আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
একবার বলো ভালোবাসি নাটকের রিভিউ। |
---|
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | একবার বলো ভালোবাসি |
---|---|
পরিচালক | মোহাম্মদ মিফতাহ আনান |
অভিনয় | মুশফিক আর ফারহান |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ |
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
প্রথমে নায়কের পরিবারকে দেখানো হয়। সেখানে নায়ক তার বাবা-মা এবং তার মামা সহ সবাই পাত্রী তার মামার জন্য পাত্রী দেখার জন্য যাচ্ছিল। কারণ তার মামার অনেক বয়স হয়ে গিয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত তার বিয়ে হয়নি। তাই এখন তারা সকলে মিলে একটি মেয়ের বাড়িতে যাচ্ছে তাকে দেখার জন্য৷ গাড়িতে করে যখন তারা যাচ্ছিল তখন নায়কের মা বলে যে তাদের একটি নতুন গাড়ি নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল৷ এই গাড়ি করে তাদের কোনভাবে যাওয়া যাচ্ছে না৷ এটি ঠেলা গাড়ির মতো চলছে। তখন নায়কের বাবা বলে যে নিজের গাড়িতে করে যাওয়ার মজাই আলাদা। এভাবে তাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা চলতে চলতে তারা পাত্রীদের বাড়িতে চলে আসে। সেখানে বসে তারা বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে এবং পাত্রীও সেখানে এসে বসে৷ নায়কের মামা নায়কের কথা অনুযায়ী চলে এবং নায়ক যা বলে তাই তিনি শুনেন। তাই এই নায়ক যখন বলল যে পাত্রী তাদের পছন্দ হয়েছে তখন নায়কের মামা বলে যে তার পাত্রীকে পছন্দ হয়েছে। এরপর বিয়ের কথাবার্তা চলতে থাকে এবং তারা বাসায় চলে আসেন।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এরপর একদিন নায়ক এবং নায়কের মামা একটি স্থানে গিয়েছিল৷ সেখানে নায়িকা এবং নায়কের মামার সাথে যে পাত্রীর বিয়ে ঠিক হয়েছে সেই পাত্রী এসেছিল৷ তারা চার জনই সেখানে একসাথে দেখা করে৷ এরপর নায়কের মামা এবং তার হবু স্ত্রী দুজনে একসাথে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে। এখানে নায়ক এবং নায়িকা অন্য পাশে গিয়ে কথাবার্তা বলে৷ তবে নায়কের মামা এতটাই ভোলা ছিল যে সে নায়কের কাছে এসে জিজ্ঞাসা করে সে কি কথা বলবে, কিভাবে চলবে৷ নায়ক তাকে সবকিছু শিখিয়ে দেয় এবং পাত্রী একটু বিরক্ত বোধ করতে থাকে এবং যে পাত্র ছিল সেও কিছুটা বিরক্তিবোধ করে ৷ এরপর তারা বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলতে বলতে তাদের সম্পর্ক গভীর হতে থাকে এবং তারা সেখান থেকে চলে যায়।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এরপর একদিন নায়ক এবং নায়িকা যখন কথা বলছিল তখন তাদের সম্পর্কে অনেকটা গভীরভাবে গঠিত হতে থাকে। তবে সে সম্পর্কে আর কিছুতেই যেন সামনের দিকে এগোতে রাজি ছিল না৷ তারা যখন কথা বলছিল তখন নায়িকার বাবা তাদেরকে সেখানে দেখে ফেলে। তিনি নায়িকাকে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকেন। এর ফলে নায়িকা অনেক কষ্ট পেতে থাকে৷ একইসাথে নায়কের বাবাকেও তিনি সেখানে ডেকে আনেন এবং তিনি তাকে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলতে বলতে একটা সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হয়ে যায়৷ এই ঝগড়া থেকে নায়িকার বাবা বলেন যে তার বোনকে তিনি কোনভাবেই তাদের সাথে বিয়ে দিবেন না। একইসাথে নায়কের বাবা বলে যে তার শালাকেও তিনি কোনভাবেই তাদের বোনের সাথে বিয়ে দিবেনা। এভাবে ঝগড়া হতে হতে তাদের বিয়ে ভেঙে যায় এবং নায়িকাকে তার পরিবার কোনভাবেই সহ্য করতে পারে না৷ নায়ককেও ঠিক একইভাবে তারা ঘৃণা করা শুরু করে। কারণ তাদের জন্যই তাদের বিয়ে ভেঙে গিয়েছে। এভাবে তাদের বিয়ে ভেঙে যায়। এরপর একদিন নায়ক তার বাবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয় এবং নায়িকার বাবার কাছেও ক্ষমা চেয়ে আবার সেই সম্পর্ক ঠিক করে নেয়।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এরপর উনারা দুজন যখন সবকিছু ক্ষমা করে দিলেন এবং নায়কের মামাও বিয়ে করার জন্য তাদেরকে বলছিল, কারণ সে বিয়ে করবে তো কি হয়েছে। তাদের সমস্যা হয়েছে নায়ক এবং নায়িকার মধ্যে। এর ফলে তাদের বিয়ে কোনভাবেই ভেঙে যাওয়া তারা কোনভাবে মেনে নিতে পারছে না৷ এরপর সবকিছু আবার ঠিক হয়ে যায় এবং এখানে একটি শর্ত দেওয়া হয়েছিল যে নায়ক এবং নায়িকা কোন ধরনের সম্পর্কে জড়াতে পারবে না এবং কোন ধরনের কথাবার্তাও বলতে পারবে না। তাই তারা দুজনে এক পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। কোন ধরনের কথাবার্তা বলছিল না এবং এভাবেই তার মামার এবং তার মামীর বিয়ে হয়ে যায়। এরপর সবাই সেখান থেকে চলে যায়।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এরপর একদিন নায়িকা একটি চিঠি বাসায় রেখে সেখান থেকে চলে যায়৷ সেই চিঠি যখন তার বাবা পড়ছিলেন তখন তিনি অনেকটাই কষ্ট পাচ্ছিলেন। কারণ নায়িকা সেখানে লিখেছিল যে সে বাসা থেকে পালিয়ে গিয়েছে এবং সে আর কখনো এই বাড়িতে ফিরে আসবে না। যখন নায়িকার বাবা এই বিষয়টি শুনতে পারে তখন তিনি বুঝতে পারেন যে নায়িকা নায়কের সাথে বাসা থেকে পালিয়ে গিয়েছে। তিনি নায়কের বাসায় গিয়ে ঝামেলা করতে থাকেন। নায়কের বাবা কোনভাবে সে বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলেন না। এরপর তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হতে থাকে। এর কিছুক্ষণ পরে নায়কেরও একটি চিঠি তারা ঘরের মধ্যে দেখতে পায়। সেই চিঠিতে বলা ছিল যে নায়ক নায়িকার সাথে পালিয়ে গিয়েছে। তারা যে টাকাগুলো নিয়ে গিয়েছে তারা সেগুলো দিয়ে কিছুদিন চলবে এবং যখনই তাদের টাকা ফুরিয়ে আসবে তখন তারা আবার বাড়িতে চলে আসবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এর কিছুক্ষণ পরেই তারা বাড়িতে ফিরে আসে এবং তাদের কিছুক্ষণ আগেই বিয়ে হয়েছে। যখন তারা বাড়িতে আসে তখন তারা স্বামী স্ত্রীর সাজে ছিল। কিছুক্ষণ পরে কেউ কিছু বুঝতে বুঝে উঠতে পারছিলেন না। তখন নায়কের বাবা পায়ের জুতা নিয়েছিলেন নায়ককে মারার জন্য। তখন নায়ক নায়িকাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং বলে যে নায়কের বাবার পায়ে সালাম করার জন্য। তখন নায়িকা সালাম করতে থাকে এবং নায়কের বাবার মন একেবারে গলে যায়৷ তিনি বলেন যে বিয়ে যেহেতু করে ফেলেছে তাহলে তাদেরকে মেনে নেওয়া যায়৷ এভাবেই তাদের দুজনকে সকলে মেনে নেয় এবং এইভাবে নাটকের ইতি ঘটে৷
আমার ব্যক্তিগত মতামত।
খুবই সুন্দর একটি নাটক ছিল এটি। আসলে এই নাটকের মধ্যে একেবারে বাস্তবিক কিছু ঘটনাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রথমে নাটক সম্পর্কে ছোট্ট একটি ধারণা দিয়ে দেওয়া যাক৷ নাটকের মধ্যে প্রথমে যখন নায়ক নায়িকাকে পছন্দ করে তখন তাদের সম্পর্ক খুব ভালোভাবে চলছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের সম্পর্ক যখন তাদের পরিবার থেকে জানাজানি হয়ে গেল এবং তাদের দুজনকে মেনে দিল না তখন বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে বাসায় আসার পরে তাদেরকে সকলেই ভালোভাবে মেনে নিল। এভাবে নাটক শেষ হয়ে গেল। আসলে এরকম অনেক কিছুই আমাদের সমাজে ঘটে যাচ্ছে। পরিবারের এই মেনে না নেওয়ার কারণে অনেকেই বাসা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে যখন তারা বিয়ে করে সুখে শান্তিতে বসবাস করে এবং শেষ পর্যন্ত যখন পরিবার তাদেরকে মেনে নেয় তখন তার থেকে সুন্দর আর কিছুই হয় না। আসলে ভালোবাসা খুবই সুন্দর সেটি যদি ভালোভাবে পালন করা যায়। তাই কখনোই ভালোবাসা নিয়ে কষ্ট সহ্য করা উচিত নয়। ভালোবাসার মানুষকে শক্ত করে ধরে রেখেই সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ |
---|
৯.৮/১০
সমাপ্ত
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।আগামিতে অন্য কোন নাটকের রিভিউ নিয়ে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন সবাই।আর কষ্ট করে রিভিউটি যারা পড়ছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | নাটক রিভিউ । |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এ জাতীয় নাটকগুলো আমার অনেক অনেক ভালো লাগে। যাহোক দারুন ছিল আপনার আজকে নাটক রিভিউটা। নাটক সম্পর্কে বেশ জানতে পারলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নাটক ওইভাবে দেখা হয় না তবে আপনার নাটক রিভিউটা পড়ে নাটক সম্পর্কে বেশ ধারণা পেলাম। দারুন একটি গল্প নিয়ে নাটকটি করেছে। আপনি খুব সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনার রিভিউটি
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি আজকে খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ পোস্ট করলেন। ফারহানের নাটক দেখতে আমার নিজেরও ভালো লাগে। যদিও এই নাটকটি আমার দেখা হয়নি। তবে কাহিনীটা কিন্তু বেশ ভালোই লেগেছে এই নাটকের। অনেক সময় দেখা যায় পালিয়ে বিয়ে করলে এরপরে পরিবার মেনে নেয়। এই নাটকে দেখছি একই রকম ঘটনা হয়েছে। নাটকের রিভিউটা পড়ে খুবই ভালো লেগেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একবার বলো ভালোবাসি নাটকটি অনেক আগে দেখা হয়েছে। নাটকটির গল্প আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। মামার বিয়েতে গিয়ে ভাগিনা মেয়ে পছন্দ করে। বেশ রোমান্টিক একটি নাটকের রিভিউ করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি বেশ চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন। মুশফিকের নাটক আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা নাটকটি আমার দেখা হয়েছে। খুবই সুন্দর ছিল নাটকটি।যাইহোক আপনার রিভিউ পড়ে আরো বেশি ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে এখন যে যুগ এসেছে, এখন ছেলে মেয়েদের নিজের পছন্দ করা মানুষের সাথে বিয়ে দেয়াই ভালো এবং বুদ্ধিমানের কাজ। হ্যা, ছেলে বা মেয়ে সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ নেয়া পরিবারের দায়িত্ব। তবে শুধু শুধু প্রেম করেছে বলেই বাসায় মানবে না- এটা এখনকার সময়ের সাথে যায় না। বাবা-মা যদি খোঁজ খবর নিয়ে ভালো-মন্দ বিচার করে বুঝিয়ে বলে, তবে আর এভাবে পালিয়ে বিয়ে করা লাগে না। নাটকটি বর্তমান সময়োপযোগী কাহিনী তেই বানানো। আপনি বেশ ভালো ভাবেই নাটকটির রিভিউ শেয়ার করেছেন ভাই। আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit