চেম্বারে কাটানো বছরের শেষ দিন। //১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in hive-129948 •  3 years ago 

নমস্কার বন্ধুরা,


শা করি সবাই ভাল আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেবো, আমার কাজের জায়গায় কাটানো বড়দিন হিসেবে ২৪ সে ডিসেম্বর অর্থাৎ ছুটির আগের আমরা কাজের শেষ দিনটা কিভাবে কাটিয়েছি তার কিছু মুহূর্ত।


WhatsApp Image 2022-01-06 at 9.50.08 PM (1).jpeg


সাধারণত আমাদের কাজে মানে হাইকোর্টে পৌঁছাতে হয় সকাল ১০:৩০ এর মধ্যে কারণ ১০:৩০ এর সময় সমস্ত জর্জ সাহেবরা এজলাস এ বসে যান এবং তখন থেকেই সমস্ত কোর্টের কাজকর্ম শুরু হয়ে যায়।


কিন্তু যেহেতু ক্রিসমাস এর ছুটির আগে ২৪ তারিখ শেষ কোর্ট হয়েছিল সেহুতু কাজটা একটু হালকাই ছিল। তাই চারটের মধ্যে আমাদের সমস্ত কাজকর্ম মোটামুটি শেষের দিকে। ভেবেছিলাম আজ একটু তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে যাব, কিন্তু বাকি কলিগরা যেতে দিলে তো। ব্যাস তারপর আর কি অয়নদা বসে বসে প্ল্যান বানাতে শুরু করল। হুকুম করে দিল নিয়ে আসা হোক কেক আর কল্ড্রিংস। শেষদিনে চেম্বারে সকলে মিলে একটা কেক কেটে তারপরে বাড়ি যাওয়া হবে। তারপর আর কি আমাকেই আনতে হল কেক আর কোলড্রিংস কিনে।


এবার বলে রাখি চেম্বারে আজকের দিনে যারা যারা উপস্থিত ছিল তারা কে। আমাদের সিনিয়ার মহেন্দ্র প্রসাদ গুপ্ত স্যার, তার একজন বন্ধু দিলীপ কুমার সইল দা, আমার খুব কাছের অয়ন দা, আর একটা জুনিয়ার অন্তরা, নতুন যুক্ত হওয়া একটা জুনিয়ার শুভাশিস, আমাদের স্যার এর অফিশিয়াল ক্লার্ক অঞ্জন দা, আর চেম্বারের ক্লার্ক দিদি, আর অবশ্যই আমি।


WhatsApp Image 2022-01-06 at 9.50.08 PM (7).jpeg

WhatsApp Image 2022-01-06 at 9.50.08 PM (6).jpeg

WhatsApp Image 2022-01-06 at 9.50.08 PM (5).jpeg

WhatsApp Image 2022-01-06 at 9.50.08 PM (4).jpeg

WhatsApp Image 2022-01-06 at 9.50.08 PM (2).jpeg

WhatsApp Image 2022-01-06 at 9.50.08 PM.jpeg


কেক আর কল্ড্রিংস আনতে আনতে বেজে গেল সন্ধ্যে ছটা, আর কি আমার বাড়ি যাওয়াও হয়ে গেল আজকের মত। কিন্তু তারপর ভেবে দেখলাম ব্যাপারটা খুব ভালোই হয়েছে। এমনিতে তো সারাদিন কাজের মধ্যেই কেটে যায়, তার মধ্যে একটা আনন্দের মুহূর্ত খুঁজে পেলে মন্দ হয় না। তবে এরকমটা রোজ তো আর করা সম্ভাবনা তাই সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতাটা খুব ভালোই ছিল।


WhatsApp Image 2022-01-06 at 9.50.08 PM (3).jpeg


কেক কাটার পর আমি সবাইকে প্লেটে পিস করে ভাগ করে করে দিলাম। সাড়ে সাতটা পর্যন্ত চলল গল্প আড্ডা আর ছবি তোলার বাহার। অনেক কথা যা কাজের মাঝখানে হয় না সেগুলোও আলোচনা হল। প্রত্যেকেরই ব্যাপারটা খুবই ভালো লাগলো, আর এখানেই কথা বলতে বলতে ঠিক হলো যে চেম্বারের জন্য একটা নতুন কম্পিউটার এবং প্রিন্টার নিয়ে আসা হবে, আর তার দায়িত্বটা পড়লো আমাদের ঘাড়ে মানে আমার আর অয়নদার ঘাড়ে। ঠিক করা হবে ছুটির মধ্যেই এনে দেয়া হবে।


অনেক গল্প আড্ডার পর শেষে আটটার সময় চেম্বার থেকে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম, বাড়ি পৌঁছাতে পৌঁছাতে বেজে গেল নটা।


কাজের মুহূর্ত গুলো তো আর আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয় না, তাই ভাবলাম এটা একটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা বলে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিই, আশা করি আপনাদের খারাপ লাগবে না।

ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অনেক সুন্দর ছিল ভাইয়া আপনার বছরের শেষে কাটানো সময় গুলো। আপনার গল্পটি পড়ে বেশ ভালই লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মুহূর্তে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। সত্যি অজানা মুহূর্তগুলোই আমাদের জীবনে খুব ভালোভাবে গড়ে ওঠে।

চমৎকার একটি অফিশিয়াল মুহূর্ত কাটিয়েছেন ভাইয়া । হাজারো ব্যস্ততার মাঝে একটুখানি আনন্দ মনকে সতেজ করতে সাহায্য করে । আমি মনে করি মাঝে মাঝে এমন মুহূর্তে হারিয়ে যাওয়া উচিৎ ।

ধন্যবাদ দাদা এরকম সুন্দর একটি গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য। মুহূর্তরা কাটিয়ে বুঝতে পারলাম মাঝে মাঝে এরকম সময় কাটালে মন্দ হয় না।