প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,
সমস্ত ভারতবাসী এবং বাংলাদেশের বাঙালি সহযাত্রীদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আশা করি আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ আছেন, সব দিক থেকে ভালোও আছেন। আপনাদের সবার ভালো থাকা কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।
সূর্যের ছুঁড়ে দেওয়া সকাল সিরিজটি হল আসলে আমার দিনলিপি। রোজ লেখা উচিত যা। অথচ লিখতে পারি না৷ হয়ে ওঠে না। কোন সমস্যা নেই। কিন্তু হয় না। অনেকদিন পর যখন আবার লিখলাম তখন মনে হল শেয়ার করে ফেলি আপনাদের সাথে। ব্লগে জেনারেল রাইটিং বা টানা গদ্য পড়ার লোক কম। মানুষ শর্টে কাজ সারতে চায়, তাই ফটোগ্রাফি, রান্নার রেসিপি ক্রাফট ইত্যাদি এই সমস্ত পোস্টের জনপ্রিয়তা বেশি। টানা গদ্য পড়তে সময় লাগে। তাছাড়া অনেক লেখাই আছে যা পড়তে ভালো লাগে না। এই এতো কিছুর পরেও আমি কিছু পাঠক।পেয়েছি যাঁরা আমার লেখাগুলি পড়তেই আসেন। তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আপনারা পড়েন বলেই পরের লেখা লিখতে ইচ্ছে করে৷ আপনাদের প্রতি আমি আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
এবার চলুন যাই সরাসরি পোস্টে।
মাঝের অনেকগুলো দিন কেটে গেছে তবে শীত ফুরিয়ে গেছে এমন না৷ আস্তে আস্তে করে কুয়াশার চাদর ঘিরে ধরেছে। বড্ড দেরীতে সকাল হয়৷
ঘুম ঘুম চোখেই ভাবি, বেটার লেট দ্যান নেভার৷
সত্যিই যদি সকাল না হত, আমি মৃত্যুকে তাড়া করতাম নাকি মৃত্যু আমায়? মাথায় পোকাগুলো কেমন নড়েচড়ে বসে। সব কিছু ছেড়ে নিজের সাথে দু'কদম হারানোর মুহুর্তে ঠান্ডা জলের কল চালু করি৷ শীত ধুয়ে দেয় পা, নখ... সেই কবে আলতা পরেছিলাম, তার দাগ এখনও ওঠেনি। কিছু কিছু দাগ থেকে যায়৷ সে থাক। জীবন নিয়ে কবেই বা এতো ভাবার অভ্যেস ছিল? না কি পেছনে তাকানোর স্বভাব?
সেই জন্যই হয়তো চায়ের কাপে দুটো গোলাপ পাপড়ি ফেলে ব্যালকনিতে দাঁড়ালে দেখি সামনের বাগানে প্রতিটি আমগাছ এখন পোয়াতি। দেখতে দেখতে কত কথা জন্মায়, সব কি আর লেখা হয়? অথচ লেখার জন্য কত কি, আবার লেখার জন্যই কোনদিন পিড়ি পেতে বসা হয়নি। জানেন, সন্তানসম্ভবা গাছ এবং জন্ম দেওয়ার পর তার রূপে অনেক পার্থক্য।
এই সব কিছু দেখি বলেই আমি দর্শক। বিরামহীন কর্মযজ্ঞে দানা দানা শিশির ক্যামেরা বন্দী করি। আর চোখের ভেতর কে যেন খননকার্য চালায়৷ আজকাল আর কোনভাবেই মানুষ ভালো লাগে না। নিজেকেও যে কতখানি ভালোলাগে সে হিসেবে যাইনি। সারাদিন এতো রকম ছদ্মবেশ ধরি...
প্রতি ছদ্মবেশ শীতের পার্থক্যে ভারত মহাসাগর আসে। ঘন নীল। যতদুর এগিয়েছি প্রবল শীতলতায় ছেয়ে গেছে ধ্যানমগ্ন বিকেল। সেদিনটাও চিনি ছাড়া কফি কিনেছিলাম। লোকটার মুখ অনেকখানি বর্ণপরিচয়ের মতো। কফি কাপে যে প্রফুল্লতা ভরে দিয়েছিল তাতে ঢাকা পড়ে গেছে আমার সদ্যোজাত জন্মক্ষণের দিনলিপি। যা নিয়ে কোন প্রস্থেই কোন আদিখ্যেতা নেই৷ শুধু ছদ্মবেশগুলো অবহেলায় এলিয়ে দিই, জানেন তো খুব বেশি বিদ্রোহী হতে নেই। বিদ্রোহীদের গায়ে পোশাকের বদলে জোঁক নেমে আসে। খিদেকে কিভাবে অস্বীকার করা সম্ভব?
পোস্টের ধরণ | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
ছবিওয়ালা | নীলম সামন্ত |
মাধ্যম | স্যামসাং এফ৫৪ |
লোকেশন | পুণে,মহারাষ্ট্র |
ব্যবহৃত অ্যাপ | ক্যানভা, অনুলিপি |
১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে
~লেখক পরিচিতি~
আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশ ও ইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিতব্য গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।
https://x.com/neelamsama92551/status/1876920426179227710?t=qHd7JYcHnLlWGOyF_WjiAg&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু এমন লেখা প্রতি দিন লেখলেও কখনো শেষ হবার নয়। আপনার লেখা গুলো পড়ছিলাম আর সূর্যের দেখা কথা গুলো ভাবছিলাম। সত্যি শীতে সকাল হয় অনেক দেরিতে। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু। পড়লেন পোস্টটা। ভালো লাগল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কত লেখা যে থাকে, কিন্তু পিড়ি পেতে তো সেভাবে বসা হয় না লিখতে! আবার ছোট ছোট কত কিছুই ঘটে যায় আমাদের আশেপাশে, পোয়াতি আম গাছের সৌন্দর্যের মতোন, আমরা কজন ই বা সেসব যত্ন করে খেয়াল করি! বেশ সুন্দর এবং অন্যরকম লেখা টি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো দিদি। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভালোবাসা জানালাম। বেশ যত্ন করে পড়েছেন দেখছি৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit