছোট্ট একটা সসপ্যানে করে বিটের রস গরম করতে দিয়েছি।

  • রসটি ফুটে এলে, তাতে সামান্য পরিমাণ ঘি যোগ করেছি।

  • এবার প্রায় চার পাঁচ চামচ মতো চালের গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে নিয়েছি।

  • পুরো রসটা চাল গুঁড়ির সাথে মিশে যাওয়ার পর একটি থালায় নিয়ে ভালো করে মথে নিয়েছি।

  • একটু সময় ধরে মাখলেই তৈরি হয়ে যায় লাল রংয়ের ডো টি।

ধাপ-৫
InShot_20241126_200337768.jpgInShot_20241126_200317404.jpgInShot_20241126_200242643.jpg
InShot_20241126_200226890.jpgInShot_20241126_200214045.jpg
  • সাদা ডো টি বানানোর জন্য আমি কেবলমাত্র জল ব্যবহার করেছি।

  • একইভাবে জল গরম করে তাতে নুন দিয়ে বাকি পুরো চালের গুঁড়ি দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করেছি।

  • তারপর থালায় নামিয়ে অনেকটা সময় ধরে মথে নিয়ে ডো বানিয়েছি।

ধাপ-৬
5a8e2e26-0b2c-4d4b-81a6-0cf98b7ca671_20241126_200155_0000.jpg921e004e-a150-4350-93a8-3456baa1dd3a_20241126_200110_0000.jpg
eeb377e0-31be-4ef3-84f4-5ae611f8346c_20241126_200026_0000.jpg5d5009d9-d451-4490-acd7-36eff563da47_20241126_195916_0000.jpg
  • ভালো করে মথে নেওয়ার পর রুটির মতো লেচি কেটে নিয়েছি।

  • খুব মোটাও না খুব পাতলাও না এইভাবে বেলে নিয়েছি।

  • হার্ট শেপ কুকি কাটার দিয়ে রুটিটা কেটে নিয়েছি৷

এই একই পদ্ধতিতে অনেকগুলো হার্ট সেভ তৈরি করেছি।

ধাপ-৭
0e8144df-2ca6-4c7f-b454-37fad36e8d52_20241126_195828_0000.jpgbdc0892d-c944-4e14-a600-5c7a1ead7374_20241126_195737_0000.jpg
  • লাল রঙের ডো-কেও একইভাবে লেচি কেটে রুটির মত বেলে নিয়েছি।

  • এরপর ছুরি দিয়ে সমানভাবে কেটে সরু লম্বা মাপের অনেকগুলো স্ট্রিপ কেটেছি।

ধাপ-৮
c0b332b1-3f0e-4cbf-b466-585325a7e9f3_20241126_195642_0000.jpgfb907254-d51c-40e6-9446-073757367d25_20241126_195553_0000.jpg
5937fdd5-831d-4ead-8835-f0c2ef570b11_20241126_195506_0000.jpgaf653659-250b-49e4-b4a7-e78610976e1e_20241126_195404_0000.jpg
  • এবার পিঠে গুলো গড়ে নেব।

  • প্রথমেই একটা হার্ট শেপ নিয়ে তার ওপর পুর রেখেছি।

  • পুরটা হার্ট শেপের মাপ অনুযায়ী সামান্য ছড়িয়ে নিয়েছি। ওপর দিয়ে আরও একটা হার্ট শেপের রুটি চাপা দিয়ে দিলাম।

  • ধার গুলো আঙুল দিয়ে চেপে চেপে জুড়ে দিয়েছি।

  • আপাতত ভালোবাসা চিহ্নের পুলি তৈরি। এখন সাজানোর পালা।

ধাপ-৯
78a6a632-390f-4361-a122-86bb50a169bb_20241126_195306_0000.jpgef14642e-042e-4338-a560-2410b90a3a4c_20241126_194809_0000.jpg
ccbaaa6a-9bcc-405f-961a-e84f1c26e38d_20241126_194439_0000.jpg4e172c58-e5e5-4d1b-90dc-ba5ffaa0b49c_20241126_194301_0000.jpg
  • টেলাররা যেভাবে জামায় ফ্রিল দেয় ঠিক সেই পদ্ধতেই লাল রংয়ের সবুজ টিপ গুলো ভালোবাসা চিহ্নের ধারে লাগিয়েছি৷

  • অবশ্যই প্রতিবার ভাঁজ দেওয়ার সময় একবার করে আঙুলে ভালো করে চেপে দিয়েছি।

  • খুব জোরে চাপিনি। কারণ এটা চালের গুঁড়ি তাই ছিঁড়ে যাবার সম্ভবনা অনেক বেশি।

  • যাইহোক এই পদ্ধতিতেই তৈরি করে নিয়েছি বেশ কিছু লাল ফ্রিল দেওয়া ভালোবাসার পুলি৷

  • মাঝের ফুলটা আমার কন্যার সংযোজন৷ মা কিছু করছে আর মেয়ে তাতে নাক গলাবে না তাহলে তো মন্টমরেন্সি নামটাই বেকার দেওয়া হবে।

ধাপ-১০
4bb1226a-eebf-4ab7-856f-c2280ed402c4_20241126_194634_0000.jpga9064c90-810a-462e-aee3-55f3d3684b7a_20241126_193036_0000.jpg
64210bdb-29cc-46fa-ac04-f7fe80205a6a_20241126_192936_0000.jpg40f0d09f-3cc0-4be0-9e52-92bdb3c5e515_20241126_192843_0000.jpg
  • বাড়িতে দুধ পুলি সাধারণত সরাসরি দুধের সিদ্ধ করে তৈরি হয়। আমি এই পিঠেগুলোকে সামান্যভাবে নিয়েছি কারণ এইগুলো দুধের সিদ্ধ করলে একে অপরের সাথে জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি এবং লাল ফ্রিল গুলো থেকে বিটের রং উঠে কি আকার নেবে তা আমিও জানি না।

  • সিদ্ধ করে নেয়ার জন্য প্রথমে একটি ফুটো ওয়ালা বাটিতে তেল মাখিয়ে নিয়েছি৷

  • হাড়িতে জল গরম বসিয়েছি।

  • বাটির মধ্যে দুটো দুটো করে ভালোবাসার পুলি দিলাম। কারণ একসাথে অনেকগুলো দিলে সেই চিটে যাওয়ার বা রং অন্যের গায়ে লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর আমার তো বড় ফ্ল্যাট কোন বাসন নেই তাই এটাতেই অল্প অল্প করে করতে হয়েছে।

  • ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষণ বাষ্পে সিদ্ধ করার পর নামিয়ে নিয়েছি।

  • একইভাবে সবকটা পিঠে সিদ্ধ করেছি।

ধাপ-১১
7fae9134-bfda-4484-bd17-278f5da0af87_20241126_192637_0000.jpg44d3b2f7-4fdf-45a4-8577-56b5eeacb11f_20241126_192543_0000.jpg
65f9ca56-ec5b-4969-84d1-c55684bad222_20241126_192342_0000.jpgfca07f47-92b3-44a0-b17c-d9e5d9daf369_20241126_192252_0000.jpg
  • যেহেতু দুধ পুলি চিন্তা ভাবনা করেছি কারণ আমি নিজেও সেদ্ধ পিঠের থেকে দুধপুলি খেতে বেশি পছন্দ করি। তাই দুধটা আলাদাভাবে ফোটাতে বসিয়ে দিয়েছি।

  • ফুটে ফুটে অর্ধেক হয়ে আসার পর এই বোতলটার অর্ধেক বোতল কনডেন্স মিল্ক আমি ঢেলে দিলাম।

  • কনডেন্স মিলকে যেহেতু অনেকটাই চিনি থাকে তাই আলাদা করে দুধে কোন মিষ্টি যোগ করিনি।

  • এইভাবেই তৈরি করে ফেললাম ক্ষীর স্বাদের দুধ।

ধাপ-১২
b6dff56c-1a3b-4dbc-b6b2-afc7c7dc7ad4_20241126_192207_0000.jpg16f4753c-461b-44e9-8eb9-01bdeca21427_20241126_191227_0000.jpg
  • গরম গরম ফুটন্ত দুধ আমি ভালোবাসা পুলির ওপর ঢেলে দিলাম।

  • এমত অবস্থায় অনেকটা সময় প্রায় আধঘন্টা ঢাকা দিয়ে রেখে দিয়েছিলাম।

  • এর ফলে দুধের গরমেই পিঠেগুলো আরো নরম হয়ে উঠেছিল।

ব্যাস এভাবেই তৈরি করে ফেললাম ভালোবাসার পুলি।

1000225073.png

42c8b58d-6f66-4623-aaac-7bac1a25388a_20241126_190804_0000.jpg

814a1246-d30c-49df-80d7-e3471fcfd8bc_20241126_190519_0000.jpg

b1b14b28-ee98-47c3-ba02-d37c1cef8e64_20241126_185146_0000.jpg



eec18f47-d716-461f-b4e8-eccb6feba225_20241126_225459_0000.jpg

ভালোবাসার পুলির শেষ কামড় দেওয়ার পর ভালোলাগার বর্ণনা এভাবে দিয়েছিল। আরও অনেক অঙ্গভঙ্গি ছিল। আমি আর সেসব তুলতে পারিনি৷ মাঝে মধ্যে ক্যামেরা ধরতে হবে সেটাই ভুলে যাই৷ কোনকিছুই তো গোছানো নয়। তাছাড়া কবেই বা ছিল!


যাইহোক আজকের গল্প এখানেই শেষ করি। আবার আসব নতুন কোন পোস্ট নিয়ে। ততক্ষণ আপনারা ভীষণ ভালো থাকুন আনন্দে থাকুন।

টাটা

1000205476.png


1000216462.png

পোস্টের ধরণরেসিপি পোস্ট
ছবিওয়ালানীলম সামন্ত
মাধ্যমস্যামসাং এফ৫৪
লোকেশনপুণে,মহারাষ্ট্র
ব্যবহৃত অ্যাপক্যানভা, ইনশট


1000216466.jpg


১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে


1000192865.png


~লেখক পরিচিতি~

1000162998.jpg

আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিতব্য গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা



কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।

🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾


1000205458.png

file-g5jU1EzEHAcdc41yLeGvhd2C.webp

file-zRxFXiC7QH38U7F8KN0bisD2_1.webp

1000205505.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আরে বাহ্ পুলিপিঠা দেখতে এত সুন্দর হয় তা আগে জানতাম না।কমিউনিটির পিঠা প্রতিযোগিতার কারণে সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের বিভিন্ন রকমের পিঠা দেখার সুযোগ পেলাম।আপনার তৈরি পুলি পিঠা দেখেই তো খাওয়ার লোভ হচ্ছে।খাওয়ার লোভের সাথে সাথে পুলিপিঠার সৌন্দর্যেও মুগ্ধ হয়ে গেলাম।যাইহোক আমার পক্ষ থেকে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো দিদি।

আমিও জানতাম না দাদা, কমিউনিটির পিঠা প্রতিযোগিতার জন্যই ভেবে চিনতে এমনটা বানিয়েছি৷ ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তিব্য করার জন্য৷

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

ঐতিহ্য এর সাথে কী দারুণ ভাবে নতুনত্ব এর সংযোজন করেছেন দিদিভাই! খাবারে ফুড কালার আমিও সবসময়ই এভোয়েড করি । তাই বীটরুট এর ব্যবহার টা বেশ লেগেছে আমার কাছে। আর খেতে কেমন হয়েছে তা তো সর্বশেষ ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে লোভ লেগে গেলো ভীষণ। কারণ আপনার মতো আমিও দুধ প্রেয়সী! প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা রইলো।

হ্যাঁ দিদি, ঐতিহ্য ভুলে যাই কিভাবে৷ ঐতিহ্য টিকিয়ে রেখে তাকে অন্যরকম ভাবাটাই যুগোপযোগী৷ নইলে সবইন্তো হারিয়ে যাচ্ছে৷

খাবারে ফুডকালার দিলে আমারও খুব মন খুঁতখুঁত করে৷ তাই চেষ্টা করি প্রাকৃতিক কিছু ব্যবহার করার৷ আর বিট ব্যবহারের জন্য ওই অংশের স্বাদও দারুণ হয়েছিল৷

অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে৷

1000320951.jpg1000320953.jpg1000320954.jpg

image.png

লাভ আকৃতির পিঠার লুক দেখে তো প্রেমে পড়ে গেলাম।দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভালো ছিল অনেক,ধন্যবাদ।

হে হে। শীত মানেই তো প্রেমের মরসুম। হ্যাঁ আপু খেতে ভালোই ছিল৷ ধন্যবাদ আপনাকে৷

আরে বাহ,এতো দেখছি ভিন্ন ধরনের পুলি পিঠা। লাভ শেপের এমন ইউনিক পুলি পিঠা দেখে খেয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে। পুলি পিঠা তো অনেক খেয়েছি কিন্তু এই ধরনের পুলি পিঠা কখনও খাওয়া হয়নি। বিটরুট দিয়ে খুব সুন্দর ডিজাইন করেছেন। আপনার উপস্থাপনাও চমৎকার হয়েছে। এবারের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের শীতের পিঠা দেখতে পাচ্ছি। ধন্যবাদ আপু ইউনিক পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আপু, রান্নার ফুড কালার ব্যবহার করতে আমার ভালো লাগে না৷ আসলে কোন কেমিক্যাল রঙই তো শরীরের পক্ষে ভালো না৷ তাই প্রাকৃতিক কোন উপায়ে রঙিন করার কথা ভাবি৷ যেহেতু ভালোবাসার শেপে তৈরি করেছিলাম তাই অল্প দু এক টুকরো গোলাপের পাপড়ি ফেলে দিতেই চমৎকার গন্ধ উঠেছিল।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই৷

প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। একেবারে ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। পিঠার ডিজাইন জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। বিটরুট ব্যবহার করার আইডিয়াটা একেবারে ইউনিক লেগেছে। যাইহোক এতো সুন্দরভাবে পিঠা তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

হ্যাঁ দাদা, ফুডকালার ব্যবহার করলে খাবার হয়তো দেখতে ভালো হয়। কিন্তু শরীরের ক্ষতি হয়৷ তাই আমি সব সময়ই প্রাকৃতিক কিছুর ওপর নির্ভর করি৷ আপনার মন্তব্যে ভালো লাগল৷ ধন্যবাদ জানবেন৷

শুরুতেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই।শীতকাল মানেই পিঠাপুলির সমাহার।ছোটবেলার সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেলো দিদি আপনার পোস্ট টি পড়ে।আমাদের বাড়িতেও কখনোই কেনা চালে গুঁড়ি দিয়ে পিঠা বানানো হতো না।আমাদের বাড়িতে একটা কাঠের ঢেঁকি ছিলো ওটাতেই চালের গুঁড়ি করা হতো আর সে দিনটা কেমন জানি একটা উৎসব উৎসব মনে হতো।আপনার বোন চালের গুঁড়ি খেয়ে ফেলেছিলো জেনে খুব হাসি পেলো।ভালোবাসার কোনো রং হয়না তারপরও আমরা লাল রং কেই ভালোবাসার রং হিসেবে মনে করি। আর সেই রং রূপ পুলি পিঠার মধ্যে দেখতে পেলাম যা সত্যিই অসম্ভব রকমের ভালো লাগার মতো বিষয়।আর শেষে মামনির এক্সপ্রেশন জাস্ট এক কথায় অসাধারণ।😍সবমিলিয়ে অসম্ভব রকমের সুন্দর হয়েছে।আশাকরি খুব ভালো কিছু হবে।শুভকামনা নিরন্তর।❤️

আপনার কথাগুলো পড়তে বেশ ভাল লাগল। ধন্যবাদ দিদিভাই।

ভিন্ন স্বাদের একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখে বেশ লোভ লাগছে। খোয়া ক্ষির কি মাওয়া তাই না? বেশ সুন্দর ডিজাইন করেছেন পিঠার । প্রাচীন ও আধুনিকতার মিশ্রণ ঘটিয়েছেন আপনার পিঠায়। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

হ্যাঁ আপু, খোয়া আর মাওয়া একই জিনিস৷

ভালোবাসা নেবেন৷