খেজুরের রস চুরির পরিবর্তে ৪১ টা নারকেল ডাব চুরির অবিশ্বাস্য গল্প।|বাস্তবিক গল্প| শেষ পর্ব

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।

পোষ্টের ভেরিয়েশন ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।

সবাইকে স্বাগতম আমার নতুন পোষ্টে,আবার ও হাজির হলাম আপনাদের সামনে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে।
খেজুরের রস চুরির পরিবর্তে ৪১ টা নারকেল ডাব চুরির অবিশ্বাস্য গল্প। শেষ পর্ব

20230107_140113.jpg

গত পর্ব যেখানে শেষ হয়েছিল👇

তারপর আবার এখানে এসে বাকি ২০টি নারিকেল এর ডাব আমরা গামছায় করে নিয়ে গেলাম, সেই যেখানে প্রথমে খেয়েছিলাম সেই কর্ণারে। অবশেষে সেখানে বসে বসে খাওয়া শুরু করলাম। একটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত আমরা এই ৩১ টা ডাব খেয়েছিলাম। আর সব মিলিয়ে টোটাল হয়েছে ৪১টা ডাব। যদিও এই বিষয়টি কেউ বিশ্বাস করবে না, তবে আসলেই বিশ্বাস করার মতো ও নয়। তবে ডাবের সাইজটি বেশি ছিল না, পানি সর্বোচ্চ এক গ্লাসের মত করে হবে।

শেষ পর্ব শুরু👇

তখন আমরাও কয়েকটি ডাব একটানা খেয়ে, এরপর অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতাম ও হাঁটাহাঁটি করতাম।তারপর এক নাম্বার সেরে আবার পুনরায় খাওয়া শুরু করতাম। আবার হাঁটাহাঁটি করতাম, আবার এক নাম্বার সেরে আবার খাওয়া দাওয়া শুরু করতাম। এভাবে করতে করতে এই 31 টা ডাব ও আমরা শেষ করলাম।তখন ঘড়িতে সময় ৩.৩০+। তখন মনে হচ্ছে যে রাগটা কমেছে, আর ওই সময় ডাবের ভিতরে যে নারিকেলটুকু ছিল, সেটি আর খাওয়ার ইচ্ছে করলো না।

কারণ পানি খেয়েই নিজেদের অবস্থা খারাপ। তখন চিন্তা করলাম আমরা, যে জ্যাঠাতো ভাইদের নারিকেল খেলাম। সেই বাড়ির সামনে এ নারিকেলের ডাবগুলো রেখে আসি। তাতে করে অন্তত তারা সকালে নারিকেলের ডাবের ভিতরে থাকা নারিকেল গুলা খেতে পারবে,নষ্ট আর হবে না।সে চিন্তায় দুজনে ডাব গুলো নিয়ে গেলাম এবং তাদের বাড়ির সামনে নারিকেলের ডাবগুলোকে সাজিয়ে রেখে চলে আসলাম।আসার পথে তাদের জন্য দোয়া ও করে দিলাম, যেন তাদের গাছে আরও বেশি বেশি নারিকেল ধরে।

তো বন্ধুরা এই ছিল সেদিনের ৪১টা ডাব খাওয়ার অবিশ্বাস্য ও স্মৃতিময় ঘটনা।

তবে পরের দিন জানতে পারি যে সবাই সন্দেহ করতেছে অন্য এক পার্টিকে। যারা তাদেরকে হিংসা করে ও তাদের মধ্যে কিছুটা গরমিল ছিল।তাই তারা ভেবেছে ঐপক্ষ এদের ডাব খেয়েছে, আমাদের কথা কেউ চিন্তাই করে নাই। পরবর্তীতে যে জ্যাঠাতো ভাই বা আমার বন্ধু বা ক্লাসমেট ছিল, তাকে ফোন করে বললাম,কালকে রাতে ডাবটা আমরা খেয়েছি।তবে তোকে নিয়ে খাওয়ার কথা ছিল।তখন এই বিষয়ে সে বিশ্বাস করতে পারতেছে না, যে আমরা খেয়েছি।

কারণ সে ভালো করেই জানে আমরা কখনোই এইসব কাজে ছিলাম না।পরে সে বলে তোরা খেয়েছিস তো সমস্যা নেই। আমরা তো ভাবছি অমুক লোকরা খেয়েছে। সেজন্য আমরা একটু রাগ করছিলাম। যাই হোক কোন সমস্যা নেই। তাহলে বুঝতেই পারছেন কি এমন চোর যে ৩১ টা ডাব খেয়ে ফেললাম কিন্তু মালিক পক্ষের কোন রিএকশনই নাই।

আসলে থাকারও কথা নয়। কারণ গ্রামে কখনো এরকম কোনো ঘটনাতে জড়িত ছিলাম না। প্রথমবার করেছি তো তাই হয়তো সবাই ভাবছে এরা দুষ্টামি করে করেছে।তো বন্ধুরা এই ছিল ৪১ টা ডাব খাওয়ার কাহিনী আশা করছি আপনারা ইনজয় করেছেন।
Screenshot_20230107-142925_Gallery.jpg

কেউ গত পর্ব গুলো পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন 👇
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক

ফোনের বিশদ বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
পোষ্টগল্প
মডেলM32
ফটোগ্রাফার@nevlu123
সম্পাদনাশুধু সেচুরেশন
অবস্থানবাংলাদেশ।

images (2).png

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

images (2).png

20211126_191305.jpg

আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
images (2).png

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

gifeditor_20181225_230443.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার লেখার প্রথম পর্বটি আমি পড়েছি আগে। আমার তো বিশ্বাস হচ্ছে না ৪১ টি ডাব আপনারা খেয়েছেন। তারপরও একটু সময় নিয়ে 41 টি ডাবের পানি খেয়েছেন। একটা জিনিস ভালো লাগলো ডাবের খোসা গুলো তাদের বাড়ির সামনে রাখলেন। বাড়ির আশেপাশে কারো সাথে কোন ঝামেলা থাকলে। প্রথমে কিছু হলে তাদেরকে সন্দেহটা করে। যেমন তাদের নারিকেল গুলো খেয়েছেন আপনারা। তারপরও তারা অন্যজনকে সন্দেহ করলেন। যাক শেষ পর্যন্ত আপনার চাচাতো ভাই যেটি আপনার বন্ধু এবং ক্লাসমেট তার কাছে স্বীকার করলেন। জানার পরও তাদের মনে কোন কষ্ট নেই শুনে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

অনেক অনেক ধন্যবাদ পর্বগুলো পড়ে খুব চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।।